১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:৩৪

স্বপ্নকথক বলেছেন: সুন্দর কিছু প্রশ্ন, আমারো অনেকগুলা জানা নেই। পর্যবেক্ষণে রাখলাম।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:৪২

নষ্ট ছেলে বলেছেন:
"আমি একজন মুসলিম পরিবারের সন্তান, এবং মনে প্রাণে মুসলমান ।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা আমার মধ্যে আছে , সেইসাথে আছে ধর্ম ও কোরান কে জানার অদম্য ইচ্ছা "

আপনার এই কথাগুলো যদি সত্যি হয়ে থাকে এবং আপনি যদি ন্যূনতম এসএসসি পাশ হয়ে থাকেন তাহলে উপরের প্রশ্নের বেশির ভাগ উত্তরই জানার কথা। শুধু এসএসসি লেভেলের ইসলাম শিক্ষা বইতেই উপ্রের বেশির ভাগ প্রশ্নের উত্তর আছে।

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:৫৯

নর্থপোল বলেছেন: নষ্ট ছেলে যেমন বলেছেন, বেশির ভাগ উত্তরই আপনার জানা থাকার কথা। না জেনে থাকলে হয় আপনি মিথ্যা বলছেন যে আপনি মুস্লিম পরিবারের সন্তান, পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন নয়ত আপনার অন্য উদ্দেশ্য আছে। নিচের প্রশ্নগুলো থেকে তা কিছুটা আঁচ করা যায়

(৩)হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) কেনো হাদিস সংরক্ষন করতে মানা করে ছিলেন ?

(৬)হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) এর মৃত্যুর কত বছর পরে হাদিস সংকলিত ও সংরক্ষন করা শুরু হয় কেন এবং কিভাবে ?

(৮)খোলাফায়ে রাশেদীন কোন সাম্রাজ্যের খলিফা ছিলেন বা কোন দেশের খলিফা ছিলেন ?

(৯)ইসলাম এর প্রচার ও প্রসার এর ক্ষেত্রে তাদের সর্বজনস্বীকৃত অবদান কি ?

(১০)পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন সংরক্ষনার্থে কোন কোন সাহাবা বিশেষ ভুমিকা রেখেছিলেন ?

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:১৭

তাহের বলেছেন: স্বপ্নকথক বলেছেন: সুন্দর কিছু প্রশ্ন, আমারো অনেকগুলা জানা নেই। পর্যবেক্ষণে রাখলাম।

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:১৬

নষ্ট ছেলে বলেছেন: আপনার যখন এতই জানার ইচ্ছা তখন কোরআন পড়ুন হাদিস পড়ুন এগুলো বাংলা অনুবাদও আছে। ইসলামের উপর অনেক বই আছে সেগুলো পড়ুন। তারপর সেগুলো নিয়ে পোস্ট দেন অনেকের উপকার হবে সাথে নেকীও পাবেন।

৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৭:১৪

মেরিনার বলেছেন: আপনার প্রশ্নগুলো সমকালীন দুঃসময়ে যে কারো মনে আসতে পারে, তবে ব্লগে বা ব্লগের বাইরেও ই-মেইলের মাধ্যমে এগুলোর উত্তর দেয়া প্রায় অসম্ভব। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান মতে কোন sincere মুসলিমের এই সব কয়টা প্রশ্নের পূর্ণ উত্তর পেতে হয়তো ৫০০ পৃষ্ঠা পড়ে দেখতে হবে। আপনি চাইলে উত্তরগুলো কোথায় পাবেন, সেই বইগুলোর নাম বা সূত্র আমি আপনাকে বলে দেবো ইনশা'আল্লাহ!

৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:১৭

মুহাম্মদ আমিন বলেছেন: নর্থপোল - এর সাথে একমত, একজন ডাক্তারের কাছে যেয়ে যদি আপনি বলেন একটা চার তলা বাড়ি বানাতে কত খরচ হতে পারে এইটা যেমন বেমানান হবে, তেমনি এই ব্লগে এমন ব্লগার (আলেম) নাও থাকতে পারে যার কাছ থেকে আপনি এগুলোর সদুত্তর পাবেন, হক্কানি কোন আলেমের কাছে জান আশা করি সবগুলো প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন, আপনার যে যায়গায় চুলকানি সেখানে চুলকান ভাল হয়ে যাবে, আশা করি আপনার উত্তর পেয়ে গেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে, ভাল থাকবেন ।

৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৩৩

মাহমূদ হাসান বলেছেন: আসলে এ সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে কিছু ঘাটাঘাটিও করতে হবে আর লিখতে গেল তো কয়েক ঘন্টা। এতো সময় পাবো কোথায়?
ইন্টারনেটে ইংরেজীতে লিখে সার্চ দিতে পারেন আশা করি যে কোন ধরণের উত্তর পেয়ে যাবেন।

আমি বেশি কিছু জানি না।

(১)পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন কত খ্রীষ্টাব্দে নাজিল হয় ?
তখন হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) বয়স কত ছিল ?


৬১০ খ্রীষ্টাব্দে তখন রাসূল (সা এর বয়স চন্দ্র মাসের হিসাবে ৪০ বছর একমাস। স্থান হেরাগুহা।

(২)হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) এর জীবিত অবস্হায় কেন পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন সংকলিত হয়নি ?

সুদীর্ঘ ২৩ বছরে এক আয়াত দু'আয়াত এক সুরা এক রুকু এভাবে একটু একটু করে নাযিল হয়েছে। এতটুকু সত্যি যে আয়াত, সুরা রুকুর বিন্যাস এগুলো আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক করা হয়। তবে সকল সুরা সমূহকে একত্রিত করা হয়নি। আর তখন লেখা হতো চামড়ায়, খেজুরের ছালে।
এভাবে সবগুলো সুরা বিক্ষিপ্ত ছিল তবে অবশ্যই তা লিপিবদ্ধ ছিল।
হয়তো বা এতে কোন কারণ থাকতে পারে। হযরত আবু বকর (রা ও সংকলন করেননি। তিনি ভাবলেন, রাসুল (সা যেহেতু সংকলন করেননি তাই আমিও করবো না। পরবর্তীতে তা সংকলন করা হয়।

তবে সঠিক কথা হলো যখনই সংকলিত হোক এতে কোন ভুল নেই কারণ, আল্লাহর বাণী এই কুরআন আমি নাজিল করেছি আর আমিই এটাকে সংরক্ষণ করব।

(৩)হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) কেনো হাদিস সংরক্ষন করতে মানা করে ছিলেন ?
সাহাবায়ে কেরামের মাঝে এই ব্যাপারে মতবিরোধ ছিল কিন্তু এরপর সকলেই ঐক্যমত হন যে, হাদীস লিপিবদ্ধ করা জায়েজ।

যে হাদীসে নিষেধ করা হয়েছে তা এমন এক ব্যক্তির জন্য করা হয়েছিল যার স্মরণশক্তি ছিল কম। সে ভুল করতে পারে এই জন্য তাকে নিষেধ করা হয়েছিল।

