![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"বল বীর, চীর উন্নত মম শির, শির নেহারি আমারি নত শির, সেই শিখর হীমাদ্রির"
বর্তমান সময়ের দমবন্ধ হয়ে আসা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আমরা সবাই একমত যে আমাদের সমাজের যে অবস্থা তাকে কোনোভাবেই সুস্থ অবস্থা বলা চলে না। প্রতিদিনের পত্রিকায় যে পরিমাণ নির্যাতন, লুণ্ঠন, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, মাস্তানি, দুর্নীতি, প্রতারণা, কেলেঙ্কারী ইত্যাদির খবর প্রকাশিত হয় তা আমাদের সমাজের মারাত্মক অধঃপতনের চিত্র তুলে ধরার জন্য যথেষ্ঠ। যদিওবা বিভিন্ন ব্যক্তি এসব ঘটনার সাথে জড়িত, তথাপি এগুলো শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পর্যায়ের কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনামাত্র নয়। এগুলো এখন ব্যাপকতর পরিসরে ঘটমান দৈনন্দিন ঘটনা- তাই এগুলোকে আমাদের সামাজিক সমস্যা হিসেবেই চিহ্নিত করা উচিৎ।
এমতবস্থায় যারা সমাজ পরিবর্তন করতে চান তাদেরকে প্রথমে সমাজ বলতে বাস্তবে কি বোঝায় সে সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণায় উপনীত হতে হবে। এজন্য আমাদেরকে সমাজ ও এর উপাদানগুলো সম্পর্কে গভীর, আলোকিত ও স্পষ্ট ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে যেতে হবে।
অগভীর কিংবা দুর্বোধ্য আলোচনা আমাদেরকে বাস্তব সমস্যা মোকাবেলায় কোনোভাবেই সাহায্য করবে না। আমরা যদি শুধুমাত্র প্রতিক্রিয়াসার, তাৎক্ষণিক ও ক্ষণস্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে চিন্তা ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করি এবং তার ভিত্তিতে কাজ করি তাহলে তা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে এবং সমস্যাগুলোকে আরো জটিল করে তুলবে।
উপরন্তু আমরা যারা সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামি ব্যবস্থা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে চাই তাদেরকে
সমাজ পরিবর্তনের ইসলামি পদ্ধতি সম্পর্কেও সামগ্রিক ও স্বচ্ছ ধারণা লাভ করতে হবে
যাতে আমরা কাঙ্খিত পরিবর্তনের ধারায় সমাজকে পরিচালিত করতে পারি।
সমাজ কিঃ
পশ্চিমা সভ্যতা জীবনের সব বিষয়কে হালকাভাবে দেখে তাই সমাজ সম্পর্কে পশ্চিমা পূঁজিবাদী দৃষ্টিভঙ্গিও অগভীর হওয়াই স্বাভাবিক। তারা সমাজকে শুধুমাত্র কিছু ব্যক্তিমানুষের সমষ্টি বলেই মনে করে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় মার্গারেট থ্যাচার একবার এক গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতায় বলেছিলেন, “সমাজ হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে কিছু ব্যক্তি ও পরিবারের সমষ্টি মাত্র।”
মুসলিম উম্মাহ্ অধঃপতনের এই দীর্ঘ সময়কালে অনেক সৎ সংস্কারক ও অনেক সাহসী আন্দোলনের আবির্ভাব ঘটেছে। তারা আন্তরিকভাবেই উম্মাহ্ এই খারাপ অবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন বা করছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের মধ্যে অনেকেই সমাজ সম্পর্কে পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা অনেকাংশেই প্রভাবিত হয়েছেন- অর্থাৎ তারাও মনে করেছেন সমাজ হলো আসলে অনেকগুলো