![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(সাত)
রথচাইল্ড ফ্যামিলির প্রতিষ্টাতা মেয়ার আমসেল বুয়ার ১৭৬০ সালে তার নামের শেষ অংশ ‘বুয়ার’ এর পরিবর্তে রথচাইল্ড/রথচিল্ড রাখেন। জার্মান শব্দ এর ‘রথ’ অর্থ লাল এবং ‘চিল্ড” অর্থ চিহ্ণ। যা ১৯১৭ সলের রাশিয়ান বিপ্লব সহ সকল মার্কসবাদ বিপ্লবেই এই লাল চিহ্ণ ব্যাবহার করা হয়।
১৭৭০ সালে আমসেল রথচিল্ড অ্যডাম উইসপট নামে একজন ক্রিপটো ইহুদিকে (যিনি প্রকাশ্য ক্যাথলিক) ‘ইলুমিনাটি’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্টা করে তা পরিচালনার দায়িত্ব দেন। ১৭৭৬ সালের মে মাসে অ্যডাম উইসপট সংগঠন পরিচালনার মূলমন্ত্র তৈরীর কাজ শেষ করেন।
এই ‘ইলুমিনাটি’ এর উদ্দেশ্য হল সকল অ-ইহুদিকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় উপায়ে বিভক্ত করা। তাদের পরস্পরের সাথে যুদ্ধ, জাতীয় সরকারকে ধ্বংস,ধর্মীয় প্রতিষ্টানকে ধংস করার জন্য বিরোধী গ্রæপগুলোকে অস্ত্র সহায়তা করা।
এছাড়া শিল্প, সাহিত্য, শিক্ষা,বিজ্ঞান ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে মেধাবী এমন ২,০০০ জনকে অর্থের বিনিময়ে ‘ইলুমিনাটি’ এর অনুসারী করে। কার্ল মার্কস এবং কার্ল রিটার ছিল রথচিল্ড পরিচালিত ইলুমিনাটি এর সদস্য। আকর্ষনীয় ব্যাপার হল যে ১৮৪৮ সালে যে সময় মার্কস তার ‘কম্যুনিষ্ট মেনিফেস্ট’ প্রকাশ করে ঠিক প্রায় একই সময় কার্ল রিটার ‘নিৎসেজম’ এর উপর ভিত্তি করে এন্টি থিসিস লেখেন। যা পরবর্তিতে ফ্যাসিজম এবং নাৎসিজমে রুপান্তরিত হয়।
উভয় ব্যাক্তিই রথচিল্ড এর অর্থ দ্বারা পরিচালিত।এই ২টি বিপরিদ ধর্মী তত্বের উদ্দেশ্য হল যারা এর দ্বারা পরিচালিত হবে তাদেরকে বিভিন্ন দল ও উপদলে ভাগ করে বিরোধী গ্রুপে রাখা। যাতে করে তাদের ব্রেইনওয়াশ ও অস্ত্র সরবরাহ পরস্পরকে ধবংস করা যায়।
লিংক: http://rense.com/general88/hist.htm
আমার ৬ষ্ঠ পর্বে ১ম বিশ্বযুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায় পর্যন্ত লেখা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে বিশ্বযুদ্ধে এর মুল উদ্দেশ্য রাশিয়ার জারকে ধংস করা করা।
কারণ:
* রাশিয়ার জার কর্তক ইলুমিনাতি পরিচালিত ১৮১৫ সালের জেনেভা কনভেনশনে বিশ্ব সরকার গঠনের বিরোধীতা।
* ১৮৬১ সালে আমেরকিার সিভিল ওয়ারে রথচিল্ড কনফেডারেসির পক্ষে সহযোগীতা করলে জার ততে হুমকি দেয় এবং আব্রাাহাম লিংকনকে সহযোগীতা করে।
* ১৮৫৯ সালে রথচিল্ড রাশিয়ায় কেন্দ্রিয় ব্যাংক স্থাপনের চেষ্টা করলে জার তাতে বাধা দেয়।
* ১৯০৫ সালে রাশিয়ার ইহুদিরা রাশিয়ায় কম্যুনিষ্ট বিপ্লব করার চেষ্টা করলে তা ব্যার্থ হয় এজন্য বহু ইহুদিকে পালিয়ে রাশিয়া ছাড়তে হয়।
আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেনস্ট এর ফাইল (৮৬১.০০/৫৩৩৯) এর শিরোনাম "Bolshevism and Judaism," dated November 13, 1918 বলা হয়েছে যে রাশিয়ান বিপ্লবের ব্লুপ্রিন্ট তৈরী করা হয় ১৯১৬ সালে ফেব্রæয়ারী মাসে। এবং এতে দেখা যায় যে, আমেরিকার নিমোক্ত ব্যাক্তি ও ফার্ম এই ধ্বংসাত্বক কাজে অংশ নেয়।
