নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শীতকাল!

জীবনটা আসলেই বিচিত্র। অঞ্চলভেদে এই বিচিত্র বিচিত্রতা আমাকে হতবিহ্বল করেছে....

পেইচিং

পেইচিং › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেনা চীন অচেনা চীন: কুত্তা পর্ব

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৭



আমার আরেক বান্ধবী ডোরিস। ওয়াং চিয়া নিং আর ডোরিস প্রায় সময় চিড়িয়াখানায় পার্টটাইম জব করে। আমি চিন্তা করে পাই না এত সুন্দরী মেয়েগুলো কেন কুত্তা-বিলাই আর বান্দরের প্রতি আতো আগ্রহী!! ওয়াং চিয়া নিং দেখতে ডোরিসের চেয়েও মিষ্টি :)

ওয়াং শিয়াও হো, ওয়াং শিয়াও ফি, ওয়াং শিয়াও থোং...

তিনটা নাম, একটা আমার বান্ধবী। দুইটা মেয়ে, একটা ছেলে। একটা মানুষ, দুইটা কুত্তা।

কুত্তা দুইটার একটা মেয়ের সাথে ঘুমায়, একটা মায়ের সাথে।



বিদেশি মেমদের কুত্তার প্রতি ভালোবাসা নতুন কিছু নয়। কুত্তার সাথে নাকি তারা সে**ও করে!!



ফরেন্ট স্টুডেন্টস এপার্টমেন্ট

আমার বান্ধবী প্রায় সময় তার হোমটাউনের কুত্তার গল্প করে। আজকে আবার। জিজ্ঞেস করলাম, কুত্তা তো নোংরা প্রাণী, কেমনে তুমি তার সাথে ঘুমাও?

উত্তর দিল, তার মা সবসময় কুত্তাকে গোসল করায়। পরিবারের সবাই (মা-বাবা আর সে) যা খায় কুত্তাও তা ই খায়। তাই নোংরা বলতে কিছু নেই!



ফরেন স্টুডেন্টস এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স থেকে টিচিং বিল্ডিংয়ে যাওয়ার অনেক রাস্তা আছে। কৌতুহল বশত: প্রায় সময় আমি ৩এ আর ২বি স্টুডেন্টস ডরমিটরির মাঝখান দিয়ে যাই :P দুইটাই গার্লস ডরম কি না!!



বাসার পাশের রেস্টুরেন্ট। ক্যাম্পাসে এরকম রেস্টুরেন্ট আছে ৫ টা, ছোটও আছে!



রাস্তার পাশে প্রায়সময় একটা কুত্তা দেখতাম। আর সবসময় কোন না কোন মেয়ে কুত্তাটাকে আদর করত, তার সাথে ছবি তুলত। কুত্তার ভিডিও করত।



এরপর দেখি কে যেন একটা বক্স পেতে দিয়েছে রাস্তার পাশে, বক্সটাকে মুড়ে দিয়েছে মোটা কাপড় দিয়ে, ভেতরে তোষক ......... বক্সের মুখে পর্দা...... আসলে কুত্তাটা ছিল গর্ভবতী।



কুত্তার বাসার সামনে ডাম্পলিং, ব্রেড, নুডল..... নানা বাহারি খাবার। কুত্তা খেতে পারে কি পারে না তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই। পোলাপান দিয়ে যায়। অবশেষে সাদা-বাদামি রংয়ের কুত্তাটা একটা সুন্দর কালো বাচ্চা দিল। কুত্তার বাসার পাশে গাছের ডালে কেউ একটা নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে 'কেউ কুত্তার বাচ্চাটা চুরি করবেন না'।



এরপর একদিন দেখি পুতুলের মতো একটা মেয়ে কুত্তার বাচ্চাকে কোলে নিয়ে হাটছে। কাপড় দিয়ে জড়ানো, ঠিক যেমন মেয়েরা তাদের শিশু সন্তানকে কোলে আগলে রাখে!!



