নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

MOHAMMAD RASEL AHAMED

MOHAMMAD RASEL AHAMED › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার ঢাকার বাসায় সন্ত্রাসীর হামলা

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:০৯


মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক সংরক্ষিত এবং নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকারের রক্ষাকবচ। অন্য মানুষকে নিরাপদ রাখা ও বাঁচতে দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে অন্যতম। কোনো ব্যক্তি,সংঘ,সংগঠন,বহিঃশত্রু বা স্বয়ং রাষ্ট্র কোনো নাগরিককে এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে উদ্যত হতে পারে না;বরং রাষ্ট্র তার নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা যেকোনো মূল্যে নিশ্চিত করতে বাধ্য থাকবে। এমনটাই আমরা ছোটবেলা থেকে পাঠ্যবই পড়ে জেনেছি। আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাজ হচ্ছে জনকল্যাণ। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রসঙ্গ নাই-বা তুললাম, ইউরোপ-আমেরিকার ধনবাদী রাষ্ট্রগুলো নাগরিকদের শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবার দায়িত্ব নেয়। শিক্ষা শেষে কাজের ব্যবস্থা করে দেয়, চাকরি দিতে না পারলে বেকার ভাতা দেয়। বলতে গেলে আমাদের রাষ্ট্রের এমন দায় নেই। সংবিধানে সমাজতন্ত্র লিপিবদ্ধ করা হলেও রাষ্ট্র জনগণের শিক্ষা-স্বাস্থ্যের দায় থেকে ক্রমেই সরে যাচ্ছে। কাজ দিতে না পারলে বেকার ভাতা দেবে এমনটা ভাবছে না। জনগণের মধ্যেও তা নিয়ে তেমন আকাঙ্ক্ষা জন্মায়নি। তবে রাষ্ট্র জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেবে,অপরাধীদের শাস্তি হবে,নির্মমতার অবসানে রাষ্ট্র কার্যকর ভূমিকা রাখবে_এমনটি আশা করে দেশের জনগণ। এটি আইনের শাসনের প্রাথমিক শর্ত। সমাজে নির্মমতা যে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে তা নিরসনে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার বিকল্প নেই। তবে সেটাই শেষ কথা নয়। এর পেছনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মনস্তাত্ত্বিক কারণও রয়েছে। মানুষের হিংসাপ্রবণ,নৃশংস হয়ে ওঠার পেছনে সামাজিক-সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ও ক্রিয়াশীল। নইলে গত ১৮ই অক্টোবর ২০১৪ মৌলবাদীদের সন্ত্রাসীদের দ্বারা আমার পরিবারে আচমকা হামলা হত না। দোষ কি শুধু এটাই স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে কথা বলা যাবে না?? আসলে নাগরিক অধিকার ছাড়া কোনো মানুষ নিরাপদে জীবন যাপন করতে পারে না। যে সমাজে মানবাধিকারের লঙ্ঘন হয়,সে সমাজে আইনের শাসন নেই। মানুষের জানমালের নিরাপত্তাই যদি বিঘ্নিত হয়,তবে মানুষ সমাজে কীভাবে শান্তিতে বসবাস করবে? কোনো অপশক্তির কাছেই যেন জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় আর মানবতা বিব্রত না হয়! প্রতিপক্ষের ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের অনিবার্য পরিণতিতে অপহরণ,গুম,খুন,নির্মম হত্যাকাণ্ড,অমানবিকতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় ঘৃণা ব্যক্ত করা যায়,জোরালো প্রতিবাদ জানানো যায়,জনগণের জানমাল রক্ষায় শান্তিপূর্ণ উপায়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায় এবং সংগ্রামী সচেতন মানুষের সেটাই করণীয়। জননিরাপত্তায় ব্যর্থ হলে শান্তিপ্রিয় যেকোনো মানুষের ওপরই জিঘাংসার হিংস্র কালো থাবা নেমে আসতে পারে। তাই দেশের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে মানবাধিকার সুরক্ষায় ও নিরাপদ জীবনযাত্রার পরিবেশ সৃষ্টিতে সমাজের চোখে জঘন্য অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে ইসলামের ন্যায়বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের বিকল্প নেই


মোহাম্মাদ রাসেল আহমেদ
প্রবাসী লেখক, ফ্রান্স

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:১৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: খুবই দুঃখজনক ! আর কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না ভ্রাতা ।

শুভকামনা আপনাদের জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.