(1) Jacob Schiff Jew
(2) Kuhn, Loeb & Company Jewish Firm
Management: Jacob Schiff Jew
Felix Warburg Jew
Otto H. Kahn Jew
Mortimer L. Schiff Jew
Jerome J. Hanauer Jew
(3) Guggenheim Jew
(4) Max Breitung Jew
(5) Isaac Seligman Jew
লিংক: Click This Link
জার ২য় নিকোলাস আটক হবার পর রথচিল্ড বলশেভিক বিপ্লবীদেরকে নারী ও শিশু সহ সম্পূর্ন পরিবারকে হত্যার নির্দেশ দেন। এ প্রতিশোধের মাধ্যমে বিশ্বকে দেখানো হয় যে, রথচিল্ড এর বিরোধীতা করলে তার পরিণতি কি হয়।
১৯১৯ সালের ২৯ মার্চ টাইমস অব লন্ডনে রাশিয়ার বলশেভিক বিপ্লবের রিপোর্টে বলা হয়: রাশিয়ার বিপ্লবের আকর্ষনীয় দিক হল যে, এর নিতাদের অধিকাংশই নন- রাশিয়ান। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ৭৫ ভাগই ছিল ইহুদি। রিপোর্টে বলা হয় রথচিল্ড রাশিয়ার জারের উপা রাগান্ততি ছিল যার কারনে সাধারর জনগনের স্বার্থর কথা বলে ইহুদি স্পাইদেরকে বিপ্লব করানোর জন্য রাশিয়ায় পাঠানো হয় ।
উক্ত বিপ্লব পরিচালনার মূল উদ্দেশ্য ছিল রথচাইল্ড কর্তক রাশিয়ার নিয়ন্ত্রন নিয়ে এলিটদের শাসন চালু করা।
এসব গোয়েন্দাদের অনেকেই তাদের নাম পরিবর্তন করে রাশিয়ান নাম রাখেন। যেমন বিপ্লবের প্রধান নায়ক ট্রটস্কি এর আসল নাম ছিল-ব্রনস্টেইন।
লিংক: http://rense.com/general88/hist.htm
লিংক:: Click This Link
লিংক:: Click This Link
চলবে .. . . . . .
২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:০২
মুশশাররাফ হোসেন সৈকত বলেছেন: @আরিয়ান রাইটিং, একটা তথ্যেরও কোনো প্রমাণসূত্র দেওয়া নেই, কিন্তু অন্ধবিশ্বাস! দুঃখজনক।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১৫
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ভাই আমি তথ্যগুেলোর জন্য নিচের লিংক দেখুন
লিংক: http://rense.com/general88/hist.htm
লিংক:: Click This Link
লিংক:: Click This Link
৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ মুশশাররাফ হোসেন সৈকত কি ইলুমিনািত গ্রুপের সদস্য
সাধারনত যে যে গ্রুপের লোক হয় সেই গ্রুপের বিরুদ্ধে কিছু লিখলে প্রতিক্রিয়া দেয়! ইলুমিনাতিদের আরেক কাজ ইসলামী বিশ্বাস আক্বিদায় আঘাত করা উনাকে তাতেও অংশনিতে দেখা যায়!!!!!!!
@ লেখক ধন্যবাদ দারুন ইস্যুকে জানানোয়। আসলে আমাদের উদাসীনতা অজ্ঞতার মাঝে ওরা জঘন্যতম সব কাজ করে যাচ্ছে অবলীলায়। ইমন জুবায়ের ভাই এই বিষয়ে খুব ভাল কাজ করছিলেন। আমরা উনাকে হারিয়ে অপূরনীয় শূন্যতায় আছি।
আপনি চালীয়ে যান।
শয়তানদের ময়তানী অবশ্যই একদিন পরাজিত হবে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩১
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:১১
আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: অনেক তথ্য সমৃদ্ধ নিবন্ধ। ভাল লাগলো।