নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুনিয়ার এক জীবনে সকল মানুষই সফল হতে চায়। পার্থিব ক্ষণস্থায়ী এ জীবনকে সুখময় করতে মানুষ ন্যায়-অন্যায় কত ভাবে কত কিছুই না করে। কিন্তু ক’জন মানুষের জীবনে সফলতা আসে? বরং দেখা যায় সামান্য পরিশ্রমে কারো কারো জীবন বদলে যায়, সফলতা আসে তার জীবনে। আবার কঠোর পরিশ্রমেও অনেকের অভাব দূর হয় না।
সুখ-দুঃখ, সবই আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে। তিনিই দান করতে পারেন সকল ক্ষেত্রে সফলতা। দূর করতে পারেন আমাদের অভাব-অনটন। তাই আমাদের দুনিয়ার সকল কাজকর্ম ও চেষ্টা করার পাশাপাশী আল্লাহ ও তাঁর প্রিয়নবী সা:-এর বাতলানো কিছু আমল করতে হবে। আল্লাহ চাহে তো, এতে রিজিকের সঙ্কীর্ণতা কেটে যাবে,আমাদের জীবনে ফিরে আসবে সচ্ছলতা।
প্রথম আমল - তাকওয়া ও তাওয়াক্কুল (আল্লাহভীরুতা ও আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা) অবলম্বন করা। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার নির্দেশাবলি পালন ও তাঁর নিষিদ্ধ বিষয়গুলো বর্জন করা। সর্বদা আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখা। কারণ, যে আল্লাহর ওপর অটল ভরসা রাখে, তিনি তার সব কিছুর ব্যবস্থা করেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, আর যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ বের করে দেন এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে, তিনিই তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ অবশ্যই তার উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেন।
দ্বিতীয় আমল - বেশি বেশি তাওবা করা। এর দ্বারা গুনাহ মাফ হয় এবং দূর হয় যাবতীয় বিপদাপদ। আসে জীবনে সফলতা। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, "অতঃপর আমি বলেছি : তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। বাড়িয়ে দিবেন তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি। স্থাপন করবেন তোমাদের জন্য উদ্যান। প্রবাহিত করবেন তোমাদের জন্য নদীনালা"। ( সূরা নূহ - আয়াত - ১০-১২)
হাদিস শরিফে প্রিয়নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, "যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে যাবতীয় বিপদাপদ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিবেন এবং তাকে অকল্পনীয় স্থান থেকে রিজিক দান করবেন"। (সুনানে আবু দাউদ : ১৫১৮)
তৃতীয় আমল - সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করা - প্রিয়নবী সা: ইরশাদ করেছেন, "যে ব্যক্তি প্রতি রাতে ‘সূরা ওয়াকিয়াহ’ পাঠ করবে সে কখনো অভাব-অনটনে পড়বে না"। এ হাদিসের রাবি (বর্ণনাকারী) হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা: তার কন্যাদের প্রতি রাতে এ সূরা পাঠ করার নির্দেশ দিতেন। (মেশকাতুল মাসাবিহ : ২১৮১)
চতুর্থ আমল - আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করা। আল্লাহর রাস্তায় কোনো কিছু দান করলে তা বিফলে যায় না। সে সম্পদ ফুরিয়ে যায় না বরং তা বাড়তে থাকে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, " বলুন! নিশ্চয় আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিজিক প্রশস্ত করেন এবং সঙ্কুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় করো, তিনি তার বিনিময় দেবেন। তিনিই উত্তম রিজিকদাতা"।(সূরা সাবা - আয়াত - ৩৯)
পঞ্চম আমল - আত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক রাখা। হজরত আবু হুরায়রা রা: বলেন, "আমি প্রিয়নবী সা:-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তার জীবিকা প্রশস্ত করতে চায় এবং বাড়াতে চায় তার আয়ু সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে"। (বুখারি শরিফ - ৫৯৮৫)।
ষষ্ঠ আমল : নেয়ামতের শুকরিয়া (কৃতজ্ঞতা) আদায় করা। আল্লাহ আমাদের অসংখ্য নেয়ামত এ দুনিয়াতে প্রদান করেছেন। আর আমরা যদি শুকরিয়ার আদায় করি এর ফলে নেয়ামত শতগুনে বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেন, "যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেবো, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয় আমার আজাব বড় কঠিন"। (সূরা ইবরাহিম - আয়াত - ০৭)
সপ্তম আমল : বিয়ে করা। বিয়ের মাধ্যমেও সংসারে সচ্ছলতা আসে। কারণ, সংসারে নতুন যে কেউ যুক্ত হয়, সে তার রিজিক নিয়েই আসে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, " আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস-দাসীদের বিয়ের ব্যবস্থা করে দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী"। (সূরা আন নূর - আয়াত ৩২) ।
সর্বাবস্থায় আল্লাহ আমাদের সহায় হোন এবং বেশী বেশী আল্লাহ ও তার রাসুল নির্দেশিত নেক আমল করার তওফিক দান করুন। আমাদের জীবনে নসিব করুন সুখ - সাফল্য ও সঠিক পথের দিশা এবং সহায়তা করুন যাতে আমরা কামিয়াব হতে পারি দুনিয়া ও আখেরাতে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বলেছেন: ধন্যবাদ মাইদুল সরকার ভাই,আপনার প্রথম এবং চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
