নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কৈ মাছের প্রাণ

ফেসবুক আইডি:নাই

স্পাইডার

আমি খুব ভালো লোক। ব্লগের সকল নিয়ম মেনে চলি।

স্পাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেল্লাচি বলেছিলো শেখ মুজিব ভুয়া এবং মেকী

১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৩৮





২৯ জুন ইতালিয়ান লেখিকা ওরিয়েনা ফাল্লাচির জন্মদিন। বাংলাদেশের সচেতন মহল এই নামটির সাথে পরিচিত। বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে তার নেয়া একটি সাক্ষাতকার বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। এই দেশের মানুষের প্রতি তার মূল্যায়ন এখনকার সময়ে এসে অতি প্রয়োজনীয় হিসাবে দেখা দিয়েছে। এই ধরনের সত্যব্রত সাংবাদিক পৃথিবীতে খুব একটা বেশি জন্মলাভ করেনি। প্রথমে তার জন্ম দিনে তাকে স্মরণ করছি। ২০০৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যবরন করেন তিনি। তিনি এমন একজন সাংবাদিক ছিলেন যে কথপোকথনের মাধ্যমে আসল সত্যকে উদ্ধার করতে পারতেন। বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে তার সম্পর্ক কি সেটা বলার আগে তার সম্পর্কে কিছুটা আমি উল্ল্যেখ করছি।



ইতালিয়ান লেখিকা ওরিয়ানা ফাল্লাচি আপসহীন রাজনৈতিক সাক্ষাতকার গ্রহণকারী হিসেবেই সবচেয়ে পরিচিত। তিনি ১৯২৯ সালের ২৯ জুন ইতালির ফোরেন্সে জন্মগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ফ্যাসিবাদ বিরোধী একজন সক্রিয় কর্মী। দীর্ঘ পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে তিনি অত্যন্ত সফল। সাংবাদিক হিসেবে ওরিয়ানা আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিত রাজনৈতিক ও নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্বের সাক্ষাতকার নিয়েছেন। তাদের মাঝে হেনরি কিসিঞ্জার, ইরানের শাহ, আয়াতুল্লাহ খোমিনি, উইলি ব্রান্ডিট, জুলফিকার আলী ভুট্টো, ওল্টার ক্রনকিট, ওমর খাদাফি, ফেডরিকো ফেলিনি, ইয়াসির আরাফাত, ইন্দিরা গান্ধী, শেখ মুজিব,শন কনারি প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওরিয়ানা ফাল্লাচি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গণতান্ত্রিক স্বশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী 'গুইয়াসতিজিয়া ই লিবার্তা'য় যোগ দেন। তার পিতা এদোয়ার্দো ফাল্লাচি ছিলেন একজন কাঠশিল্পী ও সক্রিয় রাজনৈতিককর্মী। ইতালির ফ্যাসিস্ট বেনিটো মুসোলিনি'র বিরুদ্ধে তারা সংগ্রাম করছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত সফলও হয়েছেন। তবে এর জন্যে এদোয়ার্দো ফাল্লাচিকে অনেক নির্যাতন সহ্য করতে হয়। মুসোলিনির বিরুদ্ধে আন্দোলনে ওরিয়ানার পিতা এদোয়ার্দো একবার ধরা পড়েন। অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয় তার ওপর। রাজনৈতিক ম্যাগাজিন 'এল ইউরোপীয়' তে দীর্ঘদিন বিশেষ রাজনৈতিক প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বহু খ্যাতনামা সংবাদপত্র এবং ম্যাগাজিনে লেখালেখি করেছেন। ১৯৬৮ সালে মেক্সিকান স্বশস্ত্র গোষ্ঠী ওরিয়ানার ওপর তিনবার বন্দুক হামলা চালায়। প্রতিবারই তিনি অল্পের জন্যে প্রাণে রক্ষা পান। ১৯৭৩ সালে সাক্ষাতকার নিতে গিয়ে আলেক্সজান্ডার প্যানাগোউলিস'র প্রেমে পড়েন তিনি। ১৯৬৭ সালের গ্রিক একনায়কের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ছিলেন আলেক্সজান্ডার প্যানাগোউলিস। ১৯৭২ সালে ওরিয়ানা ফাল্লাচিকে দেয়া সাক্ষা'কারে হেনরি কিসিঞ্জার, 'ভিয়েতনাম যুদ্ধ'কে অপ্রয়োজনীয় বলে স্বীকার করে নেন। কিসিঞ্জার পরবর্তীতে এই সাক্ষাতকার সম্পর্কে লিখেছেন, 'প্রেসের সঙ্গে জড়িত কারো সঙ্গেই ইতোপূর্বে আমি এতো ভয়ঙ্কর কোনো আলোচনা করিনি।' 'লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস' এ ওরিয়ানাকে চিত্রিত করা হয়েছে এভাবে, 'কোনো বিশ্ব ব্যক্তিত্বের পক্ষেই যে সাংবাদিককে 'না' বলা সম্ভব নয়।' নিজের সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ন ছিল, 'আমি কখনোই নিজেকে শান্ত একটি রেকর্ডারের মতো বিবেচনা করি না, যে শুধু যা দেখে এবং শোনে সাফল্যের সঙ্গে তাই ধারণ করে রাখে। 'ওরিয়ানা ফাল্লাচির এই বক্তব্যের মধ্যে তার নিজস্ব দর্শনের কিছুটা ছাপ পাওয়া যায়। অর্থাত সবকিছুর পরও নিজের অভিমত বা সিদ্ধান্তকে তিনি মর্যাদা দিতে আগ্রহী। ওরিয়ানা তাঁর নেয়া সাক্ষাতকার সম্পর্কে বলেছেন, 'প্রতিটি সাক্ষা'কারই আমার নিজের আঁকা ছবি।' বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমি যদি চিত্রকর হতাম এবং তখন তোমার ছবি আঁকতাম, তবে সে সময় আমি যেভাবে তোমাকে আঁকতে চাইতাম সেভাবে আঁকার অধিকার কি আমার থাকতো না?'