ব্যক্তি। তাই তাঁরা চেষ্টা করেছেন ব্যক্তিকে ভাল মুসলমানে পরিণত করতে; তাকে ভাল আদব কায়দা, ধর্মীয় রীতি নীতি শেখাতে এবং চিন্তা করেছেন যে অনেকগুলো ব্যক্তি যখন ভাল হয়ে যাবে তখন সমাজ ঠিক হয়ে যাবে। যদিও তাদের আন্তরিক চেষ্টার ফলে অনেক মানুষ সে সব আন্দোলন ও কর্মসূচীতে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন কিন্তু দুঃখজনক সত্য হলো সমাজের বাস্তব অবস্থা অর্থাৎ সমাজে বিদ্যমান অপরাধ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, নিরাপত্তাহীনতা, বিশৃংখলা, নৈরাজ্য ইত্যাদির তো কোনও পরিবর্তনই হয়নি বরং এগুলো দিন দিন বেড়েই চলেছে।
সমাজ সর্ম্পকে গভীরতর বিশ্লেষণঃ
আমরা যদি সমাজের সামগ্রিক ও গভীরতর বিশ্লেষণ পেতে চাই তাহলে বাস্তবে মানুষ বলতে
কি বোঝায় তা নিয়ে শুরু করতে হবে। আমরা মানুষের প্রতি লক্ষ্য করলে দেখব যে প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই কিছু জৈবিক চাহিদা ও প্রবৃত্তি আছে। যেমন, তাকে খাদ্য গ্রহণ ও পানীয় পান করতে হয় (জৈবিক চাহিদা); তার মধ্যে অধিকতর সম্পদ ও অর্থ উপার্জন করার ও তা দিয়ে জীবনমান উন্নত করার আকাংখা আছে; তার স্বভাবগত প্রবণতা হচ্ছে বৈরী পরিবেশে নিজেকে রক্ষা করা এবং বেঁচে থাকা (টিকে থাকার প্রবৃত্তি)। এছাড়াও বিপরীত লিঙ্গের প্রতি তার স্বাভাবিক আকর্ষণ আছে এবং সে সংসার করতে চায় (জনন প্রবৃত্তি)। নারী-পুরুষ, যুবক-বৃদ্ধ, মুসলমান- অমুসলমান সবার জন্যই এগুলো অনস্বীকার্য বাস্তবতা।
জৈবিক চাহিদা ও প্রবৃত্তিগুলো পূরণের প্রয়োজন ও তাড়নাই মানুষকে পারস্পরিক সম্পর্ক ও
ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসে। মানুষ একা বিচ্ছিন্ন ভাবে এসব চাহিদা ও প্রবৃত্তি পূরণ
করতে পারে না। তাই মানুষ একটা সমাজের মধ্যে থাকে যাতে করে তারা পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সমঝোতার ভিত্তিতে এসব চাহিদা পূরণ করতে পারে।
মানুষ যখন পরস্পরের সাথে ক্রিয়া করে বা সম্পর্ক স্থাপন করে তখন বাকী প্রাণীজগতের তুলনায় সে মৌলিকভাবে ভিন্নতর। মানুষের চিন্তা করার এক অনন্য ক্ষমতা আছে যার সাহায্যে সে বিভিন্ন ধারণায় উপনীত হতে পারে যেগুলো তার জৈবিক চাহিদা ও প্রবৃত্তিগুলো পূরণের উপায় বা পদ্ধতি ঠিক করে দেয়। অর্থাৎ এই ধারণা বা বিশ্বাসগুলো তার চাহিদা ও প্রবৃত্তিগুলোকে কিছু শৃংখলা ও নিয়মের অধীনে নিয়ে আসে।
তাই মানুষ যখন কোথাও দলবদ্ধ হয়ে সমাজ প্রতিষ্ঠা করে তখন তার ভিত্তি হিসাবে কাজ করে এমন কিছু ধারণা, বিশ্বাস ও আবেগ-অনুভূতি যা তাদের সবার মধ্যে বিদ্যমান। সেইসাথে তারা কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তাদের চাহিদা ও প্রবৃত্তিগুলো পূরণের পারস্পরিক সমঝোতায় উপনীত হয় যা তাদের বিশ্বাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ অথবা বিশ্বাস থেকে উৎসারিত। তারপর তারা একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করে যা বাস্তবে এসব নিয়ম-পদ্ধতি প্রয়োগ ও রক্ষা করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এই কর্তৃপক্ষটিই রাষ্ট্র বা সরকার।
উপরের আলোচনা থেকে এটাই বেরিয়ে আসে যে 'সমাজ' নিম্নোব্ক্ত উপাদানগুলোর সমন্বয়ে গঠিতঃ
১. ব্যক্তি
