নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উৎসর্গ এবং যাদের কিছু মন্তব্যের সূত্র ধরে এই পোস্ট লেখার ইচছা - ব্লগার সাসুম ভাই ও ব্লগার এ আর ১৫ ভাই কে ।
প্রথম পর্বের লিংক - Click This Link
ছবি - ডারউইন ও তার বিবর্তনবাদের তত্ত্ব নিয়ে ফরাসী একটি ম্যাগাজিনে কার্টুন।
প্রথম পর্বের পর -
১৬২ বছর (১৮৫৯ - ২০২১) আগে যখন চার্লস ডারউইন প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তন তত্ত্ব সম্পর্কে বলেছিলেন, তখনকার সময় থেকে এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এর পক্ষে-বিপক্ষে তীব্র তর্ক-বিতর্ক করেছিলেন এবং করছেন। খোদ চার্লস ডারউইনকেও তার বিবর্তনবাদের তত্ত্বকে নিয়ে কথা বলার জন্য নানা ভাবে ও নানা জায়গায় বিপদে পড়তে হয়েছিল, তাঁকে নিয়ে বানরের আদলে ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন আঁকা হয়েছিল। আরও শুনতে হয়েছিল তার দাদা এবং দাদীর মধ্যে কে বানর ছিলেন?
তবে সময়ের সাথে সাথে এবং ধীরে ধীরে জীবাশ্মবিদ্যা, জেনেটিক্স, প্রাণীবিদ্যা, আণবিক জীববিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রের ব্যাপক প্রমাণ ধীরে ধীরে যুক্তিসঙ্গত ভাবে বিবর্তনের ধারনাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আজ বিবর্তনের সেই ধারনা বিজ্ঞানের প্রায় সর্বত্র জয়লাভ করেছে তবে একমাত্র সাধারন মানুষ তথা জনসাধারণের মন ছাড়া। এটা ঠিক যে,একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এবং বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ উৎকর্ষতার মাঝেও বিশ্বের সবচেয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে উন্নত জাতির মধ্যেও এ বিশ্বাস প্রবল যে সৃষ্টিকর্তা মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং এখনও সকল সাধারন মানুষ ,এলিট, রাজনীতিবিদ, বিচারক তথা প্রায় সকল নাগরিকরা এটা বিশ্বাস করেন যে ,বিবর্তন একটি ত্রুটিপূর্ণ ধারনা এবং দুর্বলভাবে সমর্থিত কিছু মানুষের কল্পনা। এখনো বিজ্ঞানের ক্লাসরুমেও সচেতনভাবে বিবর্তনের বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়া হয়।কারন,এটা একটা বিতর্কিত এবং অপ্রমাণীত বিষয়।
সাধারন মানুষের নিকট বিবর্তন তত্ত্বের বিরোধিতা একটি ধর্মীয় বিশ্বাসগত বিষয় অথবা বৈজ্ঞানিক অবস্থান, যাতে মানুষের উদ্ভবের ও বিকাশের বিবর্তন তত্ত্ব কে অস্বীকার করে। বিবর্তনবাদের ধারণা ঊনিশ শতকে দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর বিজ্ঞানী, ধর্মতত্ববিদ এবং সাধারণ মানুষ স্ব স্ব দৃষ্টিকোণ থেকে এ তত্ত্বের বিরোধিতা শুরু করে। অধিকাংশ মানুষ পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাবকে ঈশ্বরের সিদ্ধান্ত ও অবদান বলে বিশ্বাস করে। এ বিশ্বাস দুনিয়ায় প্রচলিত সকল ধর্মগ্রন্থে সমর্থিত। বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের উদ্ভবের তত্ত্ব সাধারন মানুষের সাথে সাথে বৈজ্ঞানিকদের ও প্রবল বিরোধিতারও সম্মুখীন হয় কারণ বিবর্তনবাদের বয়ান যৌক্তিক প্রতীয়মান হলেও এ মতবাদ প্রমাণ করা কোন ভাবেই সম্ভব ছিল না।
বিবর্তবাদের সমালোচনাকারীরা বিবর্তনবাদ তত্ত্বকে শুধুমাত্র একটি থিওরী বা তত্ত্ব (বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব হলো পর্যবেক্ষণ এবং বাস্তব বিষয়ের ফ্রেমওয়ার্ক। তত্ত্ব বদলে যেতে পারে বা যে পদ্ধতিতে তা ব্যাখ্যা করে তাও বদলে যেতে পারে।প্রতিটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব শুরু হয় একটি অনুমান হিসেবে। বর্তমান গ্রহণযোগ্য বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না এমন অব্যাখ্যাত ঘটনার প্রস্তাবিত সমাধানকে বলা হয় সায়েন্টিফিক হাইপোথিসিস বা বৈজ্ঞানকি অনুমান। অর্থাৎ অনুমান হলো এমন একটি ধারণা যা এখনো প্রমাণিত হয়নি। যদি কোনো অনুমানের স্বপক্ষে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগৃহীত হয় তাহলেই তা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির পরের স্তরে প্রবেশ করে- বৈজ্ঞানিক থিওরি তা তত্ত্বে পরিণত হয়।) বলে দাবী করেন এবং তারা জোর দেন যে,এ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব কখনোই বাস্তবে সম্ভব নয়। এই তত্ত্ব বিভ্রান্তিকর এবং এটি কোনো প্রমাণ স্বাপেক্ষ না। তাই বিবর্তনবাদ ফ্যাক্ট নয়, শুধুই তত্ত্ব।
আবার বিবর্তনবাদ নিয়ে সৃজনবাদীদের (সৃষ্টিবাদ বা সৃজনবাদ বা সৃষ্টিতত্ত্ব হল, ধর্মগ্রন্থের বিবরণ অনুযায়ী জীবন ও বিশ্বজগত সৃষ্টির ইতিহাসের উপর বিশ্বাস) একটা বক্তব্য হল, এটা বিতর্কিত (যা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে এমন,আলোচিত-অনুমিত-সন্দিগ্ধ বা সন্দেহজনক ) বিষয়।তারা বলতে শুরু করল, বিবর্তনবাদ যদিও বিতর্কিত তারপরেও তোমরা এটা শিখাও, তবে এই ব্যবস্থা করো যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ইচ্ছেমত বিবর্তনবাদ আর সৃজনবাদের মধ্যে বিষয় নির্বাচন করতে পারে।নব্য সৃজনবাদীদের বিবর্তন নিয়ে একটা প্রচলিত অভিযোগ হচ্ছে, "বিবর্তন বিজ্ঞানের ধারা অনুসরণ করে না,তাই এটি খাটি বিজ্ঞান নয় এবং একে বিজ্ঞানের শ্রেণিতে পাঠদান করা উচিত নয়"।
১৯৭৬ সালে দার্শনিক কার্ল পোপার বলেছিলেন "ডারউইনিজম কোনো পরীক্ষণীয় বৈজ্ঞানিক মতবাদ নয়, বরং আধ্যাত্মিক গবেষণার বিষয়।" পরবর্তীতে তিনি তার চিন্তাধারা পরিবর্তন করে বলেন," ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচনের এই মতবাদ পরীক্ষা করা কঠিন" যেভাবে উচ্চতর বিজ্ঞানের অনেক বিষয় পরীক্ষা করা যায় না।
একটা সময় পুর্বের তুলনায় বিবর্তনের বিরোধিতা আরো বেশি বেড়ে যায়। দাবী করা হয় বিবর্তন শুধু অবৈজ্ঞানিকই নয় অকল্পনীয় এবং এটা অসম্ভব। কারণ এটা প্রাকৃতিক নিয়মের সাথে সাংঘর্ষিক এবং এটা পৃথিবীতে বিদ্যমান জীববৈচিত্র্য তৈরী করতে পারবে না।বেঁচে থাকা প্রতিটা জীবন্ত যা কিছুর দিকেই দেখা হোক না কেন,তার রয়েছে আশ্চর্যজনক জটিলতা। এই জটিলতা তার শারীরিক বিন্যাসে, কোষীয় পর্যায়ে এবং এমনকি আণবিক পর্যায়েও দেখা যায়। এই জটিলতা যদি একটুও কম বা বেশী হত অথবা প্রাণে একটু এদিক সেদিক হত, তবে তা কখনোই কাজ করত না। এ থেকে একটাই সিদ্ধান্তে আসা যায়,"আর তা হলো এগুলো কোনো বুদ্ধিমান সত্তাই সৃষ্টি করেছে, বিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় নি"।
এবার আসুন আমরা দেখি বিবর্তনবাদের প্রকৃত ঘটনা (FACT) সমুহ -
আমরা যদি বিজ্ঞানের সংজ্ঞার দিকে তাকাই তা হলে দেখব - বিশ্বের যা কিছু পর্যবেক্ষণযোগ্য, পরীক্ষণযোগ্য ও যাচাইযোগ্য, তার সুশৃঙ্খল, নিয়মতান্ত্রিক গবেষণা ও সেই গবেষণালব্ধ জ্ঞানভাণ্ডারের নাম বিজ্ঞান। বিজ্ঞান শব্দটি ইংরেজি 'Science' শব্দের বাংলা অনুবাদ। Science শব্দটি আবার এসেছে ল্যাটিন শব্দ 'Scientia' থেকে, যার অর্থ জ্ঞান। বাংলায় বিজ্ঞান শব্দটিকে বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় বি+জ্ঞান, যার অর্থ দাঁড়ায় বিশেষ জ্ঞান। অর্থাৎ কোন বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান কে বলা হয় বিজ্ঞান। এখানে একটি প্রশ্ন যে এই "বিশেষ জ্ঞান" কি ? আসলে এই "বিশেষ জ্ঞান" ই হল কোন ভৌত বিশ্বের যা কিছু পর্যবেক্ষণযোগ্য, পরীক্ষণযোগ্য ও যাচাইযোগ্য, তার সুশৃঙ্খল, নিয়মতান্ত্রিক গবেষণা ও সেই গবেষণালব্ধ জ্ঞান।
অতএব, আমরা (মানুষ / বিজ্ঞানীরা) শুধুমাত্র যখন কোন বিষয় নিয়ে বিস্তর গবেষণা বা পরীক্ষা করে এবং সেই গবেষণা বা পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ ও যাচাই করে নিয়মতান্ত্রিক বা সুশৃঙ্খল জ্ঞান (ফলাফল) লাভ করে তখনই তাকে বিজ্ঞান বলে।আর তাই বিজ্ঞানের সংজ্ঞার আলোকেই বলা চলে -
বিবর্তনবাদ শুধুমাত্র একটি তত্ত্ব। এটি কোন প্রতিষ্ঠিত সত্য বা বৈজ্ঞানিক আইন নয় বা বৈজ্ঞানিক ভাবে পরীক্ষিত কোন বিষয় নয়।
* ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস (NAS) এর মতে, একটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব হল, "প্রাকৃতিক বিশ্বের কিছু দিকের একটি ভাল-প্রমাণিত ব্যাখ্যা যা সত্য, আইন, অনুমান এবং পরীক্ষিত অনুমানকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।" কোন বৈধতা একটি তত্ত্বকে একটি আইনে পরিবর্তন করে না, যা প্রকৃতি সম্পর্কে বর্ণনামূলক সাধারণীকরণ। সুতরাং বিজ্ঞানীরা যখন বিবর্তন তত্ত্ব বা পারমাণবিক তত্ত্ব বা আপেক্ষিকতার তত্ত্ব (আপেক্ষিক তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা আলবার্ট আইনস্টাইন চিরায়ত বলবিদ্যা অনুযায়ী স্থান,কাল এবং ভরকে পরম বলে ধরা হয়। কিন্তু আলবার্ট আইনস্টাইন সর্বপ্রথম দাবী করেন যে পরমস্থান, পরমকাল এবং পরমভর বলতে কিছুই নেই। স্থান,কাল এবং ভর তিনটিকেই আপেক্ষিক ধরে তিনি তার বিখ্যাত আপেক্ষিকতা তত্ত্ব প্রস্তাব করেন । এর দুইটি রূপ আছে: বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব এবং সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব ) সম্পর্কে কথা বলেন, তখন তারা এর সত্যতা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন না। বিবর্তনের তত্ত্ব ছাড়াও, পরিবর্তনের সাথে বংশোদ্ভূত ধারণা, বিবর্তনের বাস্তবতার কথাও বলা যেতে পারে। NAS একটি সত্যকে সংজ্ঞায়িত করে "একটি পর্যবেক্ষণ যা বারবার নিশ্চিত করা হয়েছে এবং সমস্ত ব্যবহারিক উদ্দেশ্যে বিবর্তন 'সত্য' হিসাবে গৃহীত হয়েছে।" জীবাশ্ম রেকর্ড এবং প্রচুর অন্যান্য প্রমাণ সাক্ষ্য দেয় যে জীবগুলি সময়ের সাথে বিকশিত হয়েছে। যদিও কেউ সেই রূপান্তরগুলি পর্যবেক্ষণ করেনি।