সাংবাদিকতায় ওরিয়ানা ফাল্লাচি দুইবার সম্মানজনক 'সেন্ট ভিনসেন্ট' পুরস্কার অর্জন করেন। এ ছাড়াও সাংবাদিকতায় এবং লেখালেখির কারণে তিনি বহু পুরস্কার অর্জন করেন। শিকাগোর কলাম্বিয়া কলেজ তাঁকে 'ডি লিট' সম্মানে ভূষিত করেছে। ওরিয়ানা ফাল্লাচি ইউনির্ভার্সিটি অব শিকাগো, ইয়েল ইউনিভার্সিটি, হার্ভাড ইউনিভার্সিটি এবং কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে লেকচার দিয়েছেন। ওরিয়ানা ফাল্লাচি’র লেখা বিশ্বের প্রায় ২১টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তাঁর রচিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে, এ ম্যান (১৯৭৯), দ্য সেভেন সিনস অব হলিউড (১৯৫৮), দ্য ইউজলেস সেক্স: ভয়েজ অ্যারাউন্ড দ্য ওম্যান, (১৯৬১), পেনেলোপ এট ওয়ার (১৯৬২), লাইমলাইটার্স (১৯৬৩), দ্য ইগোটিস্ট: সিক্সটিন সারপ্রাইজিং ইন্টারভিউস (১৯৬৩), কুয়েল জিওরনো সুলা লুনা (১৯৭০), ইনশাল্লাহ, ইফ দ্য সান ডাইস, ইন্টারভিউ উইথ হিস্টরি (১৯৭৬), লেটার টু অ্যা চাইল্ড নেভার বর্ন, নাথিং অ্যান্ড সো বি ইট, ওরিয়ানা ফাল্লাসি ইন্টারভিসতা ওরিয়ানা ফাল্লাচি (২০০৪), দ্য রেজ অ্যান্ড দ্য প্রাইড (২০০১) এবং দ্য ফোর্স অব রিজন (২০০৪) উল্লেখযোগ্য।



জীবনের শেষ বছরটি তিনি কাটিয়েছেন নিউইয়র্কে। সেখানে তিনি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চিকিতসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি আর টিকে থাকেননি। ২০০৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর , ৭৭ বছর বয়সে নিজ শহর ইতালির ফোরেন্সে চিরঘুমের দেশে পাড়ি জমিয়েছেন আমৃত্যু সংগ্রামী ওরিয়ানা ফাল্লাচি ।(ইনফরমেশন গুলো ইন্টারনেট থেকে নেওয়া ও কিছু অনুবাদ করা)



১৯৭২ সালের ফেব্রিয়ারীতে ফেল্লাচি বাংলাদেশে আসেন শেখ মুজিবের সাক্ষাতকার নেবার জন্য।এই সাক্ষাতকারে মুজিব কেমন ধরনের মানুষ ছিলেন সেই সম্পর্কে বিষদ বিবরন তিনি দিয়েছেন।সাক্ষাতকারটি এতো বড় যে সেটা এখানে তুলে দেওয়া সম্ভব নয়।এই সাক্ষাতকারটির অংশগুলো আমি সাংবাদিক এবং অনুবাদক আনোয়ার হোসাইন মঞ্জুর লেখা থেকে সম্পাদনা করেছি।



রবিবার সন্ধ্যা : আমি কলকাতা হয়ে ঢাকার পথে যাত্রা করেছি। সত্যি বলতে কি, ১৮ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী তাদের বেয়নেট দিয়ে যে যজ্ঞ চালিয়েছে তা প্রত্যক্ষ করার পর পৃথিবীতে আমার অন্তিম ইচ্ছা এটাই ছিল যে, এই ঘৃণ্য নগরীতে আমি আর পা ফেলবো না। এ রকম সিদ্ধান্ত আমি নিয়েই ফেলেছিলাম। কিন্তু আমার সম্পাদকের ইচ্ছা যে, আমি মুজিবের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করি। ভুট্টো তাকে মুক্তি দেয়ার পর আমার সম্পাদকের এই সিদ্ধান্ত যথার্থ ছিল। তিনি কি ধরনের মানুষ? আমার সহকর্মীরা স্বীকৃতি দিল, তিনি মহান ব্যক্তি, সুপারম্যান। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি দেশকে সমস্যামুক্ত করে গণতন্ত্রের পথে পরিচালিত করতে পারেন।

আমার স্মরণ হলো, ১৮ ডিসেম্বর আমি যখন ঢাকায় ছিলাম, তখন লোকজন বলছিল, ‘মুজিব থাকলে সেই নির্মম, ভয়ঙ্কর ঘটনা কখনোই ঘটতো না। মুজিব প্রত্যাবর্তন করলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না’। কিন্তু গতকাল মুক্তিবাহিনী কেন আরো ৫০ জন নিরীহ বিহারিকে হত্যা করেছে? ‘টাইম’ ম্যাগাজিন কেন তাকে নিয়ে বিরাট প্রশ্নবোধক চিহ্ন দিয়ে হেডলাইন করেছে? আমি বিস্মিত হয়েছি, এই ব্যক্তিটি ১৯৬৯ সালের নভেম্বরে সাংবাদিক অ্যালডো শানতিনিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমার দেশে আমি সবচেয়ে সাহসী এবং নির্ভীক মানুষ, আমি বাংলার বাঘ, দিকপাল ... এখানে যুক্তির কোনো স্থান নেই ...।’ আমি বুঝে উঠতে পারিনি, আমার কি ভাবা উচিত।......



...... আমরা রান্নাঘরে প্রবেশ করে দেখলাম, মুজিবের স্ত্রী খাচ্ছেন। সঙ্গে খাচ্ছে তার ভাগনে ও মামাতো ভাইবোনেরা। একটা গামলায় ভাত-তরকারি মাখিয়ে আঙ্গুল দিয়ে মুখে পুরে দিচ্ছে সবাই। এ দেশে খাওয়ার পদ্ধতি এ রকমই। মুজিবের স্ত্রী আমাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন। ঠিক তখনই মুজিব এলেন। সহসা রান্নাঘরের মুখে তার আবির্ভাব হলো। তার পরনে এক ধরনের সাদা পোশাক, যাতে আমার কাছে তাকে মনে হয়েছিল একজন প্রাচীন রোমান হিসেবে। পোশাকের কারণে তাকে দীর্ঘ ও ঋজু মনে হচ্ছিল। তার বয়স একান্ন হলেও তিনি সুপুরুষ। ককেশীয় ধরনের সুন্দর চেহারা। চশমা ও গোফে সে চেহারা হয়েছে আরো বুদ্ধিদীপ্ত। যে কারো মনে হবে, তিনি বিপুল জনতাকে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি। তিনি স্বাস্থ্যের অধিকারী।