অথবা প্রথমে নিষেধ করা হয়েছিল পরে অনুমতি দেয়া হয়েছে।

وحديث أبي شاه أخرجه البخاري من حديث أَبُي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ : ( لَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ قَامَ فِي النَّاسِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ إِنَّ اللَّهَ حَبَسَ عَنْ مَكَّةَ الْفِيلَ وَسَلَّطَ عَلَيْهَا رَسُولَهُ وَالْمُؤْمِنِينَ فَإِنَّهَا لا تَحِلُّ لأَحَدٍ كَانَ قَبْلِي وَإِنَّهَا أُحِلَّتْ لِي سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ وَإِنَّهَا لا تَحِلُّ لأَحَدٍ بَعْدِي فَلا يُنَفَّرُ صَيْدُهَا وَلا يُخْتَلَى شَوْكُهَا وَلا تَحِلُّ سَاقِطَتُهَا إِلا لِمُنْشِدٍ وَمَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ إِمَّا أَنْ يُفْدَى وَإِمَّا أَنْ يُقِيدَ فَقَالَ الْعَبَّاسُ إِلَّا الْإِذْخِرَ فَإِنَّا نَجْعَلُهُ لِقُبُورِنَا وَبُيُوتِنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلا الإِذْخِرَ فَقَامَ أَبُو شَاهٍ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ فَقَالَ : اكْتُبُوا لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( اكْتُبُوا لأَبِي شَاهٍ )

মক্কা বিজয়ের দিন রাসুল (সা: দাড়িয়ে খুতবা দিলেন (মক্কায় হিল্লে অবস্থানকারী পশু হত্যা নিষেধ। ঘাস বা গাছ কেটে ফেলাও নিষেধ ইত্যাদি।) তখন আবু শাহ নামে এক ব্যক্তি এসে বলল আপনার বক্তব্য আমাকে লিখে দিন। তখন রাসুল (সা আবু শাহকে আমার বক্তব্য লিখে দাও।
(মুসলিম শরীফ, হ্জ্জ অধ্যায়।)

(৪)হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) এর মৃত্যুর কত বছর পরে পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন সংরক্ষন ও সংকলিত শুরু হয় ?
হযরত আবু বকর (রা এর সময়ে সংকলন শুরু হয় তবে তখন তা ছিল খন্ড খন্ড একেবারে পরিপূর্ণ এক গ্রন্থ হয় হযরত উসমান (রা এর সময়ে।

(৫)কেন পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন ও আল হাদিস সংরক্ষন করা শুরু হয় এবং তা কত সালে শুরু ও কত সালে শেষ হয় ?

সংরক্ষিত না হলে জিনিসটা এলোমেলো হয়ে যাবে। তাছাড়া ধর্ম বিদ্বেষীরা ধর্ম বিকৃতির পায়তারা করছিল । আর সকল হুকুম আহকাম বের করার জন্যও সব হাদীসকে একত্রিত করা দরকার। তাই তারা সংকলনের প্রয়োজন অনুভব করলেন।

(৬)হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) এর মৃত্যুর কত বছর পরে হাদিস সংকলিত ও সংরক্ষন করা শুরু হয় কেন এবং কিভাবে ?
লিখা, মুখস্থ রাখা, ও হাদীসের উপর আমল করা, এই তিনভাবে ...।
একজন সাহাবী তার জানা সকল হাদীসকে সংকলিত করে রাখতেন অর্থাৎ ব্যক্তিগত সংগ্রহ যেমন মাসহাফে আবু হুরাইরা, মাসহাফে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ।
এটা তো এক বিশাল প্রশ্ন।

(৭)সমসাময়িক সময়ে অন্যান্য দেশে ধর্মীয় দিক দিয়ে কি অবস্থা চলছিল।
ইতিহাস মতে আইয়্যাম এ জাহেলিয়া যুগ কত সাল থেকে কত সাল পর্যন্ত ধরা হয় ?

সে সময়ে ভারতের অবস্থাই ছিল করুন। পারস্যে চলত অগ্নিপূজা।

(৮)খোলাফায়ে রাশেদীন কোন সাম্রাজ্যের খলিফা ছিলেন বা কোন দেশের খলিফা ছিলেন ?

খেলাফতে রাশেদা পড়ুন। সময়সীমা আর স্থানের সীমা আমার মুখস্থ নেই।

(৯)ইসলাম এর প্রচার ও প্রসার এর ক্ষেত্রে তাদের সর্বজনস্বীকৃত অবদান কি ?