ঠিক তাই। আমরা সবাই সাফল্য লাভ করতে চাই আর অস্থায়ী এ দুনিয়ার সাফল্যের জন্য অনেক কিছুই করতে চাই শুধু যথাযথ ভাবে ও সঠিক পথে চেষ্টা করার অভাবে সাফল্য অধরা থেকে যায়।
অথচ,আমরা আল্লাহ ও রসুল (সঃ) নির্দেশীত পথ অনুসরনে ও পালনে সফল হতে পারি যাতে আমাদের ইহকালিন শান্তি ও পরাকালীন মুক্তি নিহিত। আর এতেই আমরা সবচেয়ে বেশী বেখেয়ালী।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম, আমল এবং ধার্মিকতা দিয়ে কখনও মানুষের অভাব দূর হয় না। সম্ভব না। এসব চিন্তা ভাবনা দূর করতে হবে।
মানুষের অভাব দূর হয় কর্ম করলে। কাজ করতে হবে। টাকা আসবে। টাকা দিয়ে অভাব দূর হবে।
আমল, দোয়া এইসব কোনো কাজের নিজিস না। এইসব চিন্তা ভাবনা মানুষকে পঙ্গু করে দেয়।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নূর ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার মন্তব্য একদিক দিয়ে সঠিক কারন পরিশ্রমের মাধ্যমেই অর্থ উপার্জন করতে হয়। আর অর্থ আমাদের অভাব দুর করে ।আর পবিত্র কুরআনে তাই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নামাজ ইসলামের প্রধান ইবাদত। কিন্তু নামাজ পড়ার পরপরই হালাল জীবিকা উপার্জনে জমিনে নেমে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। কেননা হালাল আয়-রোজগারে জীবিকা নির্বাহ করলে তাতে ইবাদত-বন্দেগিও কবুল হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন-"অতপর নামাজ শেষ হলে তোমরা জমিনে (পৃথিবীতে) ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা (জীবিকা উপার্জনে) সফলকাম হও"। (সুরা জুমআ : আয়াত ১০)
আল্লাহ তাআলার দরবারে ইবাদাত-বন্দেগি কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত হলো হালাল রিজিক। হালাল পথে উপার্জনের মানসিকতা তৈরি ব্যতিত ইবাদাত-বন্দেগিতে পরিপূর্ণ মনোযোগ দেয়া সম্ভব নয়। আর অভাব-অনটনের কারণে অবৈধ উপায়ে স্বচ্ছলতা লাভ করে তা দ্বারা জীবিকা নির্বাহের মাধ্যমে ইবাদাত-বন্দেগি করলে আল্লাহ তাআলা সে ইবাদাত গ্রহণ করবেন না। অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থ খরচ করে ইবাদাত বন্দেগিতে মনোযোগীও হওয়া যায় না।
তবে ইবাদাত-বন্দেগিতে মনোযোগী হওয়ার জন্য আবার অধিক অর্থেরও প্রয়োজন নেই। কারণ যার মধ্যে চাহিদা যত বেশি তার মধ্যে ইবাদাত-বন্দেগির ঘাটতি তত বেশি। অধিক অর্থ চাহিদা মানুষকে অন্যায়ের পথে বেশি ধাবিত করে।
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৬
কামরুননাহার কলি বলেছেন: ৫ নং- হাদিসটি একটু ভুল নয় কি? যেখানে পবিত্র কোরআনে লেখা আছে। আল্লাহ বলেছেন-“আমি যাকে যতটুক আয়ু দিয়েছি সে ততটুকোই ভোগ করবে, সেই আয়ু থেকে বাড়বেও না কমবেও না”- এটা পবিত্র কোরআনের কথা। তাহলে আপনার এই হাদিস কি করে মানবো। আর আত্মীয়তার সম্পর্কের সাথেই বা আয়ু বাড়ার সম্পর্ক আসে কিভাবে?
তবে হ্যাঁ আত্মীয়তার সম্পর্ক আমাদের সবার সাথেই ভালো রাখতে হবে। তাই বলে ভুয়া হাদিস দেখিয়ে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামরুননাহার কলি বোন ,আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপাত ভাবে আমাদের জীবনে এমন অনেক বিষয় আছে যাতে মনে হয় একটার সাথে আরেকটার কোন সম্পর্ক নেই।তবে এটা ও ঠিক ঈমানের মূল দাবী অদৃষ্ট্যে বিশ্বাস । অদৃষ্ট্যে বিশ্বাস তথা এমন অনেক বিষয় আছে আইন বা চাক্ষুস ভাবে প্রমান করা মুশকিল,তারপরেও তাতে বিশ্বাস করতে হয় রাখতে হয়।
দৈনন্দিন জীবনের এমন অনেক সহজ কাজ ও আমল আছে যেগুলো যথাযথ পালনে রয়েছে অনেক উপকারিতা। এর মধ্যে উত্তম রিজিক ও নেক হায়াত বেড়ে যাওয়াও একটি।বিশ্বনবি ঘোষণা করেছেন দৈনন্দিন জীবনে ওঠা-বসা, চলাফেরায়, দেখা-সাক্ষাতে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কিংবা তাদের পারস্পরিক খোঁজ খবর রাখলেই বান্দার রিজিক বেড়ে যাবে এবং বাড়বে নেক হায়াত।
এ সম্পর্ক হাদিসে এসেছে - হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, "আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে লোক তার রিজিক প্রশস্ত ও আয়ু বাড়াতে চায় সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে" (সহিহ বুখারি শরিফ - ৫৯৮৫ ,আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৪৬)
মহান আল্লাহ আত্মীয়স্বজনের অধিকারের ব্যাপারে ইরশাদ করেছেন, "হে মানবজাতি, তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন এক ব্যক্তি থেকে। আর তিনি তা থেকে সৃষ্টি করেছেন তার স্ত্রীকে এবং তাদের থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী। তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যার নামে তোমরা একে অন্যের কাছে চাও। তোমরা সতর্ক থাকো রক্তসম্পর্কিত আত্মীয়দের ব্যাপারে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের পর্যবেক্ষক" (সুরা : নিসা - আয়াত-১)
আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখা ঈমানের দাবি। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, "যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখে" (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬১৩৮)
৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মানুষ বেশী বেশী তওবা বেশী বেশী পাপ করে। বহু লোক আছে বোনের হক মেরে খায় আত্মীয়তো দুরের কথা। সঠিক পথে থেকে পরিশ্রম করতে হবে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য।
তওবা হল উপলদ্ধি ।মানুষ প্রতিনিয়ত চলার পথে নানা ধরনের কাজ ও দোষত্রুটি করে থাকে।দোষ করার পর যখন তার এ উপলদ্ধি হয় যে ,যে কাজটা সে করেছে সেটা অন্যায় করেছে তখন তার বিবেক লজ্জিত হয় বা গ্লানি অনুভব করে । আর এই লজ্জা বা গ্লানি থেকেই সে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে এ জাতীয় কাজ বা দোষত্রুটি ভবিষ্যতে সে আর করবেনা । এটাই তওবা।আর যার মাঝে নূন্যতম ন্যায় অন্যায় বোধ আছে তারই আত্মউপলদ্ধি হবে।
হালাল জীবিকা উপার্জনে জমিনে নেমে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। কেননা হালাল আয়-রোজগারে জীবিকা নির্বাহ করলে তাতে ইবাদত-বন্দেগিও কবুল হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন-"অতপর নামাজ শেষ হলে তোমরা জমিনে (পৃথিবীতে) ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা (জীবিকা উপার্জনে) সফলকাম হও"। (সুরা জুমআ - আয়াত ১০)
আর যারা বোনের হক মেরে খায় বা পাপ করে উপলদ্ধি হয়না যে এটা পাপ এ সমস্যা তাদের নিজেদের ধর্মের নয়।
৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
যেসব কারণে মানুষ অসফল হয়, সেই কারণগুলো আপনার মাঝেও আছে; আপনার লেখাটা ভুল ধারণা, ভুল ভাবনা উপর ভিত্তি করে লেখা; মানুষের সফলতা নির্ভর করে সমাজ ও জাতির সফলতার পরিবেশে, তার শিক্ষা, পেশা ও পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে; আপনার শিক্ষায় সমস্যা আছে, আপনার লেখাটা গার্বেজ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনি কষ্ঠ করে পড়েছেন এবং পড়ে রায় দিয়েছেন লেখাটা গার্বেজ।আপনার দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি একদম সঠিক কারন,আপনি যা জেনেছেন ,যা পড়েছেন এবং যা উপলদ্ধি করেছেন তাই আপনি বলেছেন।
ময়লা সৃষ্টি হয় ভাল জিনিষের ব্যবহারের পর বা থেকে ।সে হিসাবে আমি হয়ত ভাল কিছু লেখার চেষ্টা করেছি তা ময়লা হয়ে গেছে।হতেই পারে।
প্রতিবছর কয়েক লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসে। সবাই পাস করেনা ।অনেকেই ফেল করে আর তারাই গার্বেজ হবে আপনার
দৃষ্টিতে। তারপরেও তাদের চেষ্টাটা মিথ্যা নয়।
আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু সফল হইনি এ আমার ব্যার্থতা।কারন আমি হয়ত সঠিকভাবে ,সঠিকপথে তা করতে পারিনি। মানুষের সফলতা নির্ভর করে সমাজ ও জাতির সফলতার পরিবেশে, তার শিক্ষা, পেশা ও পরিশ্রমের উপর নির্ভর কর।আপনাকে দুনিয়াবী সাফল্যের জন্য পরিশ্রম করতে হবে আর তা সকল ধর্মেই বলা হয়েছে। শুধু দোয়া বা নামাজে কারো ভাগ্য পরিবর্তন হবে বলে কোথাও বলা হয়নি। দোয়া এবং ভাল কাজ আমাদের সাফল্যকে সঠিক পথে সঠিক ভাবে এনে দিতে সহায়তা করে মাত্র।
আর স্বয়ং আল্লাহ তাআলাও পরিশ্রম করে হালাল ভাবে জীবিকা উপার্জনের নির্দেশ দিয়েছেন । কেননা হালাল আয়-রোজগারে জীবিকা নির্বাহ করলে তাতে ইবাদত-বন্দেগিও কবুল হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন-"অতপর নামাজ শেষ হলে তোমরা জমিনে (পৃথিবীতে) ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা (জীবিকা উপার্জনে) সফলকাম হও"। (সুরা জুমআ - আয়াত ১০)
সফলতার সংজ্ঞা আপেক্ষিক । একজনের কাছে যে অর্থে সফলতা আরেকজনের কাছে তা সফলতা বলে বিবেচিত নাও হতে পারে।
৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
নবী (স: ) যেই পরিবেশে এতিম ছিলেন, তাতে উনি পড়ালেখার সুযোগ পাননি; তিনি প্রাকৃতিকভাবে অশিক্ষিতদের মাঝে বুদ্ধিমান ছিলেন; তিনি গোত্রে বিভক্ত বেদুইনদের মাঝে ঐক্য এনে একটা রাজত্ব গঠন করতে পেরেছিলেন; তা'ও মারামারি, কাটাকাটি লেগেছিলো; তখনকার বেদুইনদের জন্য উনার বুদ্ধিমত্তা কাজ করেছে; বর্তমানে উনার বুদ্ধি যারা অনুসরণ করছে, তারা মারামারি, কাটাকাটি করে দেশ ও জাতি বিনষ্ট করছে; সিরিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, পাকিস্তানে যা হচ্ছে, সেটা ধর্মীয় ভুলের জন্য হচ্ছে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই ,আপনার এই মন্তব্যের জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ দিতে পারলাম না।
সম্মানিতকে সম্মান করার মাধ্যমে নিজেকেই সম্মানিত করা হয়। আর কাউকে অসম্মানিত বা যথাযথ সম্মান না দিয়ে নিজেকে কোনভাবেই বড় প্রমান করা যায়না।
