নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটু অসাবধনতায় মুহুর্তে চলে যেতে পারে একটা জীবন

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৮


আজ সকালে কাজের উদ্ধেশে বাসা থেকে অফিস যাবার পথে একটা ঘটনা যা কয়েক ঘন্টা কেটে যাওয়ার পরে চোখে এখনও
ভাসছে আরো কত ঘন্টা কত দিন এমন করে ভাসবে তাও বলতে পারছি না। ভাসার মতই ঘটনা ।আমাদের মহল্লার এক গোলির পাশে
একটা নতুন পাঁচতালা বাড়ি বানানো হচ্ছে।বাড়িটি কেবল দুটো ছাদ দেয়া হয়েছে । আজয় প্রথম দীর্ঘ সময় নিয়ে ওবাড়িটির দিকে নজর
দেয়া।ওই বাড়িতার দুইতালায় এক পাশে একটা বাঁশের মাচা বেঁধে রেখে যান গত কাল এক রাজমিস্ত্রী ।সকালে এসেই ওই মিস্ত্রী যখন
মাঁচায় দশবারোটা ইট সঙ্গে নিয়ে পা রাখলেন সঙ্গে সঙ্গে মাঁচাটির এক কোণা উল্টে গিয়ে সেই মিস্ত্রী লোকটি দুইতালা থেকে পড়ে গেলেন
আর মাঁচায় রাখায় ওই ইঁটগুলো সব পড়লো ওই লোকটার মাথায় তাতে লোকটার মাথায় অনেক চোট লাগে এবং অনেক রক্ত যায় অবস্থা
এতটাই গুরুত্বর যে লোকটা ঘটনা স্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।

ঘটনা দেখে আমার যা মনে হল শুধু মাত্র একটু অসাবধনতার জন্য কয়েক মুহুর্তের ভিতর চলে গেল ওই একটা জীবন। যদি ওই লোকটা কাজে
হাত দেয়ার আগে একবার ভালো করে সেই বাঁশের মাঁচাটি চেক করে নিতেন তাহলে হয়ত তিনি আগেই মাঁচার দূর্ভল হওয়ার কথা জানতেন
এবং এই দূর্ঘটনাও ঘটতো না তিনিও প্রাণে হয়ত বেঁচে যেতেন।

শধু মাত্র তার এবং তার সাথে থাকা লোকদের অসাবধনতার জন্যই তাকে জীবন দিতে হল।শুধু তাইনা আমাদের দেশে যে হারে বড় বড় বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে তাতে সকলেরই সতর্ক থাকা উচিত । কেননা কর্ম স্থলে সতর্কের বিকল্প আর কিছু হতে পারে না ।

এছাড়াও সকাল ৮ থেকে ৯টার ভিতর যখন শ্রমিকরা এধরনের দুইতালা,তিনতালা,থেকে শুরু করে বড়বড় বিল্ডিংয়ে কাজের উদ্ধেশে
ওঠেন তখন ওই সাইট বা বিল্ডিংয়ের মালিক বা ইঞ্জিনিয়ার অথবা কনেট্রাকদারের উচিৎ প্রতিটা শ্রমিককে একটা করে সিফটি বেল এবং
মাথার হেলমেড দেয়া। এবং পাশাপাশি নজর রাখা যে সেগুলো শ্রমিকরা ঠিকমত ব্যবহার করছে কিনা,না করলে তাদের উচিৎ হবে
শ্রমিকদের বাধ্যতামূলক করা সিফটি বেল এবং মাথার হেলমেড ব্যবহার করার জন্য।

শ্রমিক ভাইয়েরা যে কোনো কাজের সময় সকলে দয়া করে একটু সতর্ক থাকুন।কেননা একটু সময় বেশি ব্যয় হলে কোনো ক্ষতি নেই কিন্তু একবার জীবন চলেগেলে তা আর ফেরত পাওয়া যাবেনা।সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি তাই সময় বাঁচাতে গিয়ে বা অবহেলিত
ভাবে অহেটুক ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিজের জীবনটাকে হারিয়ে পরিবার পরিজন এবং মা,বাবা এবং শ্ত্রী সন্তানকে দুঃখের সাগরে ভাসাবেন না।
মনে রাখবেন আপনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলে আপনার বাড়ি ফেরার পথ চেয়ে সকলে বসে থাকে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মর্মান্তিক ঘটনা। শ্রমিকের মৃত্যুর ফলে তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার একটা বিধান আছে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২২

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: শুনেছি এই শ্রমিকের পরিবারকে আড়াইলক্ষ টাকা দিবেন মালিকপক্ষ থেকে।

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ঢাকা শহরে দেখেছি- যারা বিল্ডিং এ কাজ করে তাদের নিরাপত্তা নেই। কোনো কারনে পিসলা খেলে একদম নিচে, মানে নিশ্চিত মৃত্যু।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আর সে জন্য এ বিষয়ে সতর্ক বার্তা পোঁছাতে হবে।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: নির্মাণ শ্রমিকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে মালিকরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উদাসীন তাই দুর্ঘটনা এদেশে অহরহই ঘটে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সহমত।

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

সূচরিতা সেন বলেছেন: ঠিক বলেছেন সচেতনের বিকল্প আর কিছু নেই।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আধাপাগল বলেছেন: ভাইজান। সত্য কথা কি জানেন? জানেন না। সত্য কথা হচ্ছে ঐ শ্রমিক যদি সতর্কতা কাকে বলে শিখতো, জানতো, তাইলে সে আজকে শ্রমিক হত না। সে হত বড় এক ইঞ্জিনিয়ার। সে কিছুই জানে না বলেইতো আজকে শ্রমিকের খাতায় নাম লিখিয়েছে। বুঝছেন? নাকি বুঝেন নাই? হা হা হা ... আপনের চাইতে বড় বড় ডাক্তার ইঞ্জিনিয়াররা বুঝে না, আপনে ক্যামনে বুঝবেন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভাইজান কাউকেই অবহেলা করা যাবে না। কেউ কাউকে ছাড়া চলবে না।

৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৮

ঢাকার লোক বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক !!
উন্নত বিশ্বে নির্মাণ শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য হেলমেট, সেফটি বুট , সেফটি গ্লাস (চশমা) , রিফ্লেক্টিভ ভেস্ট ইত্যাদি পড়া; সাধারণ নিরাপত্তা সম্বন্ধে ট্রেইনিং, ইত্যাদি বাধ্যতামূলক করা হয় এবং এগুলো ঠিকমতো অনুসরণ করা হয় কিনা মাঝে মাঝে উপযুক্ত কতৃপক্ষ তা তদারকি করে . ঠিকমতো অনুসরণ না করলে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয় বা কন্ট্রাক্টরকে জরিমানা করা হয় . দুর্ভাগ্য, আমাদের দেশে এগুলোকে মোটেও গুরুত্ব দেয়া হয় না ! এগুলোকে বাজে খরচ হিসাবে গণ্য করা হয় !!

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সত্যকথা বলছেন ভাই।

৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: নির্মাণ শ্রমিকদের আরো একটু প্রফেশনাল হওয়া দরকার। লুঙ্গি পরে নিরাপত্তা ছাড়া কাজ করতে দেয়া উচিত না...

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সহমত।

৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সুন্দর সচেতনমূলক কথা,কিন্তু কে শুনে কার কথা। :)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.