আমি সোজা তার কাছে গিয়ে পরিচয় পেশ করলাম এবং আমার উদ্দেশ্য ব্যক্ত করলাম। মি. সরকার ভূমিতে পতিত হয়ে মুজিবের পদচুম্বন করলেন। আমি মুজিবের হাতটা আমার হাতে নিয়ে বললাম, ‘এই নগরীতে আপনি ফিরে এসেছেন দেখে আমি আনন্দিত, যে নগরী আশঙ্কা করছিল যে আপনি আর কোনোদিন এখানে ফিরবেন না।’ তিনি আমার দিকে তাকালেন একটু উষ্মার সঙ্গে। একটু অবজ্ঞার হাসি হেসে বললেন, ‘আমার সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বলো।’

আমার দ্বিধা ও সন্দেহের কারণ উপলব্ধি করা সহজ। মুজিবকে আমি জেনে এসেছি একজন গণতন্ত্রী ও সমাজতন্ত্রী হিসেবে। যখন আমি দম নিচ্ছিলাম, একজন যুবক আমার কাছে এসে বললো, সে ভাইস সেক্রেটারি। বিনয়ের সঙ্গে সে প্রতিশ্রুতি দিল, বিকাল চারটার সময় আমি ‘সরকারি বাসভবনে’ হাজির থাকতে পারলে আমাকে দশ মিনিট সময় দেয়া হবে।...



সেই সময়ের ঢাকা নগরীকে তিনি এই ভাবে তুলে ধরেছেন- ......বিকাল সাড়ে তিনটায় নগরী ক্লান্ত, নিস্তব্ধ, ঘুমন্ত মধ্যাহ্নের বিশ্রাম নিচ্ছে। রাস্তায় কাধে রাইফেল ঝুলানো মুক্তিবাহিনী টহল দিচ্ছে। যুদ্ধ শেষ হয়েছে এক মাসেরও বেশি সময় আগে। কিন্তু এখনো তাদের হাতে অস্ত্র আছে। তারা রাত-দিন টহল দেয়। এলোপাতাড়ি বাতাসে গুলি ছোড়ে এবং মানুষ হত্যা করে। হত্যা না করলে দোকানপাট লুট করে। কেউ তাদের থামাতে পারে না, এমনকি মুজিবও না। সম্ভবত তিনি তাদের থামাতে সক্ষম নন। তিনি সন্তুষ্ট এজন্য যে, নগরীর প্রাচীর তার পোস্টার সাইজের ছবিতে একাকার। মুজিবকে আমি আগে যেভাবে জেনেছিলাম, তার সঙ্গে আমার দেখা মুজিবকে মেলাতে পারছি না।...



ফেল্লাচি মুজিবের চারিত্রিক এবং ব্যক্তিত্যের বৈশিষ্ট্য নিয়ে নিজেকেই প্রশ্ন করেছেন এইভাবে... সোমবার সন্ধ্যা : আমি যে তার সাক্ষাৎকার নিয়েছি এটা ছিল একটা দুর্বিপাক। তার মানসিক যোগ্যতা সম্পর্কে আমার সন্দেহ ছিল। এমনকি হতে পারে যে, কারাগার এবং মৃত্যু সম্পর্কে ভীতি তার মস্তিষ্ককে ভীষণভাবে আলোড়িত করেছে? তার ভারসাম্যহীনতাকে আমি আর কোনোভাবেই ব্যাখ্যা করতে পারি না। একই সময়ে আমি বলতে চাচ্ছি, কারাগার এবং মৃত্যুর ভয় ইত্যাদি... সম্পর্কে কাহিনীগুলো... আমার কাছে এখনো খুব স্পষ্ট নয়। এটা কি করে হতে পারে যে, তাকে যে রাতে গ্রেফতার করা হলো, সে রাতে সব পর্যায়ের লোককে হত্যা করা হলো? কি করে কি করে এটা হতে পারে যে, তাকে কারাগারের একটি প্রকোষ্ঠ থেকে পলায়ন করতে দেয়া হলো, যেটি তার সমাধিসৌধ হতো? তিনি কি গোপনে ভুট্টোর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিলেন? আমি যতো তাকে পর্যবেক্ষণ করেছি, ততো মনে হয়েছে, তিনি (মুজিব) কিছু একটা লুকাচ্ছেন।...

এরপর ফেল্লাচি মুজিবের অফিসে যায় এবং তার সাথে কথা বলার বিবরন দিতে গিয়ে বলেন মুজিব তারসাথে খুব একটা ভালো ব্যবহার করেননি।তিনি সাক্ষাতকারটি এইভাবে নিয়েছেন- কেউ আমাকে অভ্যর্থনা জানালো না। কেউ আমার উপস্থিতিকে গ্রাহ্য করলো না। মুজিব আমাকে বসতে বলার সৌজন্য প্রদর্শন না করা পর্যন্ত সুদীর্ঘক্ষণ নীরবতা বিরাজ করছিল। আমি সোফার ক্ষুদ্র প্রান্তে বসে টেপ রেকর্ডার খুলে প্রথম প্রশ্ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু আমার সে সময়ও ছিল না। মুজিব চিৎকার শুরু করলেন, ‘হারি আপ, কুইক, আন্ডারস্ট্যান্ড? নষ্ট করার মতো সময় আমার নেই। ইজ দ্যাট ক্লিয়ার?... পাকিস্তানিরা ত্রিশ লক্ষ লোক হত্যা করেছে, ইজ দ্যাট কিয়ার... আমি বললাম, ‘মি. প্রাইম মিনিস্টার...।’ মুজিব আবার চিৎকার শুরু করলেন, ‘ওরা আমার নারীদেরকে তাদের স্বামী ও সন্তানদের সামনে হত্যা করেছে। স্বামীদের হত্যা করেছে তাদের ছেলে ও স্ত্রীর সামনে। মা-বাপের সামনে ছেলেকে, ভাইবোনের সামনে ভাইবোনকে ... ‘মি. প্রাইম মিনিস্টার... আমি বলতে চাই...’

‘তোমার কোনো কিছু চাওয়ার অধিকার নেই, ইজ দ্যাট রাইট?’