নবী করিম (স: ) এতিম ছিলেন, উনি পড়ালেখার সুযোগ পাননি এ সবই যেমন সত্যি তেমনি এও সত্যি যে তিনি আপনার-আমার থেকে অনেক অনেক বেশি জ্ঞানী,মর্যাদাবান ও সম্মানিত ছিলেন-আছেন এবং থাকবেন।নবী করিম (স: )যে মতবাদ প্রচার করে গেছেন তার ভূল ধরা তথা মিথ্যা প্রমান করার জন্য অনেকেই চেষ্টা করেছেন এবং তুলনামূলক আলোচনা এবং গবেষণা করে তাদের বেশীরভাগই স্বীকার করেছেন তিনি আর সবার থেকে শ্রেষ্ঠ এবং ইসলাম ধর্ম সঠিক।পরিশেষে তাদের অনেকেই ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছেন।
আর সিরিয়া-ইয়েমেন-আফগানিস্তান, পাকিস্তানে যা হচ্ছে, সেটা ধর্মীয় ভুলের জন্য হচ্ছেনা সেটা হচছে মানুষের লোভের এবং ধর্মের অপব্যাখ্যার কারনে । এ দোষ বা ব্যর্থতা ধর্মের নয় মানুষের।
৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্মীয় ভাবনা এত বেশী ভুলে ভরা যে, ইহা মানব সমাজের দু:খের কারণ হয়ে গেছে, ইহা মানুষের ঐক্য ও বুদ্ধমত্তাকে ধ্বংস করে দেয়; বর্তমান আরবেরা ধর্মীয় ভুলের কারণে বিনষ্ট হচ্ছে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই ,আপনার এই মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দেয়া যায়।
ধর্মীয় ভাবনা ভুলে ভরা নয় ভুলে ভরা তারা যারা ধর্মের অপব্যাখ্যা করে।
সামাজিক জীবন-যাপনের তাগিদে বা নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে সে বিপরীতমুখী আচরণও করে। নিজেকে ক্ষমতাবান হিসেবে প্রকাশ করার লিপ্সায় মত্ত হয়। তখন উপকারের রূপ বদলে গিয়ে তা স্বার্থসিদ্ধির পন্থায় পরিণত হয়ে যায়। অথচ আল্লাহ তাআলা মানুষ সৃষ্টি করে তাদের বিভিন্ন জাতি এবং গোত্রে বিভক্ত করেছেন, যাতে তারা পরস্পরকে চিনতে পারে। এ জন্য নয় যে তারা পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ ও ঝগড়া-বিবাদ করবে। মানুষের মর্যাদা তার আদর্শে ও মানবিক গুণাবলির নিরিখে বিবেচিত হবে। যেমনটি পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "হে মানুষ! আমি তোমাদের এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদের বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি; যাতে তোমরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হতে পারো।" (সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১৩)
মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ,লোভ ও প্রতিযোগিতার যুগে মানুষ ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্বভাবে প্রত্যেক মানুষ বড় বেশি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, যান্ত্রিকতার যুগে লোকেরা ইসলামের মর্মবাণী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ব্যস্ত নগরের মানুষেরা কেউ যেন কারও নয়, কেউ কাউকে চেনে না, সালাম বিনিময়ের প্রয়োজন মনে করে না। পারস্পরিক শান্তি কামনা তো দূরের কথা, কারও বিপদ-আপদেও কেউ ফিরে তাকায় না, হায় রে মানুষ! আমরা যে সমাজে বাস করি, সে সমাজে মানুষে মানুষে বিশ্বাস, আস্থা, প্রেম-প্রীতি, ত্যাগ-তিতিক্ষা, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি বুঝিবা মেঘলোকে উধাও হয়ে গেছে! সবাই যেন ভুলতে বসেছে, মানুষ মানুষের জন্য! মানুষ মানুষেরই স্বজন!।
মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি আর জাতীয় ঐক্য-মৈত্রীর সেতুবন্ধ গড়ার প্রত্যাশায় যুগ যুগ ধরে শুভবুদ্ধিসম্পন্নদের অব্যাহত প্রচেষ্টার কাঙ্ক্ষিত সুফল আজও মেলেনি। অথচ মুসলমানদের পারস্পরিক সদয় ব্যবহার ও সহানুভূতিশীলতার দিকনির্দেশনা দিয়ে নবী করিম (সা.) যথার্থই বলেছেন, "আল্লাহ তার প্রতি সদয় হন না, যে মানুষের প্রতি সদয় হয় না।" (বুখারি)
৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২১
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের যে উত্তর দিয়েছেন, আমি জানতাম আপনি এরকমই উত্তর দিবেন।
প্রতিটা বাবা মা তার সন্তানদের জন্য দোয়া করেন। যেন তার সন্তান ভালো মানুষ হয়। হেন হয়, তেন হয়। কিন্তু তারা হয় ধর্ষনকারী, ঘুষখোর এবং দূর্নীতিবাজ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নূর ভাই,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।
প্রতিটা বাবা মা তার সন্তানদের জন্য দোয়া করেন।এটা মানুষের স্বাভাবিক এবং সহজাত অভ্যাস।বাবা-মায়ের সন্তানদের জন্য দোয়া যেমন দরকার তেমনি সন্তানদেরকে সঠিক পথের নির্দেশ তথা ভাল- মন্দ বুঝার জন্য সঠিক পথ দেখানো এবং তাদের সঠিক পথে চলতে সহায়তা করাও বাবা -মায়েরই দায়িত্ব।
সামাজিক জীবন-যাপনের তাগিদে বা নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে সে বিপরীতমুখী আচরণও করে। নিজেকে ক্ষমতাবান হিসেবে প্রকাশ করার লিপ্সায় মত্ত হয়। তখন উপকারের রূপ বদলে গিয়ে তা স্বার্থসিদ্ধির পন্থায় পরিণত হয়ে যায়। অথচ আল্লাহ তাআলা মানুষ সৃষ্টি করে তাদের বিভিন্ন জাতি এবং গোত্রে বিভক্ত করেছেন, যাতে তারা পরস্পরকে চিনতে পারে। এ জন্য নয় যে তারা পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ ও ঝগড়া-বিবাদ করবে। মানুষের মর্যাদা তার আদর্শে ও মানবিক গুণাবলির নিরিখে বিবেচিত হবে। যেমনটি পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "হে মানুষ! আমি তোমাদের এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদের বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি; যাতে তোমরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হতে পারো।" (সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১৩)
মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ,লোভ ও প্রতিযোগিতার যুগে মানুষ ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্বভাবে প্রত্যেক মানুষ বড় বেশি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, যান্ত্রিকতার যুগে লোকেরা ইসলামের মর্মবাণী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ব্যস্ত নগরের মানুষেরা কেউ যেন কারও নয়, কেউ কাউকে চেনে না, সালাম বিনিময়ের প্রয়োজন মনে করে না। পারস্পরিক শান্তি কামনা তো দূরের কথা, কারও বিপদ-আপদেও কেউ ফিরে তাকায় না, হায় রে মানুষ! আমরা যে সমাজে বাস করি, সে সমাজে মানুষে মানুষে বিশ্বাস, আস্থা, প্রেম-প্রীতি, ত্যাগ-তিতিক্ষা, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি বুঝিবা মেঘলোকে উধাও হয়ে গেছে! সবাই যেন ভুলতে বসেছে, মানুষ মানুষের জন্য! মানুষ মানুষেরই স্বজন!।
মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি আর জাতীয় ঐক্য-মৈত্রীর সেতুবন্ধ গড়ার প্রত্যাশায় যুগ যুগ ধরে শুভবুদ্ধিসম্পন্নদের অব্যাহত প্রচেষ্টার কাঙ্ক্ষিত সুফল আজও মেলেনি। অথচ মুসলমানদের পারস্পরিক সদয় ব্যবহার ও সহানুভূতিশীলতার দিকনির্দেশনা দিয়ে নবী করিম (সা.) যথার্থই বলেছেন, "আল্লাহ তার প্রতি সদয় হন না, যে মানুষের প্রতি সদয় হয় না।" (বুখারি)
৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
নবী (স: ) পড়ালেখা না করে আপনার থেকে জ্ঞানী ছিলেন; আপনি পড়ালেখা করে সুবিধা করতে পারেননি, আপনার ভাবনাশক্তি এই যুগের মানুষদের সমপর্যায়ে নয়।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই ,আপনার এই মন্তব্যের জন্য ও আপনাকে ধন্যবাদ দেয়া যায়না।
আপনি কাকে কি বলছেন এবং কার সাথে কার তুলনা করছেন তা আমার বোধগম্য নয়।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবজাতির অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় মহান উদার, বিনয়ী ও নম্র ব্যক্তিত্ব। তিনি উত্তম চরিত্র ও মহানুভবতার একমাত্র আধার। পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী, প্রতিবেশী সবার অকৃত্রিম শিক্ষণীয় আদর্শ ও প্রাণপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নবী করিম (সা.) একাধারে সমাজসংস্কারক, ন্যায়বিচারক, সাহসী যোদ্ধা, দক্ষ প্রশাসক, যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক এবং সফল ধর্মপ্রচারক।
কল্যাণকর প্রতিটি কাজেই তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। তাঁর অসাধারণ চারিত্রিক মাধুর্য ও অনুপম ব্যক্তিত্বের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত -২১)।
নবী করিম (সা.) তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, মহানুভবতা, বিনয়-নম্রতা, সত্যনিষ্ঠতা প্রভৃতি বিরল চারিত্রিক মাধুর্য দিয়েই বর্বর আরব জাতির আস্থাভাজন হতে সক্ষম হয়েছিলেন। যে কারণে তারা তাঁকে ‘আল-আমিন’ বা বিশ্বস্ত উপাধিতে ভূষিত করেছিল। তিনি যে বিনয়-নম্র ও সৎচরিত্রের অধিকারী ছিলেন, তা তারা একবাক্যে অকপটে স্বীকার করেছে। দুনিয়ার মানুষকে অর্থের দ্বারা বশীভূত না করে বরং তাদের সদাচরণ, উত্তম ব্যবহার এবং সততার দ্বারা বশীভূত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর চারিত্রিক গুণাবলি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, "নিশ্চয়ই তুমি সুমহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত" (সূরা আল-কালাম, আয়াত - ৪)
পৃথিবীতে সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হলেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। মহান আল্লাহর পরই তাঁর স্থান। তিনি প্রয়োজনীয় সব বিষয়ে জ্ঞান রাখতেন। তাঁর জ্ঞান মহাসাগরতুল্য। মহানবী (সা.)-কে মহান আল্লাহ সরাসরি জ্ঞান দান করেছেন। তিনি কারো কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জ্ঞান অর্জন করেননি। তাঁকে আল্লাহর কাছে সরাসরি জ্ঞান তালাশ করতে বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, "বলো, হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন" (সুরা ত্বাহা, আয়াত - ১১৪)
এটাও সত্য যে, মহান আল্লাহ মহানবী (সা.)-কে অনেক অজানা জ্ঞান দান করেছেন। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, "আল্লাহ আপনার প্রতি গ্রন্থ ও বিজ্ঞান অবতীর্ণ করেছেন এবং আপনি যা জানতেন না, তিনি তা-ই আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন এবং আপনার প্রতি আল্লাহর অসীম করুণা রয়েছে" (সুরা নিসা, আয়াত - ১১৩)
