নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"চির-বিদায় এটিএম শামসুজ্জামান "=== আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুন পরকালে এবং নসীব করুন জান্নাতুল ফেরদৌস।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৪


ছবি - wikipedia.org

দেশ বরেন্য, প্রখ্যাত ও শক্তিমান অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান আর নেই। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি,সকাল ৯টা ০৬ মিনিটে সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)।

আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান (সংক্ষেপে এটিএম শামসুজ্জামান হিসেবে অধিক পরিচিত) জন্ম ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে। গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার ভোলাকোটের বড়বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে। পড়াশোনা করেছিলেন ঢাকার পগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাই স্কুলে। পগোজ স্কুলে তার বন্ধু ছিলেন আরেক অভিনেতা প্রবীর মিত্র। ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট হাই স্কুল থেকে। তারপর জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। তার পিতা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। মাতা নুরুন্নেসা বেগম। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়।


ছবি-daily-sun.com

দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন। রক্তে অক্সিজেন লেভেল কমে যাওয়ায় গত বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছিলো। কিন্তু হাসপাতালে থাকতে না চাওয়ায় শুক্রবার বিকেলে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। এর আগেও একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। গেলো বছরের ৩০ এপ্রিল তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিলো এবং মৃত্যু ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১।মৃত্যকালে এ টি এম শামসুজ্জামানের বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।এটিএম শামসুজ্জামানের ছোট ভাই রতন জামান জানান, শনিবার বাদ জোহর এটিএম শামসুজ্জামানের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী নারিন্দার পীর সাহেব তার গোসলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন। এরপর বাদ আসর জুরাইন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।


ছবি - bdnews24.com

তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশী শক্তিমান অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার।অভিনয়ের জন্য আজীবন সম্মাননাসহ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ছয় বার। তার মাঝে -দায়ী কে ? (১৯৮৭) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, ম্যাডাম ফুলি (১৯৯৯), চুড়িওয়ালা (২০০১) ও মন বসে না পড়ার টেবিলে (২০০৯) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা বিভাগে,এবং চোরাবালি (২০১২) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে পুরস্কৃত হন। এছাড়া, ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের সময় তিনি আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন।শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।

চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু - এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবনের শুরু ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর "বিষকন্যা" চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে ।

কাহিনী,চিত্রনাট্য ও পরিচালনা - প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য।এ ছবির পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা। এ ছবির মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক।এছাড়াও খান আতাউর রহমান, কাজী জহির, সুভাষ দত্তদের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। এরপর ২০০৯ সালে প্রথম পরিচালনা করেন শাবনূর-রিয়াজ জুটির এবাদত নামের ছবিটি।মৃত্যু পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন।

কৌতুক চরিত্র -অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে এবং চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন কৌতুক অভিনেতা হিসেবে।। জলছবি, যাদুর বাঁশি, রামের সুমতি, ম্যাডাম ফুলি, চুড়িওয়ালা, মন বসে না পড়ার টেবিলে চলচ্চিত্রে তাকে কৌতুক চরিত্রে দেখা যায়।

খল চরিত্র - ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের নয়নমণি চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন তিনি এবং এ ছবিই তার অভিনয় জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ।এছাড়াও লাঠিয়াল,অশিক্ষিত, গোলাপী এখন ট্রেনে, পদ্মা মেঘনা যমুনা, স্বপ্নের নায়ক এসব ছবিতে তিনি খল চরিত্রে অভিনয় করেন ।

প্রধান চরিত্র - ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত "দায়ী কে?"চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

পার্শ্ব-চরিত্র - তিনি বেশ কিছু চলচ্চিত্রে পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয় করেন।তিনি রেদওয়ান রনি পরিচালিত চোরাবালিতে অভিনয় করেন ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এছাড়াও অনন্ত প্রেম, দোলনা, অচেনা, মোল্লা বাড়ির বউ, হাজার বছর ধরে, চোরাবালি এসব চলচ্চিত্রেও পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয় করেন।


ছবি -youtube.com

টিভি নাটক - এটিএম শামসুজ্জামানের অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন।অভিনয় জীবনের শুরুতে ষাটের দশকে টিভি নাটকে অংশগ্রহন ছিল তার। তার উল্লেখযোগ্য টিভি নাটকসমূহ হল ,রঙের মানুষ,ভবের হাট,ঘর কুটুম,বউ চুরি, নোয়াশাল (২০১৪), শতবর্ষে দাদাজান (২০১৫) ,ছলে বলে কৌশলে,ভালোবাসা কারে কয় ইত্যাদি।তাছাড়া জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান হানিফ সংকেতের ইত্যাদিতেও তিনি ছিলেন নিয়মিত মুখ।

তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যু দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশে তার অবদান মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।”