** সমস্ত বিজ্ঞানই প্রায় পরোক্ষ প্রমাণের উপর নির্ভর করে। পদার্থ বিজ্ঞানীরা সরাসরি উপ-পারমাণবিক (পারমাণবিক তত্ত্ব বা পরমাণুবাদ হচ্ছে পদার্থের ধর্ম সম্পর্কিত একটি বৈজ্ঞানিক ধারণা ) কণা দেখতে পান না।উদাহরণস্বরূপ, তারা তাদের অস্তিত্ব যাচাই করে ট্র্যাকগুলি দেখে যে কণাগুলি ক্লাউড চেম্বারে চলে যায়। সরাসরি পর্যবেক্ষণের অনুপস্থিতি পদার্থ বিজ্ঞানীদের সিদ্ধান্তকে কম নিশ্চিত করে না বা এমন প্রমাণ হয়না যে পদার্থ বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার ভূল।
বিজ্ঞানের তত্ত্ব অনুসারে -
** বিবর্তনবিদ্যা অবৈজ্ঞানিক কারণ এটি পরীক্ষাযোগ্য বা মিথ্যা প্রতিপাদনযোগ্য নয়। এটি এমন ঘটনাবলি সম্পর্কে দাবি করে যা কখনও,কোথাও বা পরীক্ষাগারে পর্যবেক্ষণ করা হয়নি এবং যা কখনও পুনরায় তৈরি করা যাবে না এবং কেউ কখনো চাক্ষুস এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেনি।ক্রমবর্ধমানভাবে, বিজ্ঞানীরা বিবর্তনের সত্যকে সন্দেহ করে। এমনকি যারা বিবর্তন সমর্থন করেন সেইসব জীববিজ্ঞানীদের নিজেদের মধ্যে বিতর্ক থেকেও বোঝা যায় যে, বিবর্তনবাদ আসলে ভুল, ডারউইনের তত্ত্বের কোন ভিত্তি নেই।তাছাড়া বিবর্তনবাদে কখনো বৈজ্ঞানিক ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে না।আবার বিবর্তন তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্রকে লংঘন করে এবং সর্বোপরী বেশিরভাগ লোক বিবর্তনে বিশ্বাস করে না।
বিবর্তনের পক্ষে-বিপক্ষে সাক্ষ্যপ্রমাণ
১। আজ পর্যন্ত বিবর্তনের পক্ষে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
২। বিবর্তনের পক্ষে সাক্ষ্য হিসেবে যে নিষ্ক্রিয় অংগগুলোর (নিষ্ক্রিয় অঙ্গ বা Vestigial organs হল প্রচলিত ধারণায় সেসব অঙ্গ যেগুলো একসময় পূর্বপুরুষের দেহে সুগঠিত ও কার্যক্ষম ছিল, কিন্তু পরবর্তী বংশধরের দেহে গুরুত্বহীন, অগঠিত এবং অকার্যকর অবস্থায় রয়ে গেছে) কথা বলা হয় সেগুলো নিষ্ক্রিয় নয়, অতি সূক্ষ্ম কোন জৈবনিক কর্মকান্ড তারা করে থাকে যা এখনও বিজ্ঞানীরা বের করতে পারে নি। আবার মানবদেহে কোন নিষ্ক্রিয় অঙ্গের অস্তিত্ব নেই।
৩। প্রকৃতি জগতের কোথাও কোন অর্ধ বিকশিত বা অসম্পূর্ণ জীব দেখা যায় না । যাদের দেখা যায় তারা প্রত্যেকেই স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং পূর্ণ বিকশিত। কোন জীবেরই অর্ধবিকশিত বা ত্রুটিপূর্ণ কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দেখা যায় না।
৪। চার্লস ডারউইন চোখের বিবর্তন নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছিলেন।আবার চোখের মত জটিল অঙ্গ বিবর্তনের মাধ্যমে কোন ভাবেই তৈরি হতে পারে না।
৫। নতুন কোন প্রজাতির উৎপত্তি পর্যবেক্ষিত (কোন ভাবেই এবং কোথাও হয়েছে এমন প্রমান নেই) হয়নি এবং আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বিবর্তন তত্ত্বের কোন ব্যবহারিক প্রয়োগ নেই।
ছবি - kmhb.wordpress.com
প্রাকৃতিক নির্বাচন, পরিব্যক্তি, প্রকারণ ও অন্যান্য FACT সমুহ -
১। বিবর্তনবিদ্যা অনুসারে,উঁচু গাছের পাতা খাওয়ার জন্য জিরাফ যদি তার গলা লম্বা করে নিতে পারে, তবে আমরা কেনো উড়ার জন্য আমাদের ঘাঁড়ে দুইটা পাখা গজিয়ে নিতে পারি না?
২। প্রাকৃতিক নির্বাচন মাইক্রোবিবর্তন (মাইক্রো বিবর্তন একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একই প্রজাতির জনসংখ্যার মধ্যে দৃশ্যমান পরিবর্তন বোঝায়) ব্যাখ্যা করতে পারে, কিন্তু নতুন প্রজাতি এবং উঁচু শ্রেণীর প্রাণীর উৎপত্তি ব্যাখ্যা করতে পারে না।
৩। প্রাকৃতিক নির্বাচন চক্রাকার যুক্তির উপর স্থাপিত। যারা বেঁচে থাকে তারা যোগ্যতম, আবার যোগ্যতমরাই বেঁচে থাকে।
৪। বেশিরভাগ পরিব্যক্তি বা মিউটেশনই ক্ষতিকর।
৫। বিবর্তন-প্রক্রিয়ার ফলে সকল প্রাণীকূল প্রতিনিয়তই উন্নত হচ্ছে।
৬। সাগর বা হ্রদের পানির নীচের মাছগুলো অত অপরূপ রঙীন হতে গেল কেন?
৭। মাইক্রোবিবর্তন এবং ম্যাক্রোবিবর্তন (ম্যাক্রো বিবর্তন বর্ণনা করে যে কিভাবে সরীসৃপ পাখি এবং নিম্ন প্রাইমেটদের মধ্যে উচ্চতর এবং পরে অবশেষে মানুষ হয়েছে ) সম্পূর্ণ আলাদা।
ছবি - wikipedia.org/wiki/Fossil
জীবাশ্মবিদ্যা ও ভুতত্ত্ববিদ্যার FACT সমুহ -
১। দু’চারটা আংশিক ফসিল (জীবাশ্ম বা Fossil বলতে প্রাণী বা উদ্ভিদ পাথরে পরিণত হয়েছে এমন ধরনের বস্তুকে বোঝায়।) বা পুরনো হাড়গোড় পেয়েই বিজ্ঞানীরা বিবর্তনের স্বপক্ষে বড় বড় সিদ্ধান্ত টেনে ফেলেন।আর সেগুলি যদি সত্যিই হবে তবে বা বিবর্তন যদি সঠিকই হবে তাহলে ফসিল রেকর্ডে এত গ্যাপ রয়েছে কেন?
২। বিবর্তনবাদীরা অর্ধেক সরীসৃপ অর্ধেক পাখি - এরকম কোন মধ্যবর্তী জীবাশ্ম দেখাতে পারে না।অথচ তাদের যুক্তি অনুসারেই এক প্রাণী থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে অন্য প্রাণী তৈরী হয়েছে।আর তা যদি আসলেই সত্যি হত তাহলে এরকম মধ্যবর্তী কোন প্রাণীর জীবাশ্ম অবশ্যই পাওয়া যেত।
৩। তেজস্ক্রিয় ডেটিং (তেজস্ক্রিয় অঙ্গার দ্বারা বয়স নির্ণয় (রেডিওকার্বন ডেটিং) অথবা সাধারণ ভাবে কার্বন ডেটিং হল তেজস্ক্রিয়মিতি দ্বারা বয়স নির্ণয়ের একটি প্রণালী ) দিয়ে কীভাবে ফসিলের সঠিক বয়স নির্ধারণ করা যায়?
ছবিঃ মানব বিবর্তনের ধারার আধুনিক ছবি (উৎস ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক)
মানব বিবর্তন বা মানুষের FACT সমুহ -
১। মানুষ যদি বানর (এপ-প্রাইমেট) থেকে এসে থাকে , তাহলে কেন এখনও বাকী বানরেরা এভাবে বানর হিসাবেই আছে এবং এখন কেন বানর থেকে পরিবর্তিত হয়ে মানুষ তৈরী হচছেনা ?
২। যদি বানর সদৃশ জীব থেকে একসময় মানুষের বিবর্তন ঘটে থাকে তাহলে তা এখনো ঘটার কথা বাস্তবে আমরা এমন কেনো ঘটনা ঘটতে দেখিনা কেন?
৩। আর্ডির সাম্প্রতিক ফসিল প্রমাণ করেছে যে বিবর্তনতত্ত্ব ভুল আবার বিজ্ঞানে মাইটোকণ্ড্রিয়াল ইভের অস্তিত্ব আবিস্কৃত হয়েছে ।এর ফলে এ ব্যাপারে বলা যায় - যদি মাইটোকণ্ড্রিয়াল ইভের অস্তিত্ব সত্যি হয় তবে ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত আদম হাওয়ার কাহিনিও তাহলে সত্যি।
মানুষের যৌনতা, প্রবৃত্তি, নৈতিকতা ইত্যাদি FACT সমুহ -
১। বিবর্তন কোন ভাবেই মানুষের যৌনতা বা সেক্সের উদ্ভবকে ব্যাখ্যা করতে পারে না।
২। বিবর্তন সমকামিতার অস্তিত্বকে ব্যাখ্যা করতে পারে না।
৩। বিবর্তন মানব-সমাজে নৈতিকতার উদ্ভবকে ব্যাখ্যা করতে পারে না।
৪। বিবর্তনবাদ সামাজিক ডারউইনবাদ বা সোশাল ডারউইনিজম প্রমোট করে
৫। বিবর্তনবাদ ইউজেনিক্সের জন্ম দিয়েছে (অক্সফোর্ডের বিজ্ঞান অভিধান বলছে জেনেটিক্সের জ্ঞান খাটিয়ে কোন জনগোষ্ঠীকে “উন্নত” করার প্রক্রিয়াকেই ইউজেনিক্স বলে বা এটি এমন একটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব এবং অনুশীলন, যাতে একজন মানুষ তার জন্য নির্বাচিত নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সঙ্গীর সাথে প্রজনন ঘটিয়ে একটি সুস্থ সবল ভবিষ্যত প্রজন্ম তৈরি করবে। এর মাধ্যমে মানবসমাজ থেকে তথাকথিত নানা রোগ, প্রতিবন্ধকতা, মানসিক সমস্যা, খারাপ বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি দূর করা যাবে)।
৬। বিবর্তন মানুষকে অজাচার (অজাচার হলো ঘনিষ্ঠ রক্তীয় সম্পর্ক আছে এমন আত্মীয়ের সঙ্গে যৌনকর্ম বা যৌনসঙ্গম। সাধারণত অজাচার তিনটি যৌনসম্পর্কে ইঙ্গিত করে। যথা - ১। কন্যার সঙ্গে পিতার ২। পুত্রের সঙ্গে মাতার ৩। বোনের সঙ্গে ভাইয়ের যৌনকর্ম বা যৌনসঙ্গম।) শিক্ষা দেয়
প্রাণের উৎপত্তি এবং অজৈবজনি (জীবনের উৎপত্তি বা Origin of life এবং অজৈবজনি Abiogenesis বলতে পৃথিবীপৃষ্ঠে নির্জীব পদার্থ থেকে কীভাবে প্রাণের উৎপত্তি হয়েছিল, সে সম্পর্কিত গবেষণাকে বোঝায়) FACT সমুহ -
১।লুই পাস্তুর তার গবেষনায় প্রমাণ করেছিলেন যে, জড় থেকে কোন ভাবেই জীবের উদ্ভব হতে পারে না, শুধু জীব থেকেই জীবের উদ্ভব হয়।
২। সম্ভাবনার নিরিখে জড় থেকে প্রাণের উদ্ভব খুব বিরল ঘটনা।
৩। তর্কের খাতিরে, জড় পদার্থ থেকে প্রাথমিকভাবে জীবের উদ্ভব হলে তবে এখন তা হচ্ছে না কেন?
৪। বিবর্তন প্রাণের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করতে পারে না।
৫। অজৈবজনি ছাড়া বিবর্তন তত্ত্ব অচল।
৬। প্রথম কোষ কোন ভাবেই দৈব প্রক্রিয়ায় তৈরি হতে পারে না।
৭। এটার কোন ব্যাখ্যা বিবর্তনে নেই যে, পৃথিবীতে কেন কেবল কার্বন-ভিত্তিক প্রাণেরই উদ্ভব ঘটল, কেন সিলিকন-ভিত্তিক প্রাণ নয়?