‘আমার প্রথম প্রতিক্রিয়া হলো। কিন্তু একটা বিষয় সম্পর্কে আমি আরো কিছু জানতে চাই।’ বিষয়টা আমি বুঝতে পারছিলাম না। ‘মি. প্রাইম মিনিস্টার, গ্রেফতারের সময় কি আপনার ওপর নির্যাতন করা হয়েছিল।’

‘নো, ম্যাডাম নো। তারা জানতো, ওতে কিছু হবে না। তারা আমার বৈশিষ্ট্য, আমার শক্তি, আমার সম্মান, আমার মূল্য, বীরত্ব সম্পর্কে জানতো, আন্ডারস্ট্যান্ড?’

‘তা বুঝলাম। কিন্তু আপনি কি করে বুঝলেন যে তারা আপনাকে ফাঁসিতে ঝোলাবে? ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়?’

‘নো, নো ডেথ সেনটেন্স।’

এই পর্যায়ে তাকে দ্বিধাগ্রস্ত মনে হলো এবং তিনি গল্প বলতে শুরু করলেন, ‘আমি এটা জানতাম। কারণ ১৫ ডিসেম্বর ওরা আমাকে কবর দেয়ার জন্য একটা গর্ত খনন করে।’

‘কোথায় খনন করা হয়েছিল সেটা?’

‘আমার সেলের ভেতরে।’

‘আমাকে কি বুঝে নিতে হবে যে গর্তটা ছিল আপনার সেলের ভেতরে?’

‘ইউ মিস আন্ডারস্ট্যান্ড।’

‘আপনার প্রতি কেমন আচরণ করা হয়েছে মি. প্রাইম মিনিস্টার?’

‘আমাকে একটা নির্জন প্রকোষ্ঠে রাখা হয়েছিল। এমনকি আমাকে সাক্ষাৎকারের অনুমতি দেয়া হতো না, সংবাদপত্র পাঠ করতে বা চিঠিপত্রও দেয়া হতো না, আন্ডারস্ট্যান্ড?’’

‘তাহলে আপনি কি করেছেন?’

‘আমি অনেক চিন্তা করেছি, পড়াশোনা করেছি।’

‘আপনি কি পড়েছেন?’

‘বই এবং অন্যান্য জিনিস।’

‘তাহলে আপনি কিছু পড়েছেন।’

‘হ্যা, কিছু পড়েছি’।

‘কিন্তু আমার ধারণা হয়েছিল, আপনাকে কোনো কিছুই পড়তে দেয়া হয়নি।’

‘ইউ মিস আন্ডারস্টুড।’

‘তা বটে মি. প্রাইম মিনিস্টার। কিন্তু এটা কি করে হলো যে, শেষ পর্যন্ত ওরা আপনাকে ফাঁসিতে ঝোলালো না।’

‘জেলার আমাকে সেল থেকে পালাতে সহায়তা করেছেন এবং তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন।’

‘কেন, তিনি কি কোনো নির্দেশ পেয়েছিলেন?’

‘আমি জানি না। এ ব্যাপারে তার সঙ্গে আমি কোনো কথা বলিনি এবং তিনিও আমার সঙ্গে কিছু বলেননি।’

‘নীরবতা সত্ত্বেও কি আপনারা বন্ধুতে পরিণত হয়েছিলেন?’

‘হ্যা, আমাদের মধ্যে বহু আলোচনা হয়েছে এবং তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আমাকে সাহায্য করতে চান।’

‘তাহলে আপনি তার সঙ্গে কথা বলেছেন?’

‘হ্যা, আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি।’

‘আমি ভেবেছিলাম, আপনি কারো সঙ্গেই কথা বলেননি।’

‘ইউ মিস আন্ডারস্টুড।’

‘তা হবে মি. প্রাইম মিনিস্টার। যে লোকটি আপনার জীবন রক্ষা করলো আপনি কি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা অনুভব করেন না?’

‘এটা ছিল ভাগ্য। আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি।’...

এরপর ফেল্লাচি মুজিবের সাথে নানা প্রসঙ্গে জানতে চান কিন্তু শেখ মুজিব তাকে ডমিনেট করে কথা বলতে থাকে।মুজিবের ব্যক্তিগত সম্পত্তির দুঃখ যে তার মনকস্টের কারন হয়ে আছে সেটা ফেল্লাচির কাছে অবাক করেছে।ফেল্লাচি বিষয়টিকে এভাবে লিখেছে-

... আমার বাড়ি, জমি, সম্পত্তি ধ্বংস করেছে, আমার...(মুজিব)।’



তিনি যখন তার সম্পত্তির অংশে পৌছলেন, তার মধ্যে এমন একটা ভাব দেখা গেল, যা থেকে তাকে এ প্রশ্নটা করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করলাম যে, তিনি সত্যিই সমাজতন্ত্রী কি না? তিনি উত্তর দিলেন, ‘হ্যা...’। তার কণ্ঠে দ্বিধা। তাকে আবার বললাম, সমাজতন্ত্র বলতে তিনি কি বোঝেন? তিনি উত্তর দিলেন, ‘সমাজতন্ত্র’। তাতে আমার মনে হলো, সমাজতন্ত্র সম্পর্কে তার যথার্থ ধারণা নেই।

এরপর ১৮ ডিসেম্বর হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি রাগে ফেটে পড়লেন। নিচের অংশটুকু আমার টেপ থেকে নেয়া:

‘ম্যাসাকার? হোয়াট ম্যাসাকার?’

‘ঢাকা স্টেডিয়ামে মুক্তিবাহিনীর দ্বারা সংঘটিত ঘটনাটি।’

‘ঢাকা স্টেডিয়ামে কোনো ম্যাসাকার হয়নি। তুমি মিথ্যে বলছো।’

‘মি. প্রাইম মিনিস্টার, আমি মিথ্যেবাদী নই। সেখানে আরো সাংবাদিক ও পনেরো হাজার লোকের সঙ্গে আমি হত্যাকা- প্রত্যক্ষ করেছি। আপনি চাইলে আমি আপনাকে তার ছবিও দেখাবো। আমার পত্রিকায় সে ছবি প্রকাশিত হয়েছে।’

‘মিথ্যেবাদী, ওরা মুক্তিবাহিনী নয়।’

“মি. প্রাইম মিনিস্টার, দয়া করে ‘মিথ্যেবাদী’ শব্দটি আর উচ্চারণ করবেন না। তারা মুক্তিবাহিনী। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল আবদুল কাদের সিদ্দিকী এবং তারা ইউনিফর্ম পরা ছিল।”

‘তাহলে হয়তো ওরা রাজাকার ছিল যারা প্রতিরোধের বিরোধিতা করেছিল এবং কাদের সিদ্দিকী তাদের নির্মূল করতে বাধ্য হয়েছে।’

‘মি. প্রাইম মিনিস্টার, কেউ প্রমাণ করেনি যে, লোকগুলো রাজাকার ছিল এবং কেউই প্রতিরোধের বিরোধিতা করেনি। তারা ভীতসন্ত্রস্ত ছিল। হাত-পা বাধা থাকায় তারা নড়াচড়াও করতে পারছিল না।’

‘মিথ্যেবাদী।’

“শেষবারের মতো বলছি, আমাকে ‘মিথ্যেবাদী’ বলার অনুমতি আপনাকে দেবো না।”

‘আচ্ছা সে অবস্থায় তুমি কি করতে?’