১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
কোন নবী শ্রেষ্ঠ মানুষ নন, শ্রেষ্ট মানুষ হচ্ছেন জ্ঞানী মানুষেরা যারা মানব সমাজকে বিপদের সময় টিকিয়ে রেখােছেন; যেমন এবার যারা টিকা আবিস্কার করেছেন, যারা ২য় বিশ্বযুদ্ধ বন্ধ করেছেন; নবীরা নিজ নিজ এলাকায়, ততকালীন মানুষকে শান্ত্বনা দিয়েছেন; সব নবী ধর্ম নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই ,আপনার এই মন্তব্যের জন্য ও আপনাকে ধন্যবাদ দেয়া যায়না।
আমি ধরে নেই আপনি মুসলিম(কারন আপনার সম্পর্কে আমি তেমন কিছু জানিনা ,যা জানি ব্লগের মাধ্যমে।আর আপানার ব্লগের মাধ্যমেও বুঝার উপায় নেই আপনি কোন ধর্মের অনুসারী)।
যদি আপনি মুসলিম হন ,তাহলে মুসলমানদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন, "দ্বীন (গ্রহণ)-এর বিষয়ে কোনো জবরদস্তি নেই। হেদায়েতের পথ গোমরাহী থেকে পৃথকরূপে স্পষ্ট হয়ে গেছে।" (সুরা বাকারা আয়াত- ২৫৬)
আর যারা আল্লাহর আহবানে সাড়া দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছে, তারা পরিপূর্ণরূপে ইসলাম অনুসরণে বাধ্য। তারা তো ইসলাম গ্রহণ করেছেই আল্লাহর ইবাদতের জন্য, তাঁর বিধান মানার জন্য। পবিত্র কুরআন ইরশাদ হয়েছে,"তোমরা যারা ঈমান এনেছ, তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু" (সুরা বাকারা ,আয়াত - ২০৮)
মুসলমানগন ইসলামের অনুশাসন মানতে বাধ্য বলেই গুনাহ করলে দুনিয়া ও আখেরাতে বিভিন্ন শাস্তি তার উপর আপতিত হয়।মুসলমান হিসাবে সবচেয়ে বড় গুনাহ হল মুসলিম থেকে অমুসলিম হয়ে যাওয়া। একেই বলে ‘মুরতাদ’ হওয়া। ‘মুরতাদ’ শব্দের শাব্দিক অর্থ বিমুখ হয়েছে বা ফিরে গিয়েছে এমন। এর মূল মর্ম হল, ইসলাম ত্যাগ করা, ইসলামের কোনো মৌলিক আকিদা বা বিধানকে মানতে অস্বীকার করা, কিংবা তার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করা অথবা ইসলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ের অবমাননা করা, যা অন্তরের ভক্তিশূন্যতা ও শ্রদ্ধাহীনতার আলামত বহন করে। এককথায় ঈমান বিনষ্টকারী যে কোনো কুফরী-শিরকী আকিদা বা বিশ্বাস পোষণ করা, অথবা এ জাতীয় কোনো কথা বা কাজে লিপ্ত হওয়ার নামই হল মুরতাদ।
ইসলামের শিআর তথা প্রতীকসমূহের অবমাননা করা। এগুলো নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা বা কৌতুক করা।
ইসলামের মৌলিক বিষয় হল, কুরআন মাজীদ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণ; বিভিন্ন ইবাদত যথা-নামায, রোযা, হজ্ব-যাকাত, দোয়া-দরূদ; বিভিন্ন ফযীলতপূর্ণ স্থান যথা-মসজিদে নববী, কা’বা শরীফ, মসজিদে আকসা এবং পৃথিবীর সকল মসজিদ ইত্যাদি। এগুলোর অবমাননা যেমন, মসজিদকে গোয়ালঘর বলা, কোরআন মাজীদকে আবর্জনায় ছুঁড়ে ফেলা, নবীজীকে যুদ্ধবাজ ,অশিক্ষিত বলা, তাঁর নামের অবমাননা করা,আল্লাহ ছাড়া কাউকে রিযিকদাতা, ফসলদাতা, সন্তানদাতা ইত্যাদি মনে করা।
আর এ জাতীয় মানুষদের জন্য দুনিয়া ও পরকালে উভয় জায়গায় অপেক্ষা করছে মর্মন্তুদ শাস্তি।
১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
শ্রেষ্ঠ মানুষ হচ্ছেন সক্রেটিসের মতো মানুষজন, যারা রিপাবলিকের কথা ভাবতে পেরেছেন, ফরাসী বিপ্লবকারীরা, রেনেসাঁর লোকজন, লোকজন যারা বিশ্বে ইউনিভার্সিটি স্হাপন করেছেন, যারা মানুষের জন্য ঔষধ আবিস্কার করেছেন, কলকারখানার যন্ত্রপাতি আবিস্কার করেছেন, যারা মানউষের জন্য সাহিত্য লিখে গেছেন। যারা মিথ্যা কথা বলেছে, তারা শ্রেষ্ঠ নন।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: পৃথিবীতে সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হলেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। মহান আল্লাহর পরই তাঁর স্থান। তিনি প্রয়োজনীয় সব বিষয়ে জ্ঞান রাখতেন। তাঁর জ্ঞান মহাসাগরতুল্য। আর আল্লাহর জ্ঞানের কোনো তুলনা নেই।
এ দুনিয়ার কল্যাণকর প্রতিটি কাজেই তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। তাঁর অসাধারণ চারিত্রিক মাধুর্য ও অনুপম ব্যক্তিত্বের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত - ২১)
প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্ক বিভিন্ন বিরুপ মন্তব্যের আপনার প্রেক্ষাপটে আমার মনে হয়েছে, এ ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ জানলে আপনার এ ধারনা পরিবর্তন হতে পারে। আর তাই প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)এর বিনম্র জীবনাচরণ ও মহানবী (সা.)-এর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা এ নিয়ে দুটি পোস্ট লেখার ইচছা আছে । সবকিছু বিশদ জেনে পরিশেষে হয়ত আপনার বিরুপ ধারনা পরিবর্তন হবে এ আশা রাখি।আললাহ আপনাকে কল্যানের পথে আসার তওফিক দিন।
১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৪
ফটিকলাল বলেছেন: আমিন
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ফটিক লাল ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।
