নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাগো মানুষ আজ জাগো, ভেবনা তুমি বাঙালী কি বাংলাদেশী....কেটে যাবে রোদ ভাঙ্গবে আঁধার, আমি দেখব মাগো তোমার মুখের হাসি

বিদেশী বাঙালী

সাতটি মহাদেশ, আরো পাঁচটি মহাসাগরের ভিড়ে, পদ্মা আর মেঘনা, সুরমা-যমুনার তীরে, বঙ্গোপসাগরের ফেনিল প্রান্তরে, আমার জন্মভূমি.........

বিদেশী বাঙালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারানকোর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষি নিয়োগ প্রস্তাব, সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা এবং ব্যালট প্যাপারের কাঠামো পরিবর্তন বিষয়ক কিছু প্রস্তাবনা[

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

তারানকো দুইটি প্রস্তাব বি,এন,পি-কে দিয়েছেন বলে গুজব ছড়িয়েছে। তার প্রথমটি হচ্ছে- জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচন। আর দ্বিতীয়টি রাষ্ট্রপ্রতির অধীনে। ফেসবুকে দেখতে পেলাম বাঙালী 'জনগণ' দেদারসে প্রথমটির সমর্থনে 'লাইক মারছেন। কেউ কেউ আবার লাইক দিয়েই শুধু থেমে নেই, কমেন্টও করছেন!



অথচ এই মহামানবেরা একবারও ভেবে দেখছেন না তারানকো যদি সত্যি সত্যিই এই প্রস্তাব দিয়ে থাকেন তা দেশের জন্যে কতটা অপমানকর আর বিপদজনক। যে দেশের সেনাবাহিনী সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে বেরায়, সেই দেশেই কিনা শান্তিরক্ষিবাহিনী পাঠাতে হবে? গত কয়েক দশকের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি'র ধারাবাহিকতায় পাঁচ বছর পর আবারো একই পরিস্থিতির সৃ্ষ্টি হবে না তার এনশিওরিটি কি দিতে পারবেন জাতিসংঘের এই দূত? এমন হলে কি আবারো জাতিসংঘ বাহিনীকে ডেকে পাঠাতে হবে?...আর নির্বাচনের পর যদি অস্থিতিশীল কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তখনও কি আবারো ঐ বাহিনীর দ্বারস্থ হতে হবে? এভাবে বারবার জাতিসংঘ বাহিনীকে ডেকে আনা এক খাতিরে আত্মহত্যার সামিল বৈ আর কিছু নয়।



আর দ্বিতীয়টিও তো কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।...কারণ,বর্তমানের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির এই দেশে যেনতেন ভাবে নির্বাচন কোন সমাধান হতে পারে না। এর প্রথম কারণ- আমাদের সংবিধান। এর সঠিক সংশোধন ব্যতিরেকে কোনরুপ নির্বাচন হলে দেশের পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে, যেমন করে যাচ্ছে গত কয়েক যুগ ধরে।



বর্তমান সংবিধানের আলোকে পূর্বের কোন নির্বাচনই দেশের মানুষের মতামতকে ঠিক ভাবে প্রতিফলিত করতে পরেনি। এই সুযোগে গত কয়েক দশক ধরে অনেক সুযোগসন্ধানী রাজনীতিবীদ আপামর জনতার উপর চেপে বসে দেশের বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছেন। তাই তো মাছে-ভাতে বাঙালীর জন্য এখন ডাল-ভাতও অমৃতসম।



তাই প্রশ্ন রাখতেই হচ্ছে, আমাদের সংবিধানের কেন এমন একটি নির্বাচন পদ্ধতি রাখা হয়েছে যাতে করে রাজনৈতিক দলগুলো আসনগুলোতে দেশ বা এলাকার উন্নয়নে নীতি-নির্ধারণ কিংবা অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনায় অনভিজ্ঞ কোন প্রার্থীকে দাঁড়া করানোর সুযোগ পায়? আর তারচেয়েও বড় প্রশ্ন হচ্ছে, সংবিধান কেমন হবে কিংবা তাতে কি সংশোধন প্রয়োজন- তাতে মত প্রকাশের সুযোগ কেন আপামর জনসাধারণের হাতের নাগালের বাইরে রাখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বর্তমান সংবিধানে? এতে করে কি কিছু বাজে রাজনীতিবীদদেরকে সুযোগসন্ধানী হয়ে দেশের বারোটা বাজানোর পথ করে দেওয়া হচ্ছে না? কেনই বা আমাদের দেশের মানুষ সরকার প্রেসিডেন্সিয়াল না পার্লামেন্টারিয়ান সিস্টেমে চলবে সেই ব্যাপারে ভোট দেওয়ার সময় কোন মত প্রকাশ করতে পারে না?



দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে আজ। নাহলে দেশ আবারো কোন সর্বনাশের পথে ধাবিত হবে। সোনার বাংলা জ্বলন্তে আগুনে পোড়া কয়লার আঙ্গরে পরিণত হতে খুব একটা বেশি সময় নিবে না আর। কয়েক যুগের ক্রমাগত নৈতিক আর আর্থ-সামজিক অধঃপতনের পথ পরিক্রম করে দেশটা এখন ধংসের চূড়ান্ত সীমায় পৌছে গিয়েছে। গত কয়েক মাসের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এরই বুঝি কোন অদৃশ্য সঙ্কেত পাঠাচ্ছে চারদিকে।



আর থেকে বাঁচার উপায় কি?



প্রথমেই প্রয়োজন আমাদের সংবিধানের নির্বাচনী ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা। আর এর শুরু হতে পারে ভোটারদের নির্বাচনকালীন ব্যালট প্যাপারে আমূল পরিবর্তন। স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশের পরিবেশ করে দিতে ব্যালট পেপারকে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর সাহায্যে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে দেওয়া যেতে পারে-



প্রশ্ন এক: আপনি কোন দলকে সরকার পরিচালনায় যোগ্য মনে করেন?

ক. বি,এন,পি,

খ. আওয়ামী লীগ,

গ. সম্মিলিত ইসলামী দল

ঘ. জাতীয় পার্টি।

ঙ. অন্যান্য



প্রশ্ন দুই: কোন রাজনৈতিক ব্যবস্থা দ্বারা দলটি দেশ শাসন করবে?

ক. কোরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক গণতন্ত্র,

খ. পশ্চিমা গণত্ন্ত্র,

গ. বর্তমানের দেশের সংবিধানভিত্তিক চলমান গণত্ন্ত্র,

ঘ. অন্যান্য



প্রশ্ন তিন: আপনার এলাকার সংসদ সদস্য কে হবেন?

ক. জনাব/বেগম 'দ'

খ. জনাব/ বেগম 'ল'

গ. জনাব/ বেগম



প্রশ্ন চার: দেশের সরকার পরিচালন ব্যবস্থা কি হবে?

ক. প্রেসিডেন্সিয়াল

খ. প্রাই মিনিস্টারিয়াল।



বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচনের ব্যালট প্যাপারটি এইভাবে করলে সাংবিধানিক নির্বাচনী ব্যবস্থার সাংবিধানিক দূর্বলতার কিছুটা হয়তো লাঘব হবে। তবে, অন্ততঃ একটি ভিত্তি পাওয়া যাবে জনগণের মত সঠিক ভাবে প্রতিষ্ঠা করার। এই ব্যালট প্যাপারের মাধ্যমে নির্বাচনে পাশ করে বেরিয়া আসা দল এবং সংসদ সদস্যরাই কিন্তু পরবর্তীতে সংবিধান পরিবর্তন, পরিবর্ধনের মত বাকি কঠিন কাজগুলো সমাধান করতে পারবেন।



কিন্তু, যে প্রশ্নটি থেকে যাচ্ছে, নির্বাচন কমিটিকে এই সুযোগটা দেওয়া হবে কি?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৪

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: হাসিনা জয়ী হয়েছে এ রাউন্ডে; আপনার প্রস্তাবগুলো আগামীবারের জন্য রাখুন।

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৫

কেএসরথি বলেছেন: আজকের কুইজ:

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষি নিয়োগ করা হলে, জাতিসংঘের টুপি মাথায় দিয়ে কোন দেশের সেনাবাহিনী সবচেয়ে দ্রুত বাংলাদেশে যোগ দিতে পারবে - কে কে বলতে পারবেন??


