![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসলে পিসার হেলানো মিনার হল ইতালির পিসা প্রদেশের একটি ভবনবিশেষ। এই মিনারটি ঘন্টা বাজানোর উদ্দেশ্যে নির্মাম করা হয়েছিল। মিনারটি এক পাশ হেলে থাকার কারণে সমগ্র বিশ্বে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং সুনাম রয়েছে। নির্মাণের শুরু থেকেই এই মিনারের এক দিক থেকে ক্রমশ হেলতে থাকে। বর্তমানে এ অবকাঠামোটিকে রক্ষা করতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এর হেলে পড়া রোধ এবং ভূপাতিত হওয়া থেকে রক্ষা হয়েছে। একুশ বছর ধরে এর চতুর্দিকে অস্থায়ীভাবে মাঁচা তৈরী করা হয়েছিল। ২০১১ সালের ২৬শে এপ্রিল সর্বশেষ মাঁচাটি অপসারণ করা হয়। আর তার ফলে মিনারটিকে পুনরায় সঠিকভাবে দেখা যায়।
ভূমি থেকে অষ্টতলাবিশিষ্ট এই মিনারের উচ্চতা প্রায় ৫৬ মিটার। এর সর্বমোট ওজন প্রায় ১৪,৫০০ টন। বর্তমানে এটি প্রায় ৩.৯৯ ডিগ্রী কোণে হেলে রয়েছে। এর ২৯৪টি সিঁড়ি আছে।
এটা প্রবেশ দরজা
১১৭৮ সালে টাওয়ারটির তৃতীয় তলা নির্মাণের পর এটি হেলতে শুরু করে। নরম মাটিতে মাত্র তিন মিটার গভীরতায় এর ভিত্তি গড়ে তোলাই টাওয়ারটি হেলে পড়ার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাছাড়া টাওয়ারের নকশাও এজন্যে কিছুটা দায়ী। অবকাঠামোটির নির্মাণকার্য শতাধিক বছর বন্ধ ছিল। কারণ পিসার অধিবাসীরা প্রায়শঃই জেনোয়া, লুক্কা এবং ফ্লোরেন্সের সাথে যুদ্ধকর্মে লিপ্ত থাকতো।
ষষ্ঠ থেকে সপ্তম তলার ভেতরের সিঁড়ি
সপ্তম থেকে অষ্টম (শীর্ষ) তলার ভেতরের সিঁড়ি
পিসার হেলানো এই টাওয়ারটি আসলে প্রকৃত ভাবে কে স্থপতি করে ছিলেন তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। অনেক বছর ধরেই গাগলিমো এবং বোনানো পিসানোকে এর নকশাকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে বোনানো পিসানো ছিলেন দ্বাদশ শতকের সুপ্রসিদ্ধ পিসা নগরীর অধিবাসী এবং শিল্পী। তিনি ব্রোঞ্জ দিয়ে গড়া পিসা দুমো'র জন্যেও স্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি ১১৮৫ সালে পিসা ত্যাগ করে সিসিলির মনরিলে এলাকায় চলে যান এবং নিজ শহরে ফিরে আসা মাত্র দেহত্যাগ করেন। ১৮২০ সালে টাওয়ারের পাদদেশে তার নামাঙ্কিত এক টুকরো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু এটি ১৫৯৫ সালে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ক্যাথেড্রেলের ব্রোঞ্জের দরজার সাথে সম্পর্কিত ছিল।
তাছাড়াও সাম্প্রতিককালের গবেষণায় দেখা গেছে যে দিওতিসালভি নামক এক ব্যক্তি পিসার হেলানো মিনারের প্রকৃত স্থাপত্যবিদ। দিওতিসালভির কাজ-কর্ম, স্যান নিকোলা মিনারের ঘন্টা ইত্যাদিতে এর প্রতিফলন ঘটেছে। সচরাচর তিনি তার কাজগুলোয় স্বাক্ষর করতেন কিন্তু মিনারের ঘন্টায় তিনি কোন স্বাক্ষর করেননি।তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনী জার্মান সেনাদেরকে মিনারের অভ্যন্তরে দেখতে পায় যা তারা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতো। মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন সার্জেন্ট জার্মান বাহিনীর অবস্থান নিশ্চিত করতে মিনারটিতে যান। তিনি মিনারের শৈল্পিক দক্ষতায় অভিভূত হন এবং ক্যাথেড্রালের সৌন্দর্য্য উপভোগ শেষে সেনাবাহিনীকে মিনার আক্রমণ না করতে নির্দেশ দেন। এভাবেই মিনারটি নিশ্চিত ধ্বংসের মুখোমুখি থেকে রক্ষা পায়।১৯৮৭ সালে পিজা ডেল ডুমো ও তার পার্শ্ববর্তী ক্যাথেড্রাল, বেপ্টিসটেরি এবং সিমেট্রিকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় টাওয়ারটিকে স্থান দেওয়া হয়।
সূত্র: ইন্টারনেট ।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: পড়েছেন দেখে মনটা ভরে গেল। ব্লগ দিবসের শুভেচ্ছা থাকল।
২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিস্তারিত জানানোয় ধন্যবাদ ভায়া
+++
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: শুভ কামনা ভ্রাতা। আর ব্লগ দিবসের শুভেচ্ছাতো থাকলই।
৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়বোনা কেন
একেবারে উপর থেকে নিচে সবটুকুই শেষ
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন:
৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আওয়ামী লীগের সময় নির্মাণ করা হয়েছিল?
