নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাঙালী তীরন্দাজ

বাংলাদেশ আমার অহঙ্কার

বাঙালী তীরন্দাজ

লেখা আমার নেশা, লেখা আমার পেশা

বাঙালী তীরন্দাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কী হতে পারে কাল?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

অনুমতি না পেলেও রোববার ঢাকা অভিযাত্রার পর নয়াপল্টনে জমায়েতের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে রেখেছে বিএনপি ও তার মিত্ররা। সেই সিদ্ধান্ত কার্যকরের ব্যাপারে অনড় তারা। অন্যদিকে সরকারও অনড় জমায়েত হতে না দেয়ার ব্যাপারে। এ অবস্থায় জনমনে শঙ্কা-উৎকণ্ঠা-উদ্বেগের শেষ নেই। ঘোরতোর প্রশ্ন- তাহলে কী হবে বা কী হতে পারে কাল। এদিকে চালকলীগের ডাকা হরতালের আগের দিন গতকাল থেকেই ঘুরছে না দূরপাল্লার গাড়ির চাকা। ফলে সারাদেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাজধানী। তবুও যে কোনো মূল্যে ঢাকা অভিমুখে মার্চ ফর ডেমোক্রেসি সফল করতে মরিয়া বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট।

জননিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তাদেরকে গণজমায়েতের অনুমতি দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন পর্যালোচনায় তারা জেনেছেন, গণজমায়েতের নামে নয়াপল্টনে বড় ধরনের নাশকতা ও সহিংস ঘটনা ঘটতে পারে। এতে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে অনুমতি না পেয়ে খালেদা জিয়া গণমাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় সব বাধা পেরিয়ে পল্টনে গণজমায়েত হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

১৮ দলের এ কর্মসূচি প্রতিহত করার প্রস্তুতি আছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। দলটি রাজধানীর চারটি প্রবেশমুখে সতর্ক পাহারা বসানোর ঘোষণা দিয়েছে।

আগে থেকেই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কর্মসূচিতে বাধা দিলে অবস্থা খারাপ হবে। যেখানে বাধা দেয়া হবে, সেখান থেকেই সরকার পতনের ডাক দেয়া হবে। আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো প্রকার নাশকতার চেষ্টা করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বসে থাকবে না।

মার্চ ফর ডেমোক্রেসি সফল করতে দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে কমপক্ষে ২০ হাজার, বগুড়া থেকে অন্তত ৬০ হাজার, বরিশাল থেকে অন্তত ৫০ হাজার, সিলেট থেকে কমপক্ষে ২০ হাজার, খুলনা থেকে ১০/১৫ হাজার, বাগেরহাট থেকে অন্তত ১০ হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক যোগ দেবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। এভাবে প্রত্যেক জেলা ও বিভাগীয় শহর থেকে নেতাকর্মীদের ঢাকায় আসার প্রস্তুতি রয়েছে। কেউ কেউ ঢাকায় এসে অবস্থানও নিয়েছেন। তবে সরকার সমর্থক সংগঠন চালকলীগ আজ ও কাল হরতাল আহ্বান করায় গতকাল থেকেই ঘুরছে না দূরপাল্লার যানবাহনের চাকা। এদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এমনকি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে গোয়েন্দা রিপোর্ট রয়েছে, ২৯ নভেম্বর রাজধানীতে সহিংসতা কিংবা নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারে। অথবা ৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির দাবিতে আওয়ামী লীগ জনতার মঞ্চ করেছিল। সে আদলে গণতন্ত্র রক্ষা মঞ্চ গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা করছে বিএনপি। তাদের পরিকল্পনা- নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ঢাকায় অবস্থান করবে।

সরকার, আওয়ামী লীগ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারণা, অভিযাত্রা কর্মসূচির আড়ালে চলছে নাশকতার চক্রান্ত। ৫ মে হেফাজতে ইসলামকে অবস্থান কর্মসূচি করতে দেয়ায় তারা অকল্পনীয় নাশকতা চালিয়েছে। ওই ভুল আর করবে না সরকার। সফল হতে দেবে না কোনো ধরনের চক্রান্ত। প্রয়োজনে লাঠি নিয়ে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের।

তিনপক্ষের মারমুখী অবস্থানে আশঙ্কা আরো বেড়েছে। সকলের একটাই জিজ্ঞাসা কী হবে ২৯ ডিসেম্বর।

শঙ্কা-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়ীদের মাঝেও। প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, পরস্পর বিরোধী সাংঘর্ষিক কথা না বলে সমস্যার সমাধান করা উচিত। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেন, দুই জোটের কঠোর অবস্থানের কারণে বড় ধরনের সংঘর্ষ হতে পারে। রাজধানীকেন্দ্রিক এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে সারাদেশে। এ অবস্থায় সরকারকে জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় শান্তিপূর্ণ ভূমিকা রাখা দরকার।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকার ও বিরোধী পক্ষের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে তারা আরো উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছে। উভয়পক্ষের মধ্যে কিছু ছাড় দিয়ে হলেও সমঝোতায় আসা দরকার।

সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দুই দলের ঘোষণা অনুযায়ী মনে হচ্ছে, তারা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এতে সমস্যার সমাধান না হয়ে আরো সংঘর্ষ বাড়বে।

তবে বিএনপির একটি সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচিতে বাধা দিলে ১ জানুয়ারি থেকে অসহযোগ ও গণকারফিউর মতো কঠোর কর্মসূচি হবে। মার্চ ফর ডেমোক্রেসি সফলে মরিয়া জামায়াতও। সঙ্গে থাকছে হেফাজতও। সব মিলিয়ে নতুন কোনো অঘটনের আশঙ্কাই উঁকি দিচ্ছে সব মহলে।

View this link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.