![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বই এমন একটা বস্তু যেটাতে মনের ভাব প্রকাশ করা যায়। এবং নিজের জ্ঞান ও বারানো যায়। আমি নিয়মিত বই পড়তে পছন্দ করি। তাই আপনাদের সাথে ও শেয়ার করছি। ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় পাঠক, এবার উল্লেখ করব, ‘ব্যথার দান’ গ্রন্থ সম্পর্কে তৎকালীন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত মন্তব্য সমূহ। এগুলো মোসলেম পাবলিশিং হাউস ৩নং, কলেজ স্কয়ার, কলিকাতা থেকে প্রকাশিত চতুর্থ সংস্করণে সংকলিত হয়ে ছিল। আমি শুধু আমার মতো করে সাজিয়েছি মাত্র।
‘ব্যথার দান’ প্রসঙ্গে ‘কল্লোল’ পত্রিকায় লেখা হয়ে ছিল: “ব্যথার দান গদ্যে লিখিত গল্প পুস্তক হইলেও সাধারণ গল্প পুস্তক হইতে ইহার প্রভেদ আছে। ভাষার স্বচ্ছন্দ গতি, বর্ণনা-চাতুর্য্য, কল্পনার বর্ণ-মাধুরী সমস্ত বইখানির চারি দিকে কবিত্বের স্বপ্নজাল বুনিয়া দিয়াছে। যে হিসাবে ‘উদ্ভ্রান্ত প্রেম’ ও ‘বসন্ত-প্রয়াণ’ বাংলা সাহিত্যে গদ্যকাব্য, সেই হিসাবে ‘ব্যথার দান’কেও গদ্যকাব্য বলা যাইতে পারে।
কবির ভাষার অপূর্বতা, গভীর আত্মবিশ্লেষণ-শক্তি ও রচনার মাধুরী অবলীলাক্রমে আমাদের মনকে শেষ পর্যন্ত টানিয়া লইয়া যায়। … গল্পের স্থান ও নায়কগণের জীবনের ঘটনা-সমাবেশে কবি মৌলিকতা দেখাইয়াছেন। বাংলার শ্যামলতার মাঝে গোলেস্তা, চমন, বেলুচিস্তানের ডালিমের লালিম-ছোঁওয়া লাগাইয়াছেন। বাঙালীর নিশ্চেষ্ট জীবনের মাঝে ‘হিন্ডেনবার্গ লাইনে’ মৃত্যুর মধ্যে মাদকতার আস্বাদ দিয়াছেন।”
‘বঙ্গবাসী’তে বলা হয়েছে: “প্রেমের এবং বিরহের, আবেগের এবং আশঙ্কার, নায়ক এবং নায়িকার নানারূপ বিচিত্র মনোভঙ্গী রঙ্গিল তুলিকায় চিত্রিত। প্রেমোন্মাদ এবং ভাবোন্মাদের বিচিত্র ভঙ্গীর ন্যায় ভাষাও ইহার বিচিত্র ভঙ্গীশালিনী, রবীন্দ্র সাহিত্যের অনুরণনে অনুরঞ্জিনী। প্রেম ও বিরহ ভাবের ভাবুক ‘ব্যথার দানে’ অনেক সান্ত্বনা পাইতে পারিবেন।”
বসুমতী: “কাজী নজরুল বাঙ্গালার সাহিত্য-সমাজে অপরিচিত নহেন। তাঁহার স্বদেশ-প্রেমের উদ্দীপনাময় কবিতা বাঙ্গালার কাব্য-সাহিত্যে এক অভিনব রসসঞ্চার করিয়াছে। কিন্তু তিনি যে বাঙ্গালা গদ্যেও সিদ্ধহস্ত, তাহা জানা ছিল না। কাজী নজরুলের এই গদ্য রচনার মধ্যেও একটু মৌলিকতা আছে। ইহার ভার ও ভাষার প্রাণ আছে।”
মোহাম্মাদী: “কাজী সাহেবের প্রতিভা অসাধারণ। তাঁহার লিখিবার ভঙ্গিমা চমৎকার। আলোচ্য বইখানিতে তাঁহার লেখনীর সেই চমৎকারিত্ব ও অসাধারণত্ব অক্ষুণ্ণ আছে।”
বিজলী: “কবিতার বই না হ’লেও বইয়ের প্রতি পঙক্তি কাব্যরসে ভরপুর। বইখানা ‘ব্যথার দান’ কেন জানি না, কিন্তু প্রতি গল্পতেই একটা বেদনার রাগিণী করুণ সুরে ঝঙ্কৃত হ’চ্ছে। সে সুরটি যেন কবির হৃদয়-বীণার স্বতঃ উচ্ছ্বসিত আবেগ-প্রসূত।”
আত্মশক্তি: “কাজী নজরুল ইসলামকে আমরা প্রতিভাবান নবীন কবি বলিয়াই জানিতাম। তাঁহার এ বইখানা পড়িয়া বুঝিলাম যে, গদ্যসাহিত্যেও তিনি সমানকৃতী।”
স্বরাজ: “গদ্যের ভিতরেও যে একটা ছন্দ আছে, একটা মাত্রা আছে, কাজী নজরুলের এই বইখানি পড়িলে তাহা অতি সহজেই ধরা পড়ে। এক কথায় বইখানির ভাষা ছন্দময়। প্রকৃতির ভিতরকার রূপ এবং রস পুঞ্জীভূত হইয়া তাঁহার লেখার ভিতর দিয়া ফুটিয়া উঠিয়াছে। গ্রন্থকারের লেখার ভিতরে একটা উদ্দামতার ছাপ সর্বত্রই সুস্পষ্ট।”
The Servant: “This book evinces the author as a chivalrous hero attempting to conquer the subtle corners of the human heart. This style is all his own permeated with freshness vigour and impetuosity characteristic of his age and hopes.”
আনন্দবাজার পত্রিকাতে বলা হয়: “ব্যথার দান’ একখানি গদ্যকাব্য। তরুণ কবির ব্যথাভরাতুর যৌবনের অর্দ্ধনগ্ন স্মৃতির রাগরক্তে অনুরঞ্জিত কাহিনী এই কাব্যের কথাবস্তু। সমস্ত কাহিনী গুলির উপর মৃত্যুর মসীগাঢ় ছায়া নিদারুণ ভবিতব্যতার মতো রহিয়াছে। তাই সেই ছায়ার অবগুণ্ঠনে প্রেম-করুণ হৃদয়ের ব্যথা-ক্রন্দন আপনি করুণ হইয়া উঠিয়াছে।”
গন্থটি পড়তে বা ডাউনলোড করতে এখানে।
(পর্বে প্রকাশিত)
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫২
বই এর পাগল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালো পোস্ট!