২. ব্যক্তিবর্গের (জনসাধারণের) মধ্যে প্রচলিত বা লালিত সাধারণ ধ্যানধারনা বা বিশ্বাস
৩. জনগণের সাধারণ(ঈড়সসড়হ) বিশ্বাস প্রসূত আবেগ-অনুভূতি
৪. তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের নিয়ম পদ্ধতি এবং তা বাস্তবায়ন ও রক্ষা করার জন্য যথাযথ
কর্তৃপক্ষ(রাষ্ট্র/সরকার/সামাজিক নেতৃত্ব ইত্যাদি)।
আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠার ইসলামি পদ্ধতি (পর্ব -২)- Click This Link
১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:০৪
ন্যায় পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ। আমিও কিন্তু আপনার "মুহাম্মদ (সাঃ)-ই কি সনাতন ধর্মগ্রন্থ বেদ-এর সেই মহাত্রাতা নরাশংস?"-- লেখাটির জন্য অপেক্ষা করছি।
আর আমাকে মডুদের 'নজর'-এ থাকাবস্থায় এতদিন ব্যাকিং দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। মডুদেরও ধন্যবাদ 'নজর' উঠিয়ে নেওয়ার জন্য।
১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:৫৮
ন্যায় পথিক বলেছেন: আর আপনি "বেঞ্চমার্ক মুহাম্মদ (স):। লাইফ ইজ বিউটিফুল। ট্রাই করেই দেখুন না। প্লিজ!"-- লেখাটার কমেন্ট সেকশনে আরিফুর রহমানকে যেইভাবে উত্তরাইছেন হের লাইগ্যা 'জাযা'। বেচারার তোপেট খারাপ হওনের অবস্থা! দেখছেন কেমনে লাপাত্তা।
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:৪৫
সত্যান্বেষী বলেছেন: 'মুসলিম উম্মাহ্ অধঃপতনের এই দীর্ঘ সময়কালে অনেক সৎ সংস্কারক ও অনেক সাহসী আন্দোলনের আবির্ভাব ঘটেছে।'
মুসলিম উম্মাহ কবে উর্ধপাতে ছিল বলুন তো? চার খলিফার তিনজনই মানুষের হাতে নিহত হন। তাহলে কি সমাজ তারা প্রতিষ্ঠা করেছিল যেখানে তাদের নিজের জীবনেরই নিরাপত্তা নেই?
১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৪০
ন্যায় পথিক বলেছেন: আপনে তো দেখি আচ্ছা মানুষ!!! আমি কোথায় বললাম যে নবী-রাসূলের মত সব মানুষই পাপের উর্ধ্বে ? আপনার মত মুসলমান নামধারী অথচ মুসলমানদের শত্রু সেসময়ও ঘাপটি মেরে ছিল। সেরকম মানুষগুলোই এরকম ঘটিয়েছিল।
আর তিন খলিফার এরকম শাহাদাতের মাধ্যমে কি তাদের মহানুভবতা ফুটে উঠে না? যে সময়ে হিরাক্লিয়াস ও কাইযার-এর মত সম্রাটেরা আয়েসী জীবন-যাপন করতেন এবং চারদিকে সিপাহী-রক্ষীবেষ্টিত অবস্থা ছাড়া চলতেন না, অথচ সেই সময়ই যে শাসকদের কাছে সেকালের দুই পরাশক্তি রোম ও পারস্য বশ্যতা স্বীকার করে নিযেছিল সেই খলিফারা কেমন সাধারন জীবন-যাপন করতেন তা ইতিহাস স্বাক্ষী। তারা ইচ্ছে করলে তাদের চারপাশে দেহরক্ষীদের দুর্ভেদ্য প্রাচীর গড়ে তুলতে পারতেন, অথচ তারা কি তা-ই করেছিলেন?
একবার ইতিহাস পড়ে দেখুন, কি সাধারন জীবন-যাপন ছিল তাদের। কিভাবে রাতের আঁধারে ঘুরে ঘরে প্রজাদের খবর নিতেন তারা, কিভাবে নিজের মাথায় বোঝা তুলে দুঃস্থ প্রজার বাড়িতে খাবার পৌছে দিতেন।
তা-ই তো, উমর(রাঃ)-কে যে হত্যা করতে চেয়েছিল তাকে ধরে আনা হলে উমর(রাঃ) তাকে যখন মাফ করে দেন, সেই হত্যাকারী কেমন করে কেঁদে নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতাপ করেছিল আজ তা ইতিহাস।
মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়। কিন্তু নিজ ভুলের জন্য নিজেই বিচারপ্রার্থী হওয়া......এমন শিক্ষাই কি ইসলাম দেয় না?
