নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসলে দান করা হয় বলেই গরীব!?

বাংলাপ্রতিদিন

আমি বাংলাদেশ।আমরা প্রত্যেকেই

বাংলাপ্রতিদিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশে’র চেয়ে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচিত হতে চান তারা

১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১৮

বাংলাদেশের নাগরিক হতে রাজি নন ছিটমহলের বাসিন্দারা। সম্প্রতি ভারতীয় ভূখণ্ডে অবস্থিত বাংলাদেশি ছিটমহলের ১৪ হাজার ২১৫ জন সরাসরি এই মত জানিয়েছেন। ‘পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশে’র চেয়ে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচিত হতে চান তারা।
মঙ্গলবার ছিটমহলের বাসিন্দারা কোন দেশের নাগরিক হতে ইচ্ছুক, তা জানতে শিবিরের আয়োজন করে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ গণনাকারী কমিটি। পুয়াতুরকোঠির ওই শিবিরে হাজিরা দেওয়া একজন বাসিন্দাও বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে ফিরতে রাজি নন বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় ছিটমহলের বাসিন্দা ২২৩টি পরিবারের মোট ১০৫৭ জন সদস্যও মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে পাকাপাকি বসবাস করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন।

যৌথ সমন্বয় কমিটির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ছিটমহলের ভারতীয় অংশে বর্তমানে ৩৭,৩৬৯ জন বাসিন্দা রয়েছেন। এই তথ্য মিলেছে ২০১৪-১৫ সালের সমীক্ষায়। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ছিটমহলের সর্বশেষ জনগণনার পর ফের গত ৬ জুলাই থেকে নতুন গণনা শুরু হয়েছে। সোমবার ১৭ শতাংশ এবং মঙ্গলবার ১৫ শতাংশ মানুষ তাদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। দুই দেশের কর্মকর্তাদের সামনে তারা সকলেই ভারতে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
কিন্তু কী কারণে বাংলাদেশে বসবাসের প্রতি এই অনীহা?
ছিটমহলের বাসিন্দারা সাফ জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশের চেয়ে ভারতীয় নাগরিক হওয়া লাভজনক। তাই আগামী প্রজন্মের কথা ভেবে তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া ভারতীয়দের সঙ্গে বিবাহ-বন্ধনে বাঁধা পড়ার পর নিজেদের ভারতীয় ভাবতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা। ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির কর্তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই ভারতীয় পরিচয় পাওয়ার দাবি জানিয়ে এসেছিলেন ছিটমহলের বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, ৬ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত ভারতের অভ্যন্তরে ৫১টি বাংলাদেশি ছিটমহল এবং বাংলাদেশি ভূখণ্ডে অবস্থিত ১১১টি ছিটমহলে চূড়ান্ত জনগণনার কাজ চলবে। ভারত-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ প্রতিনিধি দল জনগণনা চূড়ান্ত করার পাশাপাশি কে কোন দেশের নাগরিক হিসাবে থাকতে চাইছেন, সেই সিদ্ধান্তেও সিলমোহর দেবে। অর্থাৎ এই ১০ দিনের শিবিরের রিপোর্ট প্রকাশিত হলে বাংলাদেশি ছিটমহলের ১৪,২১৫ জন এবং ভারতীয় ছিটমহলের ৩৭,৩৬৯ জন বাসিন্দার মনোভাব জানা সম্ভব হবে। চূড়ান্ত তালিকা অনুসারে বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে দুই দেশের প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলার দিনহাটা, মাথাভাঙা এবং মেখলিগঞ্জের তিনটি অস্থায়ী শিবিরে বাংলাদেশ থেকে আসা ভারতীয় ছিটমহলের বাসিন্দাদের রাখা হবে। প্রত্যেক পরিবারকে দুই বছরের জন্য ২০০ বর্গফিট জমিতে টিনের চালাযুক্ত বাড়ি দেওয়া হবে। ঠিক হয়েছে, ৩টি সীমান্ত দিয়ে ছিটমহলের বাসিন্দাদের ভারতে আনা হবে। সীমান্তে তাদের বায়োমেট্রিক ব্যবস্থায় ছবি, আঙুলের ছাপ নথিভুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে টিকাকরণের কাজও সম্পন্ন হবে।কোচবিহারের জেলাশাসক পি উলাগানাথন জানিয়েছেন, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময়ে ইচ্ছুকদের পাকাপাকি চলে আসতে হবে। ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে ভারত ও বাংলাদেশে কোনো ছিটের অস্তিত্ব থাকবে না।
এই হলো বাংলাদেশ সন্মন্ধে বাংলাদেশীদের(ছিটমহলবাসিন্দাদের) ধারনা।আমরা কি আসলেও পিছিয়ে আছি !?অবশ্বই না...আমার মনে হয়......(হিন্দি মিডিয়ার অগ্রাসন)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪১

হৃদয়-রাইডে বলেছেন: নিজের দেশকে হীন করা কোনো দেশপ্রেমিকের কাজ নয়। সত্য স্বীকার করা বা প্রকাশ করা দোষের কিছুই নয়। আমাদের দেশের অনেককেই দেখা যায় চিকিৎসা কাজে ভারতে যেতে। যা আমাদের দেশে নেই। বড়ই দুঃখজনক।

১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪৮

বাংলাপ্রতিদিন বলেছেন: হৃদয়-রাইডে ধন্যবাদ
বিষয় দু'টি আলাদা

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


কমন সেন্স

১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১৭

বাংলাপ্রতিদিন বলেছেন: চাঁদগাজী ধন্যবাদ।
অভাব.......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.