নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিকৃতবুদ্ধির অধিকারী

বর্ষন মোহাম্মদ

অস্থিতিশীলতা, নষ্টামি, আর যাবতীয় প্রতারণা-প্রবণতার বিরুদ্ধে খেলা চলবে

বর্ষন মোহাম্মদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম প্রচারের জন্য নবীর মুজাহিদগন বাংলাদেশের যে অঞ্চলে প্রথম প্রবেশ করেন

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৪


ইসলামের প্রথম যুগে বঙ্গের রাজধানী বিক্রমপুরের বেশ কয়েকজন সূফী দরবেশ ইসলামের দাওয়াত নিয়ে আসেন। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মহাকালী ইউনিয়নের বড় কেওয়ার সাতানিখিল গ্রামে একটি শিলালিপি পাওয়া গেছে। তা থেকে প্রমাণ মিলে প্রাচীন বিক্রমপুর তথা বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলায় হিজরী ৪২১ সনে ৯৭৮ খ্রি: সুদূর আরব দেশ থেকে পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর আনসার ও মুজাহিদ হিসেবে আওলিয়াগণ বাংলাদেশের এই স্থানে আগমন করেন।

আগে এই স্থানটি কালীদাস সাগর ছিল। পরবর্তীতে জঙ্গলাপূর্ণ পতিত ভূমিতে পরিণত হলে ১২ জন আউলিয়া এই স্থানটিকে দ্বীন ইসলাম

প্রচারের কেন্দ্র হিসাবে ইমারত, দীঘি ও এবাদতখানা প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এখানে তারা ওফাৎ গ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালে কেওয়ার গ্রামের তেতুলতলা নামক মাজারের সংস্কার কাজ চলছিল। ভগ্ন একটি মাজার হাতে এক খন্ড পাথরের আরবী ও ফার্সী ভাষার লিখিত ১২ সূফী দরবেশ বা ইসলাম ধর্ম প্রচারকের নাম পাওয়া যায়।

কলেমা তায়্যিবা খচিত ও ৪২১ হিজরী শিলালিপিতে স্পষ্টক্ষরে লেখা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে ১২ জন অলি বা দরবেশের নাম পাথরটিতে উল্লেখ রয়েছে। তৎকালীন শ্রীনাথ গুপ্তের রাজত্বকালে এ অলিরা এখানে এসে ইসলাম প্রচার করেন। অর্থাৎ মুন্সীগঞ্জের কেওয়ার তেতুলতলা গ্রামে এসে তাঁরা বসতী স্থাপন করেন। মাজারের শিলালিপিতে আরো উল্লেখ রয়েছে, আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইসলাম প্রচারে মুন্সীগঞ্জের কেওয়ার প্রামে এসে তারা বসতী স্থাপন করেন।

মাজারের শিলালিপি অনুসারে ১২ জন অলির নাম এইরূপ : শাহ সুলতান হোসাইনী (রহঃ) মদিনাবাসী, সুলতান সাব্বির হোসাইন (রহঃ), কবীর হাসিমি (রহঃ), আল হাসান (রহঃ), শেখ হোসাইন (রহঃ), আবুল হাসেম হোসাইনী (রহঃ), হাফেজ আবু বক্কর সিদ্দিক (রহঃ), হযরত ইয়াছিন (রহঃ), ওবায়েদ ইবনে মুসলিম আসাদী (রহঃ), আব্দুল হালিম (রহঃ), শাহদাৎ হোসাইনী (রহঃ) এবং আবুল কাহার আল বাগদাদী (রহঃ)। এরা মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরে স্বরস্বতী, কেওয়ার, মহাকালী, বজ্রযোগিনী, চম্পাতলা, রাজবাড়ী, শ্রীপুর, কার্তিকপুরে ইসলাম প্রচার করেন। কেওয়ার এলাকার পানির অভাব দূরীকরণে দীঘি খনন করেন। সেই দিঘী এখনো বিদ্যমান। ১৯৭৪ সাল থেকে কেওয়ারে তেতুলতলা মাজার বার আউলিয়ার মাজার হিসাবে মুন্সীগঞ্জ জেলায় পরিচিতি লাভ করেছে।