সৃষ্টিবাদ, অনন্য (ইন্টেলিজেন্ট) ডিজাইন এবং আনুষঙ্গিক FACT সমুহ -
১। আদালতে বিবর্তন - কিটজ্মিলার বনাম ডোভার কেইস লিংক - https://blog.mukto-mona.com/2012/05/18/25744/
২। প্রখ্যাত ইসলামী গবেষক জাকির নায়েক তার বক্তৃতায় প্রমাণ করেছেন যে বিবর্তনবাদ ভুল ।( জাকির নায়েক ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বকে প্রত্যাখ্যান করে বলেন যে, বিবর্তন বিষয়ক তত্ত্ব হল একটি প্রস্তাব মাত্র, এবং এটি খুব বেশি অপ্রমাণিত একটি অনুমান।" তার মতে, বেশিরভাগ বিজ্ঞানী এটা সমর্থন করেন এই কারণে যে, এটা বাইবেলের বিরুদ্ধে যায়, এই কারণে নয় যে এটা সত্য"।জাকির নায়েক দাবি করেন যে, কুরআন বহু বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের ভবিষৎবাণী করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১০ সালে তিনি বলেন যে, কুরআনের কিছু নির্দিষ্ট আয়াতে মাতৃগর্ভে নবজাতক-ভ্রুনের বৃদ্ধি ও ক্রমবিকাশের ধাপগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বর্ণনা করা হয়েছে। জাকির নায়েক দাবি করেন যে, "ডারউইন যা বলেছিলেন তা শুধু একটি তত্ত্ব মাত্র"। এমন কোন বই নেই যা ‘বিবর্তন বিষয়কে ফ্যাক্ট’ বলে ।সকল বইই বলে বিবর্তন বিষয়ক তত্ত্ব। তিনি আরও বলেন, "পবিত্র কুরআনের এমন কোন কথা নেই, যা বিজ্ঞান এখন পর্যন্ত মিথ্যা প্রমাণ করতে পেরেছে। প্রস্তাব এবং তত্ত্বসমূহ কুরআনের কুরআনের বিরুদ্ধে যায়। কুরআনে বর্ণিত বৈজ্ঞানিক সত্যগুলোর মধ্যে এমন একটিও নেই, যা প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে গিয়েছে - সেটা হয়তো তত্ত্বের বিরুদ্ধে গিয়ে থাকতে পারে।") ( Huffington Post (৭ জুলাই ২০১৬)। "10 Times Zakir Naik Proved That He Promoted Anything But Peace"। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৬। Attaullah, Munir. "View: The Muslim predicament II". Daily Times (Pakistan). 21 March 2007. Retrieved 21 July 2011. Quran and Modern Science – Conflict or Conciliation? ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ এপ্রিল ২০১২ তারিখে – Part Two – by Dr. Zakir Naik)
৩।ঘড়ি তৈরীতে যেমন কারিগর লাগে, তেমনি জটিল জীবজগত ও মহাবিশ্ব তৈরির পেছনেও কারিগর লাগবে।
৪। বিবর্তনবাদ অনুসারে, সরল অবস্থা থেকে এত জটিল জীবজগতের উদ্ভব ঘটা আর জাঙ্ক ইয়ার্ডে ফেলে রাখা জঞ্জাল থেকে এক ঘূর্নিঝড়ের মাধ্যমে এক বোয়িং বিমান তৈরি হয়ে যাওয়ার মতই অসম্ভব।
৫। কিছু জৈববৈজ্ঞানিক সিস্টেম অহ্রাসযোগ্য ও জটিল যা বিবর্তন দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না।
৬। নূহের মহাপ্লাবনের পর কেমন করে নতুনভাবে জীব-বৈচিত্র্যের সৃষ্টি হলো?
৭। মহাবিশ্বের সব কিছুই জীবনের জন্য সূক্ষ্ম-সুন্দর-সুনিপুণ ভাবে সমন্বিত। এই মহাবিশ্ব কিংবা আমদের জীবদেহ দেখলেই বোঝা যায় এগুলো কতটা নিখুঁতভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, এরা বিবর্তিত হয়নি।
৮। ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন একটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আর মানব মস্তিষ্ক স্রষ্টার নিখুঁত ডিজাইন, এর মধ্যে কোন ত্রুটি নেই।
৯। পদার্থের উৎপত্তি, শৃঙ্খলার সূচনা কিংবা মহাবিশ্বের উৎপত্তিকে পদার্থবিজ্ঞানের জ্ঞানের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যায় না।
১০। সব কিছুর পেছনেই কারণ আছে এবং থাকে। মহাবিশ্বের উৎপত্তিরও একটি কারণ রয়েছে, আর সেই কারণটিই ঈশ্বর-স্রষ্টা -অদ্যৃশ্য কারিগর ।
১১। আল্লাহ-ঈশ্বর-স্রষ্টা -অদ্যৃশ্য কারিগর সব কিছু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন (মানব সৃষ্টির এ রহস্য সম্পর্কে মহাগ্রন্থ আল কোরআনে বলা হয়েছে,"হে মানব মণ্ডলী! তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন এক সত্তা (আদম) হতে; আর তা হতে তৈরি করলেন তার জোড়া (হাওয়া) এবং এতদ্বয় হতে বিস্তৃত করলেন বহু পুরুষ ও নারী। (সূরা নিসা, আয়াত - ১)।তিনি আরো বলেন,"পবিত্র তিনি, যিনি সৃজন করেছেন সকল কিছু জোড়ায় জোড়ায় যা ভূমিতে উৎপন্ন হয় এবং তোমাদের নিজেদের মাঝেও আর তাতেও যা তোমরা জান না। (সূরা ইয়াসীন, আয়াত - ৩৬)। আরো বলেন,"আর নিশ্চয় তিনি সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায় পুরুষ ও নারী"। (সূরা নাজম, আয়াত - ৪৫)। "হে মানবজাতি! নিশ্চয় আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে। (সূরা হুজুরাত, আয়াত: ১৩)। "আর আমি বানিয়েছি তোমাদের জোড়ায় জোড়ায় (পুরুষ ও নারী)। (সূরা নাবা, আয়াত: ৮)।
১২। বিবর্তন এবং নাস্তিকতা সমার্থক কারন এতে আল্লাহ-ঈশ্বর-স্রষ্টাকে অস্বীকার করা হয়।
১৩। পরম করুণাময় আল্লাহ-ঈশ্বর-স্রষ্টা-অদ্যৃশ্য কারিগরের নিখুঁত সৃষ্টিতে কোন ধরণের নিষ্ঠুরতা নেই এবং তার সব সৃষ্টি মানবিক (মানবীয় মর্যাদার বিভিন্ন দিক আছে। প্রথমত - যে আকার-আকৃতি ও সামঞ্জস্যপূর্ণ শারীরিক কাঠামো মহান আল্লাহ মানুষকে দান করেছেন, তা অন্য কোনো সৃষ্টবস্তুকে দেওয়া হয়নি। দ্বিতীয়ত - যে জ্ঞান মানুষকে দেওয়া হয়েছে, যার দ্বারা তারা নিজেদের জীবন গতিশীল করার জন্য নিত্যনতুন বস্তু আবিষ্কার করেছে, অন্য কোনো সৃষ্টবস্তুকে তা দেওয়া হয়নি। তৃতীয়ত - মানুষকে আসমানি ওহি দেওয়া হয়েছে। এই জ্ঞান দিয়ে তারা কল্যাণ-অকল্যাণ, উপকারী-অপকারী ও ভালো-মন্দের মধ্যে পার্থক্য করতে সক্ষম। চতুর্থত - মানুষকে একধরনের বিশেষ জ্ঞান দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে সে আল্লাহর অন্য সৃষ্টবস্তু থেকে উপকৃত হতে ও বশে রাখতে সক্ষম। আল্লাহর কিছু সৃষ্টবস্তু এমন আছে, যেগুলোর শক্তিমত্তার কথা ভেবেও মানুষ কিংকর্তব্যবিমূঢ়। অথচ মহান আল্লাহ সেগুলোও মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন। যেমন—চাঁদ, সূর্য, বাতাস, পানি মানুষের বশে নেই, কিন্তু দিব্যি এগুলো মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত।)।
১৪। বিজ্ঞান ও ধর্ম সাংঘর্ষিক নয় বরং একে অপরের পরিপূরক।
আরও কিছু FACT
১। বিবর্তনের কোথাও এ ব্যাখ্যা নেই বা বিবর্তন ব্যাখ্যা করতেও পারে না যে, " কিভাবে পৃথিবীতে প্রথম জীবন-প্রাণ দেখা দিল"।
২। এটা অকল্পনীয় যে, প্রোটিনের মতো জটিল কিছু, জীবন্ত কোষ বা মানুষ ঘটনাক্রমে উদ্ভূত হতে পারে।
৩। থার্মোডাইনামিক্সের দ্বিতীয় আইন বলে যে সিস্টেমগুলি সময়ের সাথে আরও বিশৃঙ্খল হয়ে উঠতে হবে। অতএব জীবিত কোষগুলি নির্জীব রাসায়নিক থেকে বিবর্তিত হতে পারত না এবং বহুকোষী জীবন প্রোটোজোয়া থেকে বিবর্তিত হতে পারত না।
৪। বিবর্তন তত্ত্বের জন্য মিউটেশন অপরিহার্য, কিন্তু মিউটেশন শুধুমাত্র বৈশিষ্ট্য দূর করতে পারে। তারা নতুন বৈশিষ্ট্য তৈরি করতে পারে না।
৫। প্রাকৃতিক নির্বাচন মাইক্রো -বিবর্তন ব্যাখ্যা করতে পারে, কিন্তু এটি নতুন প্রজাতির উৎপত্তি এবং জীবনের উচ্চতর আদেশ ব্যাখ্যা করতে পারে না।
৬।কেউ কখনও নতুন প্রজাতি বিবর্তিত (এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতি তৈরী) হতে দেখেনি। যদি এটা সত্যি হত তাহলে এ দুনিয়াতে এবং কোন না কোন পর্যায়ে কেউ না কেউ বিবর্তিত প্রাণীকে দেখতে পেত।
৭। জীবজগতের যে সব জটিল বৈশিষ্ট্য আছে - শারীরবৃত্তীয়, সেলুলার এবং আণবিক স্তরে - যেগুলি কম জটিল বা অত্যাধুনিক হলে কাজ করতে পারে না। একমাত্র বিচক্ষণ উপসংহার হল যে এগুলি বুদ্ধিমান ডিজাইনের পণ্য, বিবর্তন নয়।
৮। সাম্প্রতিক বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলি প্রমাণ করে যে, এমনকি মাইক্রোস্কোপিক স্তরেও জীবনের জটিলতার এমন একটি গুণ রয়েছে যা বিবর্তনের মাধ্যমে আসতে পারে না বা কোন ভাবেই তা সম্ভব না।
সাধারনভাবে বিবর্তনবাদের তত্ত্ব অনুসারে, মাঙ্কি থেকে আমরা বিবর্তিত না হলেও বানরজাতীয় সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে আমাদের মানুষ প্রজাতির উদ্ভব ঘটেছে এটাই তাদের মূল কথা। সাধারণ পূর্বপুরুষ নাম দেয়া হোক আর যাই দেয়া হোক - তারা যে আসলে বানর সদৃশ জীবই ছিলো তাতে কোন সন্দেহ নেই, কারণ, আমরা সবাই সার্বিকভাবে প্রাইমেটদেরই গোত্রভুক্ত ।বিবর্তনবাদের কৈফিয়তদাতারা (সমর্থনকারীরা) খুব জোরালোভাবে আরো বলে থাকেন যে, কোন জীবিত এপ-প্রাইমেট (বানর) থেকে মানুষের উদ্ভব হয়নি। এটি প্রায় নির্বোধের মত কথা। এর অর্থ এই যে, মানুষ কোন প্রকার বানর বা এপ থেকে উদ্ভুত হয়নি, বরং একটি কমন পূর্বপুরুষ থেকে উদ্ভুত হয়েছে। ব্যাপারটা ভুল নয়। কিন্তু তারপরেও বাস্তবতা হল - কেউ যদি আজ সেই ‘কমন পূর্বপুরুষ’কে দেখতে পেত তাহলে (দৈহিক এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট বিচার করে) অবশ্যই তাকে এপ বা বানর নামেই অভিহিত করতো।
পরিশেষ -
একবার অক্সফোর্ডে ব্রিটিশ এসোসিয়েশনের সম্মেলনে বিবর্তনের তীব্র বিরোধিতাকারী খ্রিষ্টান ধর্ম বিশপ স্যামুয়েল উইলবারফোর্স ডারউইনের তত্ত্বকে ঈশ্বরবিরোধী ব্যক্তিগত মতামত বলে আক্রমণ করেন। তখনই তিনি হঠাৎ করে সভায় উপস্থিত বিজ্ঞানী হাক্সলিকে উদ্দেশ্য করে জানতে চান তার দাদা এবং দাদীর মধ্যে কে আসলে বানর ছিলেন। তারই উত্তরে হাক্সলি বিবর্তনবাদের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন এবং বক্তৃতার শেষে এসে তিনি এও বলেন যে,"যে ব্যক্তি তার মেধা, বুদ্ধিবৃত্তিক অর্জন ও বাগ্মিতাকে কুসংস্কার ও মিথ্যার পদতলে বলি দিয়ে বৌদ্ধিক বেশ্যাবৃত্তি করে, তার উত্তরসুরী না হয়ে আমি বরং সেইসব নিরীহ প্রাণীদের উত্তরসুরী হতে চাইবো যারা গাছে গাছে বাস করে, যারা কিচিরমিচির করে ডাল থেকে ডালে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ায়।'
আর বিজ্ঞানী হাক্সলির কথার সূত্র ধরে আমিও বলতে চাই,যে যে ব্যক্তি সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্ত্বকে স্বীকার না করে শুধু আল্লাহ-ঈশ্বর-স্রষ্টা -অদ্যৃশ্য কারিগর তথা সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করার জন্য এবং নিজেকে নাস্তিক প্রমাণ করার জন্য তার মেধা, বুদ্ধিবৃত্তিক অর্জন ও শ্রেষ্ঠত্ত্বকে মিথ্যার পদতলে বলি দিয়ে বৌদ্ধিক বেশ্যাবৃত্তি করে নিজেদেরকে সেইসব প্রাণীদের উত্তরসুরী করতে চাইছে যারা গাছে গাছে বাস করে, যারা কিচিরমিচির করে ডাল থেকে ডালে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ায় আমি তাদের উত্তরসুরী না হয়ে বরং না দেখা আল্লাহ-ঈশ্বর-স্রষ্টা -অদ্যৃশ্য কারিগরের আদেশের অনুসারী হতে এবং তার নির্দেশিত পথে চলতেই স্বাচছন্দ্য বোধ করব। দয়াময় আল্লাহ আমাদের সকলকে সকল বিষয়ে সঠিক ভাবে জানার ও বুঝার তওফিক দান করুন।
