নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিকৃতবুদ্ধির অধিকারী

বর্ষন মোহাম্মদ

অস্থিতিশীলতা, নষ্টামি, আর যাবতীয় প্রতারণা-প্রবণতার বিরুদ্ধে খেলা চলবে

বর্ষন মোহাম্মদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজা হরিশচন্দ্রের রহস্যঘন সেই অলৌকিক দীঘি

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭



প্রধান সড়ক থেকে ধলাগাও হয়ে পশ্চিমে রাজা হরিশচন্দ্রের রহস্যঘন সেই দীঘি। কেউ কেউ এটাকে মাঘী পূর্ণিমার দীঘিও বলে থাকে। অনেক কথা ও কিংবদন্তীর জন্ম দিয়ে বেঁচে আছে এই দীঘি।দীঘির জন্মকাল কেউ বলতে পারেনা। সবাই বলে আমাদের ক’এক পুরুষ আগে বৌদ্ধ রাজা হরিশচন্দ্র এ দীঘি কাটেন। মাঘী পূর্ণিমাতে এ দীঘি রহস্যময় হয়ে উঠে।

দুর দূরন্ত থেকে লোকজন এসে জড়ো হয়। চারপাশে জমে ওঠে মাঘী পূর্ণিমার মেলা। মুড়ির মোয়া থেকে সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় তামা কাসার আসবাব পর্যন্ত বিক্রি হয় এ মেলায়। আগরবাতি, মোমবাতি তো দু’পা এক’পা এগুলেই পাওয়া যায়। এ দিনটিতে যারা আসেন তারা সবাই মনে মনে মানত মেনে আসেন। কিংবা গেলো বছরের মানতের ফল পেয়ে তার ভোগ নিয়ে আসেন। কারো চাকুরী নেই, ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে, কারো বা সন্তান হয়ে মারা যায়, আবার কারো কারো পালের গরু টেকেনা, কেউ কেউ প্রেমিক প্রেমিকার মন পাচ্ছে না ইত্যাদি হাজারো রকমের আশা নিয়ে তারা জড়ো হয় এখানে।

দীঘির পারে পারে মোম আর আগরবাতির কি এক অদ্ভুত মজার ব্যাাপার এই যে, মোরগ, খাসি বা টাকা ও অলঙ্কারের মানত কেউ স্পর্শ ও করে না। পাছে কোন অনিষ্ট হয় এই ভয়। কিন্তু মেলা শেষে এ সবের এক রত্তিও আর চোখে পড়ে না। কোথায় যায় কেউ জানেনা। এ নিয়ে আরো এক রহস্য ঘনীভূত হয়ে উঠে মানুষের মনে।ঘটনা এইরূপঃসারা বছরই এ দীঘির জলের উপর ঘন ঘাসের একটা আবরণ থাকে এবং তা থাকে সম্পূর্ণ তীর বিবর্জিত। (দীঘির চারপাশে দেড়হাত করে পরিস্কার টলমলে জল)। আশেপাশের লোকজন গরু ছাগলের প্রয়োজনে সে সব ঘাস কেটে নেয়। বাঁশ ফেলে তারা ঘাসের উপর যায়। কেউ বা (যারা শুধু দেখতে যায়) মনের আগ্রহে এপার থেকে ওপার হেঁটে পার হয়। অগ্রহায়ণ থেকে মাঘের পূর্ণ শশীর দিন পর্যন্ত ঘাসের একটি অংশ ক্রমশঃ পানির নীচে চলে যেতে থাকে। কিংবা পানি উঠে আসে ঘাসের উপরে (এক এক বছর এক এক অংশ এভাবে ডুবে থাকে।পূর্ণিমা দিন শেষ হতেই আবার তা পূর্বাবস্থায় ফিরে আসে।

