![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২ দিন হয়ে গেলো অথচ উদ্ধার করা গেলো না লঞ্চটাকে।
গুলিতে মারার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি হবার কারণে কী তাহলে এখন বেতন না দিয়ে "ভাতে মারবো" আর লঞ্চ দুর্ঘটনায় "পানিতে মারবো" ঘোষনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে?
নিরাপত্তার জন্য রাশিয়া থেকে অস্ত্র কিনা হয়।
জাতীয় সংগীতের রেকর্ডের জন্য কোটি টাকা খরচ করা হয়।
যে দেশে প্রতি নিয়ত কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়, কেজি কেজি সোনা আটক হয়, হাজার কোটি টাকা পার্সেন্টিজ হয়, যেই দেশে সামান্য কেরানীও বাড়ি গাড়ির মালিক হয়, এক রাতেই আবার অনেকে কোটিপতি হয়ে যায়, কয়েক হাজার কোটি টাকা বাজেট হয় যেই দেশে। সেই দেশে
রানা প্লাজায় উদ্ধারের জন্য লাইট,রড কাটার মিশিন পর্যন্ত নাই।
দশ তলায় আগুন লাগলে সেই আগুন নিভানোর ক্ষমতা অর্জন করতে পারে নি ৪৩ বছরে।
লঞ্চডুবির পর যা করা হয়-
১/ হামজা/রুস্তম দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব লঞ্চটি উদ্ধার করা। উদ্ধারের সময় বেশ কয়েকবার ঝাঁকুনী দেয়া হয়। অতি অবশ্যই লঞ্চটি উল্টো করে উদ্ধার করা হয়। বুঝতেই পারছেন এই পদ্ধতিতে লঞ্চের ভেতর থাকা লাশগুলো প্রবল স্রোতে ভেসে যায়। লাভ হয় কেবল লঞ্চ মালিকের।
২/ একটি বেজোড় সংখ্যার তদন্ত কমিটি হয়। তবে সেই কমিটির প্রতিবেদন ও সেই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া কেউ কখনো জানতে পারে না।
৩/ ডুবে মরা হতভাগ্যরা নিখোঁজ হয়ে হারায় 'নিহত' থাকার অধিকার।
এদেশে এমনি হয়। জেল কোড মেনে খুনের আসামী জেলে বসে বাইরের দুনিয়ার বিচার শালিস থেকে শুরু করে বিয়ের পর ১ ঘন্টার বাসর করতে পারে। কিন্তু তোবা গার্মেন্টস এর শ্রমিকদের তিন মাসের বকেয়া বেতন দিতে জেলে আটক মালিককে চেকে সাক্ষর দেয়ানোর জন্য জামিন দিতে হয়। নৌ পরিবহন মন্ত্রী লঞ্চ দুর্ঘটনা ভুলে সেই গার্মেন্টস মালিকের পেছনে দৌড়ায়।
ওই ব্যাপারগুলো নিয়া কথা বলার কেউ নাই।হয়তো অর্থনৈতিক মন্দার ভয়ে।
আমাদের কি আমাদের কেউতো মরে নাই।
কিন্তু তুমিও প্রস্তুত থেকো অচিরেই লাশ হবে।অথবা অচিরেই এতিম হবে।
আর সামান্য বিবেক থাকলে এই গুলোর বিরুদ্ধে গর্জে উঠো।
প্রেম আলাপ বন্ধ রেখে এই মানুষগুলোর জন্য কিছু করো।
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫০
আজিম পরদেশী বলেছেন: আপনার সাথে পুরোপুরি একমত ভাই।
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০৪
শেখ মফিজ বলেছেন: সরকার আর সরকারী কর্মীদের দোষ সব সময় আছে , থাকবে ।
কিন্তু আমরা নিজেরা কি কম দোযী,
লঞ্চ মালিক কেন মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী নেবে ।
কেন আমরা অতিরিক্ত যাত্রী হিসাবে লঞ্চে চড়বো ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
মুকতোআকাশ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন,এসব নিয়ে ভাবার বা বলার যেন কেউ নেই।ঠিক সময়ে ঠিক বিষয়টি তুলে ধরেছেন।আপনাকে ধন্যবাদ।কিন্তু একটা ব্যাপারে আমার দ্বিমত আছে। আরে ভাই হামজা বা রুস্তম উদ্ধার করতে পারলো কবে? এরাতো কয়েকটি লাশ আর লন্চটিকে খুজে তুলে নিয়ে আশে।উদ্ধার মানে হচ্ছে উদ্ধার করা।অর্থ্যাৎ বিপদ গ্রস্থ মানুষ গুলোকে বিপদ থেকে বাচিয়ে আনা।সবাই তো লাশ হয়ে যায়,তাহলে উদ্ধার হয় কে? হামজা অথবা রুস্তম গিয়ে লঞ্চ ও লাশ গুলোকে তুলে আনে শুধু।এবার কিছু মানুষ বেঁচে গিয়েছে।এই ভাগ্যবানেরা নিজে নিজে উদ্ধার হয়েছে।
ভাই এদেশে হতে পারেনা এমন কিছুই নাই। আমাদের এক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ঈদউল ফিতরের নামাজের জামাত কে বলছে- এবার ঈদউল আজহার নামাজে জানাজা অনুস্ঠিত হবে--------- ইত্যাদি ইত্যাদি। এই লোক বলে মুসলমান,বাংলাদেশে বাস করে। বাংলাদেশের অন্য ধর্মের যে কোন মানুষ কে জিঙ্গেস কোরে দেখুন বলতে পারবে এটা কোন ঈদ
আর কোন নামাজ ।এই রকম গ্ঙ্যান ও দ্বায়িত্বহীন মানুষেরা ও মন্ত্রী হতে পারে !
সবাইকেই সোচ্চার হতে হবে এই সব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ।আসুন আমরা সাধারন মানুষেরা ঐক্যবদ্ধ হই ।