;)

;)

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৭

দখিনা বাতাস বলেছেন: যতযাই বলেন কিছু হবেনা। আওয়ামীলীগ এইবার মরন কামড় দিবো জামাতরে। হাসিনার কথা হইলো এমনেই গ্রেনেড দিয়া মাইরা ফালাইতে চায়, কাজেই এইবার মাইরা মরমু। কোন ছাড় নাই। নির্বাচনে হয় হাসিনা আবার আইবো নয়তো সেনাবাহিনী।

বিএনপির কথা হইলো যেমনে পারো আমরে খমতা দেও।

জামাতের কথা হইলো, সেনাবাহিনীও মানিনা। সেনাবাহিনী আইলে ফাসী হয়তো হইবোনা কিন্তু মুক্তিও পাইবো না রাজাকারগুলা। বিএনপির আসতে হইবো, বিএনপিরে আনার জন্য যা করার করমু। বিএনপিরে আনার পরে একটাই কাজ,এই ট্রাইবুনালরে দিয়া তারা বিচার চালাইবো-- সব জামায়াত নেতারে এই ট্রাইবুনাল দিয়াই নির্দোষ হিসাবে খালাস কইরা বাকি সারাজীবনের জন্য জামাতরে রাজাকারের তালিকা থেকে খালাস করবো।

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২০

HHH বলেছেন: প্রশ্নগুলোর জবাব দিন
আর কি অবস্থা হলে আপনার মনে হত যে এখন জাতিসংঘকে ডেকে আনা যায়?

যখন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ভিক্ষার টাকা চুরি করে আমাদের মন্ত্রী ধরা পরে প্রজেক্ট বাতিল হয়ে যায় তখন অপমানবোধ কোথায় থাকে? সীমান্তে কাঁটাতারে লাশ ঝুললে কি মান ইজ্জত বাড়ে?

সংবিধান কি আসমানী কিতাব যে পরিবর্তন করা যাবে না? দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে নিরপেক্ষ নির্বাচনী সরকার সংবিধানে থাকা উচিৎ। দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন না ঘটলে সংবিধান দিয়া কি টয়লেটে পেপারের কাজ করবো?

জাতিসংঘের উচিৎ আগামী ৪ টা নির্বাচন তাদের তত্ত্বাবধানে করে দেওয়া। যাতে কেউ কোন রকম চুরি করার সুযোগ না পায়।

৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৩

দখিনা বাতাস বলেছেন: এখন বিএনপিরে আনতে হইলো হরতাল অবরোধ চালাও,মানুষ সরকারের উপর চেতবো। নির্বাচনে বিএনপি আসবো, এরপরে দিবো জামাত তার আসল খেলা। আগে এই ট্রাইবুনাল দিয়া নেতাগোর খালাস, এরপরে আওয়ামীলীগ নির্মুলকরন অভিযান। দিনের পর দিন হরতাল অবরোধ দিয়া তারা তাগো প্রাথমিক কাজ সাইরা ফালাইছে। ভেজাল কইরা ফালাইতাছে সরকার, একটারে মনে হয় ফাসি দিয়া দিবো। এরপরে কোনমতে ৩মাস টাইম পাইলে সাইদি। সাইদিরে ফাসি দিয়া দিলে জামাতের আর মনোবল থাকবোনা। খেলায় আওয়ামীলিগ জিতবো। হরতাল অবরোধ দিয়া মানুষরে চেতাইয়া এখন পর্যন্ত জামাত খেলায় আগাইয়া আছে। যেকোন সময় কাদের মোল্লারে ঝুলাইয়া দিলে আওয়ামীলীগ আবার আগাইয়া যাইবো

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১০

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: খালেদার অবরোধ, উপরোধ, হরতাল, মরতাল শেষ হয়ে যাবে এ সপ্তাহে।

৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৮

বেলা শেষে বলেছেন: Election under India or Uno.......

but Bangladesh will under India

Dr.Dr.Dr.Dr.....HASINA.

৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২২

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: বাংলাদেশের স্বাধীনতা - সার্বভৌমত্ব হরনের ষড়যণ্ত্র চলছে। সকলেই সাবধান হোন । দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.