নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হলে সময়মত পুরো ডোর্জই খেতে হবে

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৮


আসলে মূলত যে বিষয়টা আজ লিখতে বসেছি সেটা হল অ্যান্টিবায়োটিক ঔষুধের বিষয় । আসলে ঘটনা হল আজকাল রোগ মানেই ঔষুধ হিসেবে বেশির ভাগই আমরা অ্যান্টিবায়োটিক ঔষুধ ব্যবহার করি । এক কথায় পিসির ভাইরাস মারতে হলে যেমন এন্টিভাইরাস ছাড়া কাজ হয় না তেমনি আমাদের শরীরে রোগ মানেই সুস্থ হওয়ার জন্য ওষুধ হিসেবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক খুব কার্যকারিতা । তবে এখানে একটা বিষয় সকলের জেনে রাখা ভালো,সেটা হল আমরা যখন কোনো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করবো বা খাবো তখন এর কিছু নিয়মকনুন অবশ্যয় আমাদের মানতে বা মনে রাখতে হবে। আর সে নিয়মের ব্যতিক্রম হলে অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে কাজ হবে না বরং উল্টা রিয়েক্সন হতে পারে ।আসুন নিয়মগুলো কি তা জেনে নিই,,
অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
আমরা সাধারন জ্বর-ঠান্ডা, সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা ইত্যাদি কারনেও কমবেশি সকলেরই ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয়। তাছাড়া খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম এবং ভেজাল খাদ্য খাওয়ার ফলে আজকাল গ্যাস্ট্রিক খুব কমন একটা রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শরীর চর্চায় অনীহা আমাদের রোগবৃদ্ধির আরও একটি কারন। তার উপর রয়েছে পরিবেশ দূষণ। এগুলোর ফলে প্রতিনিয়তই আমরা কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছি।আর অসুস্থ মানেই ডাক্তারের সাথে কথা বলে বা শরীর স্বাস্থ্য দেখিয়ে ঔষধ কিনে খাওয়ার পরেও অনেক সময় কাজ হয় না। আমরা অনেকেই তখন ডাক্তারের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলি। কিন্তু এমনও হতে পারে যে কেনা ওষুধেই কোন সমস্য ছিল। হতে পারে ওষুধের মেয়াদ ছিল না, হতে পারে ওষুধের ডোজ কম বেশি হয়েছে কিংবা হতে পারে ভুল গ্রুপ এর ওষুধ কেনা হয়েছে ইত্যাদি। অনেক সময় ভুল নিয়মে ওষুধ সেবনের ফলে মারাত্মক কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাই ওষুধ ক্রয় এবং সেবনের সময় কী কী সতর্কতা এবং সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার তা সকলের জন্যই জানা অতি আবশ্যক।

আজকাল প্রায় সব বয়সের মানুষের মধ্যেই প্রেসার সমস্যা দেখা যায়। একটা সময় ছিল যখন মনে করা হতো ডায়াবেটিস শুধু বড়দের রোগ। কিন্তু আজকাল বালক ও কিশোর বয়সেও ডায়াবেটিস রোগ ধরা পড়ে। রোগ ও অসুস্থতার সাথে পাল্লা দিয়ে তাই ওষুধ খাওয়া মানুষের সংখ্যাও ক্রমশ বেড়েই চলেছে।অতএব ঔষধ যেহেতু খেতেই হবে তার ব্যবহার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। নানা রকম গ্রুপের ওষুধ এর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে কম-বেশি সকলেরই সাধারণ জ্ঞান থাকা জরুরি।ওষুধ কি খাবারের আগে খেতে হবে না পরে- এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। নির্দিষ্ট কোন ওষুধে অ্যালার্জি থাকলে কী করতে হবে সে সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অনেক জরুরি। ওষুধটি সাধারণভাবে সংরক্ষণ করলেই চলবে নাকি রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করতে হবে-এটিও খুব লক্ষণীয় একটি বিষয়।

