অপূর্ন ভালোবাসা

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩১

যে মেয়েটিকে আমি প্রচন্ড ভলোবাসতাম, যাকে নিয়ে ঘর বাধার স্বপ্ন দেখেছিলাম,সেই পবিত্র মনের মানুষটির দেওয়া মূল্যবান ডায়রীর স্মৃতীকথাগুলো প্রায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল,তাই ব্লগে সংরক্ষিত করে রাখার ছোট্ট প্রয়াস। আমি ওর কথাগুলো সারাজীবন সংরক্ষিত রেখে ওর স্মৃতী নিয়ে..............



শ্রাবণ,

তুমি সুখী হও। আমার জন্য দোয়া করো, আমি যেন জীবনের সব প্রতিকূলতাকে ছাপিয়ে উঠে অনুকূলের পথে যেতে পারি।



আর যে কথাগুলো তোমাকে বলতে চাই তা আমি কিভাবে লিখেছি তা আমি নিজে ও জানি না,কখন এবং কোন অনুভূতি থেকে লিখেছি তাও অজানা........অতএব, প্রয়োজনে গ্রহন করো অন্যথায়..................



২) শ্রাবণ নামে একজনকে প্রচন্ড ভালোবাসার ফলে আজ আমার এই পরিবর্তন। ভালোবাসি, সত্যিই অনেক ভালোবাসি কেন? জানি না।



৩) ও আমায় ছেড়ে চলে গেছে। জানি না, ও আমাকে ভালোবাসত কিনা, শুনবে, তুমি?



৪) ওর মানসিকতা আর আমার মানসিকতা অনেক পার্থক্য। তাই ওর প্রেমে পরার পর কখন ও দরকার না হলে আমার খোঁজ নিত না। তবে আমি জানি, আমাকে ও ভালবাসে,তবে ও সেটা কখন ও অনুভব করেনি, করবে ও না, তাই ইচ্ছাকৃতভাবে কোন অভিযোগ না করে ,ওর কাছ থেকে সরে এসেছি।



৫) শ্রাবন, আমি জানি, তোমাকে আমি খুবভালবাসি। তোমাকে হারিয়েছি বলেই হয়ত আমার ভালবাসাটা খুব থেকে খুব বেশী হয়েছে।আর এও জানি, আমাকে না হারালে, ভালবাসা কি? তা তুমি ও জানতে না,যদি বলি মায়া,সম্মান,আন-রিকতা, অবহেলা,আবেগ, বাস-ব সবকিছু জানতে,কিন' জানতে না ভালবাসা কি? যদি বলি তুমি শুধু মাত্র আমাকেই ভালবাস এবং তা বিধাতার সৃষ্টি,বলি জোনাকি নয়, আমিই তোমার মনের সোনাবউ,যদি

বলি আমিই তোমাকে ভালবাসতে শিখিয়েছি,যদি বলি জোনাকি

শুধু তোমার দায়িত্ব ও কর্তব্যেবোধের জোড়ে মায়া অর্জন করতে

পারছে,ভালাবাসা নয়, তবে কি ভূল হবে?



বল..................





আসলে, কি জানশ্রাবন, তোমার আমার সমস্যাটা কোথায়, তোমার আর আমার সমস্যাটা ঠিক একই জায়গায়। আমরা মেনে নিয়েছি, আমরা কেউ কার না, কিন' মনে নিতে এখন ও

পারিনি। আর তাইতো, যখন আমাদের মনে হয় আমরা দুজন দুজনের নই তখন তা আমরা মেনে নেই,কিন' কষ্ট হয়, কিন' যখনই ভাবি আমরা অন্যর, তখন তা আমরা সহ্য করতে পারি না কিছুতেই।



৬) শ্রাবন, তুমি বলেছিলে আমায় ফোন করবে, যদি না কর, তবে কেন বল?



আমায় দয়া করে অবহেলা কর না, আমি আজ দেখব, তুমি কিভাবে আমাকে ফোন না কর।



৪.৩০ তোমায় ফোন করে ও, দেখি তুমি জেগে আছ, অথচ ছবি দেখছ। ঠিক আছে, আমি ও দেখব।



৭) আমাকে ভূলতে বলে তুমি নিজেই মনে করিয়ে দাও, এবং তুমি নিজে ও ভূলতে পারছ না,

আমি যেমন এক চাপা অভিমান

বুকে চেপে আছি, আমি জানি

তুমি ও,পাগল, তুমি কি আমায়

অনেক ভালবাস!



