![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফ্রান্স এর সাথে সকল দেশের মানুষ একমত পোষণ করলেন শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে...।
গেল সপ্তাহটি দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছে ফরাসিদের। একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে তটস্থ হয়ে পড়েছিল পুরো দেশ। সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন সাংবাদিক, পুলিশসহ ১৭ জন। তাঁদের স্মরণে গতকাল রোববার রাজধানী প্যারিসের প্লাস দো লা রেপুবলিক চত্বরে সমবেত হয় প্রায় ১০ লাখ মানুষ। একাত্মতা প্রকাশ করতে সেখানে হাজির হন অন্তত ৫০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান।
প্যারিসের স্থানীয় সময় বিকেল তিনটায় শুরু হয় ওই সমাবেশ। প্লাস দো লা রেপুবলিকে সমবেত হয়ে সেখান থেকে শোভাযাত্রা নিয়ে প্লাস দো লা নাসিয়ঁ চত্বরে গিয়ে সমাবেশ শেষ হওয়ার কথা। এ উপলক্ষে প্যারিসের যানবাহনে ভাড়া নেওয়া হয়নি। সারা দেশ থেকে আসে লাখো মানুষ।
সমাবেশ ঘিরে নেওয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা। সড়কের আশপাশের ভবনগুলোর ছাদে অবস্থান নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা। নামীদামি ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য দেওয়া হয় সাদাপোশাকের পুলিশ।
শিগগির সন্তানের জন্ম দেবেন এমন এক নারীও এসেছিলেন সমাবেশে যোগ দিতে। তিনি বলেন, আমি চাই একটি সুন্দর পৃথিবীতে আমার সন্তানের জন্ম হোক।
প্লাস দো লা রেপুবলিক চত্বরে ভাস্কর্যের নিচে ১৭টি মোমবাতি জ্বেলে দেন আইভরিকোস্ট বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক লাসিনা ত্রায়োরি। তিনি বলেন, ;সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ফ্রান্স কতটা জোরদার এই সমাবেশ তার প্রমাণ। সন্ত্রাসবাদের ভয়ে আমরা ভীত নই।
সমাবেশে যোগ দেন শার্লি এবদো কার্যালয়ে হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরাও। তাঁদের প্রত্যকের মাথায় বাধা ছিল সাদা কাপড়। এতে লেখা শার্লি’।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ বলেন, প্যারিসই আজ পুরো বিশ্বের রাজধানী। আজ জেগে উঠেছে পুরো দেশ।
প্রেসিডেন্ট ওলাঁদের সঙ্গে সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা ছিল জার্মান চ্যান্সেল আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিয়ো রেনজি, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, জর্ডানের রাজা আবদুল্লা ও রানি রানিয়া, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভসহ ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার প্রায় ৫০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং প্রতিনিধিরা।
ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ফলস বলেন, আজকের এই দিনটি ইতিহাসে লেখা থাকবে। ফরাসি জনগণের ক্ষমতা ও মর্যাদা তুলে ধরবে এই দিন। দেখাবে মুক্তি ও ধৈর্যের প্রতি ভালোবাসার জন্য তাদের নীরব আর্তনাদ।
ফরাসিবাসীর দুঃস্বপ্নের ঘটনার শুরু গত বুধবার। ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)কে ব্যঙ্গ করে বিশ্বব্যাপী সমালোচিত সাপ্তাহিক রম্য পত্রিকা শার্লি এবদোর কার্যালয়ে হামলা করে বন্দুকধারীরা। এতে আট সাংবাদিক ও দুই পুলিশসহ নিহত হন ১২ জন। এর পরদিন প্যারিসেই এক নারী পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পত্রিকা কার্যালয়ে হামলাকারী সন্দেহে দুই ভাইকে পুলিশ যখন তাড়া করে ফিরছে তখন শুক্রবার প্যারিসের একটি সুপার মার্কেটে ঢুকে লোকজনকে জিম্মি করে এক বন্দুকধারী। ওই দিন সন্ধ্যায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে দামার্তাঁ-অ-গুল শহরে সন্দেহভাজন ওই দুই ভাই এবং প্যারিসের সুপার মার্কেটের জিম্মিকারী বন্দুকধারী নিহত হন। এ সময় সুপার মার্কেটে মারা যান চারজন জিম্মি।
