নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিকৃতবুদ্ধির অধিকারী

বর্ষন মোহাম্মদ

অস্থিতিশীলতা, নষ্টামি, আর যাবতীয় প্রতারণা-প্রবণতার বিরুদ্ধে খেলা চলবে

বর্ষন মোহাম্মদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাঁচটি গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে,শেষ হবে প্রাণের সন্ধান? (পৃথিবীর মতো দেখতে এই রহস্যময় তরঙ্গ!)

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩


পৃথিবীর দিকে আবার দল বেঁধে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু। একসঙ্গে পাঁচটি গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছে আসতে চলেছে। নাসা তাদের মধ্যে একটি গ্রহাণুর বিষয়ে বিশেষ ভাবে সতর্ক করেছে।নাসার তরফে জানানো হয়েছে, যে পাঁচটি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে আসছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় আকারের গ্রহাণুটির আয়তন প্রায় ১৫০ ফুট। ওই গ্রহাণুটি পৃথিবীর খুব কাছে চলে এলে সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া, বাকি গ্রহাণুগুলি আকারে ছোট।
গ্রহাণুগুলির নামকরণ করেছে নাসা। প্রথম গ্রহাণুটি ৪৫ ফুটের। এটি সোমবারই পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে। এই গ্রহাণুর নাম দেওয়া হয়েছে ২০২৩ এফইউ৬। এর পর পৃথিবীর দিকে এসেছে ৮২ ফুটের একটি গ্রহাণু। সেটিও সোমবারই পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাওয়ার কথা। দ্বিতীয় গ্রহাণুটির নাম দেওয়া হয়েছে ২০২৩ এফএস১১।
পৃথিবীর মতো দেখতে এই গ্রহ থেকেই আসছে রহস্যময় তরঙ্গ! শেষ হবে প্রাণের সন্ধান?
দেখতে ঠিক যেন পৃথিবীরই মতো। রয়েছে নিজস্ব নক্ষত্র, পরিবেশ, আরও অনেক অজানা রহস্য। ‘পৃথিবীর মতো’ – এই কথাটি উচ্চারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাধারণ মানুষের মাথায় চলে আসবে আরও একটি প্রশ্ন। তাহলে কি এখানে রয়েছে প্রাণের অস্তিত্ব? সত্যিই কি পৃথিবীর পরিধির বাইরেও রয়েছে আরও একটি সভ্যতা? সেখানেও ঘুরে বেড়াচ্ছে আমাদেরই মতো অজানা প্রাণীরা? আপাতত সেই সম্ভাবনার দিকেই নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরাও।
আমেরিকার দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী সেবাস্তিয়ান পিনেদা এবং জ্যাকি ভিলাদসেন সম্প্রতি এই বিশেষ গ্রহটির ব্যাপারে গবেষণা শুরু করেছেন। আর সেই খবরই বিখ্যাত আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’-তে প্রকাশিত হয়েছে। তারপর থেকেই বিজ্ঞানীদের নজর পড়েছে এই বিশেষ গ্রহটির দিকে। আমাদের পৃথিবী থেকে মাত্র ১২ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে লাল রঙের YZ Ceti নক্ষত্র। তারই এক্সোপ্ল্যানেট YZ Ceti B যাবতীয় আলোচনার কেন্দ্রে। আমেরিকার ওই দুই বিজ্ঞানীর বিশেষ রেডিও টেলিস্কোপে সম্প্রতি ধরা পড়েছে বিশেষ কিছু রেডিও তরঙ্গ। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, YZ Ceti B গ্রহ থেকেই এই তরঙ্গ ভেসে আসছে। বারবার একই রেডিও তরঙ্গ ভেসে আসার রহস্য কী? তারই সন্ধান করছেন বিজ্ঞানীরা।
গ্রহের অন্দরে ঠিক কী রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেবাস্তিয়ান আর জ্যাকির গবেষণা বলছে, এই YZ Ceti B গ্রহের নিজস্ব বায়ুমণ্ডল যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে নিজস্ব চৌম্বকক্ষেত্র। এই দ্বিতীয় জায়গাতেই গুরুত্ব দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। উল্লেখ্য, পৃথিবীর বুকে জীবন তৈরি হওয়া ও এখনও অবধি টিকে থাকার পেছনে বায়ুমণ্ডল ও চৌম্বকক্ষেত্র দায়ী। কেন? সূর্য এবং অন্যান্য নক্ষত্র, মহাজাগতিক বস্তু থেকে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন বিকিরণ হচ্ছে। বিভিন্ন কণা মহাকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সেগুলি পৃথিবীর বুকে নেমে এলে আখেরে সভ্যতারই ক্ষতি। ক্ষতিকারক বিকিরণের ফলে কোনও জীবনই টিকে থাকবে না।
কিন্তু সেসব কিছু প্রতিহত করছে পৃথিবীর নিজস্ব চৌম্বকক্ষেত্র। একের পর এক সৌরঝড়ের ক্ষতির হাত থেকেও এই চৌম্বকক্ষেত্রই বাঁচাচ্ছে। পৃথিবীর চারদিকে ঢাল হয়ে আছে এটি। অন্যদিকে উল্কা, গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এলে বায়ুমণ্ডলের ঘর্ষণের জেরেই সেসব শেষ হয়ে যায়। ঠিক এই কারণটিকেই সামনে রাখছেন বিজ্ঞানীরা। YZ Ceti B-র নিজস্ব চৌম্বকক্ষেত্র যে রয়েছে, তা অইও রেডিও তরঙ্গ বিশ্লেষণ করেই পাওয়া গিয়েছে। আর যদি সত্যিই তা থাকে, তাহলে ক্ষতিকর বিকিরণ, কণার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করবে গ্রহটি। সেইসঙ্গে আছে নিজস্ব বায়ুমণ্ডল। তাহলে কি জীবনের অস্তিত্বও থাকতে পারে সেখানে? এখন না থাকলেও, ভবিষ্যতের বাসযোগ্য স্থান হতে পারে YZ Ceti B? আপাতত এইসব প্রশ্নের উত্তরই বিশদে খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- প্রথম পাতায় পোস্টের বর্ষণ করা ঠিক নয় বর্ষন মোহাম্মদ ভাই। প্রথম পাতায় একটি পোস্ট রাখুন।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২০

বর্ষন মোহাম্মদ বলেছেন: ঠিক আছে ব্রাদার

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৮

নাহল তরকারি বলেছেন: আমি মহাকাশ ভালোবাসি।

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৫২

শাহ আজিজ বলেছেন: আজ ৬ এপ্রিল একটা পৃথিবীতে আঘাত করার কথা ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯

বর্ষন মোহাম্মদ বলেছেন: সম্প্রতি ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (নাসা) জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি জানিয়েছে, পাঁচটি গ্রহাণু পৃথিবীর সংস্পর্শে আসবে এবং দুইটি সবচেয়ে কাছে আসছে, যা ধাক্কা খেতে পারে পৃথিবীর সঙ্গে। নাসার অ্যাসটেরয়েড ওয়াচ ড্যাশবোর্ড বিশেষভাবে গ্রহাণু এবং ধূমকেতুগুলোকে ট্র্যাক করে, যা পৃথিবীর অপেক্ষাকৃত কাছাকাছি আসে বা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মাধ্যমে নাসা বিপজ্জনক যেকোনও গ্রহাণু সম্পর্কে আগাম তথ্য দেয়। পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এই পাঁচটি গ্রহাণু। তাহলে কি ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী? আর কোন গ্রহাণু কত কাছে আসবে? সব কিছুর উত্তর পেয়ে যাবেন ৬ এপ্রিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.