নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন শহীদ বুদ্ধিজীবী মোহাম্মদ আনোয়ারুল আজিম এর কিছু কথা

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২৭


মোহম্মদ আনোয়ারুল আজিম তিনি জন্ম গ্রহণ করেন ১৯৩১ সালের ১৩শে ডিসেম্বর । তিনি বাংলাদেশের একজন শিল্প প্রশাসক এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী। তিনি ১৯৭১ সালের ৫ই মে তার প্রায় দুইশত সহকর্মী শহীদ সাগর চত্বরে ইতিহাসের নির্মমতম গণহত্যার শিকার হন। স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে তিনি স্বাধীনতা পদক পান।আনোয়ারুল আজিম কর্মজীবন শুরু করেন নারায়ণগঞ্জের এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপক হিসেবে। তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান শিল্পোন্নয়ন কর্পোরেশনে বিভিন্ন পদমর্যাদায় চাকরি করেন। পরে তিনি লতিফ বাওয়ানী জুট মিলে লেবার অফিসার হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক লেবার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। দেশে ফিরে তিনি ইপিআইডিসির নারায়ণগঞ্জ ডক ইয়ার্ডে সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কিছুদিন পাকিস্তান আর্মি কমিশনে বা পিএএসআরও চাকরি করেন এবং লেফটেন্যান্ট পদে উন্নীত হন। ১৯৬৮ সালের শেষদিকে তিনি নর্থ বেঙ্গল সুপার মিলের জেনারেল ম্যানেজার পদে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি উক্ত পদেই কর্মরত ছিলেন।মোঃ আনোয়ারুল আজিম ১৯৭১ সালে বিভিন্নভাবে যুদ্ধে অংশ নেন। তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজঃ
ষ্টেশন এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা
ঈশ্বরদী বিমানবন্দর অবরোধ
ধলাইদহে পাক বাহিনীর সাথে মুখোমুখি যুদ্ধ
পাকিস্থানি মেজর রাজা আসলামকে আটক ও হত্যায় সহযোগীতা করেন তিনি।
১৯৭১ সালের ৫ই মে তারিখের গোপালপুরের গণহত্যার শিকার হওয়ার পূর্বে তিনি প্রাণপন সবাইকে বাঁচাতে চেষ্টা করেন। হিন্দু কর্মচারীদের সবাইকে কয়েকদিন আগেই ছুটি দিয়ে দেন। সে দিন সকালে সকল কর্মচারীকে পাশের গ্রাম নিয়ে লুকিয়ে থাকেন। যখন খবর পান পাক সেনারা চিনির মিলে লুটপাট করছে, তখন তিনি তার দ্বায়িত্বের জন্য ফিরে আসেন। তখন পাক সেনারা মিল চালু করতে বললে তিনি মিল চালু করেন। ভেবেছিলেন মিল চালু করলে সবাইকে হয়ত ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তখন পাকিস্থানী বাহিনীরা সবাইকে আটক শুরু করে। এক পর্যায়ে তাদের দাঁড় করিয়ে দেয়া হয় পুকুর পাড়ে । তখন তিনি চিৎকার করে বলেছিলেন যে তাকে না গুলি করে তার কোন কর্মচারীকে গুলি করা যাবে না। পরে ঘটল ইতিহাসের নির্মমতম গণহত্যা। ৯টি রাইফেল দিয়ে তিনি সহ প্রায় ২শত কর্মচারীকে গুলি করা হয়। পানিতে লাশের পরে লাশ স্তুপ হয়ে জমা হতে থাকে।একজন কুরআন পড়ছিল কিন্তু তাকেও কুরআন সহ বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

দিবা রুমি বলেছেন: কিছু কথা আমাদের অজানা থাকে আমাদের অসতর্কতায়।

শহীদ বুদ্ধিজীবী আনোয়ারুল আজিমকে আমি অনেক আগেই জেনেছি। তোমার পুস্টে আরেকবার স্মৃতিচারণ করা হয়ে গেলো

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অসংখ ধন্যবাদ রুমি আপা ।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: নতুন করে একজন বুদ্ধিজীবি সম্পর্কে জানতে পারলাম। হয়তো এমন অনেক বুদ্ধিজীবি আছেন যাদের সম্পর্কে অনেকের-ই অজানা। লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ তানভীর ভাই।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনার জন্য ও উনার পরিবার পরিজনদের জন্য শ্রদ্ধা রলো

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই।

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: উনার মত অনেকের সর্বোচ্চ ত্যাগের কারণেই আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ...

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সেই ইতিহাস অনেকেই হয়ত জানেনা।অসংখ ধন্যবাদ বিচার মানি......।

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


উনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ কাওসার ভাই।

৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: খুব মর্মান্তিক ।
এই ঘটনা আগে জানতাম না।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নূর ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.