নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিকৃতবুদ্ধির অধিকারী

বর্ষন মোহাম্মদ

অস্থিতিশীলতা, নষ্টামি, আর যাবতীয় প্রতারণা-প্রবণতার বিরুদ্ধে খেলা চলবে

বর্ষন মোহাম্মদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পহেলা বৈশাখ ও পান্তা ইলিশের ইতিহাস

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১০


বাংলা সনের প্রবর্তক মুঘল সম্রাট আকবর। সম্রাটের আদেশ মতে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর,১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।
আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হত। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হত। এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয় যার রুপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে।

আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম মহাযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্ত্তণ ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের উল্লেখ পাওযা যায়। পরবর্তী সময়ে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন একটা জনপ্রিয় হয় নি।

রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ১৯৬৭ সালে। ঢাকার বৈশাখী উৎসবের একটি আবশ্যিক অঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত এই মঙ্গল শোভাযাত্রার সূচনা হয় ১৯৮৯ সাল থেকে।

পান্তা-ইলিশের ইতিহাস নিয়ে মতভেদ আছে। কথিত আছে, পান্তা-ইলিশের সূচনা হয় ১৯৮৩ সালে রমনার বটমূলে। দৈনিক জনকন্ঠের সাংবাদিক বোরহান আহমেদ ছিলেন এর উদ্যোক্তা। অন্যদিকে সাংবাদিক শহিদুল হক খান নিজেকেই এর উদ্যোক্তা বলে দাবী করেন। তবে বলা হয়ে থাকে, শহিদুল হক সাংবাদিক বোরহানের দুই বছর পর থেকে নিয়মিত পহেলা বৈশাখে পান্তা ইলিশের আয়োজন করে থাকেন। সেই হিসেবে পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার এই রীতির প্রবর্তক বলা যায় সাংবাদিক বোরহান আহমেদকেই।

সবাইকে অগ্রিম নববর্ষের শুভেচ্ছা।

(তথ্যসূত্রঃ বাংলা একাডেমি, উইকিপিডিয়া ও দৈনিক আমাদের সময়)

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পান্তা ইলিশ এসব শুনলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়

এই মৌসুমে হুদাই ইলিশের দাম বেড়ে যায়। সারা বছর ইলিশ খামু-ক্যান তবে শুধু বৈশাখেই খামু তা হবে না

আপনাকেও শুভেচ্ছা

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল তথ্য জানলুম, আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪

বনসাই বলেছেন: [link|http://qorum.quantummethod.org.bd/viewtopic.php?f=893&t=13431|নববর্ষ, পান্তা-ইলিশ, রূপালি অর্থনীতি ও অন্যান্য
ইলিশ মাছ ধ্বংশের পায়তারার জন্যে দৈনিক জনকন্ঠের সাংবাদিক বোরহান আহমেদ আর সাংবাদিক শহিদুল হক খান-কে গণশত্রু ঘোষণা করা যেতে পারে।

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

বনসাই বলেছেন: নববর্ষ, পান্তা-ইলিশ, রূপালি অর্থনীতি ও অন্যান্য
ইলিশ মাছ ধ্বংশের পায়তারার জন্যে দৈনিক জনকন্ঠের সাংবাদিক বোরহান আহমেদ আর সাংবাদিক শহিদুল হক খান-কে গণশত্রু ঘোষণা করা যেতে পারে।
যদি পহেলা বৈশাখে পান্তা খেতেই হয় তবে অসময়ের ইলিশ ভাজি দিয়ে নয়, তেলাপিয়াই সই এখন থেকে।

৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫১

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: কাঁচা মরিচ, পেয়াজ, ভর্তা আর পান্তা ভাত!!!!!!!!!!!!!!!! আহা কি যে মজা!!!!১

ইলিশের গুষ্টি কিলাই X(

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩১

বিজন রয় বলেছেন: ইলিশের অনেক দাম।
তাই ওটা খাওয়ার দরকার নেই।

বরং পুঁটি-পান্তাই ভাল।

৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: কিসের পান্তা ইলিশ? বিফ ভুনা আর রসগোল্লা ছাড়া বৈশাখ জমে নাকি!

৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভাই এসব বাদ দেন, এখন বলেন আপনার বাসায় পান্তা ইলিশ খেতে পহেলা বৈশাখে এসব কিনা ?! B-)

৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সম্ভবত সামনের বছর কেনার জন্যে ব্যাংক লোন দেয়ার প্রথা চালু হতে পারে। হায়রে ইলিশ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.