কিভাবে যাওয়া যায়
ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা মুন্সীগঞ্জ। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মহাকালী ইউনিয়নের কেওয়ার গ্রামে বার আউলিয়ার মাজারটি অবস্থিত। সড়কপথে ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জের দূরুত্ব মাত্র ২৩ কিলোমিটার। তবে এই মাজারে আসার জন্য আরো প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে আসতে হবে। ঢাকা থেকে সকালে এসে মাজার জিয়ারত করে বিকেলেই ঢাকায় ফিরে আসা যাবে। সড়কপথ পিচঢালা। তবে নৌপথে গেলে সময়ও বাচঁবে এবং যানজট এড়িয়ে নদী পথের সৌন্দর্য গ্রহণ করে স্বাচ্ছন্দের সাথে পৌছানো যাবে। সদর ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জগামী লঞ্চে ২ ঘন্টার মধ্যেই পৌছে যাওয়া যাবে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ ঘাটে। মুন্সীগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট থেকে থেকে কেওয়ার গ্রামে বার আউলিয়ার মাজারের রিক্সায় ভাড়া ৪৫-৫০ টাকা। গাড়ি নিয়েও যাওয়া যায়।
ইসলামের প্রথম যুগে বঙ্গের রাজধানী বিক্রমপুরের বেশ কয়েকজন সূফী দরবেশ ইসলামের দাওয়াত নিয়ে আসেন। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মহাকালী ইউনিয়নের বড় কেওয়ার সাতানিখিল গ্রামে একটি শিলালিপি পাওয়া গেছে। তা থেকে প্রমাণ মিলে প্রাচীন বিক্রমপুর তথা বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলায় হিজরী ৪২১ সনে ৯৭৮ খ্রি: সুদূর আরব দেশ থেকে পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর আনসার ও মুজাহিদ হিসেবে আওলিয়াগণ বাংলাদেশের এই স্থানে আগমন করেন।

আগে এই স্থানটি কালীদাস সাগর ছিল। পরবর্তীতে জঙ্গলাপূর্ণ পতিত ভূমিতে পরিণত হলে ১২ জন আউলিয়া এই স্থানটিকে দ্বীন ইসলাম

প্রচারের কেন্দ্র হিসাবে ইমারত, দীঘি ও এবাদতখানা প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এখানে তারা ওফাৎ গ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালে কেওয়ার গ্রামের তেতুলতলা নামক মাজারের সংস্কার কাজ চলছিল। ভগ্ন একটি মাজার হাতে এক খন্ড পাথরের আরবী ও ফার্সী ভাষার লিখিত ১২ সূফী দরবেশ বা ইসলাম ধর্ম প্রচারকের নাম পাওয়া যায়।

কলেমা তায়্যিবা খচিত ও ৪২১ হিজরী শিলালিপিতে স্পষ্টক্ষরে লেখা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে ১২ জন অলি বা দরবেশের নাম পাথরটিতে উল্লেখ রয়েছে। তৎকালীন শ্রীনাথ গুপ্তের রাজত্বকালে এ অলিরা এখানে এসে ইসলাম প্রচার করেন। অর্থাৎ মুন্সীগঞ্জের কেওয়ার তেতুলতলা গ্রামে এসে তাঁরা বসতী স্থাপন করেন। মাজারের শিলালিপিতে আরো উল্লেখ রয়েছে, আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইসলাম প্রচারে মুন্সীগঞ্জের কেওয়ার প্রামে এসে তারা বসতী স্থাপন করেন।

