![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"এখন আমি নো ম্যান ল্যান্ডের নাগরিক"
আজ পর্যন্ত কবিতাকে ছুঁতে পারলাম না আমি
কবিতা যদি পর্বতশৃঙ্গ হয় তবে আমি ভাবনার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছি।
ইদানিং আরেক সমস্যা হয়েছে, কবিতা আবৃত্তি করতে গেলে
দমকা কাশি আসে, রক্তপাত হয়।
হয়তো তাই কবি বলেছেন নদীর এপার ভাঙে তো ওপার গড়ে
কেউ কেউ সৃষ্টির আগুনে পুড়ছে বলেই, অন্যরা শিক্ষার আলো পাচ্ছে।
যেমন কোন প্রশাসক তার নিজের অঞ্চলে মুক্ত অঞ্চল বরদাস্ত করে না
তেমনি আমিও পারিনি কবিতাকে জয় করতে।
শুধুই রয়ে গেলাম আগুনখোর আতেল
বাপে ক্ষেদানো, মায়ে ক্ষেদানো এক রেফিউজী।
শুনেছি দেশকে ভালোবাসতে হলে নাকি দেশের মাটির গন্ধ পাওয়া দরকার
শুধু ইতিহাস পড়ে দেশকে ভালোবাসা যায় না।
দেশের যেদিকে তাকাচ্ছি সেদিকেই হত্যা আর নোংড়া রাজনীতির ক্ষত ছাপ
শহর, গ্রাম, আলি-গলি জুড়ে আতংকিত মানুষের আনাগোনা।
সবাইকে যেন রাজা সিসিকাস-এর মত শাস্তি দেয়া হয়েছে, পাথরের বদলে
আজীবন গণতন্ত্রকে কাঁধে নিয়ে বেড়ানোর।
যাতে সে গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে চিৎকার করতে না পারে,
কারণ সেটা দরকার প্রতিটি শাসকের জন্য।
গণতন্ত্রের চিৎকার, শাসনতন্ত্রকে
অচল করে দেয়, তাই এই শাসন আর কি।
এ কারনে এখন আমি নো ম্যান ল্যান্ডের নাগরিক
আমার দেশ নেই, বন্ধু নেই, সংসারও নেই।
আমার সব ঠিকানাই এখন বাড়তি, শুধু বাস্তু
আমি যে এখন এক বাস্তুহারা।
তবুও আমি নতুন লেখার জন্ম দেই, সৃষ্টির বেদনায় কাতরাই
আর সেই ব্যাথার সাথে মস্তিস্ক চিড়ে চিড়ে বেড়িয়ে আসে কোন অনবদ্য লেখা।
কারণ, আমি ভাবনার জগতের সাথে
একদিনও বেঈমানী করিনি।।
মোহাম্মাদ রাসেল আহমেদ
প্রবাসী লেখক, ফ্রান্স
©somewhere in net ltd.