![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোট বেলাতে সবারই হয়তো ইংরেজি শেখার জন্য একটা কমন ট্রান্সলেশান করা লাগতো যে " ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা গেল " ।
তখন মনে প্রশ্ন আসত যে ডাক্তার সব সময় রোগী মরার পরে আসে কেন ? পরে আবার সিনেমা দেখার কল্যানে জানতে পারি এক পেশার লোক আছে যারা শেষ দৃশ্যে এসে বলবে " আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না "
কিন্তু এখন দেখছি সব ক্ষেত্রেই এই নিয়ম বিদ্যমান ।
যেমন :
১। গাড়ি দুর্ঘটনা এর পরে জানতে পারি গাড়ির পারমিট ছিল না, ড্রাইভারের লাইসেন্স ছিল না, ড্রাইভার ঘুমিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিল তাহলে যারা দুর্ঘটনা এর পর সমস্যা খুজে বের করতে পারে আগে ছিল কোথায়?
২। ভবন ধ্বস বা আগুনের পরে জানতে পারি ভবনের অনুমোদন ছিল না ফায়ার লাইসেন্স ছিল না এমনকি পারলে বলে এই ভবন ই ছিল না । তাহলে মানুষ বসত করে কি করে?
৩। লঞ্চ দুর্ঘটনা এর পরে জানতে পারি লঞ্চ এর ডিজাইন ঠিক ছিল না ।
৪। গ্যাসের পাইপ লাইন বসানোর পর জানতে পারি পাইপে দেবার মত গ্যাসই নাই ।
৫। দুই লেনের ব্রিজ করার পর বুঝতে পারি এখানে রাস্তা চার লেন হবে ।
৬। চিরুনি কেনার পর মনে হয় আমার তো চুলই নাই ।
সব বিষয়গুলি যদি একটু সময় মত বা সময় এর আগে আমরা দেখতাম তাহলে হয়তো অনেক সম্পদ রক্ষা পেত আর আমাদের এত মৃত্যুর মিছিল দেখতে হত না ।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৯
বুড়া ভাম বলেছেন: মন্তব্য করে উৎসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ ।
২| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩২
শায়মা বলেছেন: হা হা এই জন্যই ডাক্তার আসার আগেই রোগী মরে যায়।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:১৯
বুড়া ভাম বলেছেন: তাহলে আর এইগুলা থাকার দরকার কি ?
৩| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩৫
দারাশিকো বলেছেন: এইটা কমন সমস্যা। কোন ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা খেলাপী হয়ে যাওয়ার পরই আমরা জানতে পারি - ব্যাটা খারাপ। আর এমডি বিদায় নেয়ার পর জানি - ব্যাটা খারাপ ছিল। একইভাবে এক শাসক পাল্টাইলে সবাই বলে - ব্যাটা খারাপ ছিল।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২০
বুড়া ভাম বলেছেন: প্রয়োজন শেষ বা স্বার্থ ফুরালেই বুঝতে পারি খারাপ ছিল ।
৪| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: বুড়া ভাম,
ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগীর মারা যাওয়াই ঠিক। কারন যে ডাক্তার আসিবে সে তো হাতুড়ে বা ভূয়া ডাক্তার। তার পক্ষে তো রোগ নির্ণয় সম্ভব না, রোগীকে বাঁচানোও সম্ভব না।। সে আসিলেও রোগী মারা যাইবে , না আসিলেও মারা যাইবে!
আমাদের মতো রোগীদের মারা যাওয়াই নিয়তি।
কারন সড়ক-নদী পথের দূর্ঘটনার কারন গাড়ী/জলযানের ফিটনেস বা ড্রাইভারের লাইসেন্স না থাকা নয়। কারনগুলো হলো- ড্রাইভারের অসতর্কতা, খামখেয়ালীপনা , পাল্লা দিয়ে হ্যাডম দেখানোর সুতীব্র খায়েস, আগে যাওয়ার জন্যে ওভারটেক করার মানসিকতা, ট্রাফিক নিয়ম না মেনে চলা ইত্যাদি। অর্থাৎ হিউম্যান এরর। লাইসেন্স না থাকলেই যদি দূর্ঘটনা ঘটে তবে দেশে প্রতিদিন লাখ খানেক দূর্ঘটনা ঘটার কথা। একই ভাবে ভবনে আগুন লাগার কারন ভবনের নকশায় ভুল থাকা বা রাজউকের অনুমতি না থাকা নয়। আগুন নকশা দেখে লাগেনা।
কিন্তু আমাদের সব বিভাগীয় ডাক্তাররা হাতুড়ে বলেই ভুলভাল রোগের ফিরিস্তি দিয়ে নিজেদের পান্ডিত্য জাহির করেন । তাই ডাক্তার আসুক আর না আসুক রোগীকে মরতেই হয়!
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৫
বুড়া ভাম বলেছেন: কিন্তু এই সব বিষয় যাদের দেখার কথা তারা সুধু আইন নিজেদের কামাই এর জন্য ব্যাবহার করে থাকে । সব নিয়ম মেনে কেউ কাজ করতে গেলে অনুমতিই পাবে না, যদি না ক্ষুদ গুড়া ভুষির ব্যাবস্থা না করে ।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো সমস্যা তুলে ধরেছেন।