নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের সন্ধানে

আমি আমার স্বল্প জ্ঞান থেকে আপনাদেরকে কিছু শেয়ার করতে চাই এবং আপনাদের কাছ থেকে মূল্যবান কিছু নিতে চাই।

হেডমাষ্টার সাহেব

অনুসন্ধান

হেডমাষ্টার সাহেব › বিস্তারিত পোস্টঃ

হযরত খাব্বাব (রাঃ) এর করুন কাহিনী

১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:০৫

'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম"



আল্লাহর রাস্তায় যে সকল মহাপ্রান সহাবী নিজ জীবন বিলিয়ে দিয়ে ধন্য হয়েছিলেন, যারা কাফিরদের নির্যাতনের পরীক্ষায় নিজেদেরকে অকাতরে নিক্ষেপ করেছেন, হযরত খাব্বাব (রাঃ) তাদের অন্যতম । পাঁচ ছয়জনের পরেই তিনি ইসলাম গ্রহন করেন; কাজেই সুদীর্ঘ সময় পর্যন্ত তাঁকে কাফিরদের নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছিল।



তাঁকে লৌহবর্ম পরিধান করিয়ে রোদে শুইয়ে রাখা হত : ফলে তাঁর শরীর হতে ঘাম বইতে থাকত। অধিকাংশ সময় তাঁকে খালি দেহে উত্তপ্ত

বালুর উপর শুইয়ে রাখা হত, ফলে তাঁর কোমরের মাংস গলে পড়ে গিয়েছিল।

তিনি এক স্ত্রীলোকের ক্রীতদাস ছিলেন। তাঁর মনিব যখন জানতে পারে, সে মুহাম্মদ (সঃ) এর কাছে আসা যাওয়া করে , তখন সেই স্ত্রীলোকটিই লোহা গরম করে তাঁর মাথায় দাগ দিত।

হযরত ওমর (রাঃ) এর খিলাফতের সময় তিনি তাঁর কাছে তাঁর নির্যাতনের বিস্তারিত জানতে চাইলে হযরত খাব্বাব (রাঃ) বলেন, "আমার কোমরের প্রতি লক্ষ্য করুন। হযরত ওমর (রাঃ) তাঁর কোমর দেখে বলেন,

"হায় একি অবস্থা। "

তখন খাব্বাব (রাঃ) বলেন, "আমাকে জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর শুইয়ে ধরে রাখা হত, ফলে আমার চর্বি এবং রক্ত প্রবাহিত হয়ে আগুন নিভে যেত ।"

এ নির্মম শাস্তি ভোগ করা সত্বেও ইসলামের যখন শক্তি বৃদ্ধি হল তখন তিনি রোদন করে বলতেন , " আল্লাহ না করুন! আমার কষ্টের প্রতিদান যেন দুনিয়াতেই লাভ না হয় ।"



মাত্র ৩৬ বছর বয়সে হযরত খাব্বাব (রাঃ) এর মৃত্যু হয় এবং সহাবাদের মধ্যে সর্বপ্রথম তিনিই কুফায় কবরস্থ হন। তাঁর মৃত্যুর পর হযরত আলী (রাঃ) তাঁর কবরের পাশ দিয়ে যেতে যেতে বলেন, " আল্লাহ খাব্বাবের উপর রহমত করুন। তিনি নিজের ইচ্ছায় মুসলমান হয়েছিলেন, হিযরত করেছিলেন । সমস্ত জিহাদে অংশ গ্রহণ করে অশেষ নির্যাতন ভোগ করেছিলেন। এ ব্যক্তির প্রতি মোবারকবাদ , যে আখিরাতকে স্মরন করেন

এবং শেষ হিসেবের জন্য তৈরী হন : যিনি জীবন যাপনের উপযোগী সামান্যতম সম্পদ নিয়ে সন্তুষ্ট থেকে নিজের প্রভূকে রাজী রাখার চেষ্টা করেন ।" (উসদুল গাবা)।

সহাবা চরিত ।

হযরত মাওলানা যাকারিয়া (রহঃ) ।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১২/-৫