১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:০৪
ন্যায় পথিক বলেছেন: যতদিন মুসলমানরা ইসলাম দিয়ে শাসন করেছে ততদিনই পৃথিবীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেছে এবং ততদিন পর্যন্ত তারাই পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা জাতি ছিল। তা-ই তো পৃথিবীর মানুষেরা দলে দলে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেছে।
বেশি দূর যাব না। এই উপমহাদেশের মানুষদের ইসলাম গ্রহণ করার ইতিহাস একটু ঘেটে দেখুন না। যে সময়ে ভারতীয় হিন্দু মহারাজারা তথা ব্রাম্মনেরা নমঃ-শুদ্রদের উপর অত্যাচার করছিল....তখন ইসলামের ঝান্ডা উঁচিয়ে মুসলমানরাই কি তাদের রক্ষা করে নাই? ফলশ্রুতিতে এরাই তো পৌরহিত্যবাদীদের মুখে লাথি মেরে দলে দলে মুসলমান হয়েছিল। বাকিরা মুসলমানদের ন্যায়পরায়নতা দেখে তাদের শাসন মেনে নিয়েছিল।
১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:০৪
ন্যায় পথিক বলেছেন: সেজন্যই তো শাহ জালাল (রঃ) কিংবা নিযামউদ্দিন আওলিয়া (রঃ)-এর মাযারে আজও হিন্দুরা শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়।
৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:০২
ভালো-মানুষ বলেছেন: মুহম্মদের ইসলামি কানুন তো আসলে বেসিক ক্যাপিটালিসম।
হিযবুত্রে শীঘ্রই ব্যানাইবো শুনতাসি?
১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:৫৮
ন্যায় পথিক বলেছেন:
আপনি বলেছেন::-"মুহম্মদের ইসলামি কানুন তো আসলে বেসিক ক্যাপিটালিসম।"
পারলে প্রমাণ করেন। আপনি প্রমাণ করতে পারলে আমি সামুতে লেখাই ছেড়ে দিব। চ্যালেঞ্জ রইলো। আর হিযবুতের কথা এখানে অপ্রাসঙ্গিক।
৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:২৯
মহাপৈতাল বলেছেন: মাষ্টোরি ভাললাগেনাই, নিশ্চিন্তে একখান মাইনাস।
১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:০৭
ন্যায় পথিক বলেছেন: আপনার নিক দেইখ্যাই বুঝচি....এই লেখা আপনার ভাল লাগনের কতা না।
৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৫৫
অরণ্যদেব বলেছেন: সেটেল্ড বিষয়নিয়া আর ক্যাতা ভাল্লাগেনা। তাচ্চে এট্টা পেরেমের কোবতে ল্যাহেন, মাইয়ারা আইতোফারে..
৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:০৬
মনির হাসান বলেছেন: থ্যাচার'রে কোট করলেন ক্যান ?
আংগো এছলামী মোল্লা'গো কোট নাই ক্যা ?
১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৫৪
ন্যায় পথিক বলেছেন: থ্যাচার রে লৌহ না পিতল মানবী কয় হের নীতির লাইগ্যা। অথচ্, সমাজ সম্পর্কে হের ধারণাই এত ছাড়া-ছাড়া!!! পূঁজিবাদী আদর্শের গুরুগুলারই যখন এই অবস্থা, তখন বাকিগুলার অবস্থা কেমুন হইতে পারে তার সম্পর্কে ধারণা হওয়ার লাইগাই এমুন কোট করা দরকার।
পরবর্তী পর্বগুলা পড়লে আরো বুঝতে পারবেন।
৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:১৪
অরণ্যদেব বলেছেন: "বেশি দূর যাব না। এই উপমহাদেশের মানুষদের ইসলাম গ্রহণ করার ইতিহাস একটু ঘেটে দেখুন না। যে সময়ে ভারতীয় হিন্দু মহারাজারা তথা ব্রাম্মনেরা নমঃ-শুদ্রদের উপর অত্যাচার করছিল....তখন ইসলামের ঝান্ডা উঁচিয়ে মুসলমানরাই কি তাদের রক্ষা করে নাই? ফলশ্রুতিতে এরাই তো পৌরহিত্যবাদীদের মুখে লাথি মেরে দলে দলে মুসলমান হয়েছিল। বাকিরা মুসলমানদের ন্যায়পরায়নতা দেখে তাদের শাসন মেনে নিয়েছিল।"
...............................................................................