শেষ।
=================================================
তথ্যসূত্র ও সহযোগীতায় -
*আলকোরআন,
** বিবর্তনের পথ ধরে, বন্যা আহমেদ, অবসর, ২০০৭ (পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত ২০০৮)।
*** Stringer, C and Andrews, P, The complete Wrold of Human Evolution, Thames and Hudson Ltd, London, 2005।
**** ড. ম. আখতারুজ্জামান, বিবর্তনবিদ্যা, বাংলা একাডেমী (১৯৯৮), ২য় সংস্করণ, হাসান বুক হাউস (২০০৪)।
**** Mark Isaak, The Counter-Creationism Handbook, University of California Press, 2007।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য ।
মানব জাতির শুরুতে তথা হযরত আদম (আঃ) ও হযরত হাওয়া (আঃ) এর জোড়ায় জোড়ায় সন্তান নিত এবং তাদের এক জোড়ের ভাইয়ের সাথে অন্য জোড়ের বোনের বিয়ে হয়েছে এটা সত্যি এবং তা করা হয়েছে মানব জাতির বংশবৃদ্ধির জন্য।সেখানে একই জোড়ার ছেলে ও মেয়েরা পরস্পর বিয়ে করতে পারত না। কারন,তখন এ ছাড়া আর কোন উপায় ছিলনা মানব জাতির বংশবৃদ্ধির জন্য এবং এটা ছিল সাময়িক একটা সময়ের জন্য। পরবর্তীতে একটা সময় আল্লাহ তা নিষেধ করেন এবং কাকে বিয়ে করা যাবে বা কাকে করা যাবেনা তার সীমারেখা নির্ধারন করে দেন।
একই বাবার দুই সন্তানের পরস্পরের বিয়ে ইসলামের আলোকে এ ধরনের বিয়ে সুস্পষ্ট নিষিদ্ধ। যাদেরকে বিয়ে করা নিষিদ্ধ ও হারাম সে ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ তাআলা প্রথম মানব ও প্রথম নবী হজরত আদম (আ.)–কে সৃষ্টি করার পর তিনি একাকিত্ব অনুভব করলেন। আদি পিতা হজরত আদম (আ.)-এর এই একাকিত্ব দূর করার জন্য মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গী হিসেবে আদি মাতা বিবি হাওয়া (আঃ) কে সৃষ্টি করলেন। এখান থেকেই শুরু নারী ও পুরুষের দাম্পত্য জীবনের। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের মহাপরিকল্পনায় বাবা আদম (আঃ) ও মা হাওয়া (আঃ) দুনিয়ায় এলেন। তাঁদেরই ঔরসজাত সন্তানেরাই পৃথিবী সাজিয়েছে।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে ঘোষণা করেছেন: " তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা (দাদি, নানি ও ঊর্ধ্বতন), কন্যা (ও অধস্তন), বোন (ও অধস্তন), ফুফু, খালা, ভাতিজি (ও অধস্তন), ভাগনি (ও অধস্তন), দুধমা (দাদি, নানি ও ঊর্ধ্বতন), দুধবোন (ও অধস্তন), শাশুড়ি (দাদিশাশুড়ি, নানিশাশুড়ি ও ঊর্ধ্বতন) এবং তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের সহিত সংগত হয়েছ তার অন্য পক্ষের (পূর্ব বা পরের স্বামীর) ঔরসজাত ও তার গর্ভজাত কন্যা (ও অধস্তন)। তোমাদের জন্য আরও নিষিদ্ধ করা হয়েছে তোমাদের ঔরসজাত পুত্রের স্ত্রী (ও অধস্তন) এবং দুই বোনকে (বিয়ের মাধ্যমে) একত্র করা; পূর্বে যা ঘটেছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু"। (সুরা নিসা,আয়াত - ২৩)।
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৪
নতুন বলেছেন: এই ভিডিওটা দেখতে পারেন।। হয়তো নতুন কিছু পাবেন।
একজন মুসলিম বিজ্ঞানীর বিবর্তনবাদ সম্পর্কে তার দৃস্টিভঙ্গী সম্পর্কে শুনতে পারেন।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই,আপনার মন্তব্যের এবং সহযোগীতার জন্য ।
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৭
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: প্রচুর তথ্যনির্ভর চমৎকার লেখনীর জন্য লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ। এমন জ্ঞান আরোহন করার মতো পোষ্টর জন্যই ব্লগে ঢু মারি প্রতিদিন।
@ব্লাগার নতুন ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ রিলেটেড দারুন একটা লেকচার শেয়ার করার জন্য।
শুভ হোক সুন্দর ব্লগিং...
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ফুয়াদের বাপ - আমার ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আপনাকেও আবার ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়া এবং জানার চেষ্টা করার জন্য।
শুভ ও সুন্দর হোক আপনার জীবন।
৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১৭
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য ।
মানব জাতির শুরুতে তথা হযরত আদম (আঃ) ও হযরত হাওয়া (আঃ) এর জোড়ায় জোড়ায় সন্তান নিত এবং তাদের এক জোড়ের ভাইয়ের সাথে অন্য জোড়ের বোনের বিয়ে হয়েছে এটা সত্যি এবং তা করা হয়েছে মানব জাতির বংশবৃদ্ধির জন্য।সেখানে একই জোড়ার ছেলে ও মেয়েরা পরস্পর বিয়ে করতে পারত না। কারন,তখন এ ছাড়া আর কোন উপায় ছিলনা মানব জাতির বংশবৃদ্ধির জন্য এবং এটা ছিল সাময়িক একটা সময়ের জন্য। পরবর্তীতে একটা সময় আল্লাহ তা নিষেধ করেন এবং কাকে বিয়ে করা যাবে বা কাকে করা যাবেনা তার সীমারেখা নির্ধারন করে দেন।
একই বাবার দুই সন্তানের পরস্পরের বিয়ে ইসলামের আলোকে এ ধরনের বিয়ে সুস্পষ্ট নিষিদ্ধ।
ভাই সত্যি জিনিসটা কি সেটা নিয়ে একটু ভেবে দেখেছেন কি? আপনি দাবি করলেন এটা সত্যি? এটার প্রমান কি?
আপনি বিশ্বাস করেন কোরান সত্যি, এটা কি কোরানে আছে? সম্ভবত নাই। তাহলে কোথা থেকে এটা যে সত্যি সেটার প্রমান পেলেন?
হক মাওলা বলে কোন কিছু বললেই সেটা সত্যি হয়ে যায় না।
উপরের ড: রানা জাদিদ বলেছে যে বিশ্বের অন্য সব প্রানীই বিবর্তনের মাধ্যমে আজকের অবস্থায় এসেছে। কিন্তু মানুষের সৃস্টি যেজেতু কোরানে ভিন্য ভাবে আছে তাই তিনি সেটা বিশ্বাস করতে চান এবং আশা করেন যে সেটাই সত্য বলে প্রমানিত হবে।
পৃথিবির প্রানাীর বর্তমানের অবস্থার পেছনে যেই পরিমান প্রমান আছে সেটার কথা উল্লেখ করেই তিনি বলেছেন যে বিবর্তন কে না মানার কোন উপায় নাই এবং এখনো বিবর্তন চলছে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য ।
দুনিয়ার প্রচলিত যে কোন ধর্মেই মানুষ স্রষ্টা কর্তৃক সৃষ্টি তাই বলা হয়েছে বানর থেকে নয়।আর ধর্মের বিধিবিধান পালনীয় বিষয় সত্যা-সত্য যাচাইয়ের নয়।
মানুষ সৃষ্টি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা মহাগ্রন্থ কোরআনে কারিমে বলেন,"তিনিই সেই সত্তা! যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পানি হতে; অতঃপর তিনি তার বংশীয় সম্পর্ক ও বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপন করেছেন। আর তোমার প্রতিপালক সর্বশক্তিমান"।(সুরা ফুরকান,আয়াত - ৫৪)।
তিনি আরো বলেন, "এবং তার নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের নিজেদের মধ্য হতে জোড়া সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের নিকটে শান্তি পাও; এবং তোমাদের মাঝে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে"। (সুরা আর রুম,আয়াত - ২১)।
পৃথিবির প্রানাীর বর্তমানের অবস্থার পেছনে যেই পরিমান প্রমান আছে সেটার কথা উল্লেখ করেই তিনি বলেছেন যে বিবর্তন কে না মানার কোন উপায় নাই এবং এখনো বিবর্তন চলছে।
- পরিবর্তন-পরিবর্ধন এ দুনিয়ার স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক নিয়ম ও ।এটা ঠিক আছে । আর তাইতো মানুষ শিশু-কিশোর-যুবক-বার্ধক্য হয় । তেমনি গাছপালা-পশুপাখীদের ও একই রকম পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয়। তবে পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয়ে ছাগ শিশু ছাগ হবে।গরুর বাচচা গরু হবে আর মানুষের বাচচা মানুষ।এমন না যে বানর পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয়ে মানুষ হয়ে যাবে - আমাদের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল সেটাই।
৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৮
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার দাবি আজ পর্যন্ত বিবর্তনের পক্ষে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নি
করোনার কোভিড ১৯ ভাইরাসটা এই পর্যন্ত কতবার বিবর্তিত হয়েছে ভাই সাহেব , আলফা ভেরিয়ান্ট , ডেলটা ভেরিয়ান্ট টা কি ? করোনা ভাইরাসে এই পর্যন্ত কত রকমের গেছে জানেন । সার্স ভাইরাসটা করোনা ভাইরাস এবং এখন যে করোনা ভাইরাসটা মহামারি সৃষ্ঠি করেছে সেটার আসল নাম কোভিড ১৯ , যেটাকে দুনিয়ার মানুষ করোনা ভাইরাস হিসাবে চিনে ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ এ আর ১৫ ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।
করোনার কোভিড ১৯ ভাইরাসটা এই পর্যন্ত কতবার বিবর্তিত হয়েছে ভাই সাহেব , আলফা ভেরিয়ান্ট , ডেলটা ভেরিয়ান্ট টা কি ? করোনা ভাইরাসে এই পর্যন্ত কত রকমের গেছে জানেন । সার্স ভাইরাসটা করোনা ভাইরাস এবং এখন যে করোনা ভাইরাসটা মহামারি সৃষ্ঠি করেছে সেটার আসল নাম কোভিড ১৯ , যেটাকে দুনিয়ার মানুষ করোনা ভাইরাস হিসাবে চিনে ।
- ভাইজান, করোনা বা কোভিড ১৯ এটা একটা ভাইরাস মানুষ না।আর সকল ভাইরাসের ন্যায় এ মাইক্রোস্কোপিক ভাইরাস ও খালি চোখে দেখা যায়না এবং সব মানুষ তার পরিবর্তনও বুঝতে পারবেনা বা পারেনা। তা শুধু মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে এবং বিশেষ জ্ঞানী (বিজ্ঞানী) মানুষেরাই দেখতে পারেন।
আমরা ত ভাই ভাইরাস নিয়ে আলোচনা করছিনা।আমরা আলোচনা করছি পৃথিবী নামক গ্রহের সবচেয়ে বুদ্ধিমান জীব (মানুষ) নিয়ে।কাজেই মানুষ যদি এপ-প্রাইমেট থেকে পরিবর্তীত হয়ে তৈরী হয় বা হত তাহলে তা দেখার জন্য মাইক্রোস্কোপের দরকার হতনা ।খালি চোখেই সবাই (বা সমসাময়িক মানুষেরা) এ পরিবর্তন দেখতে পেত।
৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৪
এ আর ১৫ বলেছেন: প্রমাণিত না হোলে বিবর্তনবাদ একটা হাইপোথিসিস হয়ে থাকতো , আবশ্যই এটা প্রমাণীত হয়েছে, তাই এটাকে থিউরি বলা হয় । তত দিন ডিএন এ টেস্ট আবিষ্কার হয় নি , তত দিন এই মতবাদের স্টাটাস ছিল হাইপোথিসিস , ডিএন এ টেস্ট করে লক্ষ লক্ষ ফসিল থেকে বিবর্তনের প্রমাণ পাওয়ার পর এটাকে থিউরি হিসাবে গ্রহন করা হয় ।
সব কিছু কি প্রমাণ করতে চক্ষুস দেখার প্রয়োজন আছে ? আপনি কি অক্সিজেনকে দেখতে পান বা করোনা ভাইরাসকে খালি চোখে দেখতে পান । আপনি কি বিংগ ব্যাংগ ঘটতে দেখেছেন ? আপনি কি ব্লাক হোল দেখেছেন ।
এই মতবাদকে থিউরি বলা হচ্ছে সেখানে কি এটা প্রমাণিত বলা কি অশিক্ষার লক্ষণ নহে ? একমাত্র কাটমোল্লা মার্কা মুর্খরা এই ভাবে কথা বলে ।
সোলার রে , আলফা রে , গামা রে , এক্স রে কে কি আপনি দেখতে পান ?