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:০৯

শৈল্পিক ভাবনা বলেছেন: তখন খাব্বাব (রাঃ) বলেন, "আমাকে জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর শুইয়ে ধরে রাখা হত, ফলে আমার চর্বি এবং রক্ত প্রবাহিত হয়ে আগুন নিভে যেত ।"

আমার জানার মধ্য উনিই সবছেয়ে বেশি নির্যাতিত সাহাবী।

ধন্যবাদ এমন সাহাবী নিয়ে পোস্ট দেয়ায়।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:১৮

হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ ।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:২৩

রাজস খান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৩৪

হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন:



Same to U

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৪৩

জিগ স বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানা গেল।

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৫৪

আরিফুর রহমান বলেছেন: আহারে.. কাহিনী শুনতে শুনতে তো চক্ষের জলে দুনিয়া ভাইসা গেলো.. উহুহুহুহু...

১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:১৮

হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন: আমি বিশ্বাস করি সেদিন খুব বেশী দূরে নয় যেদিন অপরের কাহিণী নয় , নিজের হিসাব না মিলতে দেখেই আমাদের চোখের জলেই আমরা হাবডুবু খাব । অবশ্য আপনাদের মত স্টার সাতারুদের জন্য হয়ত
সেদিনের চোখের জলের মহাসাগর পাড়ি দেওয়া কোন ব্যপারই না ।
সমস্যা আমার মত যারা সাতার জানেনা তাদের। এই কাহিনী তো তাদের জন্য, খামোখা আপনি এগুলো পড়ে যে কেন সময় নষ্ট করেন বুঝিনা। আপনি আপনার সাতারের প্রাকটিসটা দয়া করে চালিয়ে যান ,
বিপদে কাজে লাগেবে । অন্ততঃ পরকালে না হোক ইহকালে তো হতে পারে নয় কী ?

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩৩

}নবজাতক{ বলেছেন:

যদি আপনার বাড়ির প্রাপ্ত বয়স্ক কাজের লোক কারো উস্কানী পেয়ে হঠাৎ করে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে কোন ইহজাগতিক বা পর জাগতিক বস্তুর লোভে অন্য ধর্মে দীক্ষিত হয়ে সেই ধর্মের রীতি-নীতি পালন করা শুরু করে, আপনার নিজের এবং অন্যান্য পারিবারিক সদস্যের কী ধরনের অনুভূতি হবে দয়া করে বলবেন কি? নিশ্চয় তাকে সাপোর্ট না করে বাড়ি থেকে বের করে দেবেন, নয় কি?

সেই সময়ের বর্বর আরবদের কাছ থেকে ধর্মান্তরিত কাজের লোকের(দাস) এমন আচরন(নির্যাতন) পাওয়াই স্বাভাবিক। টাকা দিয়ে কেনা গোলাম, যে মনিবের ভরন পোষনে চলে, কথা না শুনলে তো এমনই হবে।

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪৮

মুহাম্মাদ তারিক সাইফুল্লাহ বলেছেন: @ নবজাতক:
মানবিক গুনসম্পন্ন বুদ্ধিমান কোনো মুসলিমই তাকে বাড়ি থেকে তাড়াবে না। আর মুসলিম ইতিহাসে এমন কোনো নজির নেই যে কোনো মুসলিমের দাস ইসলামের মহনুভবতার সংস্পর্ষে থেকে ধর্মান্তরিত হয়েছে।


আপনার ২য় প‌্যারার মন্তব্যটুকুই কিন্তু আপনার বর্বর মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে:
'সেই সময়ের বর্বর আরবদের কাছ থেকে ধর্মান্তরিত কাজের লোকের(দাস) এমন আচরন(নির্যাতন) পাওয়াই স্বাভাবিক। টাকা দিয়ে কেনা গোলাম, যে মনিবের ভরন পোষনে চলে, কথা না শুনলে তো এমনই হবে।'

৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:০৩

শেলী বলেছেন: তখনকার আরবরা বর্বর ছিলো সাথে এমন কিছু গুন ছিলো যা এখনো বিরল।তারা স্বাধীনচেতা ছিলো। মরতে তারা ভয় পেতনা। সেক্রিফাইস করা তাদের জন্য সম্ভব ছিল তারা মরুবাসী বলেই। সমতলের লোকেরা ভীতু হয়। এজন্য যখন ওরা একটা আদর্শ পেয়ে গেলো ওদের স্বভাবগুনেই তা বিস্তার লাভ করল।

৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৫৯

}নবজাতক{ বলেছেন:
@ মুহাম্মাদ তারিক সাইফুল্লাহ

# আমাকে লিখেছেন "আপনার ২য় প‌্যারার মন্তব্যটুকুই কিন্তু আপনার বর্বর মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে"

-- হেড মাষ্টার লেখে "......তাঁকে লৌহবর্ম পরিধান করিয়ে রোদে শুইয়ে রাখা হত : ফলে তাঁর শরীর হতে ঘাম বইতে থাকত। অধিকাংশ সময় তাঁকে খালি দেহে উত্তপ্ত বালুর উপর শুইয়ে রাখা হত, ফলে তাঁর কোমরের মাংস গলে পড়ে গিয়েছিল।...লোহা গরম করে তাঁর মাথায় দাগ দিত.... জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর শুইয়ে ধরে রাখা হত, ফলে আমার চর্বি এবং রক্ত প্রবাহিত হয়ে আগুন নিভে যেত...."

সেন্সর ছাড়া এই ভয়ংকর কথাগুলা কিছু না, আর আমি সেই কথাগুলাই স্বাভাবিক ভাবে বল্‌লে আমার মানসিকতা বর্বর!!!! হাসালেন :-B


# আপনি আরো লিখেছেন "মানবিক গুনসম্পন্ন বুদ্ধিমান কোনো মুসলিমই তাকে বাড়ি থেকে তাড়াবে না"।

-- গ্রামের মধ্যে যেয়ে এই কথাটার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জুম্মার নামাযের পর মসজিদে বলেন, মাইর একটাও আপনার পিঠে ছাড়া মাটিতে পড়বে না। চাইলে দোররা বা পাথর ছুড়ে মারতেও পারে। ফতোয়ার ঠেলায় মুসলিমরাই বাঁচে না আর আপনি কী বলেন!!!


# আরো লিখেছেন "আর মুসলিম ইতিহাসে এমন কোনো নজির নেই যে কোনো মুসলিমের দাস ইসলামের মহনুভবতার সংস্পর্ষে থেকে ধর্মান্তরিত হয়েছে।"


-- জাগতিক দুনিয়ায় এবং ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ কি কি? মদ্যপান, বিবাহবর্জিত নারী/পুরুষ সম্ভোগ, বহুগামীতা, সমকামীতা ইত্যাদি নয় কি? এই নিষিদ্ধ বিষয়গুলিই অসংখ্য মানুষদের টানে বলেই এখনও এসবের চল পৃথিবীতে আছে। ইসলাম ধর্মে এসব পুরোপুরি নিষেধ। কিন্তু ভাল কাজ করে যদি বেহেশতে যান, তবে যেসব ভোগের জিনিস পাবেন তার মধ্যে অন্যতম হলো, শারাবুন তহুরা(শারাব-মদ), ৭০ জন হুর (বিবাহবর্জিত নারী সম্ভোগ/বহুগামীতা), গেলমান বা অপ্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ (সমকামীতা) সহ অফুরন্ত যৌবন। আর কি লাগে? ইসলাম থেকে মানুষ বেরোবে কেন বলেন? আর ইসলাম ধর্মে দোজখে যে সব ভয়ংকর শাস্তির কথা বর্ননা আছে, শুনলেই ভয়ে দাসেরা ইসলাম ত্যাগ করবে না।

ভাল কথা, কোরান-হাদীসে দোযখের শাস্তির বর্ননা পড়ে দেখবেন, আল্লাহ কি বর্বর উপায়ে, আপনার তথাকথিত বর্বর মানসিকতায় খারাপ মানুষদের শাস্তি দেবেন। তখন মনে হবে খাব্বাব'এর দুনিয়ার শাস্তিদাতারা খাব্বাব'এর সাথে কত ভাল ব্যাবহার করেছে। :-B

