নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিকৃতবুদ্ধির অধিকারী

বর্ষন মোহাম্মদ

অস্থিতিশীলতা, নষ্টামি, আর যাবতীয় প্রতারণা-প্রবণতার বিরুদ্ধে খেলা চলবে

বর্ষন মোহাম্মদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাতে তৈরী অসাধারন খাবারটি কে না ভালোবাসে ,জানুন এর আদি ঐতিহ্য

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫


মাছে-ভাতে বাঙালি ছিল এক সময় বাঙালি জাতির পরিচয়। সে সময় ছিল বাংলার নানা ঐহিত্য, যেগুলো গ্রামবাংলাকে করেছিল সমৃদ্ধ। কালের বিবর্তনে এখন গ্রামবাংলার বহু ঐতিহ্য বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আরও বহু ঐতিহ্য বিলুপ্তির পথে। এমনই এক ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা ছিল খেজুরের রস ও খেজুরের মিঠাই (গুড়)। খেজুর রসের ফিরনি ও খির কে না ভালোবাসে।

জেলাব্যাপী এমন কোনো বাড়ি বা রাস্তা ছিল না যেখানে অন্তত দুই একটি খেজুর গাছ ছিল না। বাংলা পুঞ্জিকার কার্তিক থেকে মাঘ পর্যন্ত প্রতি বাড়ির দুই একজন মধ্য বয়সী মানুষ খেজুর গাছ কেটে রস সংগ্রহের কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখত। যারা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করত, স্থানীয় ভাষায় তাদের গাছি বলা হয়। গাছিরা দিনের মধ্যভাগ থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধারাল দা, মুগির আর রস সংগ্রহের হাঁড়ি ও পিঠের পেছনে একটি লম্বা ঝুড়িতে বেঁধে এ বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি বয়ে নিয়ে যেত খেজুর গাছ কাটার জন্য। এ কাজে গাছিদের বাড়ির ছোট ছেলে-মেয়েরা সাহায্য করত পেছনে পেছনে হাঁড়ি বহন করে। আবার খুব ভোর থেকে রস সংগ্রহ করে খেজুর গুড় তৈরির জন্য একত্রিত করত। সকাল থেকে দিনের অর্ধবেলা পর্যন্ত মা-বোনেরা রস থেকে গুড় তৈরি করত। আবার অনেক গাছি কুয়াশার ভেতরেই গ্রামীণ পথ ধরে কাঁধে রসের ভার বহন করে হেঁটে চলত রস বিক্রির আশায়। দিনের বেলায় পাখিরা রসের চুঙ্গিতে বসে মনের সুখে রস খেয়ে সিষ বাজিয়ে উড়ে যেত।

মৌমাছিও রসের আশায় ভোঁ ভোঁ করে উড়ে বেড়াত। সে দৃশ্য দেখে সত্যিই চোখ জুড়িয়ে যেত সবার। প্রতি বাড়িতে সকাল বেলা খেজুর রসের পায়েস তৈরি হতো। এখন অন্য জেলা থেকে মাঝে মধ্যে খেজুর রসের ভার নিয়ে রস বিক্রি করতে এলেও চাহিদা বেশি থাকায় দামও বেশি। ছোট একটি রসের হাঁড়ির দাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। এ সম্পর্কে মেদিনী মন্ডল চেয়ারম্যন আওয়ামী নেতা আশরাফ হোসেন ও শেখ জামান বলেন, এ সময় খেজুর রস নেই এ কথাটি বিশ্বাস করতে পারছি না। সদর উপজেলার ও লৌহজংয়ে বেশ কয়টি গ্রামের, রস জেলা শহরে যেত। কিন্তু এখন আমরাই রস পাচ্ছি না। ছোট বাচ্চারা তো রস চিনেই না। সেই ঐতিহ্য হারাচ্ছে এবং হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড়। প্রচার-প্রচারণা না থাকলেও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গুড়ের কদর এবং চাহিদা রয়েছে যথেষ্ঠ।

মেম্বার হালিম মিঞা বলেন, পাটালি গুড় ভাঙলে কাচা রসের মদিরা গন্ধ এবং লাল-খয়েরী স্ফটিকের মতো রঙ আর অতুলনীয় স্বাদ, এই ছিল মুন্সিগঞ্জের পাটালি গুড়ের আদি আকর্ষণ। ঠিকই কিন্তু তাঁর বিখ্যাত ‘রস’ গল্পে নয় তো গুড় নামে ভিন্ন কোনো গল্প লিখতেন লেখক রা ভৌগলিক আয়তন, ব্যবসায়িক মনোভাব এবং প্রচারের কারণে প্রাচীনকাল থেকেই বৃহত্তর মুন্সিগঞ্জ অঞ্চলের খেজুরের গুড়ের খ্যাতি ও যশ চারদিকে ছড়িয়েছে। সে তুলনায় মুন্সিগঞ্জের গুড়ের কিছুই হয়নি। গুড়ের ধারে-কাছে নেই দেশের অন্য সব অঞ্চলের গুড়। মাত্র বিশ থেকে পঁচিশ বছর আগেও সমগ্র মুন্সিগঞ্জের জেলার প্রায় সর্বত্রই মাঠে, ক্ষেতের আইলে, বড় রাস্তায় ধারে, পুকুর পাড়ে, ঝোপ-ঝাড়ে, বাড়ির আঙিনায় খেজুর গাছ দেখা যেত।

বছর জুড়ে অবহেলা অযত্নে পড়ে থাকলেও শীতের শুরু অর্থাৎ পৌষের শুরু থেকে চৈত্রের শেষ পর্যন্ত চলত গাছের বিশেষ যত্ন, রস সংগ্রহ আর সেই রস জ্বাল দিয়ে বানানো হতো লোভনীয় গুড়। সেই রামও নেই সেই অযোদ্ধাও নেই। কালেরর বিবর্তনে আজ সে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। নির্বিচারে গাছকাটা, নতুন করে গাছ না লাগানো, তাছাড়া নতুন প্রজন্মের মধ্যে কষ্ট করার মানসিকতা না থাকায় এখন আর আগের মতো সেই গুড় তৈরি হচ্ছে না।

খেজুরের গুড় আখের গুড়ের মতো মেশিনে বানানো সম্ভব নয়। এটা অতি যত্নের সথে সময় নিয়ে হাতে তৈরি করতে হয়। এটা একটা শিল্প, এটা সবাই পারে না

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটা নেচারেল পুস্টিকর খাবার; তবে, তৈরি পদ্ধতির কারণে কোটী কোটী মানুষ হয়তো রোগে আক্রান্ত হয়ে আসছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.