অ্যান্টিবায়োটিকের পরে কোন খাবারগুলো খুবই ক্ষতিকর- সে জ্ঞান না থাকলে মহাবিপদ! ঘুমের ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াগুলো কী কী সেগুলোও সাথে জানতে হবে। শিশুদের ঔষধ কেনার বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের কোন ওষুধে ভুল হলে তা মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে কারণ শিশুদের সব কিছুই অনেক বেশি সেনসিটিভ।দুর্বল লাগলেই ভিটামিন, ব্যথা হলেই পেইনকিলার ইত্যাদি ওষুধ যখন তখন কিনে খেয়ে ফেলা যাবে না। এগুলো অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ এবং প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সেবন করতে হবে।

ঔষধ খাওয়ার নিয়ম ও পূর্বসতর্কতা সম্পর্কিত ধারণার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে WikiReZon টীম এই অ্যাপটি ডেভেলপ করেছে। এ অ্যাপের উদ্দেশ্য হচ্ছে ওষুধ ক্রয় ও সেবনের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিৎ সেগুলো সম্পর্কে সচেতন করা।যেহেতু এখন
অ্যানড্রোড ফোনের যুগ সে ক্ষেত্রে সকলে অ্যাপ থেকেও নির্দেশিকা দেখে নিতে পারেন।

যেমন অ্যাপ থেকে আপনি জানতে পারবেনঃ
- ঔষধ ক্রয়ের সময় লক্ষণীয় বিষয়
- কোন ঔষধ কিভাবে খাবেন
- অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার নিয়ম
- প্যারাসিটামল খাওয়ার নিয়ম
- ক্লোফেনাক জাতীয় ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
- রেনিটিডিন বা ওমিপ্রাজল জাতীয় ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
- অ্যান্টিহিস্টামিন বা হিস্টাসিন জাতীয় ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
- ফ্রুসেমাইড জাতীয় ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
- স্ট্যাটিন জাতীয় ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
- যক্ষ্মার ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
- উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
- ডায়াবেটিসের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
- ওষুধের সাথে কতটুকু পানি খাবেন?
- ঔষধ খাওয়ার সময়- খাবারের আগে না পরে?
- ঔষধ খাওয়ার সময় কিছু ভুল
- ঔষধে অ্যালার্জি কীভাবে বুঝবেন?
- নিয়ম মেনে ঔষধ সেবন
- অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পর ক্ষতিকর ৬টি খাবার
- ঘুমের ঔষধের মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসমূহ
- ঔষধ সতর্কতা : আমরা ঔষধ সম্পর্কে কতটুকু জানি?
- শিশুর ঔষধের গাইডঅন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহঃ

ঔষধ, ওষুধ, ঔষধ নির্দেশিকা, ওষুধ নির্দেশিকা, ঔষধ খাবার নিয়ম, ওষুধ খাবার নিয়ম, ওষুধ খাওয়ার নিয়ম, ঔষধ খাওয়ার নিয়ম, রোগের ঔষধ, ঔষধ সতর্কতা, বিভিন্ন রোগের ঔষধ, প্রয়োজনীয় ঔষধ নির্দেশিকা, ভেষজ ঔষধ, ড্রাগ নির্দেশিকা, ড্রাগস গাইড, ড্রাগস গাইডলাইন, স্বাস্থ্য সমস্যা, ডাক্তারি সমস্যা, অ্যালার্জি, ঘুমের ঔষধ, শিশু, শিশুর ঔষধ, শিশুর ওষুধ, শিশুর গাইড, উচ্চ রক্তচাপ, প্রেসার, প্রেশার, ব্লাডপ্রেশার, যক্ষা, হাই প্রেশার, লো প্রেশার, গ্যাস্ট্রিক, গেস্ট্রিক, উচ্চ রক্তচাপ, ইত্যাদি।