১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:০৬

হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন: সেই সময়ের বর্বর আরবদের কাছ থেকে ধর্মান্তরিত কাজের লোকের(দাস) এমন আচরন(নির্যাতন) পাওয়াই স্বাভাবিক। টাকা দিয়ে কেনা গোলাম, যে মনিবের ভরন পোষনে চলে, কথা না শুনলে তো এমনই হবে।.........
আপনি খোচায় ওস্তাদ । তো কেনা গোলামের এই শাস্তিকে যদি আপনি বৈধ বলেন , তাহলে (আল্লাহকে যদি বিশ্বাস করেন) আল্লাহ যাদেরকে
সৃষ্টি করেছেন (সৃষ্টি তো কেনা গোলামের সাথে তুল্যই হতে পারে না)
তারা যদি তাঁর নির্দেশ আমান্য করে তাহলে তাঁর নির্ধারিত শাস্তিও তো বৈধ নাকি বলেন?
আপনি আল্লাহর একটা নামেরই মাত্র বর্ণনা করলেন ।আমরা আল্লাহর
আরও অনেক গুনবাচক নামের সাথে পরিচিত। আপনি আল্লাহর নামটির যে বর্ণনা করলেন, আপনার বর্ণনার তুলনায় সে নামটি আরও ভয়ানক । আল্লাহ যদি তাঁর সেই ;কাহহার; নাম ধারন করে আপ নার সম্মুখে হাজির হন তাহলে বুঝবেন আল্লাহ শাস্তিদানে খাব্বাব (রাঃ) এর
শাস্তিদাতা সহ আপনাদের মত সাপোর্টারদের তুলনায় কতোটা ভয়ংকর । কারন আল্লাহ স্পষ্টভাষী, যা সে নিজেই বর্ণনা করেছেন ।
মানলে মানবেন না মানলে না মানবেন ।
আপনাদের জন্য আল্লাহর বানী হল " লা কুম দিনুকুম ওলিয়াদিন।"
আনার ধর্ম আপনার কাছে আমার ধর্ম আমার কাছে ।

৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:১১

মাহমূদ হাসান বলেছেন: যারা মাইনাস দিল তারা মনে হয় মক্কার কাফেরদের অনুসারী। হিদায়াতের দোয়া করব না অভিশাপ দিব বুঝতে পারছি না।

১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৩০

আবুল কালাম বলেছেন: আমার জানার মধ্য উনিই সবছেয়ে বেশি নির্যাতিত সাহাবী।

ধন্যবাদ এমন সাহাবী নিয়ে পোস্ট দেয়ায়।

১১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪৯

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: @ মাহমূদ হাসান বলেছেন: যারা মাইনাস দিল তারা মনে হয় মক্কার কাফেরদের অনুসারী। হিদায়াতের দোয়া করব না অভিশাপ দিব বুঝতে পারছি না।

ভাই মাহামূদ হাসান মানুষকে কখনো অভিশাপ দিবেন না, শুধু আল্লাহর কাছে এতটুকু বলবেন আল্লাহ যেন এদের হেদায়েত দান করেন। সৃষ্টির শুরু থেকে এরা ছিল এখনো আছে এবং কাল কিয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত এরা থাকবে।

এরা যদি মৃত্যুকে এবং মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের ভয় পেত তাহলে কখনো সীমালংঘনকারী হতো না।

আল্লাহ সীমালংঘন কারীদের ভালোবাসেন না। এই পার্থিব জীবনই ওদের জন্য জান্নাত পরকারে সীমালংঘন কারীদের জন্য শুধু মাত্র জাহান্নামের আগুন।

১২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৫০

}নবজাতক{ বলেছেন:

@ হেডমাষ্টার

আপনার সাথে আমার ব্যাক্তিগত কোন বিরোধ নাই। তবে কয়েকশ বছরের পুরনো কাহিনী (যার বেশিরভাগই নথীবিহীন, লোকমুখে শুনে অনেক পরে সংকলিত) বর্তমান যুগে অচল। তবে স্বীকার করি, এখনও অনেকে এসব আবেগী কাহিনী শুনে দরদ দেখায়। আর আপনার মতো ঈমানদাররা (?!) বিধর্মীদের প্রযুক্তি ব্যাবহার করে এসব ব্লগে লেখে। :D

