![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেবু: facebook.com/bdidol3x ফেবু পেজ: facebook.com/bdidolx
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শ্যালিকার "সম্বোর্ধণায়"। মানুষজনের আগমনে ডিসেম্বরের শেষের দিকেই সেটা প্রায় গণ-সম্বোর্ধণায় রুপ নিলো। তাদেরই কারো বুদ্ধিতে কিনে আনা হলো গাদা-গাদা আতসবাজী। এই পোষ্টে দেয়া প্রায় সব টাইপই ছিলো সেখানে ।
৩১ তারিখ রাতে সবাই বললো কিছু টেস্ট হয়ে যাক আতসবাজীর। ছাদে ফোটানো হবে। আমার চেহারা-সুরৎ একটু সিরিয়াস কিসিমের হওয়াতে বাজীতে আগুন দেয়ার দায়িত্ব পড়লো আমার উপর।
আমি চশমা পরি নিয়মিত। সেই রাতে কোন কারণে যেন চশমা ছাড়াই ছাদে গেলাম। ছাদে কোন বাতি না থাকাতে ঘুরঘুটে অন্ধকার। শুরু করলাম ছোট গুলো দিয়ে। একটা একটু ফটে আর বাচ্চা সহ বুড়োদের হাততালি পড়তে থাকে। আস্তে আস্তে বড় সাইজের দিকে যাওয়া হচ্ছে। এগুলো উপরে উঠে ছড়িয়ে পড়ে। এর পর আসলো ইয়া ঢিশুম সাইজের একটা। সাথে লাগানো টেপ খোলার সময় কাগজের সলতেটে খুলে গেল। আমি ঠেশে ঠুকিয়ে দিলাম। কে জানতো সেখানে একটা ফ্যাক্টর অব সেফটি গ্যাপ রেখে এটাকে বানানো হয়। আগুন দিলাম। বাজী উপরে উঠে গেল বিকট শব্দ করে। সবাই উপরে তাকিয়ে ফায়ারওয়ার্কস দেখছে। আমি অনুভূব করলাম আমার পুরো মুখ পুড়ে গেছে। প্রচন্ড জ্বালাপোড়া হচ্ছে চোখের আশে-পাশে, কপালে, গালে। অন্ধকারে সবার মনোযোগ উপরে বলে কেউই খেয়াল করেনি। পাশে দাড়ানো বৌকে বললাম আমার মুখ পুড়ে গেছে। দৌড়ে নামলাম লিফট ধরার জন্য। ওই তলার দরজায় নক করতে বললাম মুখে পানি দেয়ার জন্য। রাত হয়ে যাওয়াতে কেউ দরজা খোলেনি বোধহয়। লিফটে নেমে এলাম ৩ তলায়। বাথরুমে ঢুকে ক্রমাগত পানি দিতে দিতেই টের পাচ্ছিলাম মাথার চুল, চোখের ভ্রু, পাপড়ি সব পুড়ে গেছে। চোখ তখনও খুলিনি তাই বলতে পারছি না কি অবস্হা। শুধু টের পাচ্ছিলাম দু'চোখের নীচেই তীব্র জ্বলুনি। ১৫ মিনিটের মত পানি দিয়ে এর পর বরফ দিতে বসলাম। উপরের তলায় এক অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার আংকেল থাকতেন, উনাকে নিয়ে আসা হলো। উনি আসার পর চোখ খোলে দেখলাম ভীষণ ঠিক আছে, কিন্তু বাম চোখে তীব্র অস্বস্হি হচ্ছে। আয়না এনে দেখলাম কপালে বড় আকারের কেটে সুপারি হয়ে গেছে, মাথার চুল এখানে-সেখানে পোড়া, গাল ফুল আছে লাল হয়ে আর চোখের নীচে কেটে রক্ত বের হচ্ছে। ডাক্তার বললো বার্ণল লাগাতে আর সাথে একটা হাই-ডোজের আ্যন্টিবায়োটিক দিলো। সাথে বললো সকালে চোখের ডাক্তার দিয়ে চোখ পরীক্ষা করে আসতে।
বার্ণল দেবার পর সারারাত চোখ-মুখ সব জ্বালা করতে করতে ঘুমালাম। ভোরে উঠেই গেলাম পাশ্ববর্তী লায়ন্স আই হসপিটালে। ফাস্ট ট্র্যাক একটা সিস্টেম আছে, সেটা দিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলাম। চোখে এইসময় চশমা ছিলো। ডাক্তার সব দেখে টেখে বললো চশমার কারণে আপনে বেচেঁ গেছেন, আঘাত যা হয়েছে সব সুপারফিশিয়াল। বললাম ডাক্তার আমার চোখে চশমা ছিলো না। ডাক্তার কিছুটা বিস্মিত হয়ে বললো প্রচুর সন্ত্রাসী আসে তাদের কাছে, ককটেল-বোমা বানাতে যেয়ে চোখের কর্ণিয়া গলে যায়। চিরদিনের জন্য অন্ধ।
মুরব্বিদের দোয়ায় এই যাত্রায় রেহাই পেলাম।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৬
বিডি আইডল বলেছেন: হ রে ভাই....চোখ এখনও ক্ষানিকটা খচ খচ করে। চুল এমনভাবে পুড়েছিলো দেশ ছাড়ার আগে সেলুনে গেলাম আর ব্যাটা বলে ভাই আপনার কি আলগা চুল!
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: সুস্থ আছেন যেনে ভালো লাগল।
৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৬
হাবিবউল্যাহ বলেছেন: চুল এমনভাবে পুড়েছিলো দেশ ছাড়ার আগে সেলুনে গেলাম আর ব্যাটা বলে ভাই আপনার কি আলগা চুল
হাহাহাহা!
আল্লায় বাচাইছে!
এখন হিসেব কৈরা পটকা ইস্তেমাল কইরেন!
৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:০৬
প্রকৌশলী আতিক বলেছেন: জানের ছদকা কইরা দেন।
৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৮
আমিভূত বলেছেন: বড় বাঁচা বেঁচেছেন তা কি দরকার ওইসব পটকা ফাটানোর ? আনন্দের জন্য এমন কিছু কেনই বা করব যাতে জীবনে ঝুঁকি আসতে পারে ?
ভালো থাকুন সবসময় ।
৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। খুব বড় বিপদ হতে পারতো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
অণুজীব বলেছেন: