নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবাব সুজা-উদ-দৌলা তিনি আওধের নবাব ছিলেন

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২৯


নবাব সুজা-উদ-দৌলার জন্ম হয় ১৭৩২সালের ১৯শে জানুয়ারি । তিনি ছিলেন আওধের সুবেদার নবাব। ১৭৫৪ সালের ৫ই অক্টোবর থেকে ১৭৭৫ সালের ২৬শে জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি নবাব হিসেবে আসীন ছিলেন।তিনি তার ২২ বছর বয়স থেকে নবাবের আসন গ্রহণ করেন।নবাব সুজা-উদ-দৌলা ভারতের ইতিহাসে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে ভূমিকা রাখার কারণে তিনি অধিক পরিচিত ছিলেন। সেগুলো হল পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ এবং বক্সারের যুদ্ধ। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে বিজয়ের ফলে মারাঠা শক্তির আধিপত্য খর্ব হয়। তিনি বক্সারের যুদ্ধে বাংলার নবাব মীর কাশিমের মিত্রপক্ষ ছিলেন তবে এই যুদ্ধে তাদের পরাজিত হয়।নবাব সুজা-উদ-দৌলা ছিলেন মুঘল প্রধান উজির সফদর জঙের সন্তান। বাল্যকাল থেকে তিনি অধিনস্তদের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সক্ষম ছিলেন যা তাকে সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের প্রধান উজির হতে সহায়তা করে। রঘুজি ভোসলে এবং তার মারাঠারা বাংলায় হানা দিলে সুজা-উদ-দৌলা আলীবর্দী খানকে বিভিন্ন সময় সহায়তা করে থাকেন।সফদর জঙের মৃত্যুর পর সুজা-উদ-দৌলা মুঘল সম্রাট আহমেদ শাহ বাহাদুর কর্তৃক আওধের নবাব হিসেবে স্বীকৃত হন।সুজা-উদ-দৌলার সাথে ইমাদ উল মুলকের রেষারেষি ছিল। সিকান্দারাবাদের যুদ্ধের পরে ইমাদ উল মুলকের প্রভাব শুরু হয়। তিনি সম্রাট আহমেদ শাহ বাহাদুরকে অন্ধ করে তার স্থলে দ্বিতীয় আলমগীরকে সিংহাসনে বসান। আহমেদ শাহ দুররানির সাথে শান্তিপূর্ণ সন্ধি ত্যাগ করতে অস্বীকার করায় দ্বিতীয় আলমগীর এবং তার ছেলে আলি গওহর উভয়ে ইমাদ উল মুলকের হাতে নিগৃহিত হন। এছাড়াও তারা ইমাদ উল মুলককে মারাঠাদের সাথে তার সম্পর্কের কারণে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন। ষড়যন্ত্র টের পাওয়ার পর যুবরাজ আলি গওহর দিল্লি থেকে পালিয়ে যান। ষড়যন্ত্রের ফলে সম্রাট দ্বিতীয় আলমগীর নিহত হয়েছিলেন। সুজা-উদ-দৌলা এসময় আলি গওহরকে স্বাগত জানান ও সুরক্ষা দেন। আলি গওহর নিজেকে দ্বিতীয় শাহ আলম ঘোষণা দেন এবং সুজা-উদ-দৌলাকে সাম্রাজ্যের প্রধান উজির হিসেবে স্বীকৃতি দেন। তারা উভয়ে সদাশিবরাও ভাও কর্তৃক সিংহাসন লাভকারী তৃতীয় শাহজাহানের বিরুদ্ধে দাঁড়ান।ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও মীর জাফরের কাছ থেকে মুঘল সাম্রজ্যের পূর্বাঞ্চলীয় বাংলা দখল করে নেয়া জন্য দ্বিতীয় শাহ আলমকে পরামর্শ প্রদান করা হয়। সুজা-উদ-দৌলা, নাজিব-উদ-দৌলা এবং মির্জা জওয়ান বখত আহমেদ শাহ দুররানির সাথে মিত্রতা গড়ে তোলেন। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে তারা আহমেদ শাহ দুররানিকে সহায়তা করেছিলেন।

মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আলমগীরের হত্যার কারণে দিল্লি থেকে পলায়নের পর আলি গওহরকে সুজা-উদ-দৌলা স্বাগত জানান। সুজা-উদ-দৌলা তাকে নিশ্চিত করেন যে তিনি এবং নাজিব-উদ-দৌলা মারাঠাদের বিরুদ্ধে অগ্রসর হবেন যদি আলি গওহর মুঘল সেনাবাহিনীকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে পরিচালিত করেন।পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে সুজা-উদ-দৌলার পক্ষ নির্বাচন যুদ্ধের ফলাফলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি এই যুদ্ধে আহমেদ শাহ দুররানির পক্ষে যোগ দেন। মুঘল সাম্রাজ্যের প্রধান উজির হিসেবে তিনি বড় আকারের সেনাদলের নেতৃত্ব দেন।

নবাব সুজা-উদ-দৌলা বক্সারের যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। এই যুদ্ধে সুজা-উদ-দৌলা, দ্বিতীয় শাহ আলম এবং মীর কাশিমের জোট বাহিনী ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পরাজিত হয়। ভারতের ইতিহাসে এই যুদ্ধ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।বক্সার ভারতের বিহার রাজ্যের বক্সার জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা ।ভৌগোলিক উপাত্ত,শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২৫.৫৮° উত্তর ৮৩.৯৮° পূর্ব ।সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৫৬ মিটার ১৮৩ ফুট।

নবাব সুজা-উদ-দৌলা পরে মারাঠাদের সহায়তায় ব্রিটিশদের সাথে লড়াই করেন। এতে তিনি পরাজিত হন। ১৭৬৫ সালের ১৬ আগস্ট তিনি এলাহাবাদের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন যাতে বলা হয় কোরা ও এলাহাবাদ জেলা দুটি কোম্পানির হাতে চলে যাবে এবং কোম্পানি আওধ থেকে ৫০ লক্ষ রুপি পাবে।ব্রিটিশরা আওধে মুক্ত বাণিজ্যের অধিকার পাবে এবং যুদ্ধের সময় পরস্পরকে সহায়তা করবে।ব্রিটিশ নিরাপত্তার মূল্য এবং যুদ্ধের সহায়তা হিসেবে আওধ চুনার দুর্গ এবং এরপর বেনারস, গাজিপুর ও শেষপর্যন্ত এলাহাবাদের অধিকার ত্যাগ করেন।আসাদপুরের যুদ্ধের পর সুজা-উদ-দৌলা এবং হাফিজ রহমত খান ১৭৭২ সালে মারাঠাদের দিল্লি থেকে বিতাড়িত করেন।
সুজা-উদ-দৌলা ১৭৭৫ সালের ২৬ জানুয়ারি আওধের রাজধানী ফৈজাবাদে মারা যান।আর সেখানেই তাকে দাফন করা হয়। তার মাজার এখন গুলাব বাড়ি নামে পরিচিত।
তথ্যসূত্র;
http://lucknow.me/Shuja-ud-Daula.html
http://collections.britishart.yale.edu/vufind/Record/1667443
https://commons.wikimedia.org/wiki/File:Shuja-ud-Daula,_Nawab_of_Awadh_(6125081062).jpg

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: উপমহাদেশে সিরাজের পতনের পর অনেক কিছু বলদে গেছে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপা ।

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: এইসব নবাবদের জনই মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞান এই ভারত উপমহাদেশে অনেক পিছিয়ে গেছে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: হতে পারে ।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩২

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: হা হা হা .............। :D আমি আপা না ভাই।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আমি দুঃখীত না জেনে আপনার মনে হয়ত কষ্ট দিয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.