এটা তো দিবালোকের মতই সুষ্পষ্ঠ। উত্তর দেয়ার প্রয়োজন মনে করি না।
কেউ যদি আপনাকে এমন প্রশ্ন করে বুঝবেন লোকটি কোন মতলব বাজ বা ধোঁকাবাজ।

(১০)পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন সংরক্ষনার্থে কোন কোন সাহাবা বিশেষ ভুমিকা রেখেছিলেন ?
ওহী লেখক চার জন সাহাবা। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা: হযরত উসমান রা: । নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।

যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে আল্লাহ আছে এর প্রমাণ কী?
এভাবে প্রশ্ন বিভিন্ন রকম করা যায়।

(১১)হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) ও খোলাফায়ে রাশেদীন এর আমলে মধ্যপ্রাচ্চ্য ছাড়া বিশ্বের আর কোন কোন দেশে ইসলাম প্রচার হয় ? যদি না হয়ে থাকে তাহলে কেন তা হয়নি ?

সাহাবীরা তো সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিলেন। এমনকি ইন্ডিয়াতেও একজন সাহাবীর কবর আছে। এমন কোন অঞ্চল ছিল না যেখানে সাহাবীরা যাননি (হিজরী ১ম একশ বছরে)

(১২)প্রথম পুস্তাকারে সংকলিত পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন কোথাও এখনও পর্যন্ত সংরক্ষিত আছে কি ? থাকলে তা কোথায় এবং কিভাবে সংরক্ষিত হয়েছে ?
মাছহাফে উসমান হযরত উসমান (রা এর কুরআন। তুরষ্কের তোপকাপি জাদুঘরে আছে এটা।

(১৩)পবিত্র কোরআনে পাচঁ ওয়াক্ত নামাজের উল্লেখ আছে কি ,থাকলে তা কোন সুরায় কত নং আয়াতে ?

ওযূর সময় ঘাড় কান মাসাহ করা , তারাবীহর নামাজের কথা কি কুরআনে উল্লেখ আছে। হজ্জের সকল নিয়মাবলী কি কুরআনে উল্লেখ আছে। মেরাজের রজনীর ঘটনায় বর্ণিত আছে আল্লাহ নামাজকে পাঁচ ওয়াক্ত করেছেন।
মুজমাল বা যে জিনিসের নিয়ম কুরআনে বর্ণিত নেই তা জানার একমাত্র উপায় রাসুলের বক্তব্য বা কর্ম। মোহরের পরিমাণও কুরআনে উল্লেখ নেই এগুলো রাসুলের বক্তব্য বা আমল দ্বারা জানা যা। আর যেটা সুদীঘ ও সুনির্দিষ্ট সময় ধরে প্রমাণিত সেখানে ব্যাখ্যার কোন অবকাশ নেই।


এইগুলো কাদের প্রশ্ন আহলে হাদীসের না?
ইদানিং কি কেউ আপনাকে এই প্রশ্নগুলো করেছে।

(১৪)আমরা যে নিয়মে নামাজ পড়ি সে নিয়মের উল্লেখ (কোরআন) কোথায় আছে ?
এই প্রশ্ন করতে গেলে ইসলাম ধর্মের ৬০ থেকে ৭০ % কাজই আপনি করতে পারবেন না।

এ ব্যাপারে একটি মূলনীতি হলো যখন কোন হাদীস সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হয় তখন তা দ্বারা এমনভাবে হুকুম সাব্যস্ত হবে যেভাবে কুরআনের আয়াত দ্বারা হুকুম সাব্যস্ত হয়। ধরুন, একটি হাদীস ১০ হাজার সাহাবী বর্ণনা করলেন এতে মিথ্যার কোন অবকাশ নেই তখন এর দ্বারা কুরআনের আয়াতের মত হুকুম সাব্যস্ত হবে।

কারণটা কি জানেন । ২৯ পারায় সূরা হাক্কাতে আছে "রাসুল যদি নিজের মন থেকে বানিয়ে কিছু বলতেন তাহলে আমি তার কন্ঠনালী কেটে দিতাম। "