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আওয়ামী লীগের সময় নির্মাণ করা হয়েছিল কি না বলতে পারিনা তবে তখন হয়ত আপনার দাদার জন্মদিন ছিল। সেই হিসেবে আপনার দাদার আমলের হতে পারে।
৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
আওয়ামী লীগের সময় নির্মাণ করা হয়েছিল?
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: চাঁদগাজী লোকটার বুড়া বয়সে কারো নাতনীর সাথে প্রেম করার সখ জেগেছে তাই চাটাম মেরে হিরো সাজার ইচ্ছে তার। :
৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: লেখক বলেছেন: চাঁদগাজী লোকটার বুড়া বয়সে কারো নাতনীর সাথে প্রেম করার সখ জেগেছে তাই চাটাম মেরে হিরো সাজার ইচ্ছে তার। :
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: থাক তারে আর লজ্জা দিয়েন না। শত হলেও বুড়ো হিরো
৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩
হাবিব বলেছেন: বিস্তারিত জানতে পেরে ভালো লাগলো
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৫
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হাবিব ভ্রাতা।
৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ঐতিহাসিক পিসা টাওয়ার সম্পর্কে
চমৎকার অজানা তথ্য উপস্থাপন করার জন্য
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৮
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নুরু ভাই ।
৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এক কালের সপ্তাশ্চর্যের একটি...
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২২
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: হ্যা তাতো অবশ্যয়।
১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৬
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ব্লগ ডের শুভেচ্ছা
আর পিসা সম্পর্কে আগে কিছু জানতাম । এখনো আরো নতুন কিছু জানলাম ।
ভালবাসা রইল ।
ধন্যবাদ ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৫
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: শুভরাত্রী অপু ভাই।
১১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪৩
পক্ষবাদী বলেছেন: আপনি খুব ভালো ভালো ইতিহাস লিখেন । তাই অনুসরনে রাখলাম।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৬
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
১২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩০
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: এর সাথে গ্যালিলিওর একটা সম্পর্ক আছে কি?
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৬
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: হুম।
১৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩
ইসিয়াক বলেছেন: অসম্ভব রকমের ভালো লেখা ।ধন্যবাদ
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৭
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
১৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৭
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩০
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:২৮
অনল চৌধুরী বলেছেন: দেখে তো নতুন ভবন মনে হচ্ছে!!!!
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৮
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: হবেইতো এগুলো যে অনেক যত্ন করেন তারা সেজন্যই এরকম ।
১৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০
একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা ইতিহাস জানা হল।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৯
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এধরণের ইনফরম্যাটিভ পোস্ট আমার খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর বিষয় নির্বাচন ও উপস্থাপনার জন্যে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২০
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
১৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪১
কালীদাস বলেছেন: উপরে উঠেছিলেন নাকি? এখন তো সবার জন্য উন্মুক্ত। আমি যেদিন গিয়েছিলাম সন্ধ্যার আগে কোন স্লট খালি না থাকায় না উঠেই চলে এসেছিলাম
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৪
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: এখনো ভাই বাংলাদেশের বাহিরে যাওয়ার মত কোন সৌভাগ্য আমার হয়নি দেখি কখনো যদি সৌভাগ্য হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দারুণ পোস্ট