নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিকৃতবুদ্ধির অধিকারী

বর্ষন মোহাম্মদ

অস্থিতিশীলতা, নষ্টামি, আর যাবতীয় প্রতারণা-প্রবণতার বিরুদ্ধে খেলা চলবে

বর্ষন মোহাম্মদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাটির হাট

১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৬


ডিজিটাল বাংলাদেশের আধুনিক কল-কারখানার যুগেও হাজার বছরের পাটির ঐতিহ্য ধরে রেখেছে মুন্সীগঞ্জের পাটি প্রস্তুতকারীরা। মুন্সীগঞ্জ পাটি উৎপাদনের একটি অন্যতম অঞ্চল। মিলের চাঁদরের যুগেও পাটির প্রচলন এখনও ব্যাপকভাবে গ্রাম-বাংলায় রয়েছে। গ্রীষ্ম-মৌসুমে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পাটির চাহিদা বাড়তে থাকে।

জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার আব্দুল্লাপুর আখড়া বাজারে প্রতি রোববার পাটির হাট বসে। জেলার সর্ববৃহৎ হাট এটি। এখানে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা পাটি ক্রয় করতে আসে। এ হাটে পাটির বিক্রি হয় ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। প্রতি হাটবারে লক্ষাধিক টাকার পাটি বিক্রি হয় এই হাটে। এখানে বিভিন্ন ধরনের পাটি পাওয়া। যেমন শীতল পাটি, নকশি পাটি ও সাধারণ পাটি। শীতল পাটির দাম সাধারণ পাটির চেয়ে প্রায় তিনগুণ।

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলা ও সিরাজদিখান উপজেলার কয়েকটি গ্রামে এখনও পাটি তৈরি করে থাকেন বেশ কয়েকটি পরিবার। সদর উপজেলার সুয়াপাড়া গ্রামে, টঙ্গীবাড়ির পাইকপাড়া, বাঘিয়া ও কামাড়খাড়া এবং সিরাজদিখান উপজেলার ভাটিমভোগ, বয়রাগাদি, তালতলার পাশের আরমহল গ্রামে পাটি তৈরির ঐতিহ্য অব্যাহত আছে। যদিও কালের পরিক্রমায় সূতা তৈরীর কল-কারাখানার দাপটে অনেকে পাটি তৈরির পেশা ছেড়ে দিয়েছেন।

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার আব্দৃল্লাপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের পাইট্টাল বাড়ি অঞ্চলে সর্ববৃহৎ পাটি উৎপাদনকারী এলাকা। পাইটাল বাড়ির ঐতিহ্য কয়েকশ বছরের। বংশ পরমপরায় চারশ’ বছর ধরে তারা পাটি উৎপাদন করে আসছে। এখানে বর্তমানে রয়েছে ৬০ থেকে ৭০টি পরিবার। যারা সকলেই হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত। সদস্য সংখ্যা হবে চার শতাধিক। সরজমিনে জানা গেছে, একটি ৪- ৫ হাত সাধারণ পাটি তৈরি করতে পড়ে বর্তমানে ৩শ’ টাকা।

এ পাটি বিক্রি করা হয় ৪১৫টাকায়। মূত্রা গাছ থেকে পাটি তৈরি করা হয়। মূত্রা গাছ থেকে পাওয়া যায় বেতি, আতি ও বুকা। বেতি থেকে পাটি তৈরি করা হয়। আর আতি ব্যবহার হয় পান বিড়াসহ বিভিন্ন ধরনের মুদি সদাইয়ের বাধার কাজে। বুকা লাকড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

এ মূত্রা গাছ অনা হয় সিলেট বিভাগের গারালঘাট অঞ্চল থেকে। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও এ মূত্রা ক্রয় করে থাকে পাটি প্রস্তুতকারীরা। পাটি সাধারণত চার মাপের হয়ে থাকে। ৪/৫হাত, সাড়ে ৩/সাড়ে ৪হাত, ৩/৫হাত, সাড়ে৩/আড়ই হাত মাপের পাটি প্রস্তুত করা হয়।

আর শীতল পাটি সাধারণত অর্ডার পেলে তারা বানিয়ে দেয়। একটি শীতল পাটি তৈরি করতে কমপক্ষে ৮০০টাকা খরচ হয়। তা বিক্রি করা হয় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়। আর বিক্রি হয় ১০০০ টাকা মণ দরে। পাইটাল বাড়ির পাটি প্রস্তুতকারীরা বলেন, আগের চেয়ে এখন পাটি দাম ও চাহিদা ভালো। তবে সরকারকারীভাবে ঋণ সহায়তা পেলে এর উন্নয়ন ঘটবে এবং জীবন মানের উন্নয়ন ঘটবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪

বিলকিছ৫৩৯২ বলেছেন: ভাল।

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: এখন পাটির ব্যবহার শুধু শহরে নয় গ্রাম গঞ্জে ও অনেক কমে গেছে,
আগে গরমে আমরা বিছানায় শীতল পাটি পেতে ঘুমাতাম আহা কি মজা লাগতো, আর এখন গ্রাম গঞ্জে এসি !

ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ারের জন্য, দেখি যাব একদিন ঘুরতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.