‘আমি নিশ্চিত হতাম যে, ওরা রাজাকার ও অপরাধী। ফায়ারিং স্কোয়াডে দিতাম এবং এভাবেই এই ঘৃণ্য হত্যাকা- এড়াতাম।’

‘ওরা ওভাবে করেনি। হয়তো আমার লোকদের কাছে বুলেট ছিল না।’

‘হ্যা তাদের কাছে বুলেট ছিল। প্রচুর বুলেট ছিল। এখনো তাদের কাছে প্রচুর বুলেট রয়েছে। তা দিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গুলি ছোড়ে। ওরা গাছে, মেঘে, আকাশে, মানুষের প্রতি গুলি ছোড়ে শুধু আনন্দ করার জন্য।...



ফেল্লাচির প্রতি মুজিব যে দূর্ব্যবহার করেছে তার জন্য সেটি তিনি এভাবে বিবৃত করেছেন- ......সোমবার রাত : গোটা ঢাকা নগরী জেনে গেছে, মুজিব ও আমার মধ্যে কি ঘটেছে। শমশের ওয়াদুদ নামে একজন লোক ছাড়া আমার পক্ষে আর কেউ নেই। লোকটি মুজিবের বড় বোনের ছেলে। এই যুবক নিউ ইয়র্ক থেকে এসেছে তার মামার কাছে। তার মতে মুজিব ক্ষমতালোভী এবং নিজের সম্পর্কে অতি উচ্চ ধারণাসম্পন্ন অহঙ্কারী ব্যক্তি। তার মামা খুব মেধাসম্পন্ন নয়। বাইশ বছর বয়সে মুজিব হাইস্কুলের পড়াশোনা শেষ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির সচিব হিসেবে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। এছাড়া আর কিছু করেননি তিনি। কেউ কল্পনাও করতে পারেনি যে, মুজিব একদিন প্রধানমন্ত্রী হবেন। ওয়াদুদের মতে, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণ এটা নয়। আসলে একমাত্র ওয়াদুদের মাকেই মুজিব ভয় করেন। এই দুঃখজনক আচরণের জন্য তিনি পারিবারিকভাবে প্রতিবাদ জানাবেন।...



ফেল্লাচি ৭০ এর নির্বাচনের প্রসঙ্গে বলেছেন- কেউ কি জানে ১৯৭০ এর নির্বাচনে তিনি কেন বিজয়ী হয়েছিলেন? কারণ সব মাওবাদী তাকে ভোট দিয়েছিল। সাইক্লোনে মাওবাদীদের অফিস বিধ্বস্ত হয়েছিল এবং তাদের নেতা ভাসানী আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জনগণকে যদি আবার ভোট দিতে বলা হয়, তাহলে মুজিবের অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্নতর হবে, যদি তিনি বন্দুকের সাহায্যে তার ইচ্ছাকে চাপিয়ে দিতে না চান। সেজন্যই তিনি মুক্তিবাহিনীকে অস্ত্রসমর্পণের নির্দেশ দিচ্ছেন না এবং আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, রক্তপিপাসু কসাই, যে ঢাকা স্টেডিয়ামে হত্যাযজ্ঞ করেছিল, সেই আবদুল কাদের সিদ্দিকী তার ব্যক্তিগত উপদেষ্টা।...



ফেল্লাচি দ্বিতীয়বারের মত মুজিবের সাথে সাক্ষাতের জন্য রাষ্ট্রপতির দ্বারস্ত হন এবং তিনি মুজিবকে অনুরোধ করতে গেলে উলটো ধমক খান।যাইহোক ফেল্লাচি আবার মুজিবের সাথে দেখা করার একটা ব্যবস্থা করেন।সময়মত তার কক্ষে প্রবেশ করতেই তাকে বের হয়ে যেতে বলে শেখ মুজিব।



“আমিও অফিসে ঢুকলাম। আমার দিকে ফিরে তিনি উচ্চারণ করলেন, ‘গেট আউট’।“...আমাকে এখনই বের হয়ে যেতে হবে এবং আবার আমি যেন এ দেশে পা না দিই।...



এই পর্যায়ে আমি নিজের ওপর সব নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললাম এবং আমার মাঝে উত্তেজনার যে স্তূপ গড়ে উঠেছিল তা বিস্ফোরিত হলো। আমি বললাম, তার সবকিছু মেকি, ভুয়া। তার পরিণতি হবে খুবই শোচনীয়। যখন তিনি মুখ ব্যাদান করে দাড়ালেন, আমি দৌড়ে বেরিয়ে এলাম এবং রাস্তায় প্রথম রিকশাটায় চাপলাম। হোটেলে গিয়ে বিল পরিশোধ করলাম। স্যুটকেসটা হাতে নিয়ে যখন বেরুতে যাচ্ছি, তখন দেখলাম মুক্তিবাহিনী নিচে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। তারা এ কথা বলতে বলতে আমার কাছে এলো যে, আমি দেশের পিতাকে অপমান করেছি এবং সেজন্য আমাকে চরম মূল্য দিতে হবে। তাদের এ গোলযোগের মধ্যে পাচজন অস্ট্রেলিয়ানের সাহায্যে পালাতে সক্ষম হলাম। (২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২)ইন্টারভিউ উইথ হিস্টরী থেকে।



আজ ফেল্লাচির জন্ম দিন তাকে বাংলাদেশিরা কোনদিনই ভুলতে পারবে না।একজন সাহসি সাংবাদিক হিসাবে বিশ্বে তার অবদান আছে অন্যদিকে একজন উত্তেজিত শাসক সম্পর্কে তার বিবরন বাংলাদেশের ইতিহাসে শুদ্ধতা আনতে সাহায্য করবে।



আবু জুবায়ের

কবি,গবেষক,কলামিষ্ট

০১১৯৮০১৬০৮২

Email:[email protected]