মুহাম্মাদ হারগেজ না গুফতা তা না গুফতা জীবরাইল
জীবরাইল হার গেজ না গুফতা তা না গুফতা রাব্বুল জালীল।

রাসুল )সা ততক্ষণ কিছু বলেননি যতক্ষণ না জীবরাইল (আ কিছূ বলেননি আর জীবরাইল )আ ততক্ষন কিছু বলেননি যতক্ষণ না আল্লাহ তাকে বলেছেন।

আমি তো মোটামুটি একটা ধারণা দিলাম আপনাকে।
অনেক সময়ের দরকার বিস্তারিত আলোচনার জন্য। কমপক্ষে ৬ -৭ ঘন্টা লাগবে লিখতে।


সালাম।

৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৫৩

শুহম্মদ আবুল হাসান বলেছেন: উত্তর দেয়া যাবে কিন্তু সময়সাপেক্ষ বিষয়। কিন্তু একটা কথা আমাদের জানা দরকার তা হলো, আপনি আপনার পোস্টে বেশ কয়েকবার হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্রাম-এর ক্ষেত্রে 'মৃত্যু' শব্দটি ব্যবহার করেছেন। আসলে তিনি মৃত্যুবরণ করেননি, তিনি এই দুনিয়াবাসী থেকে পর্দা করেছেন, আড়ালে চলে গেছেন। মৃত্যুর পর আমাদের যে অবস্থা হয়, উনি সেই অবস্থায় নেই। বরং তিনি সব কিছু জানেন, শুনেন, এবং হাদীছ শরীফ অনুযায়ী তিনি মানুষের সমস্ত কিছু বণ্টন করে থাকেন। হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ পাক দান করেন, আমি বণ্টন করি।' সুতরাং তিনি এখনো বণ্টন করেন। তাই মুত্যু শব্দটি ব্যবহার না করে আমরা বিদায় শব্দটি ব্যবহার করতে পারি। ইসলামের জ্ঞান অর্জন তথনই স্বার্থক হবে যখন আল্লাহ পাক ও হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর প্রতি আদব, মুহব্বত পরিপূর্ণ হবে।

১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:১১

কগচডড বলেছেন: এই সব সস্তা প্রশ্ন নিয়া আপনি কেন ব্লগে আসেন? প্রায় সব মুসলমান এই প্রশ্ন গুলার উত্তর জানে। কারন এই গুলা জানা অত্যাবশকীয়।ক্লাস ৯-১০ এর বই পইড়া details উত্তর না পাইলে, নীলক্ষেত যান। সব উত্তর পাইয়া যাইবেন। আমাগো ব্লগে ইসলামি চিন্তাবিদ কম আছে।

মাইনাস

১১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:১৬

শুহম্মদ আবুল হাসান বলেছেন: (৮)খোলাফায়ে রাশেদীন কোন সাম্রাজ্যের খলিফা ছিলেন বা কোন দেশের খলিফা ছিলেন ?
এর উত্তর এই যে. ইসলাম প্রচারের ইসলাম পালনের কোন সীমা নেই, সকল জাতি, দেশ, স্থান নির্বিশেষে ইসলামের অধীন। সকলের জন্যই ইসলাম-এর হুকুমত। সুতরাং খুলাফায়ে রাশেদীন রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম গণ-এর খিলাফতের কোন নির্দিষ্ট সীমা ছিলনা। তবে উনারা যতটুকু অঞ্চল জয় করেছিলে তথনকার মত সে পর্যন্তই উনাদের খিলাফত ছিল, সাম্রাজ্য নয়। আর সেটা উত্তরে ইউরোপের স্পেন অতিক্রম করেছিল, পশ্চিমে উত্তর আফ্রিকা অনেকাংশ(যার ফলে আফ্রিকায় অনেক মুসলিম দেশ বিদ্যমান) আর পূর্বে মূলত চীন পর্যন্তও ছাহাবায়ে কিরামগণ পৌছেছিলেন। তবে প্রাথমিক অবস্থায় উনারা তখনকার প্রতাপশালী রোম সাম্রাজ্য, পারস্য সাম্রাজ উনারা ইসলামের ছায়াতলে আনেন। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে সেই সময়ের মসজিদের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে কিছুদিন আগে, এ থেকে ধারণা করা হয়, ছাহাবায়ে কিরামগণ আমাদের বাংলাদেশেও আগমন করেছেন।(সুবহানাল্লাহ)