আললাহ আমাদের সকলেকে কল্যানের পথে আসার এবং বেশী বেশী দোয়া ও নেক আমল করার তওফিক দিন । আমিন।
১৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: বিরক্ত না হয়ে, রাগ না করে- আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।
জানার ইচছায় আপনি প্রশ্ন করেছেন এবং আমি যতটুকু জানি তার ভিত্তিতে জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছি। এখানে বিরাগ বা রাগের কোন কিছুই নেই।
কেউ যখন ইসলাম ধর্মের সুশীতল ছায়ায় আসে তাকে মুসলিম বলে।আর মুসলিমদের সম্পর্ক আল্লাহ তাআলা বলেন, "দ্বীন (গ্রহণ)-এর বিষয়ে কোনো জবরদস্তি নেই। হেদায়েতের পথ গোমরাহী থেকে পৃথকরূপে স্পষ্ট হয়ে গেছে।" (সুরা বাকারা আয়াত- ২৫৬)
আর যারা আল্লাহর আহবানে সাড়া দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছে, তারা পরিপূর্ণরূপে ইসলাম অনুসরণে বাধ্য। তারা তো ইসলাম গ্রহণ করেছেই আল্লাহর ইবাদতের জন্য, তাঁর বিধান মানার জন্য। পবিত্র কুরআন ইরশাদ হয়েছে,"তোমরা যারা ঈমান এনেছ, তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু" (সুরা বাকারা ,আয়াত - ২০৮)
মুসলমানগন ইসলামের অনুশাসন মানতে বাধ্য বলেই গুনাহ করলে দুনিয়া ও আখেরাতে বিভিন্ন শাস্তি তার উপর আপতিত হয়।মুসলমান হিসাবে সবচেয়ে বড় গুনাহ হল মুসলিম থেকে অমুসলিম হয়ে যাওয়া। একেই বলে ‘মুরতাদ’ হওয়া। ‘মুরতাদ’ শব্দের শাব্দিক অর্থ বিমুখ হয়েছে বা ফিরে গিয়েছে এমন। এর মূল মর্ম হল, ইসলাম ত্যাগ করা, ইসলামের কোনো মৌলিক আকিদা বা বিধানকে মানতে অস্বীকার করা, কিংবা তার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করা অথবা ইসলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ের অবমাননা করা, যা অন্তরের ভক্তিশূন্যতা ও শ্রদ্ধাহীনতার আলামত বহন করে। এককথায় ঈমান বিনষ্টকারী যে কোনো কুফরী-শিরকী আকিদা বা বিশ্বাস পোষণ করা, অথবা এ জাতীয় কোনো কথা বা কাজে লিপ্ত হওয়ার নামই হল মুরতাদ।
ইসলামের মৌলিক বিষয় হল, কুরআন মাজীদ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণ; বিভিন্ন ইবাদত যথা-নামায, রোযা, হজ্ব-যাকাত, দোয়া-দরূদ; বিভিন্ন ফযীলতপূর্ণ স্থান যথা-মসজিদে নববী, কা’বা শরীফ, মসজিদে আকসা এবং পৃথিবীর সকল মসজিদ ইত্যাদি। এগুলোর অবমাননা যেমন, মসজিদকে গোয়ালঘর বলা, কোরআন মাজীদকে আবর্জনায় ছুঁড়ে ফেলা, নবীজীকে যুদ্ধবাজ ,অশিক্ষিত বলা, তাঁর নামের অবমাননা করা,আল্লাহ ছাড়া কাউকে রিযিকদাতা, ফসলদাতা, সন্তানদাতা ইত্যাদি মনে করা।
আর এ জাতীয় মানুষদের জন্য দুনিয়াতে রয়েছে অপমানজনক জীবন আর পরকালেও তাদের জন্য অপেক্ষা করছে মর্মন্তুদ শাস্তি।
১৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর পোস্টের জন্য জাজাকাল্লাহ খাইরান
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কাজী ফাতেমা ছবি বোন,আপনার মন্তব্যের জন্য।
আললাহ আমাদের সকলেকে বেশী বেশী দোয়া ও নেক আমল করার তওফিক দিন । আমিন।
১৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমিন
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ কাজী ফাতেমা ছবি বোন,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।
ভালর সাথে থাকার এবং খারাপ পরিহার করার তওফিক দানের জন্য দোয়া রইল।
১৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: যার যার বিশ্বাস নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়াই বড় কথা।
সবাই ভালো থাকুক। সুস্থ থাকুন।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।
যদিও কথায় আছে " বিশ্বাসে মিলায় বস্তু ,তর্কে বহুদুর " তারপরেও তর্ক-বিতর্ক যদি যুক্তিযুক্ত ও যুক্তিসংগত হয় তবে তা জানার জন্য সহায়ক। আর জেনে- বুঝে সামনে এগিয়ে যাওয়াই মানব জাতির ধর্ম হওয়া উচিত অন্ধ অনুসরন নয়।
১৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০২
সপ্তম৮৪ বলেছেন: বেশি বেশি আমলে মানুষ বোকাচোদায় পরিণত হয়।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সপ্তম৮৪ ভাই ,আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।
অতিরিক্ত সবকিছু ই খারাপ ।তা যে কোন কাজই ।আর যে কোন কিছুতেই পরিমিতবোধ জরুরী। কারন যার পরিমিতিবোধ যত বেশী তার ন্যায়-অন্যায় বোধ তত প্রখর। সে জানে কোনটা ন্যায় আর কোনটা অন্যায় ।সে সেভাবেই তার জীবন যাপন পরিচালনা করে।আর ধর্মে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করাই হয়েছে।
ইসলামে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। কোরআনে কারিমে এ সম্বন্ধে বহু দলিল রয়েছে। যেমন-
আল কোরআনে বলা হয়েছে -"কিতাবধারী হে! নিজেদের ধর্ম নিয়ে অযথা বাড়াবাড়ি কোরো না। আর (ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে) তোমাদের আগে যারা নিজেরা পথভ্রষ্ট হয়ে ও অন্যদেরকে পথভ্রষ্ট করে সহজ সরল পথচ্যুত হয়েছে, তাদের পথ অবলম্বন কোরো না " (সুরা মায়িদা ,আয়াত - ৭৭)।
