![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোপন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আন্তজার্তিক গোয়েন্দা ও সিক্রেট সোসাইটি কর্তক ব্যবহৃত ’মাইন্ড কন্ট্রোল’ পদ্ধতি হল “মনার্ক প্রগ্রামিং”। সামরিক ও বেসামরিক মানুষের উপর পরীক্ষিত CIA কর্তক উদ্ভাবিত MK-ULTRA এর পরবর্তী প্রজক্ট। ২য় বিশ্বযুদ্ধ এর পূর্ববতী ও যুদ্ধকালীন সময়ে জার্মান কনসেন্ট্রশন ক্যাম্পে এই প্রযুক্তি ব্যপকভাবে ব্যবহার করা হয়। কুখ্যাত কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প এর “Dr. Joseph Mengele “মনার্ক প্রগ্রামিং” এবংCIA- MK-ULTRA এর প্রধান উদ্ভাবক।
২য় বিশ্বযুদ্ধের পর যোসেফ মেনজেল সহ প্রায় ৫,০০০ উচ্চ পর্যায়ের নাৎসি গোপনে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের গোপন সমারিক ঘাটিতে উক্ত প্রযুক্তি উন্নয়ন ও প্রয়োগে কাজ করতে থাকে। হাজার হাজার কিডন্যাপকৃত ও পথ থেকে কেড়ে নেয়া শিশুদেরকে এসব ঘাটিতে নিয়ে এসে “মনার্ক প্রগ্রামিং” একসপেরিমেন্ট করা হয়। পরে এসকল মাইন্ড কন্ট্রোলড ভিকটিমদের মাধ্যমে সেক্্রুয়াল স্লেভারি ও গোপন মিশন পরিচালনা থেকে শুরু করে আততায়ী পর্যন্ত হাজার হাজার কর্মসূচী পালন করানো হয়।
যদিও এ জাতীয় কর্মসূচীর অস্তিত্ব নিয়ে এ পর্যন্ত কোন অফিসিয়াল স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি । তবু প্রখ্যাত কিছু গবেষকরা এর তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া এই কর্মসূচী থেকে বেচে যাওয়া কিছু ব্যাক্তি এই ভয়ানক কর্মসূচী প্রকাশ করে দিয়েছে। মনার্ক প্রগ্রামিং এর উদ্দেশ্য হল এমন কয়েক হাজার মানসিক রোবট তৈরী করা যারা প্রস্টিটিউট, মুভি, ড্রাগ চোরাচালানি, আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাকারবারী এবং তাদের অন্ধ আনুগত্য সহ সকল প্রকার অস্বাভাবিক, বিকৃত ও লাভজনক কাজ করা।
বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য মনার্ক প্রগ্রামারগন ইলেকট্রশক, নির্যাতন, অপব্যহার এবং মাইন্ড গেম এর মাধ্যমে প্রচন্ড ভীতি তৈরী করে। এ প্রগ্রামের প্রাথমিক শর্তই হল বাস্তবতা/বাস্তব জ্ঞান থেকে বিচ্ছিন্ন করার মাধ্যমে এমন এক ধরনের ব্যাক্তিত্ব ও মানষিকতা তৈরী করা যাতে ভিকটিমকে ইচ্ছামত পরিচালনা করা যায়। এর উল্লেখযোগ্য কিছু টুলস হল:
১। ভীতি প্রদর্শন
২ ড্রাগ
৩ স্নায়ুবিক বঞ্চনা
৪ সেনসরি স্টিমুলেশন
৫ অকসিজেন ডিপরাইভেশন
৬ বক্্র, কেইজ ও কফিনে আটকিয়ে রাখা
৭ স্কিনিং বা ত্বক এর কালার পরিবর্তন করা।
৮ ইলিকট্রিক শক