১২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:২২

শুহম্মদ আবুল হাসান বলেছেন: এই পোস্টকে অবজ্ঞা করা ঠিক হবেনা। সবার জানা বলতে কোন কথা নেই, অনেকেরই না জানা থাকতে পারে। যিনি এই পোস্ট-এর মন্তব্য থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন। আর বর্তমানে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এসব বিষয় খুব কমই আলোচনা হয়। হলেও সংক্ষিপ্ত, বিস্তারিত আলোচনা হয়না বললেই চলে। মুলত: এই শিক্ষা ব্যবস্থার আসু সংস্কার প্রয়োজন। যে জাতি স্বীয় ইতিহাস সম্বন্ধে অবগত নয় সে জাতি কথনো উন্নত হতে পারবে না।

১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:২৩

শুহম্মদ আবুল হাসান বলেছেন: মুহম্মদ আবুল হাসান

১৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৪৪

কঠিনলজিক বলেছেন: আপনার ১৩ এবং ১৪ নং প্রশ্ন সম্পর্কে বলতে চাই । আমার বিশ্বাস ক্বোরান সম্পর্কে আপনার ধারণা ভুল । ক্বোরান কে আল্লাহ হেদায়াত বলেছেন হেদায়াত হল পথ নির্দেশক (guidance ) কোন ব্যবহার নির্দেশিকা (opareting manual ) নয় । ক্বোরানেই আবার আল্লাহ বলেছেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওআ সাল্লাম তোমাদের জন্য উত্তম ব্যবহার নির্দেশিকা (opareting manual ) ।
"উসওয়াতুন হাসানা" উত্তম আদর্শ মানে (opareting manual with demonstrations ) ।
সুতরাং ১৩ এবং ১৪ নং প্রশ্নের উত্তড় খোঁজা উচিৎ হাদিস বা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জিবনী তে । এবং স্বাভাবিক ভাবেই কোরানে এর উত্তর থাকার কথা নয় এবং নাই ।

১৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৫৩

নাম বলা যাবে না বলেছেন: ইসলামিক ওয়েবসাইট http://www.peaceinislam.com এ পোষ্টটি দিতে পারেন।

১৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:১০

মেরিনার বলেছেন: কুর'আন সম্পর্কে আপনার প্রশ্নের উত্তরগুলো মোটামুটিভাবে নীচের লিংকে পেয়ে যাবেন, যেখানে Uloom -ul-Qur'an-এর উপর একটা গোটা ই-বুক দেয়া আছে:

View this link

আর সুন্নাহ্ ও হাদীস সংক্রান্ত তথ্যগুলোর জন্য এই বইটা পড়ে দেখতে পারেন:

The Authority and Importance of Sunnah - Jamal al-Deen Zarabozo

১৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ভাবুক ০৯ বলেছেন:
মুহাম্মদ আমিন বলেছেন:
╔════════════════════════════════╗
║ আপনার যে যায়গায় চুলকানি সেখানে চুলকান ভাল হয়ে যাবে
╚════════════════════════════════╝

১৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৪৪

শুহম্মদ আবুল হাসান বলেছেন: http://www.al-ihsan.net. http://www.noorunalaanoor.blogspot.com. এই লিংক গুলোতে নিয়মিত ভিজিট করলে অনেক কিছু জানতে পারবেন বলে আশা রাখি।