৮) শ্রাবন,

তোমাকে পাওয়ার আনন্দ অনেক বেশী কিন', হারানোর ব্যথা তার চেয়ে ও বেশী

এবং আমি জানি, একই অনুভূতি

তোমার অনুভবে ও রয়েছে।



শ্রাবন, তোমাকে পেলে হয়ত বা

আমার চোখে অনেক অশ্রু ঝরত......

অনেক যুদ্ধ করতে হত আমাকে.........

আমার প্রতি তোমার অনেক অবহেলা,

অন্যায় আমাকে মেনে নিতে হত..........

কিন' তার পর ও আমি তোমাকেই চাই........

জানি না কেন.......... আর এভাবেই আমি স্বপ্ন দেখতাম



তবে আমি এও জানি, তোমার ভালবাসা

যেমন আমি অর্জন করতে পেরেছি, তেমনি

করেই সবকিছু আমি অর্জন করতে পারতাম।

আর আমি এও জানি যে, পৃথিবীতে আমাকে

কষ্ট দিয়ে তুমি সবচেয়ে বেশী কষ্ট পাও।

আমিই একমাত্র ব্যক্তি।

আর এট............



৯) শ্রাবন তুমি অনেক কিছুই জানলে না।

তুমি ও আমি এর মঞ্চে যে অনেক

কিছু রয়েছে।



জান! তোমার ধারনা আমি মানুষ চিনি না,

আমি চিনতাম, জানতামা সব।

বিধাতা তুমি যে আমায় অনেক

ভালবাস,তার প্রমান আমি

পেয়েছি।





আমাকে যদি তুমি

ফিরে পাও আমি জানি

আমার থেকে তুমি বেশী খুশী

এবং সুখী হবা।



১০) তুমি কি জান শ্রাবন?

নিজের অজানে- তুমি আমার

থেকে ও আমাকে বেশী ভালবেসে ফেলেছ!

তুমি আমাকে পাও আর না পাও

আমাকে যে (আর কোনদিন)

কষ্ট দেয়ার ক্ষমতা তুমি হারিয়েছ শ্রাবন,

তা কি তুমি জান?

এটা আমার আবেগ নয়।

এ আমার সত্যিকার ভালবাসার ক্ষমতা!



১১) শ্রাবন যেদিন তুমি পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলে,

চরম ঝগড়া হয়েছিল তোমার সাথে

অনেক কষ্ট দিয়েছিলে আমাকে তুমি,

কিন' তুমি যেন খুব ভাল কর সে জন্য অনেক কেঁদেছিলাম আমি,

প্রার্থনা , করেছিলাম আল্লাহর কাছে।





১২) আমি আর পারছিনা।

দয়া করে এর শেষ কর।

আর নইলে মৃত্যু দাও,শ্রাবনের

কারনে যখন কাউকে ফিরিয়ে দিতাম

তখন বলতে পারতাম



আমি একজনকে ভালবাসি

আমার একজন আছে।



কিন' আজ কি বলব?

কেন? সবাই আমাকে দোষারোপ করে

আমার কি দোষ?

কেন? আমায় অভিশাপ দেয়।

আমি মরতে চাই।



১৩ ) তোমার মধ্যে এমন কোন উপাদান নাই

যা আমার বিশেষ পছন্দ,বরং

তোমার সবই আমার অপছন্দ

তারপর ও কেন তোমায় এত ভালবাসি,

কেন, সবকিছুতে তোমার স্মৃতি

খুঁজে পাই, কেন কিছুতেই ভলতে

পারি না তোমাকে?

কেন? আজ ও মনে হয় ,

তোমার সাথেই আমার..................





জান শ্রাবন! তোমাকে ভালবাসার পর

আমি জীবনে এক নতুন উৎস খুঁজে

পেয়েছিলাম। কিন' ,যেদিন জানতে

পারলাম সেদিন......................



১৪) তোমর জন্য ব্যায়াম

করতে করতে মাজা ভেঙ্গে গেল,

এর প্রতিশোধ সুদে আসলে

নিব মনে রেখ।



পাজি, দুষ্ট, হতচ্ছড়া, জান?

কিভাবে নেব? বলতো..........





১৫) জান শ্রাবন, যখন জানতে পারলাম তখন

আমার চোখদুটো ছিল সি'র, ফোটায় ফোটায়

জল পড়ছিল, এক নিঃশব্দ কান্না।

প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছিলাম, কিন' বিশ্বাস করিনি......