আপনি "মুহাম্মাদ তারিক সাইফুল্লাহ"র কাছে আমার করা মন্তব্যের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আপনি লিখেছেন "...তো কেনা গোলামের এই শাস্তিকে যদি আপনি বৈধ বলেন , তাহলে (আল্লাহকে যদি বিশ্বাস করেন) আল্লাহ যাদেরকে সৃষ্টি করেছেন (সৃষ্টি তো কেনা গোলামের সাথে তুল্যই হতে পারে না) তারা যদি তাঁর নির্দেশ আমান্য করে তাহলে তাঁর নির্ধারিত শাস্তিও তো বৈধ নাকি বলেন?"

আমি আপনার এই কথার সাথে পরিপূর্নভাবে একমত। আল্লাহ'র গোলামকে আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই শাস্তি দেবে যেমন ঠিক, ঠিক তেমনি খাব্বাবের মনিবেরা খাব্বাবকে ইচ্ছা মতন শাস্তি দিয়েছিল, এটাও ঠিক এবং বৈধ, আপনি কী বলেন?

আমি মুহাম্মাদ তারিক সাইফুল্লাহ কে বোঝাতে চেয়েছিলাম আমার তথাকথিত বর্বর (!) মানসিকতার চেয়ে আল্লাহ'র মানসিকতা অনেকগুন বেশি বর্বর


তবে বেহেশতের মদ্যপান, বিবাহবর্জিত নারী/পুরুষ সম্ভোগ, বহুগামীতা, সমকামীতা ইত্যাদি নিয়ে কিছু বললেন না? বলার কিছু নাই? হা হা হাআআ!!! =p~ আপনাদের মতো পাবলিকে যখন উত্তর এবং যুক্তি খুঁজে পায়না, তখন রেফারেন্স দেয়,"লা কুম দিনুকুম ওলিয়াদিন।" আপনার ধর্ম আপনার কাছে আমার ধর্ম আমার কাছে । তবে মোহাম্মদ থাকলে কনফার্ম জিব্রাঈল আরেকটা ওহী এনে দিত। :-B


১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:০৬

হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন:
আপনি আপনার পরিচয় আপনার নামের মধ্য দিয়ে প্রকাশ ঘটাননি ।
ঢিল ছোঢ়ার মত মাঝখান থেকে মাঝখান থেকে প্রশ্ন করছেন ।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমিও আপনার সাথে একমত এবং আপনার সাথে আমার ও কোন বিরোধ নেই , কিন্তু আপনি আমাকে ঈমানদার (?)
বলে ছোট করতেও ছাড়েন নি।
আমি ইসলামের কোন স্কলার নই , সেজন্য আপনার সব প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারব তা কিন্তু আমি কোথাও বলিনি । কিন্তু খোচা একটা সেখানেও দিয়েছেন । তারপরও আপনি যদি আপনার নিজস্ব পরিচয়
দেন তাহলে আপনার প্রশ্নের জবাবগুলো আমার সামর্থ্য অনুযায়ী দেওয়ার চেষ্টা করব , ইনশাআল্লাহ ।
কারন আপনার উত্তরে কোথাও আল্লাহকে মেনে নিচ্ছেন, আবার কোথাও তাঁর সিদ্ধান্তের উপহাস করছেন।
নাজেনে জানার ভান করে মিথ্যাকে সত্য বলে প্রচার করছেন ।
যাই হোক আমি একজন মুসলিম একথা আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরন করি ।
আপনার পরিচয় দিতে কী আপনি কুন্ঠাবোধ করছেন অথবা পরিচয় প্রকাশ পেলে অনেক প্রশ্ন হতে এই চিন্তায় পরিচয় প্রকাশ করছেন না?
আশাকরি নিজের অবস্থানকে স্পষ্ট করবেন এবং আলোচনা চালিয়ে
যাবেন ।

১৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:০১

}নবজাতক{ বলেছেন:

আপনি দেখি মূল বিষয় থেকে অনেক দূরে সরে এসে প্রায় ১৪০০ বছর পরের প্রসঙ্গ "আমার পরিচয়" নিয়ে টানা-হ্যাঁচরা শুরু করলেন। তবে নিজের জ্ঞানের অজ্ঞতাকে স্বীকার করার সৎ সাহস আপনার আছে দেখে ভাল লাগল।