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ এ আর ১৫ ভাই,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।
- ভাই ,বিজ্ঞানীরা সময়ের সাথে সাথে এবং ধীরে ধীরে জীবাশ্মবিদ্যা, জেনেটিক্স, প্রাণীবিদ্যা, আণবিক জীববিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রের ব্যাপক প্রমাণ ধীরে ধীরে যুক্তিসঙ্গত ভাবে বিবর্তনের ধারনাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে,এটা সত্য। আজ বিবর্তনের ধারনা বিজ্ঞানের প্রায় সর্বত্র জয়লাভ করেছে তবে একমাত্র সাধারন মানুষ তথা জনসাধারণের মন ছাড়া। এটা ঠিক যে,একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এবং বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ উৎকর্ষতার মাঝেও বিশ্বের সবচেয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে উন্নত জাতির মধ্যেও এ বিশ্বাস প্রবল যে সৃষ্টিকর্তা মানুষ সৃষ্টি করেছেন ।
এই মতবাদকে থিউরি বলা হচ্ছে সেখানে কি এটা প্রমাণিত বলা কি অশিক্ষার লক্ষণ নহে ? একমাত্র কাটমোল্লা মার্কা মুর্খরা এই ভাবে কথা বলে ।
- কি বলব বলেন? হয় ত আপনার কথাই ঠিক।কাটমোল্লা মার্কা মুর্খরাই ধর্ম মানে সৃষ্টিকর্তাকে মানে।আধুনিক মানুষেরা নয়।
৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬
কামাল১৮ বলেছেন: আল্লাহ যদি দুই জোড়া মানব মানবী সৃষ্টি করতো (যেই ক্ষমতা আল্লাহর ছিল )তাহলে মানুষ এই আধি পাপ থেকে মুক্তি পেতো।পিতার সাথে কন্যার,ভাইয়ের সাথে বোনের সেক্স করতে হতো না।
বিবর্তন তত্ত্ব প্রমানিত সত্য।কিন্তু আদম হাওয়া বক্কর চক্কর ইত্যাদি হলো ওল্ড ষ্টাটম্যানের গল্প।যার কোন বৈজ্ঞানিক প্রমান নেই আছে শুধু বিশ্বাস।যতগুলো ধর্ম আছে ততগুলো সৃষ্টি তত্ত্ব আছে এবং প্রত্যেকেই দাবি করে তাদেরটা ঠিক।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।
আল্লাহ যদি দুই জোড়া মানব মানবী সৃষ্টি করতো (যেই ক্ষমতা আল্লাহর ছিল )তাহলে মানুষ এই আধি পাপ থেকে মুক্তি পেতো।পিতার সাথে কন্যার,ভাইয়ের সাথে বোনের সেক্স করতে হতো না।
মানুষ সৃষ্টির শুরু সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা মহাগ্রন্থ কোরআনে কারিমে বলেন,"আর স্মরণ করুন, যখন আপনার রব ফেরেশতাদের বললেন , নিশ্চয় আমি যমীনে খলীফা সৃষ্টি করছি', তারা (ফেরেশতারা) বলল, আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যে ফ্যাসাদ ঘটাবে ও রক্তপাত করবে ? আর আমরা আপনার হামদসহ তাসবীহ পাঠ করি এবং পবিত্রতা ঘোষণা করি । তিনি বললেন, নিশ্চয় আমি তা জানি, যা তোমরা জান না ।(সুরা বাকারা,আয়াত - ৩০)।
এখন ভাই,আমরা শুধু তাই বলব,বিশ্বাস করব যে আল্লাহ যা জানেন আমরা তা জানিনা এবং তিনি যা করেন তা সকলের মংগলের জন্য করেন । আর এতেও রয়েছে মানব জাতির জন্য শিখার বিষয়।
৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪
নতুন বলেছেন: - পরিবর্তন-পরিবর্ধন এ দুনিয়ার স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক নিয়ম ও ।এটা ঠিক আছে । আর তাইতো মানুষ শিশু-কিশোর-যুবক-বার্ধক্য হয় । তেমনি গাছপালা-পশুপাখীদের ও একই রকম পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয়। তবে পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয়ে ছাগ শিশু ছাগ হবে।গরুর বাচচা গরু হবে আর মানুষের বাচচা মানুষ।এমন না যে বানর পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয়ে মানুষ হয়ে যাবে - আমাদের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল সেটাই।
ভাই তাল গাছ আপনারই থাক। আপনি যদি এতো কিছু দেখেও বিবর্তন বলতে মানুষের শিশু থেকে বুড় হওয়া কে বুঝেন। তবে কিছুই বলার নাই।
উপরের ডা: রানীরা লেকচারটা একটু ভালো করে শুনে দেখুন। তিনি কি বলেছেন। তিনি ১ কোষী প্রানী থেকে বির্বতনের মধ্যদিয়ে আজকের পৃথিবির প্রানীজগতের সৃস্টি এটা সম্পর্ককে কি বলেছেন একটু বোঝার চেস্টা করতে পারেন।
আর না বুঝতে পারলে বলতে পারেন তিনিও ইহুদী খৃস্টানের দেশে পড়াশুনা করে তাদের টাকা খেয়ে এই সব বলছে। জাকির নায়কই ঠিক বলেছেন।
দেখেন আত্নবিশ্বাসের সাথে ভুল বললে মানুষ কিভাবে মেনে নেয়।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য ।
) ভাই তাল গাছ আপনারই থাক। আপনি যদি এতো কিছু দেখেও বিবর্তন বলতে মানুষের শিশু থেকে বুড় হওয়া কে বুঝেন। তবে কিছুই বলার নাই।
- ভাই ,তালগাছ দিয়ে কি করব বলেন? এখন কি আর তালগাছের সেই উপযোগীতা আছে ?
আর ডা: রানীরা লেকচারটা যদি সত্য বলে মেনে নেন তাহলে সকল নবী-রাসুলদের কথা মেনে নিতে সমস্যা কোথায়? নাকি ডা: রানীরা বা বিবর্তনবাদীরা সৃষ্টিকর্তা ও তার নবী-রাসুলদের থেকে বড়?
৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ভাই আপনি ইন্টানেটে একটু খোঁজ করলেই পাবেন ২০১২ সালে বিজ্ঞানীরা ইনঅর্গানিক থেকে প্রাণ সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়। ইনঅর্গানিক বায়োলজি লিখে সার্চ দিলেই পাবেন। এই গবেষণাটি এখনো চলমান আছে।
আর আপনি বলছে বিবর্তন হলে তো মানুষ দেখতে পেতো অনন্ত সমসাময়িক মানুষেরা। ভাইরে বিবর্তন হয় লক্ষ বছর ধরে একজন মানুষ কয় বছর বেছে যে সে চাক্ষুস বিবর্তন দেখবে। তারপরেও বলি আমাদের নিকট অতীতে মানুষের ৩২টা দাঁত হতো এখনোও প্রায় সবাই জানে পূর্নবয়স্ক মানুষের দাঁতের সংখ্যা ৩২টি কিন্তু আসলে এখন আর মানুষের দাঁত ৩২টা গজায় না। মানুষ আগুনের আবিষ্কারের পর শক্ত খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে খাবার এখন দাঁত দিয়ে জোর করে কামড়ে খেতে হয়না যার ফলে মাড়ির দাঁত গুলোর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আর বেশ কয়েক বছর পর যখন মানুষের খাবার খুব বেশি দরকার হবেনা প্রয়োজনীয় আমিষ ভিটামিন প্রোটিন ক্যাপসুল আকারে আবিষ্কার হবে তখন মানুষের দাঁতের সংখ্যা আরো কমে আসবে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নুর আলম হিরণ ভাই, আপনার মন্তব্য এর জন্য। আপনি যা বলেছেন তাকে যদি আমরা সত্যি বলেও ধরে নেই তাহলে কি এ থেকে প্রমাণ হয় যে,মানুষকে স্রস্টা বানায়নি? অন্য প্রাণী থেকে পরিবর্তনের মাধ্যমে তার জন্ম হয়েছে?৷৷ আপনি ইন অগ্রানিক থেকে প্রানের উদ্ভব সম্ভব তা বলতে চাচ্ছেন,তাত ভাই একবিংশ শতাব্দীর আবিষ্কার। সভ্যতার শুরুতে কি তার কোন প্রায়গিক মূল্য ছিল বা কোনভাবেই কি তখন তা সম্ভব ছিল বলে আপনি মনে করেন?
১০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৬
কামাল১৮ বলেছেন: প্রমান ছাড়া বাকী সবই দাবি। যে কেই যা খুশি দাবি করতে পারে কিন্তু সেই দাবি সত্য কিনা এই জন্য তাকে প্রমান করতে হবে।দাবি আর প্রমানের পার্থক্য বুঝতে হবে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ কামাল ভাই,আপনার মন্তব্য এর জন্য।৷৷ স্রস্টাপ্রদত্ত যে কোন কিছুই প্রমানের বাইরে তবে যদি আমরা বুজতে চাই তাহলে সবকিছুর প্রমাণ ই আমাদের সামনে বা আমরা প্রমাণ পাই। আর স্রস্টার আমাদের বিবেক- বুদ্ধি দিয়েছে আর সত্য তালাশ করেতে বলেছেন। এখন, যে যেটা তালাশ করে সত্য হিসাবে পাবে সে তাই মানবে। আর তাইতো, কেউ সৃস্টির সব কিছুতে স্রস্টাকে খুজে পাবে আবার কোথাও স্রস্টা বলে যে একজন আছে তাই খুজে পাবেনা।৷ আর এই জন্যই ভাই দুনিয়া এত বৈচিত্রময়।
১১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫০
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এই ছবিটি দেখার পরও কি আপনার কোনো সন্দেহ আছে যে 'বান্দর হইতে মানুষের' বিবর্তন ঘটিয়াছে ?
ছবিটি 'শাহ আজিজ' ভাইয়ের একটি পোস্ট হইতে কপি পেস্টের মাধ্যমে সংগৃহিত।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বিশুদ্ধানন্দজী,আপনার চমতকার ছবি সহ মন্তব্য এর জন্য।৷৷ না ভাই,এবার আমি নিশ্চিত হয়েছি যে, আসলেই বান্দর থেকেই মানুষের বিবর্তন হয়েছে।
১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৮
নতুন বলেছেন: আর ডা: রানীরা লেকচারটা যদি সত্য বলে মেনে নেন তাহলে সকল নবী-রাসুলদের কথা মেনে নিতে সমস্যা কোথায়? নাকি ডা: রানীরা বা বিবর্তনবাদীরা সৃষ্টিকর্তা ও তার নবী-রাসুলদের থেকে বড়?
সত্য বড় কঠিন জিনিস। বিশ্বাসী সহজেই সত্য বলে মেনে নেয়। কিন্তু আমি প্রশ্ন করি।
ডা: রানী বিজ্ঞানী, তিনি জেনে শুনুই বলেছেন। তাকে জিঙ্গাসা করলে তার প্রমান দিতে পারবেন, দেখাতে পারবেন।
যত নবী রাসুল বলেন তারা সৃস্টিকর্তা বলেছেন বলেই খালাস।
অন্ধবিশ্বাসী আর যূক্তিবাদীর সাথে র্তক জমেনা। আপনি যদি বিশ্বাস করতে চান সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যপার।
কিন্তু যখন বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলতে আসবেন তখন যদি শুধুই বিশ্বাস করতে বলেন তবে তো চলেনা।
যুক্তি প্রমান দেখালে অবশ্যই সবাই মেনে নেবে। সেটাই বিজ্ঞানের সৈন্দর্য ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারও আপনাকে ধন্যবাদ নতুন ভাই। বিজ্ঞানের চরম উন্নয়নের পরেও এ দুনিয়াতে এখনো অনেক অমিমাংসিত বিষয় আছে যে গুলো বিজ্ঞানীরা হাজারো চেস্টার পরেও কোন ব্যাখ্যা বা প্রমান করতে পারেন নি। যেমন, বারমুড ট্রায়াংগেল রহস্য, ইএফও রহস্য,ফ্ল্যানান আইল্যান্ড রহস্য,ব্যানানা রিভার রহস্য,ফোথ' ডাইমেনশন(সময়) রহস্য,বস্তুর উপর চুম্বকের প্রভাব,আমেরিকার গ্রেট ব্লাকআউট (১৯৬৫ সালের) রহস্য,মালয়েশিয়ার বিমান হারিয়ে যাওয়া রহস্য,ইন্টারডাইমেনশনাল রহস্য,উড়ন্ত পাথর রহস্য,দ্য ফরবিডেন গ্রাউন্ড রহস্য,ফিলাডেলফিয়া এক্সপেরিমেন্ট রহস্য, ডেভিল সি রহস্য। এরকম হাজারো অমিমাংসিত বিষয় এখনো আছে এ দুনিয়ায় যা বিজ্ঞানের চরম উন্নয়নের পরেও বিজ্ঞানীরা এখনো সমাধান করতে পারেন নি।।৷ এ সব বিষয় থেকে এ প্রমাণ হয় না যে, সব কিছুর সমাধান বিজ্ঞানে নেই?