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৩৫/-১৪

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৫০

মিটুলঅনুসন্ধানি বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম, পরে পড়বো, যদি সত্য হয় তো বিষয়টা অসাধারণ।।।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৫১

রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: She wrote that "sons of Allah breed like rats" and in a Wall Street Journal interview in 2005

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৫২

অসামাজিক শাকিল বলেছেন: সুত্র গুলা পরষ্কার করেন।।
লিঙ্ক সহ সুত্র গুলা দেন।।
আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৫৪

অরণ্য সৌভিক বলেছেন: ফেল্লাচি বলেছেন তাই অবশ্যই সত্য হবে

৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৫৫

অয়ন আহমেদ বলেছেন: কে জানে কে সত্য বলছে কে মিথ্যে বলছে।আমাদের রাজনীতিবিদরা অনায়াসে মিথ্যে কথা বলে দেখে, এই আমরা একটা সত্যনিষ্ঠ পরিপূর্ণ ইতিহাস পাচ্ছিনা, কোন না কোনভাবে বিকৃত হয়ে আমাদের কাছে আসছে। আওয়ামী লীগ ও বিনপি নিজেদের সুবিধামত ইতিহাসকে ব্যবহার করছে। এজন্য অনেক কিছু নিয়ে বির্তক সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা মানুষ আরো বেশী কনফিউজ্ড হয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ সমকালীন মানুষগুলোর পেটে বোমা মেরে কথা বার করা যাচ্ছে না কারন তাদের ভবিষ্যত দুর্বিষহ হয়ে যেতে পারে, কোন না কোন রাজনৈতিক নেতাদের তোপের মুখে।

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:০৩

বিজ্ঞান বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম নতুন করে।


ধন্যবাদ আপনাকে ।

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:০৭

রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: সাক্ষাৎকারটি যায়যায়দিনে আগে পড়েছি। পড়ে মনে হয়েছিল- ওরিয়ানা ফালাচি একজন শুধু সাংবাদিক হিসেবে তৃতীয় বিশ্বের একজন জননেতার সাথে কথা বলছেন না বলছেন আসলে পশ্চিমা বিশ্বের সাংবাদিক হিসেবে। যে সাক্ষাৎকারের পেছনে ওৎপেতে রয়েছে তখনকার একজন অবিসংবাদিদ নেতার ব্যক্তিত্ব ও গ্রহনযোগ্যতাকে গ্রাস করারই এক নগ্ন অভিপ্রায়। যা তখনকার আন্তর্জাতিক বিশ্বে পশ্চিমা সার্থসংরক্ষণের জন্য অত্যন্ত জরুরী ছিল। তখনকার সময়ে যেখানে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক বজায় রাখা খুবই জরুরী ছিল আর তা পশ্চিমা বিশ্বর জন্য কোন ভাবেই কাঙ্খিত ছিল না। আর আমেরিকাতো যুদ্ধকালীন সময় সরাসরি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। যুদ্ধের পরপর ভুট্টোর সাথে মুজিবের সম্পর্কটির সত্য উদঘাটনের আপাত মহৎ প্রকল্পটি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে যুক্ত করার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করার আপাত সৎ কৌশলটি প্রকৃতপক্ষে পশ্চিমা বিশ্বের দূরভিসন্ধিকেই প্রকাশ করে দেয়। বাংলাদেশের তৎকালীন জরুরী সময়ে ভারত এবং পাকিস্তানের সাথে যে সত্য সম্পর্কটি ইতোমধ্যে আর অস্বীকারের উপায় খোলা থাকল না। যা সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়ে পড়েছে তাকে আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে তছনছ করে উপস্থাপনের পাপিষ্ঠ কর্মকান্ড হিসেবেই আমি মূল্যায়ন করতে আগ্রহী।

৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:১৩

রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: যাই হোক, ফালাচীর ইন্টারভিউ, আমার বৃদ্ধ অধ্যাপক যেমন বলেছেন, sensationalism, যা করলে বিক্রি বাড়ে। বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরেছেন, ১২ তারিখ শপথ নিয়েছেন, সারা পৃথিবীর সাংবাদিকেরা জড়ো হয়েছেন বাংলাদেশে। তাঁরা রিপোর্ট করছেন নয় মাসব্যাপী চলা হত্যা, ধর্ষণ আর লুন্ঠনের কথা, একই সাথে একটি সদ্য জন্ম নেয়া জাতির স্বপ্নের কথা। ফালাচী ওপথে গেলেন না, তাঁকে চমক লাগানো কিছু একটা লিখতে হবে, তিনি লিখে ফেললেন কাদেরিয়া বাহিনীর হাতে নিহত চার রাজাকারের কাহিনী। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড তিনি নাকি কখনো দেখেননি। অথচ ফালাচী নিজে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়ে পুরস্কৃত হয়েছেন (তখন তাঁর বয়স ছিল ১৪ বছর)।

৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:১৪

অবিরাম বাংলার মুখ বলেছেন: ভাইয়া এটা কি সেই ওরিয়ানা ফ্যালাচি যে ইমাম খোমেনীকে একজন বিকৃতমনা পুরুষ বলে গালি দিছিলো? প্রকাশ্যে তার স্তন কেটে নেওয়ার হুমকি দিছিলো বলে অভিযোগ আনছিলো?
ভাইয়া এটা কি সেই ফ্যালাচি যে বলছিলো আমি মুসলমানদের মসজিদে পেশাব পায়খানাও করতে যাই না?

আমরা কি একই ফ্যালাচির গুনগান গাইছি?

দয়া করে আমার ভ্রান্ত ধারণা থাকলে পরিষ্কার করে দিবেন। আমি পড়লাম উনি লিখছেন About that dotard Khomeini, for example, who after our interview held an assembly at Qom to declare that I had accused him of cutting off women's breasts. He extracted a video from this assembly that was shown for months on Teheran television so that, when I returned to Teheran the next year, I was arrested as soon as I got off the plane. It looked bad for me, you know, very bad. This was the period of the American hostages...

আরো লিখছেন : don't go pitching tents at Mecca. I don't go singing Our Fathers and Hail Marys in front of Mohammed's tomb. I don't go peeing on the marble of their mosques; I don't go shitting at the feet of their minarets.


