নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অস্থিতিশীলতা, নষ্টামি, আর যাবতীয় প্রতারণা-প্রবণতার বিরুদ্ধে খেলা চলবে
সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক কিংবদন্তি নেতা। তিনি নেতাজি নামে সমধিক পরিচিত। ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত বাসীর সেবা করার উদ্দেশ্যে বিলেতে চাকুরী ছেড়ে চলে আসেন মহত্মা গান্ধীর কাছে । গান্ধীজী সুভাষের দেশপ্রেম দেখে মুগ্ধ হন এবং তাকে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের সাথে কাজ করতে পাঠালেন । চিত্তরঞ্জন দাশের মধ্যে সুভাষ তার প্রকৃত গুরুর সন্ধান পেলেন । চিত্তরঞ্জন দাশ বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার তেলিরবাগ নামক গ্রামে এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৮৭০ সালের ৫ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ভবানীপুর লন্ডন মিশনারি স্কুলে তার শিক্ষা আরম্ভ হয়। ১৮৯০ সালে প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে বি.এ. পাস করেন।[২
সেই সময় দেশবন্ধু চিত্ত রঞ্জন দাশ কংগ্রেসের মধ্যে স্বরাজ পার্টি বানিয়ে ছিলেন , আর সুভাষ বঙ্গীয় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রচার দায়িত্বে নিযুক্ত হন। তাঁর রাজনৈতিক গুরু ছিলেন বাংলায় উগ্র জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ১৯২৪ সালে কলকাতা পৌরসংস্থার মেয়র নির্বাচিত হন, তখন সুভাষচন্দ্র তাঁর অধীনে কর্মরত ছিলেন। এই থেকে তার রাজনীতিক জীবনের শুরু ।দেশবন্ধুর মতাদর্শে সুভাষ তখন এক সেচ্ছাসেবক দল গঠন করেন কিন্তু ইংরেজ সরকার সেই দলকে অবৈধ ঘোষনা করেন । এবং সুভাষকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯২৫ সালে তিনি যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার অবস্থার অবনতি দেখে তাকে বিনা সর্তে মুক্তি দেয়া হয় । এরই মধ্য তার গুরু চিত্তরঞ্জন দাসের মৃত্যু ঘটে । সুভাষ তখন সাময়িক ভাবে ভেঙ্গে পরে । তখন থেকেই নেতজী সুভাষচন্ত্র বসু ভারত মুক্ত করার শপথ নেন ।
১৯২৫ সালের ১৬ই জুন চিত্তরঞ্জন দাশ মৃত্যুবরণ করেন। উদার মতবাদ ও দেশের প্রতি দরদের কারণে তিনি হিন্দু মুসলমান সকলের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা অর্জন করেন এবং তার এই উদার মতবাদের জন্য জনগণ তাকে দেশবন্ধু খেতাবে ভুষিত করেন।
তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকার্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সম্বন্ধে বলেনঃ
এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ।
মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: শেয়ার করেছেন বলে জানতে পারলাম।