এ প্রসংগে আল কোরআনে আরো বলা হয়েছে -"হে কিতাবধারীরা! তোমরা তোমাদের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়িতে লিপ্ত হয়ো না। আর আল্লাহ সম্বন্ধে যথাযথ বলো" (সুরা নিসা ,আয়াত - ১৭১)।
এ প্রসংগে আল কোরআনে আরো বলা হয়েছে - "এটি আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা। সুতরাং তা অতিক্রম কোরো না। যারা অতিক্রম করে, তারা-ই প্রকৃত জালেম (সীমালঙ্ঘনকারী)" - (সুরা বাকারা : ২২৯)।
এই সকল আয়াতে এবং আরো অনেক আয়াতে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ও ধর্মের সীমারেখা থেকে বাইরে বেরোনো থেকে নিষেধ করা হয়েছে। যারা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে, তাদেরকেই জালেম সাব্যস্ত করা হয়েছে। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ইসলামে নিষেধ করা হয়েছে।
১৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:০৭
সাসুম বলেছেন: একটা কমেন্ট করার লোভ সামলাতে পারলাম না।
এই সব আমল সহ দুনিয়ার সকল আমল রাত দিন একটানা ৫০ হাজার বছর করলেও মানুষের অভাব দূর হবেনা। এই সব ভুল ন্যারেটিভ মানুষের ক্ষতি ছাড়া ভাল কিছু বয়ে আনতে পারেনা।
ধর্ম করবে শুধুমাত্র মালিকের জন্য, ধর্ম করবে শুধুমাত্র যা বলা হয়েছে তার জন্য, এর ফল যিনি প্রমিজ করেছেন তিনি দিবেন মরার পর।
এই দুনিয়াতে অভাব দূর করতে হলে একমাত্র উপায় সুশিক্ষা, পরিশ্রম, সততা, আর সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করার ক্ষমতা।
দুনিয়াতে শত শত কোটি মোসলমান রাত দিন আমল করে তারপরেও তাদের দুঃখ কস্ট দূর হয়না ( এটা বলিয়েন না তারা সহীহ মোসলমান না কিংবা তাদের কস্ট দিয়ে আল্লাহ পরীক্ষা নিচ্ছে , এটা বললে আমার মেজাজ চরম খারাপ হয়, তখন নিজেরে ধরে রাখতে পারিনা )
যদি আমল করেই সুখে আর অভাব দূর হত তাহলে সিরিয়া আর লিবিয়ার অভাবী কস্টে খাবার জন্য হায়হায় করা মোসলমান রা খালি আমলের উপর ই থাকত।
যদি আমল করেই অভাব দূর হত আর সুখে থাকা যেত, তাহলে আল্লাহর কাবা ঘরের সিপাহসালার সৌদি এরাবিয়ার বোমারু বিমানের বোমা ইয়েমেনের মোসলমান দের অসুখী বানাত না।
এসব হাস্যকর কথা আর ফ্যালাসি দিয়ে ইসলাম কে একটা হাস্যকর জিনিষে পরিণত করছে আমাদের ধর্ম প্রচারক রা।
অভাব দূর করতে লাগবে সুশিক্ষা আর পরিশ্রম। ব্যাস
ধর্ম কে ধর্মের যায়গায় রেখে কর্মের খোঁজে বের হয়ে যাওয়ার জন্য কোরানে একদম ক্লিয়ার করে বলা হয়েছে। আমল করে অভাব দূর করতে উৎসাহ দেয়া হয়নাই। ধর্মে ধর্মের যায়গায় আর কর্মকে কর্মের যায়গায় রাখা উচিত আমাদের।
হ্যাপি রমজানুল মোবারক জামান ভাই
২০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৩৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুমভাই ,আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।
একটা কমেন্ট করার লোভ সামলাতে পারলাম না।
- আপনার মন্তব্য লোভ নয় আমার হক।
ধর্ম কে ধর্মের যায়গায় রেখে কর্মের খোঁজে বের হয়ে যাওয়ার জন্য কোরানে একদম ক্লিয়ার করে বলা হয়েছে। আমল করে অভাব দূর করতে উৎসাহ দেয়া হয়নাই। ধর্মে ধর্মের যায়গায় আর কর্মকে কর্মের যায়গায় রাখা উচিত আমাদের।
- মহান আল্লাহপাক মানুষকে শুধু তার ইবাদতে ( নামাজ) মশগুল থাকতে বলেন নি বরং তার ইবাদাতের পাশাপশি তার জন্য হালাল রুযি তালাশ (রোযগারের জন্য বেরিয়ে পরতে ) করতে বলেছেন। কেননা হালাল আয়-রোজগারে জীবিকা নির্বাহ করলে তাতে ইবাদত-বন্দেগিও কবুল হয়। এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন, " অতঃপর নামাজ শেষ হলে তোমরা জমিনে (পৃথিবীতে) ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা (জীবিকা উপার্জনে) সফলকাম হও"। (সুরা জুমআ,আয়াত - ১০)।
ভাই আমাদের মনে রাখতে যে , হবে জীবন ধারণের জন্য উপার্জনে সক্ষম প্রত্যেক ব্যক্তিকে উপার্জন করতে হবে। অর্থ উপার্জন ছাড়া পৃথিবীতে বসবাস করা যেমন সম্ভব নয়, তেমিন ইবাদাত-বন্দেগিতে মনোযোগী হওয়াও সম্ভব নয়। মুসলমানদের ইবাদত-বন্দেগি তথা নামাজ শেষ করেই নিজের এবং পরিবারের খরচ নির্বাহে উপার্জনের জন্য বের হওয়া আবশ্যকীয় কাজ। ইবাদাত-বন্দেগিতে মনোযোগী হওয়ার জন্য হালাল উপায়ে জীবিকা সন্ধানে তথা প্রয়োজনীয় রিজিক তালাশে জমিনে বিচরণ করাই হলো আল্লাহ তাআলা হুকুম।
অভাব দূর করতে লাগবে সুশিক্ষা আর পরিশ্রম। ব্যাস
- সাফল্যের জন্য পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। তবে মুসলামন হিসাবে যেহেতু এটি আমাদের বিশ্বাসে রাখতে হয়, যে কোন কাজের সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা আল্লাহর তরফ থেকে নির্ধারিত কাজেই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমাদের আমলের কোন বিকল্প নেই । কাজেই পরিশ্রমের সাথে সাথে আমলও দরকার সাফল্যের জন্য (এ আমার মতামত ,এর সাথে আপনি একমত নাও হতে পারেন।)
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মানুষ দিন দিন এবাদতহীন হয়ে যাচ্ছে।
ধর্ম পালনে মন নেই মন কেবল দুনিয়াদারী নিয়ে ব্যস্ত।
সত্য ও সুন্দর পোস্টে +++++