একজন মুসলমান হিসাবে আমি তাকে ঘৃণা করি।

১০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:১৮

তাশফী বলেছেন: অবিরাম বাংলার মুখ বলেছেন: ভাইয়া এটা কি সেই ওরিয়ানা ফ্যালাচি যে ইমাম খোমেনীকে একজন বিকৃতমনা পুরুষ বলে গালি দিছিলো? প্রকাশ্যে তার স্তন কেটে নেওয়ার হুমকি দিছিলো বলে অভিযোগ আনছিলো?
ভাইয়া এটা কি সেই ফ্যালাচি যে বলছিলো আমি মুসলমানদের মসজিদে পেশাব পায়খানাও করতে যাই না?

আমরা কি একই ফ্যালাচির গুনগান গাইছি?

দয়া করে আমার ভ্রান্ত ধারণা থাকলে পরিষ্কার করে দিবেন। আমি পড়লাম উনি লিখছেন About that dotard Khomeini, for example, who after our interview held an assembly at Qom to declare that I had accused him of cutting off women's breasts. He extracted a video from this assembly that was shown for months on Teheran television so that, when I returned to Teheran the next year, I was arrested as soon as I got off the plane. It looked bad for me, you know, very bad. This was the period of the American hostages...

আরো লিখছেন : don't go pitching tents at Mecca. I don't go singing Our Fathers and Hail Marys in front of Mohammed's tomb. I don't go peeing on the marble of their mosques; I don't go shitting at the feet of their minarets.


একজন মুসলমান হিসাবে আমি তাকে ঘৃণা করি।+++++

১১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:১৯

অবিরাম বাংলার মুখ বলেছেন: আমার কথা বিশ্বাস না হলে পড়ে দেখুন ওরিয়ানা ফ্যালাচির প্রলাপ :

যে আমাদের মহান আল্লাহ ও তার পেয়ারা নবিজী (দঃ) কে নিয়ে ঔদ্বত্বপূর্ণ কথা বলতে পারে, সে শেখ মুজিবকে গালি দিয়েছে তাতে তো আহ্লাদিত হওয়া উচিত তাই না?

১২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:২৮

মোস্তাক খসরু বলেছেন: এমন আরো বিদেশী সাংবাদিকের মূল্যায়ন পড়েছি তাতে বঙ্গবন্ধুকে জংলি সর্দারদের মতো দেখান হয়েছে। ফেলাচির অর্ধসত্যে অবাক হওয়ার কি আছে।গরিবের বউকেই তো সবাই নির্ভয়ে ভাবী ডাকে। এর বেশী আর আমি কিছুই বলবো না।

১৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:৩২

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: খেলা জমছে।রুদ্রপ্রতাপের কমেন্টের রিপ্লাই কি হয়,তা দেখার জন্য পোস্ট প্রিয় তে রাখতে হচ্ছে।

১৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:৪৫

বালক বন্ধু বলেছেন: প্রিয়তে রাখালাম। পড়ে ভালভাবে পড়ে বিশত মন্তব্য করবো।
সাক্ষাতকারটি আমি অনেদিন যাবত খুজছিলাম। এর পূর্ণাঙ্গ রূপ কোথায় পাবো?

১৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার Extracts খুব ভালো লাগলো। কথা হলো, ফেল্লাচি শেখ মুজিবকে শুরু থেকেই এ্যাটাক করতে থাকেন। শেখ মুজিব তো একজন প্রাইম মিনিস্টার ছিলেন, একজন প্রাইম মিনিস্টারের সাথে তাঁর আচরণ আরও বিনীত হওয়া প্রয়োজন ছিল। ফেল্লাচির চেয়ে তুখোড়, অনেক বেশি পুরস্কারপ্রাপ্ত, অধিক গ্রহণযোগ্য সাংবাদিক ছিলেন তখনও। আর ফেল্লাচি স্টান্টবাজিতে বিশ্বাসী ছিলেন।

রুদ্রপ্রতাপ আর অবিরাম বাংলার মুখের সাথে একমত।

১৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:১০

এভাটার বলেছেন: কেউ কেউ দেখা যাচ্ছে এর মধ্যে আবার ধর্মকেও আনছেন। বিচিত্র বাঙ্গালী!!

১৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:২২

অবিরাম বাংলার মুখ বলেছেন: এভাটার বলেছেন: কেউ কেউ দেখা যাচ্ছে এর মধ্যে আবার ধর্মকেও আনছেন। বিচিত্র বাঙ্গালী!!

আপনি কি মূর্খ? পড়াশোনা জানেন না? আল্লাহ রাসুলকে নিয়ে কটুক্তি করলে, মসজিদ নিয়ে কটুক্তি করলে আপনার ধর্মানুভূতি আঘাত লাগে না? নাকি নাস্তিক আপনি

১৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:২৯

ম্যাভেরিক বলেছেন: ওরিয়ানা ফাল্লাচি একজন অসহিষ্ণু সাম্প্রদায়িক মানুষ, তার কথায় ফালাফালি করার কিছু নেই। শেখ মুজিবের ভুলত্রুটি থাকলেও তিনি একসময় সুপারম্যান ছিলেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

১৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:৪১

লুথা বলেছেন:
Click This Link

২০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:১৯

সাকীব বলেছেন: @অবিরাম বাংলার মুখ

১ নাম্বার, যদি ইংরেজি না বুঝেন ভাই, তাহলে বোঝে এমন কাউকে দিয়ে তর্জমা করিয়ে নিন।

২ নাম্বার, কোন কিছুর উদ্ধৃতি দিলে যেখান থেকে দিচ্ছেন তার কিছুটা তুলে আর কিছুটা গোপন করার নাম ভন্ডামি এবং অসততা।

লেখাটা তিনি লিখেছেন একদল সোমালী রেফিউজি সংক্রান্ত জটিলতা কেন্দ্র করে। সোমালি রেফিউজিরা, ফ্যালাচির মতে, ক্যাথিড্রালের সামনে ক্যাথিড্রালের প্রতি অসম্মানজনক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছিল। সংক্ষেপে ক্যাথিড্রালের সামনে ময়লা ফেলা, বাথরুম করা ইত্যাদি। তিনি এই ব্যাপারে লেখায় তার বিরুদ্ধে রেইসিজমের অভিযোগ আনা হয়। তার জবাবে তিনি লিখেনঃ

এই হচ্ছে পুরো উদ্ধৃতিঃ

"I don't go pitching tents at Mecca. I don't go singing Our Fathers and Hail Marys in front of Mohammed's tomb. I don't go peeing on the marble of their mosques; I don't go shitting at the feet of their minarets. When I find myself in their countries (something from which I never derive pleasure), I never forget that I am a guest and a foreigner. I am careful not to offend them with clothing or gestures or behavior that are normal for us but impermissible to them. I treat them with dutiful respect, dutiful courtesy, and I excuse myself when through mistake or ignorance I infringe some rule or superstition of theirs."

