নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কল্পনা বোর্ডিং ও হোটেল ১৯৬৫ সালের ১৪ আগস্ট চালু হয়।এই বোর্ডিংএ সেসময়ে বিখ্যাত লোকদের যাতায়াতও ছিল চোখে পড়ার মতো।স্বাধীনতার আগে এখানে নিয়মিত আসতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।নায়িকা সুলতানাও আসতেন এখানে।এখানকার খাবার খেয়ে প্রশংসা করেছিলেন কলকাতার তৎকালীন ছাত্রনেতা প্রিয়দাস মুন্সী।এই রেস্তোরাঁর চিতল খেয়ে প্রশংসা লিখেছিলেন ভারতের আনন্দ বাজার পত্রিকার এক সাংবাদিক।।এই রেস্তোরাঁর বয়স ৪৭ বছর। দীপক কুমার নাগের বাবা বিন্দাবন নাগ ছিলেন এই এলাকার ‘মেম্বার’।
কল্পনা বোর্ডিং ও হোটেল শাঁখারিবাজারের মাঝখানে অবস্থিত। সনাতন পদ্ধতিতে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।চিতল মাছের পেটি কল্পনা বোর্ডিং ও হোটেলের সবচেয়ে লোভনীয় খাবার। পুরোনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এই রেস্তোরাঁয় চিতলের পেটি ছাড়াও রান্না হয় কই, রুই, কাতলা, বোয়াল।এছাড়া নানা রকম ভর্তা-ভাজি আর সবজির ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে।পাতলা করে রাঁধা মুগের ডালটাও ভোজনরসিকদের মন জয় সমানভাবে।
অবস্থান
জজ কোর্টের দিক থেকে শাখাঁরিবাজারে গেলে একেবারে শেষ মাথায় হাতের ডান দিকে সরু গলির ভেতর পড়বে ‘কল্পনা বোর্ডিং’।
জিরা সম্ভারের চিতলের পেটি
গরম তেলে জিরা অথবা কালিজিরা ভেজে হলুদ-মরিচ আদা ছাড়া জ্বাল দেয়া হয়। এভাবে জ্বাল দিয়ে মসলার রং সামান্য লালচে করা হয়।মসলা লালচে হয়ে এলে তাতে হালকা ভাজা মাছ ছেড়ে দেয়া হয়। সঙ্গে তরকারি হিসেবে দেওয়া হয় গোল আলু। মাছ আর আলু কশানো শেষ হলে তা ঢেকে দিয়ে অনেকক্ষণ জ্বাল দেওয়া হয়। ব্যাস হয়ে গেল জিরা সম্ভারের চিতলের পেটি।
ঝকঝকে বড় থালায় মুখ দেখা যায়। গ্লাসে ভরা পানি। তারপর আসে সাদা মুক্তার মতো ধোঁয়া ওঠা ভাত। সঙ্গে চিতলের পেটি। দেখেই খিদে বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তরকারি বলতে এক টুকরো আলু। এটাই এ বোর্ডিংয়ের ঐতিহ্য। শহরে অনেকেই এ রান্নার সমজদার। এক বসায় তিন-চার টুকরো খেয়ে ফেলেন এমন লোকের সংখ্যা বিরল নয়। ঐতিহ্যবাহী এ রেস্তোরাঁয় চিতলের পেটি ছাড়াও রান্না হয় কই, রুই, কাতলা ও বোয়াল। আছে নানা রকম ভর্তা-ভাজি আর সবজি। পাতলা করে রাঁধা মুগের ডালও বেশ মুখরোচক।
টক আর ঝাল স্বাদের কই
রান্না তাদের ধ্যানজ্ঞান সাধনা, রান্না তাদের প্রার্থনার অংশ। একারনে রান্না নিয়ে তাদের নানা রকম আয়োজন থাকে। বিশেষ দিনগুলোতে বিশেষ স্বাদের কই রান্না করা হয়।এই স্পেশাল কইয়ের একপাশ টক আর অন্যপাশ ঝাল স্বাদের হয়।
খাবার খরচ
চিতলের শুধু পেটি রান্না করা হয়। আর তার পিঠের অংশ দিয়ে রাঁধা হয় কোফতা। আকার ভেদে চিতলের পেটির দাম পড়ে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আইড় ও কই মাছ ৬০ থেকে ৮০ টাকা। নানারকম ভাজি ও সবজি দশ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। সারাদিনে এখানে ২০-২৫ রকমের মাছ, সবজি ও ভাজি রান্না হয়। প্রতিদিন এখানে দেড়-দুইশ লোক খেয়ে থাকে।এখানকার খাবার ‘পার্সেল’ করে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কল্পনা বোর্ডিং বিয়েবাড়ি ও ছোটোখাটো অনুষ্ঠানে খাবার সরবরাহ করে থাকে।
থাকার ব্যবস্থা
অতিথিদের থাকার জন্য কল্পনা বোর্ডিংয়ের ওপরে ব্যবস্থা রয়েছে। আর নিচ তলায় খাবার ব্যবস্থা রয়েছে। নিচ তলায় ছোট একটি কক্ষে ছোট ছোট টেবিল পেতে অতিথিদের খেতে দেওয়া হয়।
ঢাকার তথ্যের ভুবনে আপনাদের সবার আমন্ত্রণ রইলো
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
কালীদাস বলেছেন: এই বালের সাইটটার লিংক দেখতে দেখতে হাপায়া গেলাম। আপনাগর কত হিট লাগে?
৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
শিশির সিন্ধু বলেছেন: টেরাই মারতে হইবো একদিন
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: করলেন টা কি? জিভে জল এসে গেল!! আমি এখন যাব কিভাবে? এক বছরেও আর দর্শন করার কোনো উপায় নেই আমার। দেশে থাকলে.......
সুন্দর পোস্ট, ভালো লাগা দিলাম