নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধর্মে কর্মে বর্ণে আমি মানুষ\nতাই মানুষের গান গাই\nনশ্বর পৃথবীতে বর্ণে শব্দে কিছুটা কারন; \nরেখে যাই।

মনির হোসেন মমি

চাই স্বাবাভীক মৃত্যুর গ্যারান্টি

মনির হোসেন মমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধু না শত্রু

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮

কাটাঁ তারে ফেলানীর ঝুলন্ত লাশ।ভারতীয় সীমান্ত বাহিনীর গুলিতে প্রান হারান বাংলাদেশের এক হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে ফেলানী।তখন বিশ্বের গণমাধ্যে ফলো করে নিউজ হয়

"ঝুলন্ত ফেলানী নয় যেন ঝুলে গেছে বাংলাদেশের অস্তিত্ত্ব"।

সেই বিচারের রায়ের ফলাফল

"খুনি বেকুশর খালাশ"

ঝুলন্ত ফেলানীর লাশ যেন মাটিতে বানানো পুতুল।খুনি অমিয় ঘোষ নিরাপরাধ তাহলে খুন করল কে এর কোন উত্তর বি এস এফ দিতে পারেনি পারেনি আমাদের বি জি বি।যখন বিচার কাজ চলছে তখন ভারতীয়রা যে পক্ষপাতিত্ত্ব করছে তা তাদের বিচার কাজের পদ্ধতি ও বাংলাদেশের ফেলানীর বাবা মাকে সাক্ষ্যীর জন্য ভারতের কোচবিহারে অতি গোপনে নিয়ে যাওয়া এবং হঠাং দেশে ফেরানোর চমকই বলে দিয়েছিল ডালমে কুচ কালা হে।তাছাড়া বাংলাদেশের কোন সাংবাদিককেও বিচারের সময় প্রবেশ করতে দেয়নি ।এ বাংলাদেশ ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ হতেও তেমন কেউ ছিল বলে আমার জানা নেই।

১৯৭৮ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কেড়ে নেয়া তালপট্ট্রির ফেরত পেতে ভারত সরকারের সাথে অনেক বার কথা চালিয়েছিলেন।আজো সেই দাবী বাংলাদেশের জনগণের।রাজনিতীর খাতিরে রাজনিতীবিদরা সেই কথা ভুলে গেলোও জনগণ ভুলে নাই তালপট্ট্রি আমাদের সীমানার দাবী।

মুক্তি যুদ্ধে ভারত আমাদের সহায়তা করেছে।এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।কিন্তু যুদ্ধে পরাজিত পাক বাহিনীর ফেলে যাওয়া প্রচুর গোলাবারূদ গুলো কারা নিলো।আমার এক প্রত্যক্ষ দশী অনেক আক্ষেপ করে বলেছিলেন "ভাইরে ভারতে যে ভাবে পাক বাহিনীর রেখে যাওয়া সন্পদ নিয়ে গেছে তা দেখে কেবল আফসোস ছাড়া আর কিছুই করার ছিলনা।তার পরও বলব ভারত আমাদের বন্ধু।

কিন্তু তখন বন্ধু ভাবতে কষ্ট হয় যখন দেখি

পানি চুক্তি নিয়ে টাল বাহানা,

সুন্দর বনকে ধ্বংসের মূখে ফেলে বিদ্যুত কেন্দ্র করার ষড়যন্ত্রে রামপাল হতে প্রস্তাবিত বিদ্যুতকেন্দ্রের দূরত্ব নিয়ে চলছে কথা কাটা কাটি।একটি ইউটিউবের ভিডিউ লিংকে যা দেখলাম তাতে রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র বাংলাদেশের সুন্দর বনের জন্য রিস্ক।মাত্র ১২ কিঃ মিঃ।



সমুদ্র সীমানা নিয়ে কোন সমাধানে না আসা,

আমার চোখে দেখা কসবা সীমান্ত হতে বহুদূর বাংলাদেশের সীমান্তেও বাংলাদেশীরা কাজ করতে পারেনা।এটাই কি বন্ধুত্ত্ব ?

ভারতের সাথে আরেকটি অমিংসিত সমস্যা ছিট মহল ইস্যু যা ফেলানীর মত এখনও ঝুলে আছে।

ক্ষমতায় যেই দলই আসুক ভারতকে বাংলাদেশ কখনই বন্ধু ছাড়া শত্রু ভাবেনি।কারন বাংলাদেশের মানুষ কৃতজ্ঞতার বিশ্লেষন বুঝে।তাই বলে ভারত বাংলাদেশকে অসহায় কিংবা কমজুড়ি ভাবলে ভূল করবে।নিরস্ত্র বাঙ্গালী জাতি মাত্র নয় মাসে দেশ স্বাধীন করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে বাঙ্গালী জাতির সাহস আর দেশপ্রেমের কথা।আর ভারত যদি মনে করে নেপাল কিংবা ভূটানের মত আমাদের ঝুলিয়ে রাখবে সেখানেও ভূল করবে ভারত ।বাঙ্গালী জাতি সকল বাধা উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু করতে পেরেছে তাই বাঙ্গালীরা আর পিছু তাকাবেনা এগিয়ে যাবে সামনের দিকে।

অবশেষে বলব ভারত আমাদের শত্রু নয় ভালো বন্ধুও বটে।বন্ধুত্ত্বের তরে আসু সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসবে তা আমরা বিস্বাস করি।









মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.