কি করে করব বলো, তোমাকে আমি এতদিন চিনি,

সেই তুমি আমার সাথে

এমন করলে...........





১৬) আমি জানি,আমার কথায় তোমার মন আজ অনেক খারাপ হয়েছে।

কিন' বিশ্বাস কর, তা আমার মনের কথা নয়।তুমি ভেবেছো তোমার সাথে যেতে আমি ভয় পেয়েছিলাম, তুমি ভাবছ, তোমার সর্ম্পকে আমার খুব বাজে ধারণা। আমি বিশ্বাস করি সব সত্যি। কিন' আমি বিশ্বাস করি মরে গেলেও আমার ক্ষতি কোনদিনই সহ্য করতে পারবে না। তোমার চোখে আমি আমার জন্য যে মায়া দেখতে পেয়েছিলাম, তা কোনদিনও হিংস্রতায় পরিপূর্ন হবে না,সে তুমি যতই স্বার্থপর হও।



তুমি মান আর নাই মান

আমি মানি তুমি আমায়

“ভালোবাস”



১৭) আজ সত্যিই মনে হচ্ছে

কেউ যদি এখন আমার পাশে

থাকত, কেউ যদি ভালবাসার পরশ দিয়ে

আমার দু'চোখের জল মুছিয়ে দিত!

আমার কি সত্যিই কেউ নাই।



১৮) আমার প্রতি কাজে তুমি মিশে ছিলে। যখন বৃষ্টিতে ভিজতাম,মনে হত তুমি মুগ্ধ হয়ে আমাকে দেখছ। যখন খুব পড়াশুনা করতাম, কিংবা গান গাইতাম,মনে হত তুমি তা শুনছ।



কি করব আমি! জানি উত্তরে তুমি বলবে“মর”

কিছুতেই তোমার কথা মনে না করে থাকতে পারি না। আমার কোনকিছু এখন গোছালো নয়। শ্রাবন তুমি আমার অনেক অচেনা, মাঝে মাঝে তুমি এমন কর কেন? শ্রাবন তোমাকে সত্যিই খুব মিস করছি। অথচ একটা সময় আসবে যখন এই অধিকারটুকু ও থাকবে না। তুমি’ত কোনদিন আমাকে এতটা অবিশ্বাস করতে না, আচ্ছা তুমি কি তাহলে ভয় পাচ্ছ? যদি আমি অন্যের হয়ে যাই। কিন' আমি তো তোমার নই। সত্যিই শ্রাবন তোমার ভালবাসার জোর খুবই কম। আমি তোমায় চিনতে পারলাম না। তবে এতটুকু জানি, তোমার ভেতরে যে আরেকটি মানুষ আছে,সে আমাকেই ভালবাসে, যা তুমি নিজেও জান না।





১৯) শ্রাবন, আমি জানি, আমায় তুমি ভালবাসতে না,

এমনকি আমাকে ছেড়ে আসার পর তুমি

তুমি যে চোখের পানি ফেলেছ তাও আমার

ভালবাসার জন্য নয়,শুধুমাত্র নিজের জীবনের দূর্ভাগ্যের

কথা মনে করে কেঁদেছো....................

কি সত্যি........?



জোনাকী যাকে পাচ্ছে শ্রাবন সেত, শুধু আমার তৈরি,

শ্রাবন আমি জানি আমি তোমার পাশে না থাকলে

তুমি আবার আগের মত হয়ে যাবে

তাইত.............................





২০) আমি অনেকদিন আগে,

যখন ভালবাসা নিয়ে কোন আগ্রহই ছিলনা

তখন একবার কিছু কথা জেনেছিলাম,

* মন যা চায় তাই চাও

পাও কিবা না পাও,

* চোখের পর্দা দুটো বন্ধ করার পর

যাকে তুমি দেখতে পাও তাকেই ভালবাস।



২১) শ্রাবন, তুমি কি সত্যিই কখানো মন থেকে

আমায় সোনাবউ বলেছ?



তুমি খুব ভাল অভিনয় কর,

আর কখন তোমার কি হয় তাও আমি ভাল বুঝি।

যদি ও তুমি আমার সাথে অভিনয় করো, তা বুঝতে

দিতে চাও না,



কিভাবে বুঝি? কারন আমি তোমার থেকে ও ভাল

অভিনয় করি,তোমারই সাথে।

আমার মনে হয় , তুমি সেটা পূর্বে না হলে ও

এখন বুঝতে পারছি...................