অন্যদিকে আমরা আরেকটা তথ্য অনুযায়ী যা জানতে পারি তা হল অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার মানুষের জীবনকে হুমকির দিকেও ফেলে দিতে পারে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই আমাদের পাড়া বা মহল্লার অনেক দোকানে এই ওষুধ দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। সর্দি-কাশি বা সামান্য শারীরিক সমস্যা হলেই কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল কিনে খাওয়া এখন যা অতি সাধারণ একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া, শুরু করে শেষ না করা এবং নির্দিষ্ট মাত্রায় না খাওয়া শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে। তাই এর অপপ্রয়োগ বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে বলে অভিমত দিয়েছেন অনেক বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধের দোকানগুলোতে এই ধরনের ওষুদ বিক্রি বন্ধের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রায় বছর খানেক আগের কিছু ঘটনা, ৮৩ বছর বয়সের মাহবুবুর রহমান (ছদ্মনাম) মারা যান পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ডায়াবেটিক, উচ্চরক্ত চাপ নিয়ে মাহবুবুর রহমান নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ভর্তি হলেও তাকে আর বাঁচানো যায়নি। আবার এক মাস আগে ৬৭ বছরের প্রকৌশলী মুকুল চন্দ্র দাস (ছদ্মনাম) বৃষ্টিতে ভেজার পর জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে তার ফুসফুসে ইনফেকশন এবং নিউমোনিয়া হয়েছে বলে ধরা পড়ে। প্রথমে বারডেম এবং পরে পান্থপথের একটি নামকরা বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাকে। কিন্তু তার শরীরে কোনও ড্রাগ কাজ করছিল না, চিকিৎসকদের প্রাণান্ত চেষ্টা সত্ত্বেও তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।চিকিৎসকরা বলছেন, ইমিউনো কম্প্রোমাইজ বা অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যাওয়ার কারণেই তাকে বাঁচানো যায়নি। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়াতে এবং অ্যান্টিবায়োটিক শরীরে আর কাজ না করাতেই মৃত্যু হয়েছে দু’জনেরই।’

গবাদি পশু, মাছ এবং কৃষিক্ষেত্রেও অনিয়ন্ত্রিত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার আশঙ্কা হারে বেড়েছে। শতকরা ৫০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে কৃষি খাতে, কৃষিপণ্য এর যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে বাড়ছে কিডনি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আর এসব কারণে ২০১৫ সাল নাগাদ বিশ্বের এক কোটি মানুষ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে মৃত্যুবরণ করবে বলেও জানান চিকিৎসকরা।অন্যদিকে, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের করা এক গবেষণা জরিপ থেকে জানা যায়, রাজধানীতে শতকরা ৫৫ দশমিক ৭০ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়েছে। অর্থ্যাৎ ঢাকায় মানুষের শরীরে যে রোগ জীবানুর সংক্রমণ ঘটে তার বিরুদ্ধে ৫৫ দশমিক ৭০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক কোনও কাজ করে না।যেটা দরকার নেই, সেটাও ব্যবহার হচ্ছে, যখন দরকার নেই, তখনও ব্যবহার হচ্ছে। নিয়ম মেনেই ব্যবহার করা হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা মনে করেন, দেশে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ‘এর ফলে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স মহাদুযোর্গের প্রতিধ্বনি হিসেবে শুনতে পাচ্ছি আমরা।’

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণে বাংলাদেশে কত মানুষ মারা যায় এমন কোনও জরিপ বা গবেষণা না থাকলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী বছরে ২৩ হাজার আর বিশ্বে সাত লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। এ ধারা চলতে থাকলে বিশ্বজুড়ে বছরে এক কোটি মানুষ মারা যাবে ওষুধ না পেয়ে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী যৌনরোগ গণরিয়ার চিকিৎসায় কোনও ওষুধ কাজ করছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে গণরিয়ার আর কোনও চিকিৎসাই থাকবে না।

অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হওয়ার কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা।

বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স খুবই ভয়ের কথা। যখন তখন খাওয়ার প্রবণতা যদি আমরা রোধ করতে না পারি, তাহলে আমাদের সামনে ভয়ঙ্কর দিন অপেক্ষা করছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক এবিএম ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। আর নিয়ম না মেনে খেলে শরীরে রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়। রেজিস্ট্যান্স নানা কারণে হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জীবাণুকে মারার জন্য যে পরিমাণ প্রয়োজন তার চেয়ে কম সেবন, ঘন ঘন অথবা অধিক মাত্রায় সেবন এবং পুরো কোর্স সম্পন্ন না করা এবং নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা অন্যতম কারণ।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সব ধরনের হাসপাতালে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে তৃতীয় প্রজন্মের সেফালোস্পোরিন গ্রুপের ওষুধের ব্যবহার বেশি। এর পরের অবস্থানে রয়েছে ম্যাক্রোলাইড, দ্বিতীয় প্রজন্মের সেফালোস্পোরিন ও পেনিসিলিন।

এছাড়া, এক থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের চিকিৎসায় ব্যবহারের হার সর্বোচ্চ।

গবেষণায় আর দেখা যায়, অল্পবয়সীদের ক্ষেত্রে ভুল ব্যবহার বেশি। আর ভুল অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের কারণে হাসপাতালে বেশিদিন অবস্থান করতে হয়, শারীরিক জটিলতার মাত্রা বেশি হয় এবং এতে মৃত্যুর হারও তুলনামূলকভাবে বেশি।

প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী এক সাক্ষাতকারে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, যথেচ্ছ ব্যবহারকে থামাতে যদি ব্যর্থ হই, তাহলে একটা সময়ে সব ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ অকার্যকর হয়ে যাবে আর পৃথিবীতে রাজত্ব করবে জীবানুরা। তাই যতো দ্রুত সম্ভব এ অবস্থার রাশ টেনে ধরতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. সিতেশ চন্দ্র বাছার অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সেকে বাংলাদেশের সিরিয়াস মেডিক্যাল ও সামাজিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বর্তমান সময়ে কারবাপেনেম শ্রেণির একটি অ্যান্টিবায়োটিক আইসিইউ বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র চিকিৎসারত রোগীদের দেওয়া হয়। যখন তাদের অন্য সবগুলোই কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। কিন্তু যদি কোনোভাবে কারবাপেনেম ওষুধটি রেজিস্ট্যান্ট হয়, তাহলে আইসিইউ রোগীরা ওষুধ না পেয়েই মারা যাবে। খুবই আশঙ্কার বিষয় কারবাপেনেমও রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যাচ্ছে কোথাও কোথাও।’

অধ্যাপক ড. সিতেশ চন্দ্র বাছার আরও বলেন, ‘বাংলাদেশসহ এশিয়ার ১১টি দেশের অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়ছে। যার কারণে অস্ত্রোপচার ও ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসা ব্যবহত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ অবস্থাকে তুলনা করেছে অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার হবার আগের যুগের সঙ্গে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আবদুর রহিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ফ্রান্স, আমেরিকাসহ বিশ্বের উন্নতদেশগুলোতে প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোথাও অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি হয় না। অথচ আমাদের দেশে ফার্মেসিতে গিয়ে যা চাওয়া হয়, তাই পাওয়া যায়।’

অন্যদিকে, গ্রামাঞ্চলগুলোতে হাতুড়ে চিকিৎসকরা অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রিতে শহরের চেয়েও বেশি এগিয়ে আছে মন্তব্য করেন অধ্যাপক আবদুর রহিম। তিনি বলেন, ‘আমরা যেসব অ্যান্টিবায়োটিক দিতে সাহস পাইনা, সেগুলোও তারা রোগীদের দিচ্ছেন।অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার কারণে রোগীদের চিকিৎসা করাতে পারছেন না এমন কোনও রোগী পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও সে পর্যায়ে যাইনি, তবে সতর্ক না হলে সে পর্যায়ে যেতে আমাদের সময় লাগবে না।উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘প্রস্রাবের ইনফেকশন একটি কমন অসুখ, এ অসুখের জন্য যখন কালচার টেস্ট করা হয় সেখানে দেখতে পাই, অধিকাংশ অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করার মতো অস্থায় নেই। দু-একটা ওষুধ ছাড়া প্রায় ড্রাগই রেজিস্টেন্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে আমাদের পরিত্রাণ পেতে হবে, নয়তো মৃত্যুপথযাত্রী রোগীর জন্যও একসময় কোনও ড্রাগ থাকবে না।’

