নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন দর্শনশাস্ত্রের কেন্দ্রীয় ধারণা

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৪


মন দর্শনশাস্ত্রের একটি অন্যতম কেন্দ্রীয় ধারণা। মন বলতে সাধারণত যা বোঝায়, বুদ্ধি এবং বিবেকবোধের এক সমষ্টিগত রূপ যা চিন্তা, অনুভূতি, আবেগ, ইচ্ছা ও কল্পনার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। মন কি এবং কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে অনেক রকম তত্ত্ব প্রচলিত আছে। সেসব তত্ত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে মূলত প্লেটো, অ্যারিস্টটল এবং অন্যান্য প্রাচীন গ্রীক দার্শনিকদের সময়কাল থেকে।
জড়বাদী দার্শনিকগণেরা মনে করেন যে সাধারনত মানুষের মনের প্রবৃত্তির কোন কিছুই শরীর থেকে ভিন্ন নয়। বরং মানুষের মস্তিষ্ক থেকেই উদ্ভূত শারীরবৃত্তিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মন গড়ে উঠে।মন এর সঠিক সংজ্ঞা দেয়া আজও কারো পক্ষে সম্ভব হয় নাই। তবে এই ভাবে বলা যেতে পারে মন হলো এমন কিছু যা নিজের অবস্থা এবং ক্রিয়াগুলি সম্পর্কে সচেতন। মনের সরুপ লক্ষণ হলো চেতনা যার থেকে মনকে জড়ো থেকে আলাদা করা হয়।মন চেতনা উপলব্ধি চিন্তা রায় ভাষা এবং মেমরি সহ জ্ঞানীয় অনুষদ একটি সেট। এটা সাধারণত একটি সত্তা এর চিন্তাভাবনা এবং চেতনা অনুষদ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় এটি কল্পনা স্বীকৃতি এবং অনুগ্রহের ক্ষমতা ধারণ করে এবং মনোভাব এবং কর্মের ফলে অনুভূতি ও আবেগ প্রক্রিয়াকরণের জন্য দায়ী।

দর্শনের ধর্ম মনোবিজ্ঞান এবং জ্ঞানের বিজ্ঞানের একটি দীর্ঘ ঐতিহ্য আছে যা মনকে গঠন করে এবং তার বিশিষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলি কি।
মনের প্রকৃতির বিষয়ে একটি খোলা প্রশ্ন হলো মস্তিষ্কের সমস্যা যা শারীরিক মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের কাছে মনের সম্পর্কের তদন্ত করে। পুরাতন দৃষ্টিভঙ্গি দ্বৈতবাদ এবং আদর্শবাদকে অন্তর্ভুক্ত করে যা মনকে কোনভাবে অশারীরিক বলে মনে করে।আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গিগুলি প্রায়ই শারীরিকতা এবং কার্যকারিতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে যা মনে করে যে মন মস্তিষ্কের সাথে প্রায় অনুরূপ এবং স্নায়ুসংক্রান্ত ক্রিয়াকলাপ যেমন সংক্রমনের কার্যকলাপের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যদিও দ্বৈতবাদ এবং আদর্শবাদে অনেক সমর্থক রয়েছে। আরেকটি প্রশ্ন উদ্বেগ যে মানুষের মধ্যে কি ধরণের মন থাকতে পারে ? উদাহরণস্বরূপ মন যে সমস্ত বাস্তবসম্মত জিনিসগুলি দ্বারা কিছু বা সমস্ত প্রাণী দ্বারা মনুষ্যদের কাছে একচেটিয়াভাবে হয়, তা সবই একটি কঠোরভাবে সুনির্দিষ্ট চরিত্রগত কিনা বা মন মনুষ্য বানানো মেশিনগুলির কিছুও হতে পারে।যাই হোক না কেন এর প্রকৃতি স্বাভাবিকভাবেই সম্মত হয় যে মন এমন একটি বিষয় যার ফলে ব্যক্তিবিশেষ সচেতনতা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের পরিবেশের দিকে নজর দেয়া এবং কোনো ধরনের এজেন্সিগুলির সাথে উদ্দীপনাকে প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং চিন্তা ও অনুভূতি সহ চেতনা থাকতে পারে।