২২) আজ মনে হচ্ছে তুমি আমায় ভালবাস।

তোমাকে যতবার ছেড়ে যেতে চেয়েছি

ততবার কেঁদেছি, আর মনে মনে ভেবেছি, তুমি যদি ফিরে না আস।

...............চলে যাও শ্রাবন



আমি সবকিছু বুঝি কেন? বলতে পারি না

আবার এও সত্যি যে আমি কিছুই বলব না।

কি হবে, না হয়

সামান্য একটু কাঁদব।



পাগল,

আমি জানি,’ত





২৩) জান, শ্রাবন

সকালে যখন আমার ঘুম ভাঙত, মনে হত তুমি

আমার পাশে, যখন ঘুমোতে যেতাম তখন ও



যখন তেমার মনের মত করে সাজতাম

সেই নীল রং এর শাড়ি, তখনও।



কতবার সাজিয়েছি...............

জানলে না........................





ভালোবাসি ভালবাসি ভালবাসি

তাতে আপনাদের কি?

আমার জীবন আমার, আমার যা খুশী করব

চষবধংব ষরাব সব ধষড়হব.



২৪) বিশ্বাস কর ্‌ আমার অনেক দায়িত্ব.

তা আমাকে পালন করতেই হবে,

তাই তোমার ভালোবাসার পরীক্ষায়...........



এখন গভীর রাত

আজ থেকে প্রায় এক বছর আগে

এমনি এক রাতে এমনি এক কল এসেছিল,

সেদিনও ঠিক এমনি বিরক্ত হয়েছিলাম।

কিন' তখন আমার জীবনটা ছিল সহজ ও

অনেক পরিচ্ছন্ন। কিন' আজ আমার মনে ভয়।

আমি জানি না, কেন কেও আমাকে আমার মত

থাকতে দেয় না। সবার ধারনা পৃথিবীতে মজা

করার উপায় শয়তানি,পৃথিবী আমি ভাল আছি।

আমাকে দয়া করে আমার মত থাকতে দাও।

আল্লাহ সবকিছুর একটা সীমারেখা আছে,

কিন' আমার চোখের জলের কি কোন..............



২৫) শ্রাবন তোমার কি হয়েছে?

তুমি কি করে পারলে?



তুমি কি সহ্য করতে পারছো না যে“ আমি অন্যের হব”

তবে আমি কি করে করব?





২৬) আল্লাহ আমি যে প্রতিজ্ঞা করেছি তার সব

পালন করব। তুমি শুধু ওকে ফিরিয়ে দাও

ঠিক আমার মনের মতো করে। যে কিনা

সবার মন জয় করে আমাকে করতে পারবে

অর্জন,আর আমি ওকে করব সুখি।





২৭) শ্রাবন আজ তুমি যা করলে, তা আমি করলে

সেটা হবে ইমোশন। আবেগ তো একটা মিথ্যা

মোহ! যা সময়ের বেগে মুছে যায়।

কিন' তোমাকে তো আমি শত চেষ্টা করেও...........



২৮) আজ যে কষ্টগুলো তুমি আমায় দিলে তা কোনদিনও

বলব না, জানবেও না।

তোমার সাথে অভিনয় করে যাব,

কখনো বুঝতে পারবে না

কি পরিমান কষ্ট তুমি আজ

আমায় দিলে..............



আজ দুজনার দুটি পথ ,

দুটি দিকে গেছে চলে...............



২৯) জান ও শ্রাবন, আজ আমার মনটা ভাল।

আজ আমি একটা চমৎকার স্বপ্ন দেখেেিছ,

তুমি আমাকে কল করেছো আর ........

বলব না............





আজ ও যখন তোমায় ভাবছিলাম তখন তুমি

আমায় ফোন করলা, কিন' পাশের পাতায়

যখন এই লেখাগুলো লেখেছিলাম, তখন

আমার চোখে ছিল অর্থযুক্ত স্বপ্ন।

আর আজ চোখে নিরর্থক স্বপ্ন।

জান শ্রাবন সেদিন যখন রাগ করে চলে

আসি তারপর ও তুমি যতবার আমাকে

কল করেছো, ততবারই তোমার কথা ভেবে

কাঁদছিলাম। এমন কেন হল শ্রাবন?

কেন আমরা দুজন .................





