নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

MOHAMMAD RASEL AHAMED

MOHAMMAD RASEL AHAMED › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণতন্ত্র

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪১

বাংলাদেশে ৪৩ বছর ধরে এক অভিনব গণতন্ত্র চলছে, যার সঙ্গে পৃথিবীর কোনো দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো, পদ্ধতি ও আচার-আচরণের কোনো মিল নেই। গণতন্ত্রের মূল কথা হলো, জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন বা বাছাইয়ের অবাধ স্বাধীনতা। গণতন্ত্র হলো জনগণের জন্য জনগণের দ্বারা জনগণের শাসন। আর বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সংজ্ঞা হলো জনগণের দ্বারা ‘আমাদের’ জন্য ‘আমাদের’ শাসন। রাজনৈতিক দুটিদল নিজেদেরকে দেশের ও জনগণের অতন্দ্রপ্রহরী ভাবে। এক দলের দাবি ‘আমরা জয়ী হলেই গণতন্ত্র রক্ষা পাবে এবং অন্যরা জয়ী হলে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে।’ আদতে গণতন্ত্রের নামে তাঁরা দেশ ধ্বংসের মহড়াই দিয়ে চলেছেন। গণতন্ত্রের সার কথা হলো সমঝোতা, আলোচনা এবং সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। কিন্তু বাংলাদেশের মহা-মহামহিম রাজনৈতিক নেতৃত্ব কখনোই এসব আমলে নেন না। তাঁরা যুক্তির চেয়ে পেশিশক্তিকে অধিক গুরুত্ব দেন। তাঁরা বরাবরই গায়ের জোরে একে অপরের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে আত্মপ্রসাদ লাভ করেন। তাঁরা অপরের ধ্বংসের মধ্য দিয়েই নিজের বিজয় দেখতে ভালোবাসেন। গণতন্ত্রে যেখানে সবাই মিলে দেশ শাসন এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করার কথা, সেখানে স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের রাজনীতিকেরা ‘শত্রুতত্ত্ব’ ও ‘দেশবিক্রি তত্ত্ব’ প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন। গণতন্ত্রে সবার জন্য আইন সমান হবে। কিন্তু বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সিপাহশালারেরা বরাবরই উল্টো নিয়মে চলছেন। তাঁরা বৃহত্তর জনগণের স্বার্থে আইন করেন না। আইন করেন ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থে। গণতন্ত্রে ক্ষমতায় থাকতে একরকম আইন আর বিরোধী দলে থাকতে আরেক রকম আইন, সেটি হতে পারে না। একবার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা দায়ের, আরেকবার সেই মামলা প্রত্যাহারের নামে চোর, ডাকাত ও খুনিদের জেলখানা থেকে বের করে আনা চলতে পারে না। অথচ দুই দলই পালা করে সেই কাজটি করে আসছে।একটি গণতান্ত্রিক দেশ, যেখানে কোনো ধরনের সংঘাত ছাড়াই রাজনৈতিক ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। অথচ ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, সংঘাত ছাড়া কোনো সরকারের আমলেই ক্ষমতা হস্তান্তর হয়নি ।আওয়ামী লীগ তার নিজস্ব চরিত্র হারিয়েছে এবং বিএনপির কোনো চরিত্রই নেই। কালো টাকার মালিকরা এই দুই পরিবারকে দেখিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। অথচ জনগণের সঙ্গে এই দুই পরিবারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হয় না বলেই বারবার দেশ সঙ্কটের মুখোমুখি দাঁড়ায়।কেবল দুই প্রধান দলের মধ্যেই নয়, মূলত দুই নেত্রীর মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর চলছে। তাই দেশের সঙ্কট দূর করতে হলে এর বাইরে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি দরকার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.