নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিকৃতবুদ্ধির অধিকারী

বর্ষন মোহাম্মদ

অস্থিতিশীলতা, নষ্টামি, আর যাবতীয় প্রতারণা-প্রবণতার বিরুদ্ধে খেলা চলবে

বর্ষন মোহাম্মদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে ৩ অভিযোগ প্রমাণিত

০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:০১




ধনকুবের প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে শুল্ক গোয়েন্দাদের করা শুল্ক ফাঁকি, মানি লন্ডারিং ও দুর্নীতির তিন অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। শুল্ক ফাঁকির ঘটনায় সরাসরি প্রিন্স মুসাকে প্রধান আসামি এবং মানি লন্ডারিংয়ে সহযোগী আসামি করে মোট দুটি মামলা করবে শুল্ক গোয়েন্দারা। আর দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে দুদককে (দুর্নীতি দমন কমিশন) জানানো হবে। তাদের আইনানুযায়ী তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলা জানানো হয়।।

৭ মে রোববার মুসা বিন শমসেরের জবানবন্দি শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান শুল্ক গোয়েন্দা মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মইনুল খান।

তিনি বলেন, প্রিন্স মুসা বিন শমসেরকে রোববার বিকেল ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে দুই সদস্যের তদন্ত টিম। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করে নানা তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছেন। তিনটি অভিযোগের বিষয়ে তার বিরুদ্ধে প্রমাণ মিলেছে বলে নিশ্চিত করেছেন আমাদের তদন্ত টিম। তা হলো- শুল্ক ফাঁকি, মানি লন্ডারিং ও দুর্নীতি।

২০১০ সালের ১২ মার্চ ইংল্যান্ডের নাগরিক ফরিদ নাবিরের কাছ থেকে দুই কোটি ১৫ লাখ টাকায় ল্যান্ড রোভার গাড়িটি মাত্র ৫০ লাখ টাকায় ক্রয় করেন ধনকুবের প্রিন্স মুসা। কিন্তু ফরিদ সে টাকা বাংলাদেশে না রেখে বিদেশে নিয়ে যান। যা মানি লন্ডারিং আইনের লঙ্ঘন। এজন্য ফরিদ নাবিরকে প্রধান আসামি করে মানি লন্ডারিং মামলা দায়ের করা হবে। একই মামলায় সহযোগী আসামি হবেন মুসা বিন শমসেরসহ অন্য সহযোগীরা।

অন্যদিকে, গাড়িটি ক্রয় করার ক্ষেত্রে ১৭ লাখ টাকার ভুয়া বিল তৈরি করে শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়। ওই ১৭ লাখ টাকা আজও পায়নি শুল্ক বিভাগ। এজন্য তাকে সংশ্লিষ্ট আইনে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হবে। ল্যান্ড রোভার গাড়িটি বিআরটিএ’র কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ছাড়পত্র নেয়া হয়। যা দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) আইনে অপরাধ। এজন্য আমরা দুর্নীতির বিষয়টি দুদককে জানাব। দুদুক তাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

জিজ্ঞাসাবাদে মুসা কী বলেছেন- জানতে চাইলে ড. মইনুল খান বলেন, ‘তিনি দুই ঘণ্টাব্যাপী বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। আশা করছি আর তাকে ডাকতে হবে না। প্রয়োজন হলে তার পক্ষ থেকে কেউ এসে তথ্য দিয়ে যাবেন। তার বিরুদ্ধে একটি গাড়িতে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। আরও অনেক গাড়ি রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে তা যাচাই ও প্রমাণসাপেক্ষ। যদি সে রকম তথ্য-প্রমাণ মেলে তবে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এর আগে, শুল্ক ফাঁকি ও মানি লন্ডারিংয়ের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে হাজির হন ‘অসুস্থ’ প্রিন্স মুসা। রোববার বিকেল ৩টার দিকে ছয়টি গাড়িতে কমপক্ষে ৩০ জন দেহরক্ষী নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে হাজির হন তিনি। তার সঙ্গে এ সময় পাঁচ আইনজীবী ছিলেন।

দেহরক্ষীদের বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে একটি সাদা রঙের গাড়ি থেকে নেমে গোয়েন্দা কার্যালয়ে যান মুসা। তার সঙ্গে লিফটে তিন থেকে চার দেহরক্ষী উপরে ওঠার সুযোগ পান। বাকিরা নিচে পার্কিংয়ে অবস্থান করেন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিসের এত অভোযোগ, ইনিই আমাদের একমাত্র প্রিন্স; বাকী আছে, কেহ এখনো নিজকে রাজা বা রাণী ঘোষণা করেননি, অঘোষিত থেকেই চালিয়ে যাচ্ছেন!

২| ০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিন্স মানে রাজকুমার। অর্থাৎ রাজার ছেলে। তো মুসা লোকটি কোন রাজার ছেলে বলবেন কী?

৩| ০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৮

ডার্ক ম্যান বলেছেন: স্বঘোষিত প্রিন্সকে নিয়ে এত মাতামাতির কিছু নেই। তার সম্পদের পরিমাণ খুব বেশি না। মিডিয়ায় তাকেই ধনকুব বানিয়েছে,

৪| ০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১:২০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কিচ্ছু হবে না...

৫| ০৮ ই মে, ২০১৭ ভোর ৬:০২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: যে লোক বছরে মাত্র ৮ শত ডলার আয়কর দেয় সে আবার প্রিন্স (!!!) হয় কি করে | উত্তর আমেরিকায় একজন নিম্ন আয়ের ব্যক্তিও এর চাইতে বেশি আয়কর দিয়ে থাকেন | ফালতু লোকজনকে মিডিয়া খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে মাথায় তুলে ফেলে | আদম ব্যাপারী ধান্ধাবাজ এই লোকটিকে অতি লো প্রোফাইলের কয়েদির পদমর্যাদা দিয়ে কোনো কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া দরকার |

৬| ০৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৫০

জোয়ান অব আর্ক বলেছেন: এর যুদ্ধাপরাধের বিচার করবে কোন ট্রাইব্যুনাল-শাহবাগ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.