৩০) আজ তোমাকে সত্যিই খুব দেখতে ইচ্ছা করছে।

আশ্চর্য , শ্রাবন ইদানিং যখনই তোমার কথা ভাবি

তখনই আমাকে ফোন কর, কেন? মায়া বাড়াচ্ছ?



চরম পাজি! আমি জানি আমার মনের সব কথা

তুমি বুঝ।





৩১) আজ তুমি আমাকে অনেকদিন পর সোনাবউ

বললে শ্রাবন।আজ তোমার বুকে জড়িয়ে যেতে

অন-র থেকে ইচ্ছে করছে। বিশ্বাস করো, তোমাকে

বার বার বলতে ইচ্ছে করছে ভালবাসি, ভালবাসি,

ভালবাসি...................................



৩২) তুমি আমায় ছেড়ে চলে গেলে

আমি হয়তো বাহ্যিকভাবে মরব না

কিন' আমার মনটা সত্যিই মরে যাবে।

শ্রাবন, আমায় ছেড়ে যেও না ।

প্লিজ,

আমি তোমাকে ভালোবাসি..........



৩৩) জান শ্রাবন তোমার পুরো কথা কাউকে বলব না,

কাউকে না, তবে যে তুমি অনেক ছোট হয়ে যাবে।



৩৪) জান আজ মিতু তোমার সর্ম্পকে একটা কথা বলেছে, একদম সহ্য

হয়নি। কিন' কিচ্ছু বলিনি। আর কখনো............



৩৫) শ্রাবন, তুমি যদি আবার আমার জীবনে ফিরে আস,

তোমায় আমি আর শ্রাবন ডাকব না। তোমায় ডাকব

নবীন বলে। তোমার মনে হয় এই নামটা পছন্দ হবে

না, কিন' তবু ও ডাকব।কারণ তখন তুমি আমার

জন্য গড়ে ওঠা এক নতুন মানুষ হবে।



কিন' তেমায় কি আর পাব?





৩৬) শুধু আমিই জানব।

আজ শ্রাবন বলল ও আর ফোন করবে না।

বলার সাথে সাথে আমার বুকের ভেতরটা মোচড়

দিয়ে উঠল। আমি ওকে কিছুই বলিনি।কারন

একদিন না একদিন এরকমটাই হবে। আর এতে

আমার কষ্ট হলেও শ্রাবনের মঙ্গল। আমার নবীনের

মঙ্গল। ভালবাসি



৩৭) আজ মনে হচ্ছে শ্রাবন, নিজের অজানে- অনেক দিনের সংসারটা আমি অন্যেকে দিয়ে দিচ্ছি। আসলে শ্রাবন আমার স্বপ্নটা শুধু তোমাকে নিয়েই ছিল না, ছিল সবাইকে নিয়ে, ছিল নদীটাকে নিয়ে, শুধু ভালোবসার স্বপ্ন আমি দেখিনি, ভূল বোঝাবুঝি হবে, ঝগড়া হবে আরো কত কি!

কেন যেন মনের হচ্ছে তোমার সাথে আমি এতদিন সংসার করেছি । আসলে আমার স্বপ্নগুলো অনেক বাস-ব ছিল।শ্রাবন, আজ কেন যেন মনে হল তুমি আমায় ভালবাস! সত্যিই তোমার গান এখনো আমার কানে বাজছে।



৩৮) শ্রাবন, এতদিন ভাবতাম -আমাকে উদ্দেশ্য করে তুমি কোন গান গাও না। কারণ তুমি আমাকে ভালবাসার গান, তাকে পাওয়ার আনন্দের গান কোনদিন শোনাও নাই। সব সময় হারানোর গান শুনিয়েছ। জান খুব কষ্ট হত আমার। একা একা অনেক ভাবতাম, কাঁদতাম। মনে হত আমি মনে হয় তোমার মনের কোথাও নাই। কিন' আজ সব কিছু জানার পর বুঝতে পারলাম তোমার সবগুলো গান ছিল আমাকে নিয়ে। তোমার মনের সকল কষ্ট আমাকে হারানোর জন্য। শ্রাবন তুমি কি ভাব বলো তো?

তোমাকে আমি খুব বাজে ভাবি,একদম চিনি না, বুঝতে পারি না.......?

আসলে তুমি-ই আমাকে চিনলে না..............