আমরা সবাই উনার রুহের মাগফেরাত কামনা করি ।মহান আল্লাহপাক উনার বিদেহী আত্মাকে শান্তি দিন এবং উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন।


তথ্যসূত্র ও সহযোগীতায় - দৈনিক ইত্তেফাক,উইকিপিডিয়া।


মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: আল্লাহ জান্নাস বাসি দান করুন আমিন

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ আলমগীর সরকার লিটন ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনার সাথে মিলিয়ে আমিও প্রার্থনা করি , আল্লাহপাক উনার বিদেহী আত্মাকে শান্তি দিন এবং উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন।

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার (ফরিদি) ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।

"আমরা তো আল্লাহরই এবং আর নিশ্চয়ই আমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী" - আল্লাহপাক এটিএম শামসুজ্জামানের বিদেহী আত্মাকে শান্তি দিন এবং উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন আর জীবিত আমাদের সকলকে পরকালের পাথেয় অর্জনের তৌফিক দান করুন।

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: তাকে মৃত্যুর আগে বহু বার মারা হয়েছে। এবার তিনি সত্যি সত্যিই চলে গেলেন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।

আসলেই ঠিক তাই।এর আগে অসংখ্যবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর ভাইরাল হয়েছিল । আর মৃত্যু এমন একটা বেদনাদায়ক কিন্তু চিরন্তন সত্য তা আসবেই তার নির্দিষ্ট সময়ে। তবে এ ব্যাপারে কোন কিছু বলার আগে ,সবার আগে সঠিক হয়ে এবং দায়িত্বের সাথে বলা উচিত। কারন এর সাথে একটি পরিবার,একজন মানুষের অনেক কিছু জড়িয়ে থাকে।

আর এবার সত্যি সত্যি চলে গেলেন।আল্লাহপাক এটিএম শামসুজ্জামানের বিদেহী আত্মাকে শান্তি দিন এবং উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন আর জীবিত আমাদের সকলকে পরকালের পাথেয় অর্জনের তৌফিক দান করুন।

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৯

জিল্লুর রহমান রিফাত বলেছেন: নিউজ টা দেখে প্রথমে মিথ্যা বলে মনে হয়েছিল।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জিল্লুর রহমান রিফাত ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।

আসলেই ঠিক তাই।এর আগে অসংখ্যবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর ভাইরাল হয়েছিল তাই প্রথমে আমারও তাই মনে হয়েছিল ।তারপর যখন সব গুলি চ্যানেল মৃত্যুর খবর হেডলাইনে প্রচার করে এবং রাষ্ট্রপতি উনার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন তখন আর কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। এবার সত্যি সত্যি ক্ষণস্থায়ী জীবন ছেড়ে চিরস্থায়ী জীবনের পথে পাড়ি জমিয়েছেন।

আল্লাহপাক এটিএম শামসুজ্জামানের বিদেহী আত্মাকে শান্তি দিন এবং উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন ।

৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেহেশতে গিয়ে আবার নাটক শুরু করবেন নাতো?

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই,আপনার (রসিক)মন্তব্যের জন্য।


মৃত্যু আসলেই বেদনার এবং সকল কিছুর উপরে। আমরা সবাই মৃতের রুহের মাগফিরাত কামনা করি আর উপারে গিয়ে উনি কি করবেন বা কতটুকু প্রতিদান পাবেন তা উনার কর্মফল এবং আল্লাহপাকের দয়ার উপর নির্ভরশীল।

আর আপনার মন্তব্যের ব্যাপারে কি বলব বলেন? আসলে মৃত্যু বা মৃত্যুের পরের ব্যাপার নিয়ে কিছু (রসিক / বেফাস) মন্তব্য করা মুসলমান হিসাবে আমাদের কারোরই উচিত বলে মনে হয়না । কারন আমরা সবাই আগে-পরে মৃত্যুের স্বাদ গ্রহন করব।

৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



মৃত্যু নিয়ে আপনার সঠিক ধারণা নয়; বেদুইনরা কি গল্প বলেছে আপনি সেটা সহজে বুঝেছেন; সবকিছু নিয়ে স্হান, কাল, পাত্র বুঝে জোক করা সম্ভব। উনি অভিনেতা, মানুষ উনাকে শিল্পি হিসেবে মনে রাখবেন, মানুষ উনার বেহেশে যাত্রা নিয়ে চিন্তিত নন; আমি ব্লগে জোক করলে কিছু বদলাচ্ছে না।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

এটা আপনি ঠিকই বলেছেন যে,সব কিছু নিয়েই স্হান, কাল, পাত্র বুঝে জোক করা সম্ভব তবে নৈতিকতার কোড অনুযায়ী সব জায়গায় জোক করা উচিত নয়।