১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: সকলের মন্তব্য গুলো বেশ ইন্টারেস্টিং হয়েছে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
মন্তব্যের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশী পরস্পরের মনোভাব বা দৃষ্টিভংগী জানা যায় এবং নিজের দৃষ্টিভংগী ও অন্যের সাথে শেয়ার করা যায় । আর রাজিব ভাই , আপনিও মনে প্রায় পোস্টের মন্তব্য গুলো খুটিয়ে খুটিয়ে দেখেন। অবশ্য আমিও এটা করে থাকি।
১৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ২:১৯
কামাল১৮ বলেছেন: এই ভুলটা সব মুমিনই করে। বিজান দাবি করে নাই সবকিছু জানা শেষ হয়ে গেছে।আগে বহুদিন পর একটা নতুন কিচু আবিস্কার হতো আর এখন প্রতিদিন অনেক কিছু আবিস্কার হয়।আমরা তার কতোটুকু খবর রাখি।মানুষ একদিন সব কিছুই জানতে পারবে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ কামাল ভাই,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।
ভাই,আপনি বলেছেন, এই ভুলটা সব মুমিনই করে (মানে না দেখা আল্লাহতে বিশ্বাস তাই কি বলতে চেয়েছেন আপনি? )।
যদি আপনি-আমি ঈমান আনি তথা মুসলমান হই তবে দেখা আল্লাহতে বিশ্বাস এবং তার রাসুলদের কর্তৃক প্রেরিত নয়ম নীতি কোন প্রশ্ন ছাড়াই মেনে চলার বাধ্যবাধকতা থাকে।আর এ প্রসংগে আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন,-
" পূর্ব ও পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফিরানোই সৎকর্ম নয়, কিন্তু সৎকর্ম হলো যে ব্যক্তি আল্লাহ্ , শেষ দিবস, ফেরেশতাগণ, কিতসমূহ ও নবীগণের প্রতি ঈমান আনবে আর সম্পদ দান করবে তাঁর ভালবাসায় আত্মীয়-স্বজন , ইয়াতীম, অভাবগ্রস্ত, মুসাফির, সাহায্যপ্রার্থী ও দাসমুক্তির জন্য এবং সালাত প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত দিবে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূর্ণ করবে অর্থ-সংকটে, দুঃখ-কষ্টে ও সংগ্রাম-সংকটে ধৈর্য ধারণ করবে । তারাই সত্যাশ্রয়ী এবং তারাই মুত্তাকী।(সুরা বাকারা,আয়াত - ১৭৭)।
তিনি আরো বলেন,"রাসূল তার প্রভুর পক্ষ থেকে যা তার কাছে নাযিল করা হয়েছে তার উপর ঈমান এনেছেন এবং মুমিনগণও। প্রত্যেকেই ঈমান এনেছে আল্লাহর উপর, তার ফেরেশতাগণ, তার কিতাবসমূহ এবং তার রাসূলগণের উপর। আমরা তাঁর রাসূলগনের কারও মধ্যে তারতম্য করি না। আর তারা বলেঃ আমরা শুনেছি ও মেনে নিয়েছি। হে আমাদের রব। আপনার ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল"।(সুরা বাকারা,আয়াত - ২৮৫)।
এখন বিজ্ঞানের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ফলে নতুন নতুন জিনিষ আবিস্কার হচছে এবং হবে ।তাই বলে ধর্মের মূল বিষয়গুলি কখনো পরিবর্তন হবেনা । এগুলি স্রষ্টা কর্তৃক স্থিরীকৃত এবং অপরিবর্তনীয়।
১৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৩
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আবারও আপনাকে ধন্যবাদ নতুন ভাই। বিজ্ঞানের চরম উন্নয়নের পরেও এ দুনিয়াতে এখনো অনেক অমিমাংসিত বিষয় আছে যে গুলো বিজ্ঞানীরা হাজারো চেস্টার পরেও কোন ব্যাখ্যা বা প্রমান করতে পারেন নি। যেমন, বারমুড ট্রায়াংগেল রহস্য, ইএফও রহস্য,ফ্ল্যানান আইল্যান্ড রহস্য,ব্যানানা রিভার রহস্য,ফোথ' ডাইমেনশন(সময়) রহস্য,বস্তুর উপর চুম্বকের প্রভাব,আমেরিকার গ্রেট ব্লাকআউট (১৯৬৫ সালের) রহস্য,মালয়েশিয়ার বিমান হারিয়ে যাওয়া রহস্য,ইন্টারডাইমেনশনাল রহস্য,উড়ন্ত পাথর রহস্য,দ্য ফরবিডেন গ্রাউন্ড রহস্য,ফিলাডেলফিয়া এক্সপেরিমেন্ট রহস্য, ডেভিল সি রহস্য। এরকম হাজারো অমিমাংসিত বিষয় এখনো আছে এ দুনিয়ায় যা বিজ্ঞানের চরম উন্নয়নের পরেও বিজ্ঞানীরা এখনো সমাধান করতে পারেন নি।।৷ এ সব বিষয় থেকে এ প্রমাণ হয় না যে, সব কিছুর সমাধান বিজ্ঞানে নেই?
উপরে আপনি যেই সব রহস্যের কথা বলেছেন তার অনেক গুলির ব্যাক্ষা ইতিমধ্যে বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন, চলমান পাথর আমার ব্লগ পড়ে দেখতে পারেন। বারমুদার ব্যাপারে নেটজিওর ডকুমেন্টরি আছে।
বিজ্ঞান কখনোই বলেনাই সকল মুসকিল আসান করে দেবে। ধর্ম দাবি করে তার কথাই শেষ কথা।
আজ হয়দো কোন রহস্যের সমাধান হয়নাই কিন্তু একদিন কোন এক বিজ্ঞানীরা সেটার সমাধান বের করবে, প্রমান এবং যুক্তি দিয়ে।
আজ ব্যক্ষা নাই বলে বলবেন সকল কিছুর সমাধান বিজ্ঞানে নেই এটা কেমন কথা?
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ নতুন ভাই,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।
- বিজ্ঞান কখনোই বলেনাই সকল মুসকিল আসান করে দেবে। ) ধর্ম দাবি করে তার কথাই শেষ কথা।
ভাই, ধর্মও কাউকে কিছু করতে বাধ্য করেনা । ধর্ম শুধু মানুষকে দিকনির্দেশনা (গাইডলাইন) দেয় তার করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় সম্পর্কে।আর মানুষের জীবনে সমস্যা থাকবেই এবং সমাধান ও হবে। তবে কিভাবে হবে তা স্রষ্টা কর্তৃক নির্ধারিত ।এটাকে ইসলামে তকদীর (ভাগ্য) বলে এবং মুসলমানমাত্রই তকদীরে বিশ্বাস রাখা বাধ্যতামূলক তবে মানুষকে চেষ্টা করতে হবে বা চালিয়ে যেতে হবে সমস্যা থেকে বের হওয়ার।কারন, মানুষ শুধু চেষ্টাটাই করতে পারে । ফলাফল ,সর্বদা আল্লাহর হাতে।
আর তাই যদি না হত, তাহলে বিজ্ঞানের এই উৎকর্ষতার সময়ে মানুষের কোন জরা-মরণ (রোগ-শোক-দারিদ্র-হতাশা-ব্যর্থতা-মৃত্যু) কিছুই থাকতনা ।মানুষ বিজ্ঞানের ব্যবহার করে এইসকল মানবীয় সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে অসীম ক্ষমতার অধিকারী হয়ে যেত।
বিজ্ঞান অমিমাংসীত বিষয়ের সমাধান বের করবে সময়ের সাথে সাথে এটা ঠিক তাই বলে ধর্মের মূল বিষয়গুলি কখনো পরিবর্তন হবেনা । এগুলি স্রষ্টা কর্তৃক স্থিরীকৃত এবং অপরিবর্তনীয়।
১৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৪
নতুন বলেছেন: ভাই, ধর্মও কাউকে কিছু করতে বাধ্য করেনা । ধর্ম শুধু মানুষকে দিকনির্দেশনা (গাইডলাইন) দেয় তার করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় সম্পর্কে।আর মানুষের জীবনে সমস্যা থাকবেই এবং সমাধান ও হবে। তবে কিভাবে হবে তা স্রষ্টা কর্তৃক নির্ধারিত ।এটাকে ইসলামে তকদীর (ভাগ্য) বলে এবং মুসলমানমাত্রই তকদীরে বিশ্বাস রাখা বাধ্যতামূলক তবে মানুষকে চেষ্টা করতে হবে বা চালিয়ে যেতে হবে সমস্যা থেকে বের হওয়ার।কারন, মানুষ শুধু চেষ্টাটাই করতে পারে । ফলাফল ,সর্বদা আল্লাহর হাতে।
আর তাই যদি না হত, তাহলে বিজ্ঞানের এই উৎকর্ষতার সময়ে মানুষের কোন জরা-মরণ (রোগ-শোক-দারিদ্র-হতাশা-ব্যর্থতা-মৃত্যু) কিছুই থাকতনা ।মানুষ বিজ্ঞানের ব্যবহার করে এইসকল মানবীয় সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে অসীম ক্ষমতার অধিকারী হয়ে যেত।
ইসলাম ত্যাগ করলে শরিয়া আইনে তার সাজা কি ভাই?
ধর্ম মানুষকে ভয়ের মাঝে রাখে।
মানুষের গড় আয়ূ ১৪০০ বছর আগে কত ছিলো এখন কি বেড়েছে?
মানুষের চিকিতসা কি ভালো হয়েছে?
রোগ-শোক-দারিদ্র-হতাশা-ব্যর্থতা এসব অনেক কিছুই মানুষেরই কাজের জন্য আসে। একজন খাবারে ভ্যাজাল দেয় অন্যরা রোগে ভোগে, একজন অন্যায় করে আরেক জন দরিদ্র হয়। অনেকে ভাগ্যের উপরে বসে থাকে উন্নতি হয় না।
পরিবর্তন আসবেই, বাইরের দুনিয়াতে তাকিয়ে দেখুন বুঝতে পারবেন বিজ্ঞান সভ্যতাকে কতটা গতি দিয়েছে এগিয়ে নিয়েছে। আর তালেবানেরা হলিকপ্টারের পাখার উপরে উঠে বসে আছে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ নতুন ভাই,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।
ইসলাম ত্যাগ করলে শরিয়া আইনে তার সাজা কি ভাই (এ ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা কি ? তাই কি বলতে চাচছেন?) ?ধর্ম মানুষকে ভয়ের মাঝে রাখে।
যে ইসলাম গ্রহণ করে তারপর ইসলাম ছেড়ে দেয় বা জন্মগতভাবে কোন মুসলিম যখন ইসলাম ত্যাগ করে তাকে ইসলামী পরিভাষায় মুরতাদ বলে। আসুন দেখি মুরতাদদের ব্যাপারে ইসলাম কি বলে -
- ইসালামে ধর্ম বিশ্বাসের ব্যাপারে মানুষকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া আছে।এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন," আর তোমার পরওয়ারদেগার যদি চাইতেন, তবে পৃথিবীর বুকে যারা রয়েছে, তাদের সবাই ঈমান নিয়ে আসতে সমবেতভাবে। তুমি কি মানুষের উপর জবরদস্তী করবে ঈমান আনার জন্য"?(সুরা ইউনুস,আয়াত - ৯৯ )।
তিনি আরো বলেন," আর বলুন, সত্য তোমাদের রব-এর কাছ থেকে; কাজেই যার ইচ্ছে ঈমান আনুক আর যার ইচ্ছে কুফরী করুক। নিশ্চয় আমরা যালেমদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি আগুন, যার বেষ্টনী তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে। তারা পানীয় চাইলে তাদেরকে দেয়া হবে গলিত ধাতুর ন্যায় পানীয়, যা তাদের মুখমণ্ডল দগ্ধ করবে; এটা নিকৃষ্ট পানীয়! আর জাহান্নাম কত নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল! "(সুরা কাহ্ফ,আয়াত - ২৯)।
এ ব্যাপারে মহান আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে আরো বলেন,"যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি। " (সুরা নিসা,আয়াত - ৮০)।
তিনি আরো বলেন," দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যারা গোমরাহকারী `তাগুত'দেরকে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন।" ( সুরা বাকারা,আয়াত - ২৫৬)।
উপরের আয়াতগুলো ছাড়াও মুরতাদের ওপরে কোরানে আরও বেশকিছু আয়াত আছে, কিন্তু কোরানের কোথাও খুন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। বরং এর ভেতরে মানুষের নাক গলানো নিষেধ করা আছে।( বাকারা ২১৭, ইমরান ৮২, ৮৬, ১০৬, নাহল ১০৬, মুনাফিকুন ৩, তওবা ৬৬ ও ৭৪, নিসা ৯৪) ।
মুরতাদদের ব্যাপারে আরো বলা হয়েছে, " যারা একবার মুসলমান হয়ে পরে পুনরায় কাফের হয়ে গেছে, আবার মুসলমান হয়েছে এবং আবারো কাফের হয়েছে এবং কুফরীতেই উন্নতি লাভ করেছে, আল্লাহ তাদেরকে না কখনও ক্ষমা করবেন, না পথ দেখাবেন।" (সুরা নিসা,আয়াত - ১৩৭)।
অর্থাৎ কোরান সুস্পষ্ট ভাষায় মুরতাদকে ইসলামে ফিরে আসার সুযোগ ও অধিকার দিয়েছে, তাকে খুন করলে সেই খুন সরাসরি আল কোরানের নির্দেশের লঙ্ঘন হয়ে যাবে। হারিথ নামে এক মুসলমান মুরতাদ হলে তার ওপর নাজিল হয়েছিল এ আয়াত এবং এ ব্যাপারে কোরানের আরেকটা স্পষ্ট নির্দেশ - "আল্লাহ কিভাবে হেদায়াত করবেন সে সম্প্রদায়কে, যারা ঈমান আনার পর ও রাসূলকে সত্য বলে সাক্ষ্য দেয়ার পর এবং তাদের কাছে স্পষ্ট নিদর্শন আসার পর কুফর করে? আর আল্লাহ যালেম সম্প্রদায়কে হেদায়াত দেন না"।(সুরা আল ইমরান,আয়াত - ৮৬ )।
আর রাসুল (সাঃ) তাকে (হারিথকে) মৃত্যুদণ্ড কেন, কোনো শাস্তিই দেননি। (সিরাত – ইবনে হিশাম-ইবনে ইশাক, পৃষ্ঠা ৩৮৪) ।
ভাই, ইসলাম কোনো ‘ইঁদুর মারার কল’ নয় যে, এতে ঢোকা যাবে কিন্তু বেরনো যাবে না। মহান আল্লাহপাক এ ব্যাপারে সকল নিদেশনা পরিষ্কারভাবে দিয়ে রেখেছেন। এখন এ ব্যাপারে (ধর্ম নিয়ে) কেউ যদি বাড়াবাড়ি করে তবে এর দায় ধর্মের নয় ব্যক্তির।
১৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫১
অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: লেখায় অনেক ফ্যালাসি এবং ভুল ব্যাখ্যা আছে। আমার মনে হয় আরো ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখতে পারেন আপনি। আর আপনি চাইলে আপনার ব্যাখ্যার কিছু ক্লিয়ারকাট এন্সার আছে, এক্সটারনাল লিংক দিতে পারবো।
ফান ফ্যাক্ট এবং সাথে একটা উত্তরঃ বিবর্তনের একরকম চাক্ষুষ প্রমাণ করোনা ভাইরাসের ক্রমাগত মিউটেশন। সেটা স্বীকার করলে প্রাইমেটদের বিবর্তন অস্বীকার করছেন কীভাবে?