পরের দিন কুত্তার বাসার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমার বন্ধবী বলতেছে, কি ব্যাপার! কুত্তার বাচ্চা কই?

আমি বললাম, কাল দেখেছি এক মেয়ে ওটাকে আদর করতে নিয়ে গেছে.....। ও'র তো খুব মন খারাপ!!

এর পর কয়েকদিন কুত্তাটা সেখানে ছিল না......। পরিচ্ছন্নকর্মীরা বক্সটাও সরিয়ে নিয়েছিল।



আজকে আবার বান্ধবীসহ যাচ্ছি ওই পথে! রাস্তার একটু দূরে মাঠের ভিতরে আবার কুত্তার বাসা। ফিরে এসেছে.....।



আমার রুম নাম্বার!



চীনের প্রায় সব স্টুডেন্ট ডর্মে প্রাণী লালন-পালন নিষেধ। কিন্তু কিছু কিছু এলাকায় অনুমতি আছে। আর আমার বান্ধবী এখন রিসার্চ করছে, স্টুডেন্ট ডর্মে প্রাণী(কুত্তা) রাখার সুবিধা-অসুবিধা কি কি? এটাকে তার গবেষণার বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছে!!



চায়না ইউনিকমের ১৬মেগাবাইট পার সেকেন্ড স্পিডের ইন্টারনেট ব্যবহার করছি :)

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬

েবনিটগ বলেছেন: hmmm

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কুত্তা হইলে তো ওদের সবই হয়!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

পেইচিং বলেছেন: মন লাগে না যদি কাজে, এসো আমার খোজে......

আমার খোজে কেউ আসে না, সবাই কুত্তা নিয়া ব্যস্ত :-(

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

তামিম ইবনে আমান বলেছেন: সবকিছুই তো ঠিক আছে। মাগার ইন্টারনেট স্পিডটা কইয়াই তো কইলজায় আগুন ধরায়া দিলেন :((

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

পেইচিং বলেছেন: আর যা-ই হোক, এই একটা জিনিস নিয়া চিন্তা করতে হয় না :-)

দু:খ কইরেন না, আমরা হইলাম পাগলের জাতি। পাগল।
এইখানে ৪জি চলে। কোন পোলাপানরে ইন্টারেস্টেড দেখলাম না। সবাই ২ জি ইউজ করে। জাস্ট কল, কিউকিউ চ্যাট, উইশিন। এনাফ।

আর আমরা ৩জি, ৩.৫জি, ৩.৯জি..... নিয়া ব্যস্ত। ছাগলামি আর কাকে বলে!! মোবাইল কোম্পানিগুলা পাইছে বলদ জাতি একটা, টাকা কামায়া নিল।

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: তাহলে ওরা কুত্তা খায় কখন?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

পেইচিং বলেছেন: এইটা একটা বড় প্রশ্ন।

তবে কুত্তা যে খুব বেশি খায় তা মনে হয় না। কোরিয়ানরা কু্ত্তা খায় বেশি। দক্ষিণ চীনেও খায়, উত্তর চীনে কম।

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪

কামাল উদ্দিন ফারুকী জুয়েল বলেছেন: আপনের বান্ধবীর কোলে বান্দরের বাচ্চা, আর গল্প কইলেন কুত্তার বাচ্চার!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৬

পেইচিং বলেছেন: ভাই, প্রথম লাইনটাই তো পড়লেন না!!

এইটা আমার আরেক বান্ধবী। সে মাঝে মাঝে চিড়িয়াখানায় পার্ট টাইম চাকরি করে।

আর কুত্তা নিয়ে যার গল্প বলেছি তার নাম উপরে দেওয়া আছে, দুই কুত্তার নামের সাথে। ...........ওয়াং শিয়াও হো, ওয়াং শিয়াও ফি, ওয়াং শিয়াও থোং...
তিনটা নাম, একটা আমার বান্ধবী। দুইটা মেয়ে, একটা ছেলে। একটা মানুষ, দুইটা কুত্তা।...........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.