বিভিন্ন ধারণা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যের দ্বারা বিভিন্ন ধারণা থেকে বোঝা যায়। কিছু মানুষ মনুষ্যদের জন্য এক সম্পত্তি হিসাবে মনকে দেখতে পায় কিন্তু অন্যেরা প্রাণীদের এবং দেবতাদের কাছে নন জীবিত সত্তা,যেমন প্যান্সিসিজম এবং প্রাণিবিজ্ঞান, মনের বৈশিষ্ট্যগুলিকে সমর্পণ করে। মৃত্যুর পরে জীবন এবং জীববিজ্ঞান ও প্রাকৃতিক আদেশের উভয় তত্ত্বের সাথে জোরারদার বুদ্ধ প্লাটো অ্যারিস্টটল এবং অন্যান্য প্রাচীন গ্রীক ভারতীয় এবং পরবর্তীতে ইসলামিক মতবাদের তত্ত্বের উদাহরণ হিসাবে মনস্তাত্ত্বিক কিছু কিছু রেকর্ডকৃত ধারণাগুলি যা মনুষ্য বা আত্মার সাথে একরকমভাবে বর্ণনা করা হয়েছে বা করেছেন মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় দার্শনিকবিধরা।মনস্তাত্ত্বিক গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিকরা প্লাতো, ডেসকার্টস, লিবিনিজ, লক, বার্কলে, হিউম, কান্ট, হিগসেল, শোপেনহেওর, সিয়ারেল, ডেনেট, ফডর, নাগেল এবং ক্লামার্স।মনস্তাত্ত্বিক যেমন ফ্রয়েড এবং জেমস এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানী যেমন টুরিং এবং পুঠামের মনের প্রকৃতি সম্বন্ধে প্রভাবশালী তত্ত্বগুলি গড়ে তুলেছেন। অমানবিক মানসিকতার সম্ভাবনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে উদ্ভাবিত হয় যা সাইবারনেটিক এবং তথ্য তত্ত্বের সাথে সম্পর্কযুক্ত কাজ করে যা অবহেলা মেশিনের মাধ্যমে তথ্য প্রক্রিয়াগুলি মানুষের মনের মধ্যে মানসিক চেতনার তুলনায় তুলনীয় বা ভিন্ন।মনকে চেতনা প্রবাহের মতো চিত্রিত করা হয় যেখানে অনুভূতি এবং মানসিক চেতনা ক্রমাগত পরিবর্তিত হয় ।

সাধারণত ভাবে মনকে তিনটি ভিন্ন অর্থে গ্রহণ করা হয়,প্রথমত মন বলতে চিন্তা, অনুভুতি এবং ইচ্ছা,এই মানসিক কাজ গুলো সমষ্টিগত রূপকে বুঝায়। দ্বিতীয়ত,মন বলতে চিন্তা, অনুভুতি এবং ইচ্ছা এই মানসিক কাজগুলি থেকে স্বতন্ত্র দেহাতিরিক্ত এক স্থান, অপরিবর্তিত আধ্যাত্ম সত্তাকে বুঝায়।তৃতীয়ত, মন বলতে বুঝায় এক মূর্ত আধ্যাত্মিক ঐক্যের সম্বন্ধ যা চিন্তা, অনুভুতি এবং ইচ্ছা প্রভৃতি মানসিক প্রক্রিয়া ছাড়া কিছুই নয়, অথচ যা নিজের স্বাতন্ত্র্য না হারিয়ে এই সকল মানসিক কাজের ভিতর দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করে। প্রথম টি হলো মন এর অভিজ্ঞতামূলক মতবাদ পরেরটা আধ্যাত্মিক-মতবাদ, শেষেরটা ভাববাদীদের মতবাদ।
মন ও চেতনা এক নয়। যদিও চেতনা হল মনের স্বরুপ লক্ষণ।