আরো একটা কথা বলি, খোদায় বিশ্বাস করলে একটা জিনিস আপনার মানা উচিৎ, খোদা হঠাৎ করে খেয়ালি মানুষের মতো কিছু করে বসেন না। তিনি যা করেন তার সব প্ল্যানমাফিক এবং যৌক্তিক।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ অর্ফিয়াসের বাঁশি ভাই (নাকি বোন জানিনা),আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।
লেখায় অনেক ফ্যালাসি এবং ভুল ব্যাখ্যা আছে। আমার মনে হয় আরো ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখতে পারেন আপনি। আর আপনি চাইলে আপনার ব্যাখ্যার কিছু ক্লিয়ারকাট এন্সার আছে, এক্সটারনাল লিংক দিতে পারবো।
-যদি কেউ ভূল করে তার মানে দাড়ায় সে কিছু করার চেষ্টা করছে বা জানার চেষ্টা করছে। ভূল না করে শেখার কি ভাল কোন সুযোগ আছে বলেন? আমরা শৈশবে শুধু অক্ষর চিনতে গিয়ে কি পরিমান ভূল করেছি ও সময় লেগেছে তা কি ভুলে গেলে চলবে বলেন?জানার-বুঝার-শেখার চেষ্টাই মানুষকে প্রতিনিয়ত উন্নত থেকে উন্নততর করছে । আমিও ভাই, জানার জন্যই চেষ্টা করছি আর তাইতো আপনাদের মত জ্ঞানী-গুনীদের মিলনমেলা এই ব্লগে আগমন।প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কিত যে কোন তথ্যের জন্য স্বাগতম ভাই।
আরো একটা কথা বলি, খোদায় বিশ্বাস করলে একটা জিনিস আপনার মানা উচিৎ, খোদা হঠাৎ করে খেয়ালি মানুষের মতো কিছু করে বসেন না। তিনি যা করেন তার সব প্ল্যানমাফিক এবং যৌক্তিক।
-শুধু এই একটা বিষয় - " খোদা যা করেন তা পরিকল্পনা মাফিক করেন এবং সব কিছু তার নিয়ন্ত্রনে বা নিয়ন্ত্রনাধীন " - এই বিষয়টা মনে রাখলেই ত ভাই দুনিয়ার প্রায় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।এটাই আমরা মানুষেরা বুঝতে চাইনা।
১৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৩
অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: ওহ আচ্ছা। প্রিমর্ডিয়াল স্যুপ থিওরিটাও দেখে নিতে পারেন ইউটিউবে। আর যা পড়বেন সবকিছুর ক্রসচেক করা উচিৎ। আগে থেকে রেজাল্ট ধরে তারপর পড়াশুনা করলে রেজাল্ট তো মিলবেই। তাই ক্রসচেক করা প্রয়োজন।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ অর্ফিয়াসের বাঁশি ,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।
আর যা পড়বেন সবকিছুর ক্রসচেক করা উচিৎ। আগে থেকে রেজাল্ট ধরে তারপর পড়াশুনা করলে রেজাল্ট তো মিলবেই। তাই ক্রসচেক করা প্রয়োজন।
চিকিত্সা বিদ্যাবিষয়ক বা স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান " Read Back " একটা পলিসি আছে বা অনুসরন করা হয় যাতে কোন রোগিকে ভূল ঔষধ না দিয়ে দেওয়া হয়। আর যে কোন কিছুতেই cross check এর বিকল্প নেই এটাও ঠিক ।
আবারো ধন্যবাদ আপনার পরামর্শের জন্য।
১৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৬
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া!
এত কঠিন লেখা পড়তে গেলে আমার ক্লাসের টাইম চলে আসবে।
পরে পড়বো ।
দেখতে এলাম কেমন আছো।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা বনি ,আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনাকে দেখলেই (মন্তব্য করলে) অন্যরকম ভাল লাগে কারন আপনার উৎসাহেই এবং আপনাকে দেখেই কিছু-মিছু,হাবি-জাবি (খটমটো) লেখার চেষ্টা করি।
যদিও আপনি একবার বলেছিলেন গল্প লিখতে । আমি মাঝে দুয়েকবার গল্প লেখার চেষ্টাও করেছিলাম । তবে তা ঐ পর্যন্ত হয়েছিল , " খাটেতে শুইয়া দেখি বিড়ালের দুই চরণ " এর মত (যদিও বিড়ালের চরণ ৪ টি) আর তাইতো পরে মনে আসে, " হবেনা হবেনা আমার গল্প লিখন" ।
আর তাইতো এই সব কিছু-মিছু,হাবি-জাবি (খটমটো) লেখার চেষ্টা।
২০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ নতুন ভাই,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।
ইসলাম ত্যাগ করলে শরিয়া আইনে তার সাজা কি ভাই (এ ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা কি ? তাই কি বলতে চাচছেন?) ?ধর্ম মানুষকে ভয়ের মাঝে রাখে।
যে ইসলাম গ্রহণ করে তারপর ইসলাম ছেড়ে দেয় বা জন্মগতভাবে কোন মুসলিম যখন ইসলাম ত্যাগ করে তাকে ইসলামী পরিভাষায় মুরতাদ বলে। আসুন দেখি মুরতাদদের ব্যাপারে ইসলাম কি বলে -
তাহলে সৌদি আরবের মতন দেশ আসলে আপনাদের মতন কোরান এবং হাদিস বুঝে না। তারা মুরতাদের সাজা মৃত্যুদন্ড করে রেখেছে।
Blasphemy and apostasy
Main articles: Apostasy in Islam and Takfir
Saudi Arabia has criminal statutes making it illegal for a Muslim to change religion or to renounce Islam, which is defined as apostasy and punishable by death.[33][34] For this reason, Saudi Arabia is known as 'the hell for apostates', with many ex-Muslims seeking to leave or flee the country before their non-belief is discovered, and living pseudonymous second lives on the Internet.[35]
On 3 September 1992, Sadiq 'Abdul-Karim Malallah was publicly beheaded in Al-Qatif in Saudi Arabia's Eastern Province after being convicted of apostasy and blasphemy. Sadiq Malallah, a Shi'a Muslim from Saudi Arabia, was arrested in April 1988 and charged with throwing stones at a police patrol. He was reportedly held in solitary confinement for long periods during his first months in detention and tortured prior to his first appearance before a judge in July 1988. The judge reportedly asked him to convert from Shi'a Islam to Sunni Wahhabi Islam, and allegedly promised him a lighter sentence if he complied. After he refused to do so, he was taken to al-Mabahith al-'Amma (General Intelligence) Prison in Dammam where he was held until April 1990. He was then transferred to al-Mabahith al-'Amma Prison in Riyadh, where he remained until the date of his execution. Sadiq Malallah is believed to have been involved in efforts to secure improved rights for Saudi Arabia's Shi'a Muslim minority.[36]
In 1994, Hadi Al-Mutif a teenager who was a Shi’a Ismaili Muslim from Najran in southwestern Saudi Arabia, made a remark that a court deemed blasphemous and was sentenced to death for apostasy. As of 2010, he was still in prison, had alleged physical abuse and mistreatment during his years of incarceration, and had reportedly made numerous suicide attempts.[37][38]
In 2012, Saudi poet[39] and journalist Hamza Kashgari[40][41] became the subject of a major controversy after being accused of insulting Muslim prophet Mohammad in three short messages (tweets) published on the Twitter online social networking service.[42][43] King Abdullah ordered that Kashgari be arrested "for crossing red lines and denigrating religious beliefs in God and His Prophet."[40]
Ahmad Al Shamri from the town of Hafar al-Batin, was arrested on charges of atheism and blasphemy after allegedly using social media to state that he renounced Islam and the Prophet Mohammed, he was sentenced to death in February 2015.[44]
Rahaf Mohammed رهف محمد Twitter
@rahaf84427714
based on the 1951 Convention and the 1967 Protocol, I'm rahaf mohmed, formally seeking a refugee status to any country that would protect me from getting harmed or killed due to leaving my religion and torture from my family.
6 January 2019[45]
In January 2019, 18-year-old Rahaf Mohammed fled Saudi Arabia after having renounced Islam and being abused by her family. On her way to Australia, she was held by Thai authorities in Bangkok while her father tried to take her back, but Rahaf managed to use social media to attract significant attention to her case.[46] After diplomatic intervention, she was eventually granted asylum in Canada, where she arrived and settled soon after.[47]
Witchcraft and sorcery
Main articles: Witchcraft § Saudi Arabia, and Religious discrimination against Neopagans
Saudi Arabia uses the death penalty for crimes of sorcery and witchcraft and claims that it is doing so in "public interest".[48][49][50][51]
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ নতুন ভাই,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।
তাহলে সৌদি আরবের মতন দেশ আসলে আপনাদের মতন কোরান এবং হাদিস বুঝে না। তারা মুরতাদের সাজা মৃত্যুদন্ড করে রেখেছে।
- ভাই ইসলামী শরীয়তের মূল উৎস আল কোরআন ।তার পরের উৎস হিসাবে হাদীসের স্থান ।তারপর ইজমা ও সবশেষে কিয়াস।
শরীয়ত সম্মত যে কোন ব্যাপারে প্রথমেই আল কোরআনে সমাধান দেখতে হবে ।তাতে যে সমাধান আছে তাই মানতে হবে এবং সেভাবে করতে হবে। যদি আল কোরআনে সে বিষয়ে পরিষ্কার ভাবে কিছু বলা না থাকে তাহলে হাদীসে তালাশ করতে হবে ।এর পর ইজমা তারপর কিয়াস।
যে কোন আইনকে ক্ষমতাশীন রা তাদের ক্ষমতা রক্ষার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে এটা আমরা সারা দুনিয়ায় দেখতে পাই এবং ক্ষমতাশীনরা সেই রকম আইনই প্রণয়ন করে যাতে তাদের স্বার্থ রক্ষা হয়।
এখন শরীয়া আইনের দিকে তাকান।শরিয়ার একটি ভয়ানক আইন হল মুরতাদকে যে কেউ যে কোনো জায়গায় খুন করতে পারে, তাতে খুনীর মৃত্যুদণ্ড হবে না। (বিধিবদ্ধ ইসলামী আইন ১ম খণ্ড, ধারা ৭২, শাফি ল’ ও.৫.৪ ইত্যাদি)
অর্থাৎ কোনো ধর্মান্ধ কাউকে মুরতাদ ঘোষণা করলে তাকে খুন করতে অন্য ধর্মান্ধকে উৎসাহিত করা হয়। মুসলিম বিশ্বে এমন ঘটনা ঘটেছে এবং খুনীর শাস্তি হয়নি।
বাস্তবতা হলো, প্রতিপক্ষকে (রাজনৈতিক, সামরিক বা অন্যান্য) মুরতাদ ঘোষণা করে খুন, হেনস্থা বা দেশছাড়া করার ঘটনায় মুসলিম ইতিহাসে ভর্তি। সাউদি আরবে এবং পাকিস্তানে এটা হরহামেশাই হয়। অথচ অটোমান খলিফার আমলে মুরতাদ হত্যা এবং আরও কিছু শরিয়া আইন কয়েক শতাব্দী ধরে ধীরে ধীরে লোপ পেয়েছিল। (Research of Quiliam foundation, UK.)