৩৯) শ্রাবন জান, তুমি যখন ফোন কর তখন ফোনটাকে কতবার ঠোট দিয়ে স্পর্শ করি, কতবার বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরি, আমার চোখের পানিতে যে প্রতিবার ফোনটা ভিজে ওঠে!(সরি কলি,তোমার ভালোবাসার মূল্য আমি দিতে পারি নি,আমাকে ক্ষমা করো)

কেন আমায় পিছু ডাক?





৪০) আজ অনেক্ষণ আনন্দে নেচেছি, তখন মনে হচ্‌িছল তুমি আমায় দেখে হো হো করে হাসছ, দুষ্টমি করছো। তুমি এত ভাল কেন?



৪১) শ্রাবন তোমার দেওয়া বকুল ফুলের মালাগুলোকে আজ ফেলে দিলাম, অনেক কষ্ট হয়েছে বিশ্বাস কর, অনেক কেঁদেছি। ( আমি ওকে কোন একদিন একটি বকুল ফুলের মালা দিয়েছিলাম,অনেক যত্ন করে রেখেছিল)



৪২) শ্রাবন, তুমি আমায় ছুয়ে বলেছিলে, কোনদিন দুষ্টমি করে ও কাউকে আর ভালোবাসি বলবে না, অথব আজ আমার বান্ধবী তন্বী তোমাকে ফোন করেছিল, ওকে তুমি পাঁচবার ভালোবাসি বলেছ।



৪৩) শুরু থেকে আজ পর্যন- তোমার উপর বিশ্বাস করেছি, তুমি আমাকে যা বলেছ তাই,মেনে নিয়েছি। তবে এখন কেন আমি তোমার করুনা পাব না, কেন?



আল্লাহ তুমি ত জান,

ওকে আমি আমি আমার অন-র থেকেই গ্রহন করেছিলাম। তুমি তো আমাকে বলেছিলে যে, ও আমার হবে। একজন মেয়ের জন্য আর একজন মেয়েকে সহ্য করা কত কঠিন তা আগে জানতাম না, বোঝতাম ও না। আল্লাহ আমার জন্য না হোক ওর জন্য,শ্রাবনের জন্য আমাকে খুব প্রয়োজন। শ্রাবনকে আমার মত করে কেউ ভালবাসতে পারবে না। জোনাকীকে কি তুমি অন্যভাবে সুখি করতে পার না? আমি দোয়া করি, জোনাকী যেন আমার থেকে বেশি সুখে থাকতে পারে। আল্লাহ আমরা শুধু তোমার করুনা চাই।



৪৪) শ্রাবন আজ ঘুম ভাঙার পর আমার চোখ দুটো খুলতে পারছিলাম না, আমার চোখের লোনা জলে আমার দুচোখ.............



৪৫) আজ সারারাত আমি শুধু তোমার জন্য নামায পড়ব, শ্রাবন শুধু তোমার জন্য....................



৪৬) মেয়েরা কোন ভোগের সম্পতি নয়। মেয়ো ঐশ্বর্য। তাকে সংরক্ষণ বা সংগ্রহ করা যায় না। তাদের কে রক্ষনাবেক্ষণ করতে হয়! হে সমাজ...



৪৭) শ্রাবন ,

তোমার অজানে- তোমার খোঁজখবর নেয়ার একমাত্র পথটি তুমি বন্ধ করে দিলে!

কিভাবে খোঁজ রাখব তোমার?



৪৮) আল্লাহ,আজ আমার জানটার জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ন সময় ,তুমি ওকে তোমার করুণা দাও খোদা!

৪৯) আজ অনেকদিন পর আবার ও বউ সাজার ইচ্ছে করল। জানি এ ব্যর্থ প্রয়াস। আমার কানে হয়ত তোমার কন্ঠ আর শুনব না। কিন' আমার মন বলছে, তুমি আসবেই। বন্ধু তুমি যাই বলেছ, তাই সবসময় পেয়েছি। এবার ও তুমি বলছ, আমি পাব,তাই আমার বিশ্বাস ধরে রাখলাম.......

আমার বধু সাজকে তুমি ব্যর্থ হতে দিও না।



আমি জানতাম আজ তুমি ফোন করবা।(কলি, কিভাবে তুমি এত বড় ডায়রীটা লিখলে, আমি যে কম্পিউটারে টাইপ করতে করতে অধৈর্য হয়ে যাচ্ছি। সত্যিই তোমার ভালোবাসা এত গভীর আমি নিজেও কোনদিন বুঝতে পারিনি। ক্ষমা করো আমায়)

৬ টি +২/-০