![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(ছয়)
আমি পৃথিবীর সবচেয়ে অসুখি মানুষ। আমার মনের অজন্তেই আমি আমার দেশকে ধ্বংস করে দিলাম। একটি বৃহৎ শিল্পন্নত জাতি এখন ঋণ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। এখন থেকে আমাদের এমন কোন সরকার পাবনা যে, ¯স্বাধীনভােবে মত প্রকাশ করতে পারবে। বরং এমন সরকার হবে যারা কতিপয় প্রভাবশালী লোকদের দ্বারা পরিচালিত হবে।”
যেই আমেরিকার অংশগ্রহনের ফলে যুদ্ধে মিত্র শক্তির মহা বিজয় হল সেই জয়ের নায়ক উড্রো উইলসন ১ম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯১৯ সালে উক্ত ষোসনাটি করেন।
পূবের পর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৮৬৫ সালে জ্যাকব স্কিফ রথচাইল্ড এর ষোষনা এবং ১৮৭১ সালে আলবার্ট পাইক ও মাজ্জিনি এর ব্লুপ্রিন্ট অনুসারে ১ নম্বর পরিকল্পনা ছিল আমেরিকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্থাপন ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রন নিয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে রাশিয়ার জারকে উৎখাত করে কম্যুনিষ্ট বিপ্লব এর মাধ্যমে রাশিয়ার রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রন নেয়া।
টাইটানিক ট্রাজেডি এর পরবর্তীতে ১৯১৩ সালে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক স্থাপনের মাধ্যমে উক্ত উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন সহজ হয়ে যায়। এ বছরেই ৪ মার্চ মাসে উডড্রো উইলসন রকফেলার ইহুদিদের আর্থিক সাহায্য ও ভোট ব্যাংকের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এই সুযোগে প্রথমবারের মত কংগ্রে ও সুপ্রিমকোটে রথচাইল্ড/রকফেলার পরিবারের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ন পদে আসীন হন।পূর্বের পর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রথচাইল্ড এর ৫ সন্তানের মধ্য একজন অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাতে ব্যাংক ব্যবসা শুরু করেন। এই ব্যাংক ব্যবসারসুবাদে রাজ পরিবারের উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেন।গোপন সংগঠন “ব্লাক হ্যান্ড” এর সদস্য ১৮ বছর বয়সী প্রিন্সিপ এর হত অস্ট্রিয় যুবরাজ নিহত হবার ফলে ফলে ১ম বিশ্বযুদ্ধের বেইজ ভূমি হিসেবে অস্ট্রিয়াকেই নির্বাচন করা হয়।
১৯১৪ সালে আর্চডিউক ফ্রান্স ফার্ডিনান্ড সার্বিয়ার জাতীয়তাবাদীদের দ্বারা নিহত হন। মাত্র একজন রাজ পরিবারের সদস্য নিহত হল । অস্ট্রিয়া ইচ্ছা করলে অন্য অনেক উপায়েই প্রতিশোধ নিতে পারতেন কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে সেনা মবিলাইজ করে প্রতিশোধ নেয়ার মত যুদ্ধাবস্থা তৈরী করার কী দরকার ছিল। হ্যাঁ দরকার হল রথচাইল্ড এর পরিকল্পনা বান্তবায়ন করা আর তা যুদ্ধের মাধ্যমেই সম্ভব। রথচাইল্ড সকল প্রকার আর্থিক ও সামরিক সাহায্যর মাধ্যমে অস্ট্রিয় যুদ্ধ করার জন্য প্ররোচিত করে।
সীমাান্তে যুদ্ধাবস্থার ভয়ে সার্বিয়া রাশিয়ার জারের কাছে সাহায্য আবেদন করলে জার সার্বিয়াকে সাহায়্য করার আস্বস্থ করে। অপরদিকে রথচাইল্ড এর অপর ৪ সদস্য যারা জার্মাানি, নেপলস, ফ্রান্স ও বৃটেনে অবস্খান করছে তারা উক্ত দেশগুলোকে যুদ্ধে অংশগ্রহনের জন্য সামগ্রিক সহায়তা দানের প্রতিশ্রতি করে।
২৮ জুলাই অস্ট্রিয়া-হাংগেরী সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ষোষনা করলে রাশিয়া,ফ্রান্স, বৃটেন, বেলজিয়াম সার্বিয়ার পক্ষে যুদ্ধে যোগদান করে। এখানে উল্লেখ্য যে এই যুদ্ধের প্রধান শিকার রাশিয়া- সার্বিয়ার পক্ষেই কিন্তু রথচাইল্ড প্ররোচিত জার্মানী বাদে সকল মিত্র শক্তিগুলো যুদ্ধে যোগ দেয় যাতে যুদ্ধের অস্থিতিশীলতায় মিত্রতারতার মাধ্যমেই রাশিয়াতে একটি বিপ্লব তৈরী করা যায়।
চলবে ৃ... . . . .
অরো তথ্যর জন্য ইউটিউ, গুগল . . . .
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৮
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: সঠিক বলেছেন । তবে আমি তাদের কথাই বলছি যারা প্রথম ১৫০ বছর ইংল্যান্ডের আর সময়টা আমেরিকার শাসক। বৃটেন কিন্তু ১৬০০ সাল থেকেই বিশ্ব শক্তি কিন্তু ১৬০০-১৮১৫ মোট ২১৫ বছর বৃটেনের নিজস্ব শক্তির মাধ্যমেই হয়েছে। এজন্য এ সময়টাকে আমি ২২৬ বছরের মধ্য অন্তভূক্ত করিনি।
এর পরের ঘটনা আপনি আমার পূর্বের পর্বে পাবেন
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: গাঞ্জা লইয়া আবার হাজির হইলেন ঐতিহাছিক বাইছাব...............ছাবাস !!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৩১
নোমান প্রধান বলেছেন: ২২৬ বছর? তার মাঝে তো প্রথম ১৫০ বছর ইংল্যান্ডের আর বাকিটা আমেরিকার