নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঐতিহাসিক যে শান্তি চুক্তিতে জার্মানিকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২


জার্মান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসনকে ১৯১৮ সালের অক্টোবরের মাসে একটি সাধারণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়। তার প্রেক্ষাপটে উড্রো উইলসন তার বিখ্যাত চৌদ্দ দফা পেশ করেন যাকে সঠিক শান্তির একমাত্র উপায় হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দফা ছিল জার্মানির কাছে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত সকল মিত্রপক্ষের ক্ষতিপূরণ দাবী। এর মধ্যে নয়টি দফা ছিল নতুন রাষ্ট্রীয় প্রেষিতক বিষয়ে। বেশ কয়েকটি গোপন চুক্তির কারণে সেই দফাগুলোর ধারণা জটিল আকার ধারণ করেছিল। তার মধ্যে আছে যুদ্ধের শেষ বছরগুলোতে গ্রিস এবং রুমানিয়ার সাথে ইংল্যান্ড,ফ্রান্স এবং ইতালির সম্পাদিত চুক্তিসমূহ।১৯১৯ সালের বসন্তে প্যারিসে অনুষ্ঠিত প্যারিস শান্তি সম্মেলনে চুক্তির খসড়া করা হয়। খসড়ার মূল নকশা করেন চারজন নেতা যারা ইতিহাসে বিগ ফোর হিসেবে খ্যাত। তারা হলেন বৃটেনের ডেভিড লয়েড জর্জ, ফ্রান্সের জর্জেস ক্ল্যামেনকু (Georges Clamenceau), যুক্তরাষ্ট্রের উড্রো উইলসন এবং ইতালির ভিটোরিও অরল্যান্ডো। মূলত প্রথম তিনজনই নকশা তৈরি করেন। কোন পরাজিত জাতি চুক্তির খসড়া তৈরিতে কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি এমনকি মিত্রশক্তির সহযোগী জাতিসমূহেরও তেমন উল্লেখযোগ্য কোন ভূমিকা ছিলনা। ২৮শে জুন তারিখেই সেই চুক্তি অনুমোদিত হয়। কিন্তু তাতে উপস্থিত জার্মান প্রতিনিধিদল অসন্তোষ প্রকাশ করে কারণ তাদের মতে এতে সম্মেলন চলাকালে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের ব্যত্যয় হয়েছে এবং মূল সমস্যা ছিল এই যে সেই চুক্তিতে জার্মানিকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড লয়েড জর্জ ইতালির ভিট্টোরিও অরল্যান্ডো ফ্রান্সের প্রধাননমন্ত্রী জর্জেস ক্ল্যামেনকু এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন
ঐতিহাসিক সেই চুক্তির মাধ্যমে জার্মানির রাষ্ট্রীয় সীমা এবং জনসংখ্যা শতকরা দশভাগ কমিয়ে আনা হয়।পশ্চিম দিকে
অবস্থিত অ্যালসেইস এবং লোরেইন পুনরায় ফ্রান্সকে দেয়া হয় এবং সারল্যান্ড অঞ্চলটি ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত জাতিপুঞ্জের
অধীনে বিবেচনাধীন রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।পূর্বে অবস্থিত জার্মানির অংশের নাম ছিল পশ্চিম প্রুশিয়া যার নির্দিষ্ট অংশ পোল্যান্ডকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। তার মধ্যে আছে পোসেন, বাল্টিক সাগরের একটি করিডোর এবং গণভোটের মাধ্যমে আপার সাইলেশিয়ার একটি অংশ ।উত্তরের তিনটি ছোট ছোট এলাকা বেলজিয়ামের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয় কিন্তু স্ক্লেসভিগে (Schleswig) একটি গণভোটের ফলাফলের সাপেক্ষে সেই অঞ্চলের উত্তরাংশটিকে ডেনমার্কের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।ড্যানজিগকে একটি মুক্ত শহর ঘোষণা করা হয়। চীন, প্রশান্ত মহাসাগর এবং আফ্রিকায় অবস্থিত সকল জার্মান কলোনিসমূহ বৃটেন, ফ্রান্স, জাপান এবং অন্যান্য মিত্রশক্তির কুক্ষিগত হয়।
জার্মানিকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় এবং মিত্রশক্তির অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহে সংঘটিত জীবন, অর্থ এবং অবকাঠামোগত সকল ক্ষয়ক্ষতির জন্য জার্মানিকে দায়ী করা হয়।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকা যুদ্ধের খরচ ও দায় এককভাবে জার্মনীর উপর চাপিয়ে দেয়ার ফলে জার্মান নাগরিকেরা পরবর্তীতে ক্রোধ ও প্রতিশোধ-পরায়ন হয়ে উঠেছিল।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:১১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ।

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

জুন বলেছেন: ইতিহাস বিখ্যাত এই ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমেই কিন্ত ইউরোপের এক সময়ের পরাক্রমশালী সাম্রাজ্য প্রুশিয়া যা পরে জার্মানী হিসেবে পরিচিত তাকে পংগু করে ফেলেছিল আমেরিকা সহ ইওরোপের মিত্র দেশগুলো। তারই ফলে হিটলারের হাত ধরে জার্মান জাতীয়তাবাদের উথ্থান হয় আর 1939 সেপ্টেম্বরে শুরু হয় দ্বীতিয় বিশ্বযুদ্ধ যা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রান কেড়ে নিয়েছিল সারা বিশ্ব জুড়ে ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:১১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু ।

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভালো লাগল।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:১১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.