পুলিশের ধারণা, সুপার মার্কেটে লোকজনকে জিম্মি করা সন্ত্রাসী আমেদি কুলিবালিই নারী পুলিশকে হত্যা করেছিলেন। তাঁর বান্ধবী আইয়াত বুমেদিয়েনকে খুঁজে ফিরছে পুলিশ। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি গত সপ্তাহের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আগেই ফ্রান্স ছেড়েছেন এবং বর্তমানে সিরিয়ায় আছেন।
এদিকে গতকাল কুলিবালির একটি ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ পায়। এতে তিনি জানান, শার্লি এবদোর কার্যালয়ে হামলাকারী ও তিনি একই গ্রুপে ছিলেন। তাঁদের হামলার প্রভাব আরও জোরালো করার জন্য তাঁরা আলাদা হয়ে যান।
মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ
স্ট্রাসবুর্গ, ফ্রান্স।
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০
এসব চলবে না..... বলেছেন: পাশ্চাত্য দুনিয়া আমাদের মানবতা শেখাতে এসেছে !! হা হা হা
ইরাক, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তানে লক্ষ লক্ষ মুসলমান যখন মরে পড়ে থাকে তখন কোথায় থাকে মানবতা ?
কোথায় থাকে র্যালি? কোথায় থাকে আহা উহু ?
৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫
টয়ম্যান বলেছেন: আহারে ফিলিস্তিনে কত ১৭, কত শত শত শিশু অবোধ জীবন ঝড়ে যায়.. তারা একমত হয়না! হয় অসভ্য কার্টুনিস্টদের জন্য।
ঘৃনা জানাই এইসব বিশ্ব নেতাদের প্রতি
৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১
মাঝিবাড়ি বলেছেন: পুরো একটা লিবিয়া, সারকজির ফ্রান্স কুত্তার বাইচ্ছারা শেষ করে দিলো, কিছু দিন আগেও লিবিয়া ধনী দেশের তালিকায় ছিল, বাংলাদেশীরা কত ডলার যে পাঠিয়েছে তার হিসেব করে শেষ করা যাবেনা। এখন লিবিয়ার মানুষ ভিক্ষা করে, রাস্তায় রাস্তায়, গোত্রে গোত্রে কাটাকাটি, পুরা দেশটাই আজ জ্বলছে এই হারামজাদা ফ্রান্স এর জন্য! হারামিরা পুরা জাতি একসাথে হয়ে অন্যর হুগায় বাঁশ দিতে যায়!! পুরা আফ্রিকারে এই কুত্তার বাইচ্ছারা খাই ফালাইছে!!
৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
এই লেখাটি কি আপনি অন্য কোথায় প্রকাশ করেছেন?
http://www.uttaranbarta.com/site2/?p=53052
বা এখান থেকে কি সংগ্রহ করেছেন?
৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৩৮
নাজনীন সুলতানা মৌরী বলেছেন: you have written well............
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এরা একই রকম একমত উদাসীনতায়, অবহেলায় শোষনে, অত্যাচারে, জুলুমে ...
তাদের ১৭ জনের জন্য কত মায়া!!!
আহারে ফিলিস্তিনে কত ১৭, কত শত শত শিশু অবোধ জীবন ঝড়ে যায়.. তারা একমত হয়না!
কাশ্মীরে কত নারী ইজ্ত আব্রু দেয় তারা একমত হয়না।
মিশরে গণতন্ত্রের জন্য হাজার হাজার জীবন অন্যায় ভাবে নেয়া হয়.. তারা একমত হয়না!
ইরাকে, আলজেরিয়ায়, আফগানিস্তানে, কত শত শত ঘটনায় তারা উদাসীন ভাবে থাকে!
আমরা কবে তাদের মতো একতার শিক্ষা নেব?
আমরা কবে তাদের মতো শুধুই স্ব-জাতির জন্য কাঁদতে শিখব?
আমরা কবে তাদের মতো নিজেদের মাঝে ঐক্যবদ্ধ হতে পারব!!!???