মাজারের শিলালিপি অনুসারে ১২ জন অলির নাম এইরূপ : শাহ সুলতান হোসাইনী (রহঃ) মদিনাবাসী, সুলতান সাব্বির হোসাইন (রহঃ), কবীর হাসিমি (রহঃ), আল হাসান (রহঃ), শেখ হোসাইন (রহঃ), আবুল হাসেম হোসাইনী (রহঃ), হাফেজ আবু বক্কর সিদ্দিক (রহঃ), হযরত ইয়াছিন (রহঃ), ওবায়েদ ইবনে মুসলিম আসাদী (রহঃ), আব্দুল হালিম (রহঃ), শাহদাৎ হোসাইনী (রহঃ) এবং আবুল কাহার আল বাগদাদী (রহঃ)। এরা মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরে স্বরস্বতী, কেওয়ার, মহাকালী, বজ্রযোগিনী, চম্পাতলা, রাজবাড়ী, শ্রীপুর, কার্তিকপুরে ইসলাম প্রচার করেন। কেওয়ার এলাকার পানির অভাব দূরীকরণে দীঘি খনন করেন। সেই দিঘী এখনো বিদ্যমান। ১৯৭৪ সাল থেকে কেওয়ারে তেতুলতলা মাজার বার আউলিয়ার মাজার হিসাবে মুন্সীগঞ্জ জেলায় পরিচিতি লাভ করেছে।

কিভাবে যাওয়া যায়
ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা মুন্সীগঞ্জ। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মহাকালী ইউনিয়নের কেওয়ার গ্রামে বার আউলিয়ার মাজারটি অবস্থিত। সড়কপথে ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জের দূরুত্ব মাত্র ২৩ কিলোমিটার। তবে এই মাজারে আসার জন্য আরো প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে আসতে হবে। ঢাকা থেকে সকালে এসে মাজার জিয়ারত করে বিকেলেই ঢাকায় ফিরে আসা যাবে। সড়কপথ পিচঢালা। তবে নৌপথে গেলে সময়ও বাচঁবে এবং যানজট এড়িয়ে নদী পথের সৌন্দর্য গ্রহণ করে স্বাচ্ছন্দের সাথে পৌছানো যাবে। সদর ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জগামী লঞ্চে ২ ঘন্টার মধ্যেই পৌছে যাওয়া যাবে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ ঘাটে। মুন্সীগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট থেকে থেকে কেওয়ার গ্রামে বার আউলিয়ার মাজারের রিক্সায় ভাড়া ৪৫-৫০ টাকা। গাড়ি নিয়েও যাওয়া যায়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৩

নেবুলাস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এই তথ্যের জন্য।

২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



এখন সব আরব কেবল জার্মানী চলে যায়, আমাদের দিকে আর আসে না।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৫

শূন্যনীড় বলেছেন: ভালো পোষ্ট দিয়েছন। ভাল লাগলো জেনে।

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫১

ইউনিয়ন বলেছেন: B:-) মাজারের আয় রোজগার কেমন?

৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০৯

আল ইফরান বলেছেন: ইউনিয়ন বলেছেন: B:-) মাজারের আয় রোজগার কেমন?

আয়-রোজগার নাই, এলাকার লোকজনে মিলে চালায়। (আমি এই এলাকার মানুষ)
আর আমার-আপনার মত লোকজন ফ্রি ফ্রি দেইখা আসে।
নেক্সট টাইম থেকে মাজার পরিদর্শনের জন্য চার্য করার বুদ্ধি দিয়ে আসতে হপে B-))

৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৭

রাসেল সরকার বলেছেন: মহান আওলিয়াকেরামের অনুসরণই সঠিক পথের দিশা । মহান আওলিয়াকেরামগণকে অস্বীকার করে ইসলাম-মুসলিম-সুন্নী কোন কিছুই দাবী করা যায় না, কেবলমাত্র কাফের এজিদের অনুসারী দাবী করা যায় । আওলিয়াকেরামের শিক্ষা এখন প্রায় বিলুপ্ত, আওলিয়াকেরামের পবিত্র মোবারক ব্যবহার করে চলছে ভন্ডামী-প্রতারণা ।
ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.