নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধর্মে কর্মে বর্ণে আমি মানুষ\nতাই মানুষের গান গাই\nনশ্বর পৃথবীতে বর্ণে শব্দে কিছুটা কারন; \nরেখে যাই।

মনির হোসেন মমি

চাই স্বাবাভীক মৃত্যুর গ্যারান্টি

মনির হোসেন মমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধের ছাড়পত্র

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

মাগো সেই কবে দু-মুঠো ভাত খেয়েছি

মনে নেই....

ভেবেছি খিদে লাগবে যখন

খুজব তখন অন্নের নতুন দোয়ার।



বয়সের ভাড়ে নূয়ে গেছে কাজের ক্ষমতা

বুঝি না ভালো মন্দ

৭১'রে যেভাবে না বুঝেই নেমেছিলাম দেশমাতৃর যুদ্ধে

হাতে তুলে নিয়েছিলাম পাক হায়না ধ্বংসের অস্ত্র।



করেছি স্বাধীন,ফিরেছি স্ব-গ্রামে

নেই কেউ বেচে আর...!!!.

ঘরের মেঝেতে পড়েছিল সন্ভ্রম হারানো রক্তমাখা বোনের লাশ!

ঢেকেছিলাম সন্ভ্রম, রক্তমাখা পতাকায়।

বাড়ান্দায় রক্তে রঙ্গীন হয়ে পড়ে আছে আমার অবুঝ শিশু।



মায়ের পায়ে সালাম করে বলেছিলাম

ফিরে এসে গড়ব সুখের ঘর,

চাদঁ থেকে চেয়ে নেব ঘরের আলো,

এসেছি আমি, শুধু একা -চারপাশের আমার কেউ নেই।



নেড়েছি কড়া ঘরে ঘরে

জীবন চাকা সচলে ,মবিলের খুজে

পাইনি সাড়া -আমি যে তালিকাহীন মুক্তিযুদ্ধা!!

ছেয়ে গেছে তালিকা নামধারী মুক্তিযুদ্ধায়।



বয়সের ভাড়ে নূয়ে গেছে জীবনের জীবাংশটা

মনে হয় এখনও যুদ্ধেই আছি

নয় দেশমাতৃর তরে

নিজকে দাড় করিয়ে রাখতে, ভিক্ষার খোজে

হাতে নেই সেই যুদ্ধের অস্ত্র

বয়সের ভাড়ে নিজেকে স্হির রাখার এই লাঠিটা যেন

আমার স্বাধীনতার শেষ অস্ত্র!



চোখে দেখি ঝাপসা,যুদ্ধের সময়

কালো ফ্রেমে বাধানো সহযোদ্ধার উপহার চশমাটাও যেন বলছে

সময় ফুরিয়ে এসেছে,ফিরে যাবার নারীর কাছে

দিবে কি তোমরা আমায় একটি শেষ মুক্তিযুদ্ধের ছাড়পত্র।



কোন অভিযোগ নেই,যাবার বেলায় বলব শুধু

যেদিন জানবে আমার পরিচয়,কেদোনা সেদিন

করোনা আয়োজন ঢাক-ঢোল দিয়ে,

দিয়েওনা কোন মরনোত্তর উপহার।



চলে যাবার বেলায় দিও আমায় আর এটি মুক্তিযুদ্ধের

রাজাকারহীন বাংলা ছাড়ার ছাড়পত্র।

পরকালে যেন বলতে পারি

রেখে এসেছি ঐ বাংলায় আমাদের অসমাপ্ত কাজে

সবুজ মায়ের ,সোনার ছেলেদের।।

























মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.