মন হল এমন এক আধ্যাত্মিক ধারণা যা মানুষ শুধু কল্পনা করতে পারেন যাকে কখনও স্পর্শ করা যায় না। মানুষ কাউকে উপলব্ধি করতে চাইলে মানুষ ভাবেন সে মন থেকেই করছে। কোন বিষয়ের প্রতি সম্পর্কিত হতে হলে মানুষের চিন্তা,চেতনা ধ্যান,ধারণা বা সুখ-দুঃখ অনুভতির প্রয়োজন হয় যা মানুষ মন থেকে শরীরের আচরণের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। মানুষের বেশকিছু জৈবিক চাহিদা রয়েছে। সেগুলো পূরণ করার জন্য মানুষে বিভিন্ন সম্পর্কে যায় এবং নানা ধরনের আচরণ করে থাকে। জৈবিক চাহিদাগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষুধা, তৃঞ্চা, ঘুম, যৌনতা এবং রেচন প্রভৃতি। আর এই চাহিদাগুলো যখন পূরণ হয়ে যায় তখন মানুষ মানবিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক নানারকম কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে। এভাবে মানুষ কখন কেন জৈবিক আচরণগুলো করে এবং তারপর কখন কিভাবে কেন সে মানবিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণগুলো করা শুরু করে সেটি মানবিক পদক্ষেপ হিসেবে সুপরিচিত।মানুষের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, জৈবিক চাহিদাগুলো পূরণ করেই মানবিক বৈশিষ্ট্যের দিকে অগ্রসর হওয়া। সাংস্কৃৃতিক চর্চা, বৈজ্ঞানিক চর্চা, দার্শনিক চর্চা, সাহিত্য চর্চা, গল্প করা, আয়েশ করা প্রভৃতি মানবিক পদক্ষেপজনিত আচরণ। এই সব কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রেমপ্রীতি, স্নেহ, ভালোবাসা, মমতা এবং প্রশান্তি, প্রভৃতি ধনাত্মক বিষয়গুলো বিকশিত হয় এবং ক্রোধ, হিংসা প্রভৃতি ঋণাত্মক বিষয়গুলো দূরীভূত হয়। তবে জৈবিক চাহিদা পূরণ না হলে মানুষ মানবিক চাহিদা পূরণ করার জন্য অগ্রসর হতে চায় না। যেমন, যেখানে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ব্যাপকভাবে রয়েছে সেখানে সঙ্গীত চর্চা, বিজ্ঞান চর্চা প্রভৃতি সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে না।

সূত্রঃ এবং Leiter Reports: A Philosophy BlogNarrow Mental Content
অনুবাদ সংগ্রহে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলা পিডিয়াকে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।

আমি মন দিয়ে পড়লাম।
এখানে মন হলো আমার আগ্রহ থেকে উৎসারিত দৃঢ় কর্মাগ্রহ। যার ফলে নিরবিচ্ছন্ন পাঠ শেষ হলো।

আর গানের কথায়
পাগল মনরে
মন কেন এত কথা বলে!!

আজো পারলাম না আমার মনরে বুঝাইতে
মন আমার চায় রঙের ঘোড়া দৌড়াইতে - - -:)

+++

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: কি আর বলমু যা বলার তা গানের অন্তরায় আপনিই বলে দিয়েছেন ভাই। যাই অনেকদিন পরে যেহেটু স্মৃতি অন্তরায় মনে করিয়ে
দিছেন তখন পাগল মনের কথা একটু শুনে আসি:)
পাগল মনরে
মন কেন এত কথা বলে!!

আজো পারলাম না আমার মনরে বুঝাইতে
মন আমার চায় রঙের ঘোড়া দৌড়াইতে ;)

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আহারে মন। ;)

২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:২৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ;)

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: খুব কঠিন পোষ্ট।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:২৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: তবুও পড়েছেন জেনে অনুপেরিত হোলাম।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মানুষ মনের সাথে পারিপার্শ্বিক ঘটনা মিলানোর চেষ্টা করে। কেউবা আবার আগাম ধারণা নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়। তাছাড়া মানুষ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যাকুল।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:২৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৩

নাইম রাজ বলেছেন: অনেক জানা হল।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:২৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: কি যে বলেন ভাই জানার কি শেষ আছে।

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:২৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ।

৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০৭

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: মনকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু লিখেছেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:২৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৫১

কহিনূর বলেছেন: মন কথার শেষ নেই এ বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে আপনার লেখা থেকে।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:২৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.