নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"মিথ্যা কখনো চাপা থাকেনা,\nসত্যের জয় হবে নিশ্চয়\"।

আরজে আজিজুর

আসসালামু আলাইকুম: Md. Azizur Rahman who always ready To Die For Islam For ALLAH For Noor Ea Mujassam Profeth Muhammad Mustafa Sallauhu Alaihiwsallam.

আরজে আজিজুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

"সালাতুত তাসবিহ নামাজ পড়ার নিয়ম" "

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৫৮


হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুল (সা.)
তাঁর চাচা হজরত আব্বাস (রা.)-কে
বলেছিলেন, ‘চাচা, পারলে আপনি
সালাতুত তাসবিহ নামাজ সপ্তাহে
একবার, তাও না পারলে মাসে
একবার, তাও না পারলে বছরে
একবার পড়বেন। অন্তত জীবনে একবার
হলেও এ নামাজ পড়বেন। এ নামাজ
দ্বারা জীবনের ছগিরা, কবিরা,
ইচ্ছাকৃত, অনিচ্ছাকৃত, নতুন, পুরনো,
গোপন, প্রকাশ্য_সব রকম গুনাহ মাফ হয়ে
যায়।’
এখন সালাতুত তাসবিহ নামাজ পড়ার
নিয়মাবলি আমরা জেনে নিতে
পারি। সালাত শব্দের অর্থ নামাজ।
আর তাসবিহ শব্দের অর্থ এখানে ‘সুবাহানাল্লাহ, ওয়াল
হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা
ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার’_এই
তাসবিহকে বোঝানো হয়েছে।
সুতরাং যে নামাজে এ তাসবিহ
পড়া হয় তাকে সালাতুত তাসবিহ
নামাজ বলে। এ নামাজ হলো চার
রাকাত। প্রতি রাকাতে উপরিউক্ত
তাসবিহ ৭৫ বার পড়তে হয়। তাহলে
চার রাকাতে ৩০০ বার হয়।
সালাতুত তাসবিহ নামাজ পড়ার
দুটি নিয়ম আছে।
.
প্রথম নিয়ম হলো :
প্রথমে নিয়ত করবে, আমি চার
রাকাত সালাতুত তাসবিহ নফল
নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম। এরপর
ছানা অর্থাৎ সুবহানাকাল্লাহুম্মা
ওয়া বিহামদিকা_এটা পড়বে। এরপর
যেকোনো সুরা মেলাবে। সুরা শেষ
করে ওই দাঁড়ানো অবস্থায়ই ১৫ বার
তাসবিহ পাঠ করবে। এরপর আল্লাহু
আকবার বলে রুকুতে যাবে। রুকুর
তাসবিহ পড়ার পর আবার ওই তাসবিহ
১০ বার পড়বে। এরপর রুকু থেকে উঠে ‘রাব্বানা লাকাল হামদ’ বলার পর
আবার ওই তাসবিহ ১০ বার পড়বে। এরপর
সিজদায় যাবে। সিজদার তাসবিহ
পড়ার পর ওই তাসবিহ ১০ বার পড়বে।
সিজদা থেকে উঠে দুই সিজদার
মাঝখানে আবার ১০ বার পড়বে।
দ্বিতীয় সিজদায় সিজদার তাসবিহ
পড়ার পর আবার ওই তাসবিহ ১০ বার
পড়বে। এই হলো ৬৫ বার। এখন আবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলে দ্বিতীয়
সিজদা থেকে উঠে বসে ১০ বার
পড়বে। অতঃপর দাঁড়াবে। এই হলো এক
রাকাতে ৭৫ বার। এবার দ্বিতীয়,
তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে একইভাবে
সুরা ও তাসবিহ পড়তে হবে। দ্বিতীয়
রাকাতে ও শেষ রাকাতে
আত্তাহিয়্যাতু পড়ার আগে ১০ বার
তাসবিহ পড়ে নিতে হবে। তারপর
সালাম ফেরাতে হবে।
কোনোভাবেই আত্তাহিয়্যাতুর পর
তাসবিহ পড়া যাবে না এবং
কোনোভাবেই প্রতি রাকাতে ৭৫
বারের বেশি পড়া যাবে না।
.
দ্বিতীয় নিয়ম হলো :
নিয়ত বেঁধেই ছানা পড়ার পর সুরা-
কিরাত পড়ার আগেই ১৫ বার, সুরা-
কিরাত শেষে ১০ বার। এখানে
দাঁড়ানো অবস্থায় ১০ বারের বেশি
হয়ে গেলে, এই নিয়মে পড়লে
দ্বিতীয় সিজদা থেকে সোজা
দাঁড়িয়ে যাবে। দ্বিতীয়
সিজদাতেই ৭৫ বার হয়ে যাবে এবং
আত্তাহিয়্যাতুর আগে ওই তাসবিহ
পড়তে হবে না। তাসবিহ ৩০০ বার
হতে হবে, কম হলে সালাতুত
তাসবিহের ফজিলত পাওয়া যাবে
না। তাই খুব সতর্কতার সঙ্গে পড়তে
হবে। যদি কেউ কোনো এক জায়গায়
তাসবিহ পড়তে ভুলে যায় বা কম
থেকে যায়, তাহলে পরবর্তী সময়ে
যে জায়গায় মনে আসবে, সেখানে
ছুটে যাওয়াটাও আদায় করে নেবে।
সালাতুত তাসবিহ যেকোনো সুরা
দিয়ে পড়া যায়। তবে কেউ কেউ
বলেছেন, এ নামাজে সুরা আসর,
কাউছার, কাফেরুন ও ইখলাছ পড়া
উত্তম। সালাতুত তাসবিহ ছাড়া এমন
আরো যত নফল নামাজ আছে, তা
যেকোনো সুরা দিয়ে পড়া যেতে
পারে। কোনো কোনো বইপুস্তকে
লেখা পাওয়া যায়, শবেবরাতে
নামাজে অমুক সুরা এতবার পড়তে হয়,
এটা ঠিক নয়। এসব বক্তব্য অসমর্থিত।
শবেবরাতের নফল নামাজে কোনো
বাধ্যবাধকতা নেই যে অমুক সুরা
পড়তে হবে বা অমুক সুরা পড়া যাবে
না। মনে রাখতে হবে, যেকোনো
নফল নামাজে যেকোনো সুরা পড়া
যায়।
"
By -Azizur Rahman
.
- Google

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.