তথ্যসূত্রঃ
বিভিন্ন ওয়েব সাইট এবং অ্যাপের তথ্যসমূহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সাইট থেকে ।
গুগল পেলে অ্যাপ সাইট
বাংলা ট্রিবিউন
জাকিয়া আহমেদ ০৭:৪৯ , জুন ২৯ , ২০১৭ তারিখে প্রচারিত একটা লেখা ।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: একদম শেষে টাইপো হয়েছে। 'প্রচারিত' হবে।
আমি ভাবছি, যত পারি ঔষধ না খেয়ে থাকবো।

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য। ঈদমুবারক।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: সবার আগে দোয়া করেন যেন ওষুধ না খেতে হয়। আল্লাহ যেন বিনা ওষুধে সুস্থ করে দেন।

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই। ভাই রোগ যখন আছে, খোদাতাআলা নিরাময়ও তার দিছে।রোগ হলে ঔষুধ প্রয়োজন হবে তবে কিছু
নিয়ম মাফিক। ঈদমুবারক।

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

আলআমিন১২৩ বলেছেন: জরুরি লেখা। ধন্যবাদ।

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আপনাকেও লেখাটা মূলায়ন করার জন্য ধন্যবাদ । ঈদমুবারক।

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৬

বাকপ্রবাস বলেছেন: তথ্যগুলো জানা থাকা প্রয়োজন সকলের

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সুন্দর এবং একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছেন ধন্যবাদ । ঈদমুবারক।

৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১২

বর্ণা বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ লেখা

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫২

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ । ঈদমুবারক।

৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ভাল পোষ্ট! অনেক সময় পেশেন্ট নিজের উপর নিজেই ডাক্তারি ফলায়। বডিতে তৈরি করে সুপার বাগ....

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আর তার ফলসুরুপ হয়রানি যা হওয়ার হয় ওই রোগীর আত্মীয়স্বজনরা।সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

চাঙ্কু বলেছেন: অ্যান্টিবায়োটিক হল মশা মারার জন্য লিটারেলি কামান দাগানো। ১-গ্রাম ব্যথার জন্য আমরা ১ মণ অ্যান্টিবায়োটিক খাই।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন একমত।

৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:


@প্রীশু নিবেন। ঈদ মোবারক।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আপনার জন্যও প্রীতি ও শুভেচ্ছা থাকল।

৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪

বিজন রয় বলেছেন: ঈদ মোবারক

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ঈদ মোবারক ।

১০| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

সূচরিতা সেন বলেছেন: জনসচেতন পোস্ট ।এধরণের লেখা আরো প্রকাশ করুন তাতে অনেকেই সচেতন হবে । কষ্টসাধ্য পোস্টটার জন্য আপনাকে অনেক
ধন্যবাদ।পোস্টে +++++++
পোস্টটি কি স্টিকি করা যায় কিনা কৃতপক্ষ বিবেচিত। :(

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ।

১১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

নতুন বলেছেন: এন্টিবায়টিক সম্পকে সচেতন না হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবো আমাদের মতন দেশের জনগন....

এটা খবই দরকারি একটা বিষয়... জনগনের সচেতনতা দরকার... সরকারের পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে ডাক্তারের প্রিসক্রিবসন ছাড়া কেউই এন্টিবায়টিক না কিনতে পারে।

https://www.ted.com/talks/maryn_mckenna_what_do_we_do_when_antibiotics_don_t_work_any_more

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আমি আপনার মন্তব্যের সাথে কঠর ভাবে একমত। একদম উপযুক্ত এবং যোক্তিক কথা বলেছেন,সরকারের পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে ডাক্তারের প্রিসক্রিবসন ছাড়া কেউই এন্টিবায়টিক না কিনতে পারে। আমিও একমত।

১২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: নতুন ভাইয়ের সাথে সহমত।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ আমিও।

১৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো লাগল আপনার জনসচেতন ও তথ্যসমৃদ্ধ লেখাটি। :)

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:২০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসু ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.