আবার এটাও ঠিক আপনি-আমি যাই কিছু বলিনা কেন,উনার তাতে খুব বেশী কিছু আসবে-যাবেনা । কারন,উনিই উনার পাপ-পূণ্য তথা দুনিয়ার সকল কাজের হিসাব-নিকাশ দিবেন আর আল্লাহপাক উনার কর্মের উপরই বিচার করবেন।

আজ কিংবা কাল এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে আমাদের সবাইকে যেতে হবে। নশ্বর পৃথিবী থেকে অবিনশ্বর জীবনে পদার্পণের মাধ্যম মৃত্যু। কোনো প্রাণীই মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাবে না। আজ যারা মারা গেলেন, পরপারে তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাই তাদের প্রতি জীবিতদের কিছু দায়িত্ব-কর্তব্য আছে। যেগুলো পালন করার কথা ইসলামে বলা আছে।

একজন মুসলমান মারা যাওয়ার সংবাদ শুনে ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ এই দোয়াটি পাঠ করে তার মঙ্গল কামনা করতে হয়। যার অর্থ, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তারই সান্নিধ্যে ফিরে যাব। বন্ধু হোক বা শত্রু হোক কারও ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম করা যাবে না। কারণ, সব মুসলমান ভাই ভাই।

কারও মৃত্যুর কথা শুনে হাসি-তামাশা বা ঠাট্টা করা ভীষণ মূর্খতাপূর্ণ কাজ। যেটা শুধু মুসলমান নয়, কোনো মানুষেরই শোভা পায় না। এমন কাজের শাস্তিও বেশ ভয়ংকর। অন্যের মৃত্যুতে এমন আচরণ করলে নিজের মৃত্যুতেও মানুষ হাসবে।

মৃত্যু সম্পর্কে যার এমন বিশ্বাস রয়েছে সে কখনোই আরেকজনের মৃত্যুতে তামাশা করতে পারে না। কারণ, আমরা কেউই অবগত নই যে, আমাদের কার মৃত্যু কখন হবে। হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী সবার উচিত, মৃত ব্যক্তির ভালো কাজগুলো আলোচনা করা। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, "তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো"। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯০০) ।

মানুষ ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়।জীবিতাবস্থায় ভালো-মন্দ কাজ সবারই হয়ে থাকে। মৃতের ভালো কাজগুলো উল্লেখ করে তার জন্য দোয়া করা একজন মুমিনের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু মাঝে মাঝে কেউ কেউ অজ্ঞানতা মৃত ব্যক্তির সমালোচনা, হাসি-তামাশা বা ঠাট্টা করে থাকেন। অথচ যিনি করেন, তিনিও কিন্তু ভুলের ঊর্ধ্বে নন।আর এটা ইসলাম সমর্থন করে না।

তাই কোনো মুসলমান মারা গেলে তার প্রতি উত্তম আচরণ করা এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা প্রত্যেকের জন্য জরুরি।

৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: উনার সন্তানেরা কী পাশে ছিলো । উনার দুই সন্তান মারামারিতে ব্যস্ত ছিলো একসময়। অনেকের আবার খবর থাকে না।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।

সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী উনার মেয়ে-মেয়ের জামাই-ভাইয়ের কথাই বলা হয়েছে। উনার ছেলেদের ব্যাপারে কিছু লিখেনি বা বলেনি। আর স্বার্থের দ্বন্দ্ব দুনিয়ার মানুষের সাধারন স্বভাব। এ সব স্বার্থের দ্বন্দ্ব বা মারা-মারি সব ঘরে ঘরেই রয়েছে। এ জীবনেরই অংশ ভাই।

৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তার পরকালের সান্তি প্রত্যাশা করছি।
আপনাকে ধন্যবাদ দাদা সুত্র উল্লেখ
করার জন্য্।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।

"আমরা তো আল্লাহরই এবং আর নিশ্চয়ই আমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী" - আল্লাহপাক এটিএম শামসুজ্জামানের বিদেহী আত্মাকে শান্তি দিন এবং উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন ।

আপনাকে আবারো ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৭

ঢুকিচেপা বলেছেন: ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আমার পছন্দের একজন অভিনেতা।
অভিনয় জগতে যে কোন ক্যারেক্টারে ঢুকে যেতে পারতেন।

আল্লাহ ওনাকে বেহেস্ত নসীব করুন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ঢুকিচেপা ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।।।৷ আসলেই ঠিক তাই। যে কোন চরিত্রের এবং প্রয়োজন সেই চরিত্রের মাঝে একাত্ম হয়ে যাওয়ার এক অসামান্য দক্ষতা ছিল উনার। আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন।

১০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মরুভূমির জলদস্যু ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।৷৷ আমরা তার নিকট থেকে এসেছি এবং তারই কাছে প্রত্যাবর্তন করব। আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন আর আমাদের সকলকে হেদায়েত নসিব করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.