আপ্নের জ্ঞানের্বহর্দেখেতো টাস্কিত হৈলাম! আরবথিক্কা ইসলামী ঝান্ডা উচাইয়া হেরা আইসিল দশ শতকে। তার অনেক আগে থিক্কাই ব্রাম্মন্রা দলিত গো অইত্যাচার্করে। ঐ পীর্রা আইসিল গজাল্মাছ, কাছ্মি, কুমিরের বজরুকী দেহাইয়া চাড়াল নম:শ্ুদ্রগো দলে টান্তে।
আর ৪শ বছর মুসল্মান্গো শাষণ মান্ছে তাতার,মুঘোল্গো্ডরে। এস্লামী ন্যায়পরায়ন্তা দেইখ্যা না।
১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:০৪
লেখক বলেছেন: সেজন্যই তো শাহ জালাল (রঃ) কিংবা নিযামউদ্দিন আওলিয়া (রঃ)-এর মাযারে আজও হিন্দুরা শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়।
.......................................................................
আপ্নে দেক্সেন? কেডা কৈল?
১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:৪৯
ন্যায় পথিক বলেছেন: ভাই আপনি হয় ইতিহাস বানাইতাসেন না হয় ইতিহাস অস্বীকার করতাসেন। আপনাগো হিন্দু রাজারা কেমুন অত্যাচারী ছিল তা নিয়া হিন্দু পন্ডিতগোরাই হাজার পুস্তক লিখছেন। একটু খোঁজ করলেই পাইবেন।
আর ভয়ের কথা কইতাছেন?! তাইলে মান সিংহ কিংবা রাজপূত জাতি থেইক্যা হাজারে হাজারে সেনানায়ক মুঘল বাহিনীতে আসলো কেমনে?
আর মাযারে হিন্দুদের উপস্থিতি সম্পর্কে একটা কথাই বলব....আমার বাড়ি সিলেট। যদি বলেন মিথ্যা বলছি তাহলে অন্য কথা, আর বিশ্বাস করলে বলব আমি নিজ চোখে একজনকে ষাষ্টাঙ্গে প্রনাম করতে দেখেছি। আর উরসের সময়ের কথা নাহয় বাদই দিলাম।
আর ভারতের মাযারগুলোর কথা তো পত্রিকাতেই আসে। গুগুলে গিয়া সার্চ দিলেই এসম্পর্কে পাইবেন।
৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:০৮
মো মুজাহিদ আলম বলেছেন: শাহজালালের মাজারে হিন্দুরা প্রণাম করে তা আমি দেখেছি ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:৫১
ন্যায় পথিক বলেছেন: এখন হয়ত প্রশ্ন করে বসবে, "দুই চোখে দেখেছেন না এক চোখে দেখেছেন? বসে না দাঁড়িয়ে? দেখার সময় চোখে চশমা ছিল নাকি খালি চোখেই দেখেছেন?" এরা এরকমই।
এদেরকে সোজা-সাপ্টা উত্তর দিতে হবে,"যান...উরসের সময় নিজের চোখে গিয়ে দেখে আসেন।"
৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:২৪
সবাক বলেছেন:
আরে ভাই এছলামতো বহু পুরোনো... আপডেট কিছু নিয়া কন।
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৮
ন্যায় পথিক বলেছেন: আপনার নিকের ছবিটির মত মুখ লুকিয়ে, কান বন্ধ করে থাকলে কোন আপডেটই আপনার কাজে আসবে না। আগে মাথা উঁচিয়ে, মেরুদন্ড সোজা করে আসুন....এমনিতেই বুঝতে পারবেন কোনকা আপডেটেড আর কোনটা না।
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০০
ন্যায় পথিক বলেছেন: আপনার নিকের ছবিটির মত মুখ লুকিয়ে, কান বন্ধ করে থাকলে কোন আপডেটই আপনার কাজে আসবে না। আগে মাথা উঁচিয়ে, মেরুদন্ড সোজা করে আসুন....আপনাতেই বুঝতে পারবেন কোনটা আপডেটেড আর কোনটা না।
১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:৪৬
বাঙ্গাল বলেছেন: ইস্লামিক অর্থনীতি নিয়া...কিছু পড়িতে চাই, দুনিয়া জেভাবে সুদের টাকায় ভাসিয়া ভাসিয়া ধবংসের পথে যাইতেছে...তাহাতে সঠিক পথের সন্ধান জরুরী। লেখক কিছু সাগেষ্ট করিলে পড়িতে লাগিয়া যাইব।
ব্যানানা বাংলাদেশ-১ (ইকোনমিক হিটম্যান)
ব্যানানা বাংলাদেশ-২ (প্রথম আলোর ইহুদীডিম্ব!)