ছদ্মনামে ব্লগিং কি কেউ পরিচয় দেবার জন্য করে? আমার কিন্তু জানতে ইচ্ছা করে না "হেডমাষ্টার" ঠিক কোন স্কুলের হেডমাস্টার!!! :-B

এই পোস্টের প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলাপ করার ইচ্ছা পোষন করছি।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৩৩

হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন:
যে নিজ ধর্ম ও বর্ণের পরিচয় দিতে কুন্ঠাবোধ করে তাঁর সাথে আলোচনা করে আর যাইহোক জ্ঞানের আদান-প্রদান হয় না, হয় শুধু
প্যাচাল, যা করার ইচ্ছা আদৌ নেই ।
আমার মূল প্রসঙ্গকে আপনি/আপনারাই টেনে নিয়ে গেছেন ভিন্ন জায়গায় ,আর দোষটা দিলেন আমার ?

১৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:০৬

}নবজাতক{ বলেছেন:

আল্লাহ'কে বিশ্বাস করেন? যদি বিশ্বাস করেন তবে নিজের চোখে দেখে না অন্যের মুখের কথা শুনে? চোখ-কান-মুখ-বিবেকে, অন্ধ-বন্ধ করে তালা লাগিয়ে তো বিশ্বাস করেন।
ভাল কথা, আল্লাহ কি মুসলমান না তাঁর কোন ধর্মই নাই? আর আল্লাহ'কে মানুষের সাথে কয়বার, কিভাবে পরিচয় করানো হয়েছে? তাঁর বর্ণ সম্বন্ধে আপনার ভাল ধারনা আছে? আপনি যদি মুসলমান হন তবে তো এই ব্যাপারে আপনার স্পষ্ট ধারনা থাকা উচিৎ। ;)

আমি তো বলেইছি যে, ছদ্মনামে ব্লগিং করে মানুষ পরিচয় জানাবার জন্য নয়। এবং এই পোস্টের প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলাপ করার ইচ্ছা পোষন করছি। প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কৌশলে মূল বিষয়ের মোড় "প্যাচাল" দিয়ে আপনিই ঘোরাচ্ছেন। B:-/

বল্‌লেই তো পারতেন আপনি জানেন না। মাফ করে দিতাম। নাকি হেডমাষ্টার হয়ে নবজাতকের কাছে নিজের জ্ঞানের অজ্ঞতা প্রকাশ করার সাহস নাই। :P

বিষয়টি অনেকটা মায়ের কাছে নানীর বাড়ির আবদার, পরিচয় না দিলে উত্তর দিব না। কয়জন ব্লগার স্ব-নামে ব্লগিং করছে এইখানে? আপনার নিজের পরিচয় স্ব-নামে উল্লেখ করেন নি কেন? যা নিজেই মানেন না, তা অন্যের কাছে অন্যায় আবদার করেন কেন? X(

তারপরও বলছি, আপনার সাহস থাকলে এই পোস্টের প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলাপ করার ইচ্ছা পোষন করছি। :-B

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:৫২

হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন:
আপনি আবারও একই প্যাচাল পাড়ছেন ।
আপনি জিজ্ঞাসা করলেন আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি কি না?
আপনি যদি মুসলমান হন......, মায়ের কাছে নানীর বাড়ীর আবদার...।
আমি আপনাকে দ্বীধাহীনভাবে উত্তর দিয়েছি যে এমি একজন মুসলিম ,
কিন্তু ইসলামের কোন স্কলার নই । কোন সন্দেহ নেই আপনি একজন জ্ঞানী ব্যক্তি। কিন্তু যে কথাগুলো আমি স্পষ্টভাবে বলেছি সে গুলো বার বার আপনি প্রশ্ন আকারে পেশ করছেন। একজন মুসলিমকে তাঁর আল্লাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছেন, আমার তো মায়ের কাছে
মামা বাড়ীর গল্প আমি করছি না আপনি করছেন ?
আপনার প্রশ্নের উত্তরটা আপনাকে কাছে পেলে দিতে সুবিধা হত। কাছে পেলে আপনাকে কষে আপনার দুইগালে দুইটা চড় মেরে জিজ্ঞাসা করতাম ব্যাথা পেয়েছেন? উত্তর হত অবশ্যই ব্যাথা পেয়েছি।
জনাব তাই যদি হয় তাহলে আপনি কী ঐ ব্যাথাটা আমাকে দেখাতে পারবেন? যদি পারেন তাহলে আমি আমার আল্লাহকেও আপনাকে দেখাতে পারব । ইনশাআল্লাহ ।

