নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিকৃতবুদ্ধির অধিকারী

বর্ষন মোহাম্মদ

অস্থিতিশীলতা, নষ্টামি, আর যাবতীয় প্রতারণা-প্রবণতার বিরুদ্ধে খেলা চলবে

বর্ষন মোহাম্মদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের যে জেলায় দুই লক্ষ লোক খাদ্যের অভাবে মৃত্যুবরণ করে

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫০

[
১৯৪৩ সন(১৩৫০ বঙ্গাব্দ) বাংলাদেশে যে দুর্ভিক্ষ হয় তাতে বিক্রমপুরের প্রায় দুই লক্ষ লোক খাদ্যের অভাবে অনাহারে মৃত্যুবরণ করেন। বিক্রমপুরের শ্রীনগর,লৌহজং ও সিরাজদিখানে মৃত্যুর হার বেশী ছিল। মুসলিমদের মধ্য তাঁতি সম্প্রদায়ের লোক এই দুর্ভিক্ষে সবচেয়ে বেশি মারা যায়।

ঐ সময়ে বিক্রমপুরে কর্তব্যরত এসডিও অশোক মিত্র অনাহারক্লিষ্ট মানুষকে বাঁচাতে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের সার্বিক সহায়তার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। শ্রীনগরের শ্রীনাথ হাসপাতালের ডাক্তার মন্মথনাথ নন্দী, কোলা গ্রামের সুকুমার ডাক্তার, দেউলভোগ গ্রামের ডাক্তার চৌধুরী, লৌহজং এর পাট ব্যবসায়ী ব্রিটিশ নাগরিক এ ডব্লিউ ম্যাকারিটিজি ও রাণীগাও গ্রামের রহমান মাস্টার দুর্ভিক্ষের সময় অনাহারক্লিষ্ট মানুষদের রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। অশোক মিত্র খাদ্য সামগ্রী মওজুদ বিরোধী ভূমিকা রাখেন।সামান্য খাদ্য মওজুদ করার জন্য তৎকালীন পূর্ববঙ্গ বণিক সমিতির সভাপতি বসন্ত মন্ডলকে তিনি পুলিশ দিয়ে কমলাঘাট থেকে হাজতে নিয়ে আসেন।

দুর্ভিক্ষের কারন ও অন্যান্য খবর সংবলিত কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র জনযুদ্ধ বিক্রমপুরে বিলি করতেন শফিউদ্দিন আহম্মেদ।

দুর্ভিক্ষের সময়ে বিক্রমপুরে কংগ্রেস ও কৃষক সমিতি ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। চপলা ও চারু নামক দুজন মহিলা গড়ে তোলেন পশ্চিম বিক্রমপুরে মহিলা সমিতি।
মাওয়া, কুটকুটিয়া ও কুমারভোগ গ্রামে খোলা হয়েছিল লঙ্গরখানা।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

বিজন রয় বলেছেন: ছবিটি দেখে আৎকে উঠতে হয়।

কিভাবে সম্ভব!!

এধরনের লেখা আরো বড় পরিসরে লিখুন।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ইতিহাস আরো বিস্তারিত হ'ক।






ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: দেশ তো দক্ষিন দিকে এগোচ্ছে।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯

বর্ষন হোমস বলেছেন:
এই দুর্লব ছবি কোথায় পেলেন?

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



এত কিছু করা হলে, ১ বছরে ২ লাখ মানুষ কি করে মারা যায়? আপনি কি জেনে লিখছেন, নাকি শুনে শুনে লিখছেন?

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

রওশন জমির বলেছেন: পঞ্চাশের মন্বন্তর নিয়ে আমার কৌতূহলের শেষ নেই। আমি তথ্য-উপাত্ত খুঁজছি। আপনি দয়া করে রেফারেন্স দেবেন?

৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ছবিটি দেখে খুব কষ্ট লাগে মনে। সে সময়ে দুর্ভিক্ষে অনেক মানুষ যায় আমি এরকম শুনেছিলাম।

৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এধরনের লেখা আরো বড় পরিসরে লিখুন।


১ম কমেন্টে বিজন রয়-এর বক্তব্যের সাথে সহমত।

৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৬

বর্ষন মোহাম্মদ বলেছেন: সকলের জন্য শত বয়সী এক বৃদ্ধা দাদুর কাছে শুনেছি। রেফারেন্স নেই কারন দুর্লভ কিছু দুর্লভই থাকে আমি তথ্য যোগার করে আরো একটা পোস্ট করব

১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯

আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: ভাল লেখা।

১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

সায়ান তানভি বলেছেন: আরো বড় পরিসরে লিখুন।

১২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

বাবা ভাউয়ালী বলেছেন: ইতিহাস সংরক্ষনের যর্থাথ উদ্যোগ থাকা প্রয়োজন

১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১২

সামিয়া বলেছেন: আহারে ।।

১৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৩৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ব্রিটিশদের ঘেটুপুত্ররা এই পোস্ট পছন্দ করিবে না ! এই দুর্ভিক্ষের প্রধান কারণ ব্রিটিশদের নিদারুন অবহেলা , যুদ্ধের জন্য নদীপথের স্বাভাবিক পরিবহন ব্যবস্থা কুক্ষিগত করা , সর্বোপরি নেটিভরা আবার মানুষ নাকি , "উহারা মরলেই কি আর বাচঁলেই কি" এই মনোভাব দায়ী। দারিদ্র ব্যাবসায়ী, কম্যুনিস্টরা এই সুযোগে বাংলার মাটিতে তাহাদের বিচি গাড়িয়াছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.