সূত্রঃ Click This Link

অনুবাদঃ

"আমি মক্কায় থাকার জন্য তাবু খাটাতে যাই না। আমি মুহাম্মাদের সমাধির সামনে 'জয় মরিয়ম এবং আমাদের স্বর্গীয় পিতা (ঈসা)' গাইতে যাই না। আমি তাদের মসজিদে পেশাব করিনা এবং তাদের তাদের মিনারতের প্রান্তে মলত্যাগ করিনা। যখন আমার কোন মুসলিম রাষ্ট্রে যাওয়া পড়ে (যেই অভিজ্ঞতা প্রায়ই আমার জন্য আনন্দদায়ক হয়না) আমি কখনো ভুলিনা যে আমি সেখানে মেহমান এবং একজন বহিরাগত। যেসকল পোশাক, আচার ও আচরন আমাদের নিকট সম্পূর্ণ স্বাভাবিক কিন্তু তাদের সমাজে মোটেই গ্রহনযোগ্য নয় তা পরিহার করি যেন তারা অপমানিত বোধ না করে। আমি দ্বায়িত্ববোধ থেকে তাদের সম্মান প্রদর্শন করি, দ্বায়িত্বের সাথে ভদ্র আচরন করি এবং আমার অজ্ঞতাবশত বা কোন ভুলক্রমে যখন তাদের প্রথাবিরোধী কিছু করে বসি, তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেই।"

অনুবাদঃ আমি



ইব্রাহিম লিঙ্কনের একটা বানী শুনাই আপনাকেঃ

"আপনি কিছু মানুষকে সবসময় ধোঁকা দিতে পারবেন। সবমানুষকে কিছু সময় ধোঁকা দিতে পারবেন। কিন্তু সব মানুষকে সবসময় ধোঁকা দিতে পারবেন না।"

২১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:২৩

সাকীব বলেছেন: ওহ, নিঃসন্দেহে খোমেইনির ব্যাপারটাও আপনি বোঝেননি। বোঝার ইচ্ছা থাকলে জানাবেন। সাহায্য করতে পারলে খুশিমনে করবো। কিন্তু মিথ্যা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেননা।

২২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:২৫

বিডি আইডল বলেছেন: কমেন্ট ২০ টাই আগে পড়লাম...

@মাকড়শা....এই পোষ্টটা আগে একবার দেখলছিলাম?

২৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:৫৮

অনুপম রঙ্কু বলেছেন: Oriana Fallaci seemed to be a fan of Bhutto.She interviewed Z. A. Bhutto in April 1972. This is what she wrote about Bhutto:

He is undoubtedly one of the most complex leaders of our time and the only interesting one his country has so far produced. The only one, moreover, capable of saving it, at least for a while. Anyone will tell you there is no alternative to Bhutto. If Bhutto goes, Pakistan will be erased from the map.
Click This Link

As an interviewer how was Oriana Fallaci?
Click This Link

Her subjects include Henry Kissinger, Willy Brandt, the Ayatollah Khomeini, and the late Pakistani leader Zulfikar Ali Bhutto, from whom she extracted such criticism of India’s Indira Gandhi that a 1972 peace treaty between the two countries almost went unsigned.

২৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৩০

অবিরাম বাংলার মুখ বলেছেন: দেন খো্মেনীর ব্যাপারটাও বুঝাইয়া দেন। আমি তাদের মসজিদে পেশাব করিনা এবং তাদের তাদের মিনারতের প্রান্তে মলত্যাগ করিনা। আপনার কাছে এটা অতীব আনন্দময় অনুবাদ মনে হৈছে তাই না?

২৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৩৫

অবিরাম বাংলার মুখ বলেছেন: শুনেন আরিফুর রহমানরে চিনেন? যার ব্যানের দাবিতে উত্তাল ছাগুরা। এই লোক শেখ মুজিবরে বলে মুসলিম লিগের পান্ডা, খুনী, বদমাশ, লুম্পেন। যান তার সঙ্গে কোলাকুলি করে আসেন। আর যাওয়ার আগে শুইনা যান, সে কিন্তু মোহাম্মদরে বলে বিকারগ্রস্থ উন্মাদ।

২৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:১৫

অনুপম রঙ্কু বলেছেন: উপরে আমার দেয়া লিংকে , ফেল্লাচির সাথে ভুট্টোর সাক্ষাত্কারে, ভুট্টোর মন্তব্য হইতো খেয়াল করে থাকবেন

" I must tell you why I was so eager to meet you. First of all, because you’re THE ONLY JOURNALIST who has written the truth about Mujib Rahman. I enjoyed your article very much. And then because . . . look, it was much less enjoyable to read that I had something to do with the March suppression in Dacca"

উপরের স্ট্যানফোর্ড উনিভের্সিটির আর্টিকেলে ফেল্লাচির জীবনী নিয়েও কিছুটা জানতে পারবেন। ওখানে একটা কথা উল্লেখ যোগ্য:
"While Fallaci’s morality has seldom been questioned, her interviewing techniques are highly controversial. According to New York Times Book Review contributor Francine du Plessix Gray, Fallaci combines “the psychological insight of a great novelist and the irreverence of a bratty quiz kid.” Known for her abrasive interviewing tactics, Fallaci often goads her subjects into revelations. “Let’s talk about war,” she challenged Henry Kissinger in their 1972 interview. “You’re not a pacifist, are you?” When a subject refuses to cooperate, he becomes “a bastard, a fascist, an idiot,” notes Esquire contributor David Sanford"

২৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:২৩

সাদা ছায়া বলেছেন: ফেল্লাচি = বাল ফেলেছি

বাংলাদেশের সচেতন মহল এই নামটির সাথে পরিচিত।


কোন সচেতন মহল ? গাঞ্জা পার্টি ?

ফাইজলামির আর জায়গা পায় না ।

গালি আর দিলাম না

২৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৬

উপালি বৈষ্ণব বলেছেন: আহা ফ্যালাচি, শেষে ছাগুরাও তোরে নিয়া আনন্দিত, কারণ তুই মুজিবরে গালি দিছিস হাহাহা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.