ছদ্মনামে ব্লগিং করতেই হবে, ব্লগিং এর সুত্র আমার জানা ছিল না।
একজন মুসলিম হিসাবে আমি ব্লগিং করতে এসেছি আপনাকে অথবা
আপনাদের মত ছদ্মবেশীদের গেরিলা হামলা চালাতে আসিনি ।
মানেন অথবা নাই মানেন আমার নামের সাথে আমার কর্মের বা পরিচয়ের কোন অমিল নেই । বিস্তারিত কেউ জানতে চাইলে অথবা সরাসরি সাক্ষাতেও আমার কোন আপত্তি নেই ,যদি বুঝি সেই ব্যক্তি প্রকৃত সত্যকে অস্বীকার করবে না ।

আমার পোষ্টে আমি এমন একজন মানুষের আলোচনা করেছি মাত্র,
যিনি কীনা তিনি তাঁর মহানুভাব আমিরুল মু;মিনিনের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মাত্র , কোন অভিযোগ করেননি । কারন এক্ষেত্রে ইসলামে অভিযোগ করার কোন সুযোগ নেই । যদি আরও জানতে চান তাহলে হযরত সালমান ফারসী (*রাঃ) এর জীবনীটা পড়ে দেখতে পারেন ।
গোলামীর জীবনাটা কতটা কষ্টের, সেটা অন্যায়ভাবে হওয়া সত্বেও তাঁর ক্ষেত্রে আল্লাহর রসুলে(সঃ) কী পরামর্শ ছিল , মানেন অথবা নাই মানেন অন্ততঃ একটু জানতে পারবেন। আমিরুল মু;মিমিন এই ঘটনার
জন্য উক্ত মহিলাকে কোনরুপ বিচারের সম্মুখনি করেছিল এরকম কোন প্রমান দেখাতে পারবেন? পোষ্টের সারমর্ম এই ।
এরপর কোথাকার কী পান্তাভাবে কী ?

আমাকে মাফ করার কথা বলছেন। আশ্চার্য হই আপনার জ্ঞানের বড়াই দেখে । কোন বিষয় না জানা থাকলে আপনি সর্বোচ্চ তাকে শিখানোর দাওয়াত দিতে পারেন মাত্র । আমি বিশ্বাস করি এই দুনিয়ায় কে ভাল মানুষ এটার ভাল উত্তর দিতে পারে একজন ভিক্ষুক, তেমনিভাবে কে ভাল শিক্ষক তা বলতে পারে ঐ শিক্ষকের ছাত্র । আপনি জ্ঞানী কিন্তু তা কতটা তা পরিমাপের সুযোই হল না তার আগেই জ্ঞানের বড়াই করতে শুরু করে দিলেন ?

একজন মুসলিমের সাহস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন?
আপনি যথেষ্ট জ্ঞানী , আশা করি প্রশ্ন গুলো যেন আপনার মানের হয় ।
মুসলিমদের সাহস সম্পর্কে জানতে চান ? শোনার সময় থাকলে জানাবেন বলার ইচ্ছা আমার আছে ।
আপনি আমার একটা কথার ভুল অর্থ করছেন আমি আপনার ব্যক্তিগত
পরিচয় চাইনি । আমি শুধু জানতে চেয়েছি আপনার ধর্ম কী? নাকী আপনি কোন ধর্মেরই অনুসারী নয় ? এটুকু জানাতেও কী দ্বীধা?
নাকি অনেক .....ছিদ্র ...অনেক ... ছিদ্র নিয়ে নিঃছিদ্রের মোকাবেলা করতে আপনিই ভয় পাচ্ছেন ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.