কোন বছর এর ব্যতিক্রম হয়নি বলেই ফি বছর এখানে লোকের ভিড় জমে ওঠে। এ ঘাসেরই একটি পাতা খুবই সুস্বাদু এবং গন্ধময়। লোকেরা তা এনে পানের সাথে খায় এবং অজ্ঞাত কল্যাণের আনন্দে পুলকিত হয়ে উঠে। দীঘির পাড়ে বসতী, এমন এক বয়স্কা মহিলাকে এ সম্পর্কে (দীঘি) জিজ্ঞেস করা হলে সে যা বললো, তা নিম্নরূপঃআমরা শুনেছি বৃটিশ সরকার সাতটা দমকল দিয়েও এর জল সেচে শেষ করতে পারেনি। সারাদিন কল চলার পর পরদিন সকালে দেখা গেছে জল পূর্বাবস্থায়ই আছে। তারও আগে কোন এক জমিদার হাতী এবং লোকজন নিয়োগ করেছিল এটাকে পরিস্কার করার জন্য। পরিস্কার তো হয়নি পরন্ত হাতী এবং নিরীহ খেটে খাওয়া মানুষগুলো অপঘাতে মরেছে। আর তাই নাকি এই নোটিশ বোর্ডটি টাঙানো হয়েছিল।- সবই কিংবদন্তী।

সে আরো বললো-আমরাও কম অত্যাচার ভোগ করিনি এ দীঘির। প্রথম প্রথম না বুঝে এর উপর ময়লা এবং আর্বজনা ফেলতাম। একদিন রাতে দেখলামস কে একজন এসে আমাকে বলছে, ‘এ দীঘির সেবা কর, নইলে তোদের ক্ষতি হবে।’ আমল দিইনি সে তাই, সংসারে নেমে এলো রোগশোক, পালের মড়ক। গরু ছাগল, সব একদিনেই হারালাম। একটা ছেলে হঠাৎ পাগল হয়ে গেলো। অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো আমার। কোনরকম কান্না চাপিয়ে তিনি বলে যেতে লাগলেন। ‘তারপর থেকেই প্রতি বৃহস্পতিবার মোমবাতি, আগরবাতি এবং আরো বিভিন্ন উপায়ে একে সেবা করছি আর খুশী রাখছি। তবুও তো ভুল-ভাল হলে রাতে তা বলে দেয় এবং যতোদুর ক্ষতি করার তা করেই।’

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

বর্ষন মোহাম্মদ বলেছেন: Click This Link

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২২

দূর পাহাড়ে বলেছেন: বিজ্ঞান জানে না বলে মানুষ কত অলেৌলিক বিশ্বাস করে। হায়রে.....।এরা যগি মুর্খ না হতো? একটা দীঘি, যার পানিতে ঘাস জম্নে। তাকে অলেৌকিকের কি আছে?
বরং এটাই সত্য : আমি সব কিছু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি, পৃথিবী যা উদগত করে (উদ্ভিদ ফুল ফসল) এবং মানুষকে। এছাড়া অনেক কিছু সৃষ্টি করেছি যা মানুষ জানে ন। সূরা ইয়াসিন।

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই দীঘি নিয়ে আপনার আগে ২ জন ব্লগার লিখেছিলেন; ১ জনের শেষ পোস্ট ছিলো সেটি; অন্যজনের কম্প্যুটার নস্ট হয়ে গেছে! আপনি দীঘির পাড়ে মোমবাতি জ্বালানোর মানত করেন; না হয়, কি হবে বলা মুশকিল

দীঘির ঠিকানা কি?

৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

মাঝিবাড়ি বলেছেন: কি আজব! এটা সি এন এন এ দেখায় না ক্যারে!

৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩০

আল ইফরান বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, এইভাবে ফ্রি ফ্রি মজা নেয়া ভালো না B-))
আমি এই এলাকার ছেলে, এই দিঘীকে কেন্দ্র করে এখনো কিছু কিছু ব্যাখ্যাতীত ঘটনা ঘটে তবে যত বলা হয় তত নয়।
এইটা হন্টেড লেক টাইপের কিছু না। :-B

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.