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৩২
ন্যায় পথিক বলেছেন: ইসলামী অর্থনীতি নিয়ে জানতে চাইলে একটু অপেক্ষা করতে হবে। এই লেখার পরেই আসছে। এখনই জানতে চাইলে আমাকে ই-মেইল করুন- [email protected]। আপনাকে attachment করে পাঠিয়ে দেব।
১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:৫৬
বুলবুল আহমেদ পান্না বলেছেন: [পরবর্তী পর্ব আগামীকাল]
.......
পরবর্তী পর্ব না দিলেও চল্বো.......
১২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:১০
খািল িপডাইেত ইচ্ছা করে বলেছেন:
আপনার যথেষ্ট পড়াশুনা আছে মনে হইতাছে।
এক কাম করেন আমারে কিছু বইয়ের নাম বলেন যেখানে ইংরেজ আসার আগের ইতিহাস, বিশেষ করে উপমহাদেশে মুসলিম শাসক আসার আগের ইতিহাস পাওয়া যাবে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৪৬
ন্যায় পথিক বলেছেন: শুধু জানার উদ্দেশ্যে জানা কোন কাজের কথা নয়। যেসব ইতিহাসের কথা বলছেন সেগুলো কোন কাজের নয়। আর তারপরও জানতে ইচ্ছা করলে Wikipedia-তে গিয়ে search দিলেই পাবেন।
১৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৯
মামুন (শ।কিল) বলেছেন: সবাককে বলেছি. ইসলাম কখনো পুরাতন না, ইসলাম মানবাধিকার, সাম্যবাদ, নারীর অধিকার ইত্যাদির সঠিক শিক্ষা দেয়।
যারা ইসলাম সম্পর্কে ভালভাবে জানেনা, তারাই আপনার মত মন্তব্য করে।
লেখককে সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৪১
ন্যায় পথিক বলেছেন: আপনাকেও।
১৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:১০
সত্যান্বেষী বলেছেন: 'যতদিন মুসলমানরা ইসলাম দিয়ে শাসন করেছে ততদিনই পৃথিবীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেছে এবং ততদিন পর্যন্ত তারাই পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা জাতি ছিল।'
সেটা কবে, কখন?
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৫২
ন্যায় পথিক বলেছেন: এই লেখার পরেই জানতে পারবেন।
১৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০০
আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: আপনার ভাবনা গুলা পুরাই হিজবুত তাহরীর থেকে আসছে!
তাই মাইনাস
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৪০
ন্যায় পথিক বলেছেন: আপনি দেখি পুঁজিবাদীদের সুরে সুর মিলাচ্ছেন যারা কিনা 'Intellectual Property Rights'-এর নামে সব কিছুই হাইজ্যাক করে ফেলে। দয়া করে গোঁড়া হবেন না।
ভাবনা বা চিন্তা কারো একার সম্পত্তি নয়। ভাল হলে এটা যে কারো কাছ থেকেই নেয়া যায়।
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৫৫
ন্যায় পথিক বলেছেন: আর হিজবুত তাহরীরের কথা এখানে অপ্রাসঙ্গিক
১৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৪৬
হাসান বায়েজীদ বলেছেন: ন্যায় হথিক তুমার হাগু গল্পুর মোড়ক উন্মোচনের কি হলো?ঝাতি ঝানতে চায়....
১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৫০
ন্যায় পথিক বলেছেন: ঝাথিখে থো হাগেই ঝানিয়ে ধিয়েছি। হেখানে খ্লিক খরো-
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৫৩
বিদেশী বাঙালী বলেছেন: দারুন বিশ্লেষণ। এরকম লেখাই আপনার নিকট থেকে আশা করছিলাম। বিশেষ করে সমাজ সম্পর্কে পশ্চিমা পুঁজিবাদী সভ্যতার ধারণাকে আপনি যেভাবে চ্যালেঞ্জ করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ প্রাপ্য।
প্রিয়তে রেখে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।