নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিকৃতবুদ্ধির অধিকারী

বর্ষন মোহাম্মদ

অস্থিতিশীলতা, নষ্টামি, আর যাবতীয় প্রতারণা-প্রবণতার বিরুদ্ধে খেলা চলবে

বর্ষন মোহাম্মদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাচীন বাংলার সর্বশেষ আবিষ্কৃত সুনিপুন কারুকার্যে পুরাকীর্তি

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১২


বিক্রমপুর অঞ্চলে মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা হাজার বছরের পুরোনো মানবসভ্যতার নিদর্শন এক নান্দনিক নগরীর সন্ধান মিলেছে। জেলা সদর ও টঙ্গিবাড়ীতে প্রায় পাঁচ বছর ধরে খনন করে আবিষ্কার করা হয়েছে শিক্ষাদীক্ষা ও জ্ঞানচর্চায় উন্নত হাজার বছর আগের বৌদ্ধনগরী।

পুরোনো এ মানবসভ্যতার নিদর্শনের সন্ধান লাভের ফলে নতুন করে লিখতে হবে বিক্রমপুরের কয়েক হাজার বছরের ইতিহাস। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণাধর্মী সংগঠন অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০১০ সাল থেকে প্রত্নখনন কাজের মধ্য দিয়ে এ নগরী আবিষ্কৃত হয়েছে।

‘কয়েক বছর আগেও যেখানে ছিল নরেশ চন্দ্র দাসের পানের বরজ। এখন সেই পানের বরজের মাটির নিচে সন্ধান মিলেছে হাজার বছরের প্রাচীন বৌদ্ধনগরীর। নরেশ চন্দ্র দাস তার পানের বরজসহ এক একর সম্পত্তি দান করেন গবেষণা ও প্রত্নখনন কাজের জন্য।’

এদিকে, ২০১০ সালে জেলা সদরের বজ্রযোগিনী ও রামপালের রঘুরামপুরে প্রত্নখননের কাজ শুরু হয়। টানা তিন বছর খনন করে ২০১৩ সালে বজ্রযোগিনী ও রামপালের রঘুরামপুরে মাটির নিচে পাওয়া যায় বৌদ্ধবিহারের সন্ধান।

বিক্রমপুরের এ বজ্রযোগিনী গ্রামে জন্মেছেন বৌদ্ধধর্মের অন্যতম মহাপুরুষ অতীশ দীপংকর। কয়েক বছর আগে বজ্রযোগিনী গ্রামে অতীশ দীপংকরের বাস্তুভিটায় চীন সরকারের সহযোগিতায় দেহাবশেষ আনা হয়। সম্প্রতি অতীশ দীপংকরের বাস্তুভিটায় একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।

রঘুরামপুরে বৌদ্ধবিহার আবিষ্কারে শামিল হতে না পারলেও ২০১৪ সালে জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার নাটেশ্বর গ্রামে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চীনের একদল প্রত্ন গবেষক।

বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নখনন কাজের সঙ্গে যুক্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কয়েক হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতার ধারক বিক্রমপুর।’

ফরিদপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলাজুড়ে ছিল বিক্রমপুর অঞ্চল। বর্তমানে মানুষ মুন্সীগঞ্জের পাঁচটি উপজেলাকেই বিক্রমপুর হিসেবে চেনে। এ অঞ্চলে প্রত্নখননে বেরিয়ে এসেছে হাজার বছরের পুরোনো বৌদ্ধমন্দির, অষ্টকোণাকৃতি দেয়াল, শৈল্পিক ইট ও রাস্তাঘাট।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও চীনের একটি গবেষণা দলের সহায়তায় খননকাজের মধ্য দিয়ে এখানে ভিন্ন ভিন্ন পাঁচটি সময়ের ভিন্ন ভিন্ন সভ্যতার স্থাপত্য নিদর্শন খুঁজে পাওয়া যায়।

২০১৪ সালের শেষের দিকে নাটেশ্বরে একটি বৌদ্ধমন্দিরের সন্ধান পাওয়া যায়। চলতি বছর মাত্র দুই মাসের খননকাজে একে একে বেরিয়ে আসে বৌদ্ধমন্দির, অষ্টকোণাকৃতি স্তূপ, পাকা দেয়াল, যাতায়াতের রাস্তার অংশবিশেষ। এরই ধারাবাহিকতায় দৃশ্যমান হয় প্রাচীন বৌদ্ধনগরী।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৮

আল ইফরান বলেছেন: আমরা এলাকার বয়স্ক লোকজনের মুখে মুখে এই ধরনের অনেক কথা শুনে এসেছি।
এখন এই খননকার্য দেখে মনে হচ্ছে বংগ সমতটের ইতিহাস নতুন করে লিখতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.