১৭২৮ সালের অটোমান খলিফার আমলে শরিয়া-কোর্টের সিসিল দলিলের ‘শিকায়তে দফতরি’তে আমরা দেখি, জয়নাবের স্বামী ইব্রাহীম ইসলাম ধর্ম ও ধর্মবিশ্বাসকে অভিশাপ দিয়েছে, কাজেই সে মুরতাদ হয়ে গেছে। দুজন সাক্ষী দ্বারা এটা প্রমাণিত হলে কোর্ট ইব্রাহীমকে হত্যার রায় না দিয়ে শুধু বিয়ে বাতিলের রায় দিয়েছে (উইমেন, দ্য ফ্যামিলি অ্যাণ্ড ডিভোর্স লজ ইন ইসলামিক হিস্ট্রি: ড. আমিরা আজহারী সনবল, পৃষ্ঠা ১১৯)
এখন মধ্যপ্রাচ্যের তেল সম্পদে ধনী এবং ভোগ বিলাসে মত্ত রাজা-বাদশারা তাদের অবৈধ শাসন ও ভোগবিলাস চালিয়ে যাওয়ার জন্য এবং বিরোধী মতকে দমনের জন্য মুসলিম বিশ্বের কিছু দেশ এসব বর্বর আইন আবার ফিরেয়ে এনেছে। আর এ আইন যতটা না ধর্ম রক্ষা তথা ধর্মকে ভালবেসে তারচেয়ে বেশী ক্ষমতাশীনদের স্বার্থ রক্ষার জন্য।
কোনো ব্যক্তি যে কোনো উদ্দেশ্যেই হোক না কেন যদি কলমা উচ্চারণ করে এবং তা পরে ত্যাগ করে তবে তাকে হত্যা করার অধিকার ইসলাম কাউকে দেয়নি। কলেমার দায় বড় দায়, কলেমার অপমান ইসলামের অপমান! এ ব্যাপারে ইমাম হাম্বলের মসনদ ৬ষ্ঠ খণ্ড ২৬০-র উদ্ধৃতিতে পাওয়া যায় রাসুলের (সাঃ) তীক্ষ্ণ প্রশ্ন," তুমি কি তাহার বক্ষ চিরিয়া দেখিয়াছ"?
ইসলাম অন্যায়ভাবে মানব সন্তানকে হত্যা করা কঠোর ভাষায় নিষিদ্ধ করেছে। নিরপরাধ ব্যক্তিদের হত্যা করা ইসলামের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। একজন নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা গোটা মানবজাতিকে হত্যা করারই নামান্তর। আর কোনো ব্যক্তি যদি কারও প্রাণ রক্ষা করে, সে যেন পৃথিবীর সব মানুষের প্রাণ রক্ষা করল।
তাই তো অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যাকে সবচেয়ে বড় গুনাহ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নরহত্যার ভয়ানক পরিণাম সম্পর্কে আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, "এ কারণেই আমি বনী-ইসলাঈলে র প্রতি লিখে দিয়েছি যে, যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবাপৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে। তাদের কাছে আমার পয়গম্বরগণ প্রকাশ্য নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছেন। বস্তুতঃ এরপরও তাদের অনেক লোক পৃথিবীতে সীমাতিক্রম করে "। (সূরা আল-মায়িদা, আয়াত - ৩২)
এ ব্যাপারে নবী করিম (সাঃ) বলেছেন, "যদি আসমান-জমিনের সব অধিবাসী মিলে একজন মুসলমানকে অবৈধভাবে হত্যা করার জন্য একমত পোষণ করে, তবে আল্লাহ তাদের সবাইকে অবশ্যই জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন"। (মুসনাদে আহমাদ)
২১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭
নতুন বলেছেন: উইকি:- Click This Link
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই, লিংকের জন্য ধন্যবাদ।
২২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৫
নতুন বলেছেন: জাকির নায়কও আপনার দেওয়া আয়াত এবং হাদিসের মর্ম বুঝতে পারেনাই্।
তিনিও বলতেছে মুরদাতের সাজা মৃত্যুদন্ড।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই , কি বলব বলেন ।
আমরা আম জনতা । আমাদের বলার সুযোগ নেই করার ক্ষমতা নেই । আমরা শুধু আমাদের নিজের সীমায় থেকে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্বগুলো পালনের চেষ্টা করতে পারি।
আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে যাদের ক্ষমতা আইনের অপপ্রয়োগের দায় তাদের - আমাদের নয়।
কেউ যদি ধর্মকে - আইনকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে তবে ভাই এর দায় না ধর্মের না স্রষ্টার । এর দায় সেই ব্যক্তি-কর্তৃপক্ষ-বিচারক-সরকারের। এবং আল্লাহ সবার কাজেরই যথাযথ প্রতিবিধান দিবেন শেষ বিচারের দিন।
২৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯
নতুন বলেছেন: - ভাই ইসলামী শরীয়তের মূল উৎস আল কোরআন ।তার পরের উৎস হিসাবে হাদীসের স্থান ।তারপর ইজমা ও সবশেষে কিয়াস।
শরীয়ত সম্মত যে কোন ব্যাপারে প্রথমেই আল কোরআনে সমাধান দেখতে হবে ।তাতে যে সমাধান আছে তাই মানতে হবে এবং সেভাবে করতে হবে। যদি আল কোরআনে সে বিষয়ে পরিষ্কার ভাবে কিছু বলা না থাকে তাহলে হাদীসে তালাশ করতে হবে ।এর পর ইজমা তারপর কিয়াস।
ভাই আমি তো তাই বলেছি। আরবী ভাষায় কোরান নাজিল হয়েছে, আরবের মানুষের মাঝে ইসলাম বেড়ে উঠেছে।
এখন তারাই আরবী ভাষার কোরান, হাদিসের ব্যপার গুলি বুঝতে পারতেছেন।
আমাদের বাংলাদেশে কিছু মানুষ আছে যারা আসলে কোরান, হাদিসের বিষয়গুলি বুঝতে পারছেন। এমনকি জাকির নায়কও আপনার দেওয়া বিষয়গুলি বোঝেনাই।
ভাই এই জন্যই তো বললাম যে তালগাছ আপনার
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই, দেশে প্রচলিত কটা কথা আছেনা, " সত্য বললে মা মার খায় আর না বললে বাপে হারাম খায়"। আমরা আমজনতার অবস্থা হয়েছে অনেকটা সেরকম। জানা-বুঝার অনেক কিছুই থাকলেও আপনি আমি অসহায় যথাযথ কর্তৃপক্ষ (শাসক-ক্ষমতাশীন) হাতে। আর সবকিছুই এবং সবজায়গায় (আইন-শাসন-বিচার)কর্তার (সরকারের) ইচছায় কর্ম হয়।
এখন আমাদের সাধারন মুসলমানদের জন্য আমি মনে করি কালেমা-নামাজ-রোজা এই কাজ গুলিই ঠিকমত করা উচিত। আর সামর্থ্য থাকলে যাকাত ও হজ । নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে যেহেতু সাধারন মানুষের অংশগ্রহন নেই কাজেই এর দায়ও তাদের নয়।আর কি বলব ভাই বলেন।
২৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: নতুন ভাই , কি বলব বলেন ।
আমরা আম জনতা । আমাদের বলার সুযোগ নেই করার ক্ষমতা নেই । আমরা শুধু আমাদের নিজের সীমায় থেকে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্বগুলো পালনের চেষ্টা করতে পারি।
আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে যাদের ক্ষমতা আইনের অপপ্রয়োগের দায় তাদের - আমাদের নয়।
কেউ যদি ধর্মকে - আইনকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে তবে ভাই এর দায় না ধর্মের না স্রষ্টার । এর দায় সেই ব্যক্তি-কর্তৃপক্ষ-বিচারক-সরকারের। এবং আল্লাহ সবার কাজেরই যথাযথ প্রতিবিধান দিবেন শেষ বিচারের দিন।
একটু ভেবে দেখুন তাহলে বুঝতে পারবেন কিভাবে ধর্ম তৌরি হলো এবং কেন ???
মানুষকে নিয়ন্ত্রনের জন্যই শাসকেরা ধর্মকে ব্যবহার করেছে শুধু থেকে। তারাই এই সব তৌরি করেছে। মানুষকে ব্রেনওয়াস্ড করেছে ধর্ম মেনে নিতে। তারপরে শাসকেরা ধর্মের ধারক বাহক হয়ে মানুষকে নিয়ন্ত্রন করেছে।
ইতিহাসে এর অনেক প্রমান পাবেন।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই, ভাবনার কি শেষ আছে । যদি ভাবেন তাহলে দেখবেন সব কেমন কেমন লাগে। কোন হিসাবই মিলেনা এই এক জীবনে।আর শাসকেরা তাদের সুবিধার জন্য জনগনের আবেগ-ধর্ম-আইন যখন যেটা সুবিধা তাই ব্যবহার করছে ।আর জনগন তাদের ক্ষমতার জন্য গিনিপিগ হিসাবে ব্যবহৃত হচছে।
২৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০০
নতুন বলেছেন: আসে পাশে তাকিয়ে দেখুন যে যত কম প্রশ্ন করে সে তত বেশি র্ধমে বিশ্বাসী
যখনই প্রশ্ন করা শুরু করবেন তখন ঘাপলা গুলি নজরে আসবে।
মহাবিশ্বের সৃস্টির্কতা থাকতেই পারে কিন্তু প্রচলিত র্ধমগুলিতে যেভাবে বলে সেখানে অনেক ঘাপলা আছে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই, এই একটা কথা আপনি ১০০ ভাগ সঠিক বলেছেন।সবাই নিরংকুশ আনুগত্য আশা করে। তা সে ধর্ম কিংবা সরকার যেই হোক।
সব জায়গাতেই গাপলা আছে এটাও ঠিক তবে আবার এটাই ঠিক কোন কিছুর শতভাগ সঠিক সমাধান এ দুনিয়াতে নেই। আর তাই আমাদের বেঁচে-মরে (অর্ধমৃত ) ই চলতে হবে এবং সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
২৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: তথ্যনির্ভর চমৎকার লেখনীর জন্য লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই,আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য ।
২৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: লিখাটা বেশ বড়। অর্ধেক পড়েছি। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আমি লাইক দিয়েছি আপনার কষ্ট চেষ্টা ও দুঃসাহসের প্রশংসা করে।
আমি এখন যেই লিখা দিয়ে প্যারা সামলাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে আরো প্যারা সামলাতে হবে তেমন এক কঠিন প্যারার মধ্য দিয়ে আপনি এই পর্বটা পার করেছেন
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই,আপনার ছোট তবে চমতকার মন্তব্যের জন্য ।
লিখাটা বেশ বড়। অর্ধেক পড়েছি। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
- আমার প্রায় লিখাই বড় হয়ে যায় যা অনেকর মতে গরুর রচনা।
আসলে, এ সব বিষয়ে লিখতে গেলে চাইলেও ছোট রাখা যায় না । বড় হয়ে যায় তথ্য ও তত্ত্বের সংমিশ্রণ ঘটাতে গিয়ে। আর এসবই আমি করে থাকি কিছু জানা-বুঝার জন্য।
আমি লাইক দিয়েছি আপনার কষ্ট চেষ্টা ও দুঃসাহসের প্রশংসা করে।
- শুকরিয়া ভাইজান আপনার লাইকের জন্য।
আমি এখন যেই লিখা দিয়ে প্যারা সামলাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে আরো প্যারা সামলাতে হবে তেমন এক কঠিন প্যারার মধ্য দিয়ে আপনি এই পর্বটা পার করেছেন
- আমি মনে করি , পাঠকের প্রতি লেখকের দায় ।
কারন, পাঠক যখন লেখায় প্রাসংগিক বিষয়ে কিছু জানতে চায় তখন তা ব্যাখ্যা করা লেখকের নৈতিক দায়িত্বও বটে। যদিও জানা - বুঝার ক্ষেত্রে অনেক সময় জানার আগ্রহের সীমা ছাড়িয়ে ব্যক্তিগত বিষয়ে চলে যায় । আর তখনই তা প্যারা হিসাবে পরিগণিত হয়ে যায় ।
কি আর করা ভাই ।
এটাই জীবন। মানব জীবন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১২
সাসুম বলেছেন: আমি ব্লগে হেনস্তার প্রতিবাদে কোন ধরনের ইন্টারেকশান করব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আপনার এই পোস্টে একটা কমেন্ট করার লোভ সাম্লাতে না পেরে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলাম, এবং এই কমেন্ট করেই হাওয়া হয়ে যাব আবার।
বিবর্তনবাদ অজাচারকে ইংগিত করেঃ মায়ের সাথে ছেলের, বাবার সাথে মেয়ের এবং ভাইয়ের সাথে বোনের।
আসলে আপ্নার একটু ভুল আছে।
আব্রাহামিক ধর্ম গুলো এই অজাচার কে ইংগিত করে।
ইস্ললামে একদম ক্লিয়ার কাট বলা আছে- আদম ও হাওয়া থেকে জোড়ায় জোড়ায় সন্তান জন্ম নিত এবং সেই সন্তান রা নিজেদের মধ্যে সেক্স করার পর আবার নতুন করে সন্তান উতপাদন হত।
সো, দুনিয়ার যত মানব জাতি আছে তা পুরাটাই ভাই বোনের সেক্স করার মাধ্যমে এসেছে এবং পুরা মানব সভ্যতা একটা অজাচার জাতি ইসলাম ধর্ম অনুসারে।
প্লিজ এই লেইম লজিক দিয়েন্না যে এক জোড়া ভাই বোন, পরের জোড়া ভাই বোন না।
যাই ঘটুক না কেন, এক মায়ের পেট থেকে এক বাপের বীর্যে জন্ম নেয়া সবাই ভাই বোন।