৯ স্লিপ ডিপ্রাইভেশন
১০ এমনভাবে ভিকটিমকে আবিউস ও ধোকা দেয়া হয় যাতে সে মনে করে ‘গড’ হল শয়তান এবং গডই তাকে অ্যাবিউস করে।
১১ ব্রেইন স্টিমুলেশন এবং সম্মুখ হত্যাসহ বিভিন্ন উপকরন এর মাধ্যমে ভিকটিম এর নির্দেশনা, দৃষ্টিভঙ্গি এমনকি নিজের পরিচয় ভুলে যাওয়া। যা ভিকটিমের কাজ, চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রগ্রামারের ইচ্ছানুযায়ী পরিচালিত করে। এপর্যায়ে ভিকটিমকে তার নৈতিক নীতিমালা, আধ্যাত্বিক বিশ্বাস এবং নিজের ইচ্ছাশক্তি সম্পূর্ন ভায়োলেট করে কোন বিচার বিচেনা ছাড়াই তাদের নির্দেশ বাস্তবায়ন করে।
প্রশক্ষিত ভিকটিমদেরকে স্লেভ’/দাস বলা হয় এবং মনার্ক প্রগ্রামার/পরিচালকদেরকে মাস্টার বা গড বলা হয়। মুভি ও বিভিন্ন মিউজিকেও এই টুল ব্যবহার করা হয়। তন্মোধ্য অন্যতম
The Wizard of Oz,
Alice in Wonderland,
Pinocchio and Sleeping Beauty অন্যতম। সহজ উপায়ে স্লেভকে মুভির এমন ব্যাখ্যা প্রদান করা হয় যাতে প্রগ্রামিং এর প্রভাব বৃদ্ধি করা যায়। উদাহরণ স্বরুপ একজন স্লেভ The Wizard of Oz, মুভি থেকে শিক্ষা পায় যে, “Over the Rainbow” is ``Happy Place তখন স্লেভ তার সকল পেইন থেকে উত্তরনের জন্য সেখানে যাবার চেষ্টা করবে। মুভি ব্যবহার করে প্রগ্রামারগণ স্লেভকে ‘Over the Rainbow ’ যাবার জন্য উৎসাহ দিয়ে তাদের শরির থেকে মনকে বিচ্ছিন্ন করে।
“মনার্ক প্রগ্রামিং” এর পর্যায়:
১. আলফা: নিউরন পাথওয়ে স্টিমুলেশন এর মাধ্যমে লেফট ব্রেইন- রাইট ব্রেইন বিভাজনের মাধ্যমে সুক্ষভাবে ভিক্টিম এর ব্যাক্তিত্ব পরিবর্তন করা।
২. বেটা:স্লেভ এর সেকসুয়াল প্রগ্রামিং। এর মাধ্যম তার সকল প্রকার নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও শিক্ষাকে উচ্ছেদ করা হয়। নারী সেলিব্রিটি, মডেল, গায়ক ও অভিনেত্রীদের মধ্য বেটা প্রগ্রামিং করা হয়।
৩. ডেল্টা: এটি ‘কিলার’ প্রগ্রাম হিসেবে পরিচিত এবং এলিট সেনা ও এজেন্টদের (ডেল্টা ফোর্স মোসাদ) মাধ্যমে গোপন অভিযান পরিচালনা করার জন্য এর বিকাশ হয়েছে। সেলভ- ডিস্ট্রাকশান ও সুইসাইড স্কোয়াডের জন্য এই প্রগ্রামিং করানো হয়।
৪. থেটা: bio-medical human telemetry devices, directed-energy lasers using microwaves
Electromagnetic প্রয়োগ এর মাধ্যমে থেটা প্রগ্রাম করা হয়।
মনার্ক প্রগ্রামিং গণ মাধ্যম, মুভি, মিউজিক ভিডিও, এডভারটাইজ এবং টিভি শো এর মাধ্যমেও মাইন্ড কন্টোল স্লেভ তৈরী করা হয়।
সোর্স: http://vigilantcitizen.com/
Origin of Monarch Programming
©somewhere in net ltd.