নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবকিছুই একটু আলাদা চোখে দ্যাখা।

পুরাই পাগল একটা মানুষ.. :-P

ব্যাকুল পথিক

পুরাই পাগল একটা মানুষ.. :-P

ব্যাকুল পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ নিজ স্বার্থের জন্য, এ জীবন মরার জন্যে।

২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আমি কিন্তু আজ পাথর হয়ে গেছি, কারন বাংলার ১৬ কোটি মানুষ যখন পাথর হতে পেরেছে তখন আমি কেন পারব না?

চোখের সামনে মানুষ খুন হতে দেখেও আজ আমাদের কোন অনুভূতি জাগে না। নিশ্চুপ বসে থাকতে পারি। আল্লাহ্‌ আমাদের কথা বলার শক্তি না দিলেও পারত মনে হয়, কারন আমরা তো তার কোন ব্যাবহার করছিনা।

হাজার হাজার মানুষ খুন হচ্ছে চোখের সামনে, তাতে আমাদের কি? নিজে তো ভাল আছি। শুধু শুধু ঝামেলায় জড়িয়ে লাভ কি।

এই তো আজকেই একটা লোককে গুলি করা হল, তারপর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হল তাকে, তাতে কার কি এসে যায়?

কিন্তু ভাই আমি তো এইসব দেখে নিজেকে সামলে নিয়েছি, আমার এ মনটা কিছুতেই মানতে পারছে না এই ঘটনা।

ভাইরে মরতে কয় দিন।

এক সেকেন্ডও লাগে না।

কিন্তু এভাবে তো মরার আগে মরতে চাই না।



নিজে অধিকাপুড়িয়্পুড়িয়্



ভাইরে উপরের লাইনে কিছু লিখতে চাইছিলাম কিন্তু লেখার ভাষা খুঁজে পাইনি, তাই কি লেখছি বলতে পারি না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:২৫

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: "ছবি না হলে আমাদের অনুভূতির তারে সুর বাজে না। ফেনীতে ছুরি গুলি আগুন দিয়ে হত্যা করা আওয়ামী নেতার লাশ এখন ছবিতে পুড়ে যাওয়া চিকেন ফ্রাই এর মতো দেখাচ্ছে, ছবিটা দেখে সবাই বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছে। এইবার পাওয়া গেছে সরকারকে। তার লাশের ছবি যদি না থাকতো, একটা মানুষও এ নিয়ে কিছু বলতো না। ছোট করে একটা খবর হতো, সবাই অন্য ইস্যুতে ব্যস্ত থাকতো। কোথাকার ফেনীর কোন নেতা মরেছে তাতে কি আসে যায়!
বিশ্বজিৎ কেও এদিক থেকে ভাগ্যবান বলা চলে। যাদের হত্যার প্রতিবাদ হয় না, তাদের জন্য করুণা অনুভব করছি। বেচারাদের মৃত্যুর সময় কোন ক্যামেরাম্যান থাকে না। নিদেনপক্ষে ছবি তোলার মোবাইল। কয়দিন আগে লঞ্চটা ডুবে যাওয়ার পর আড়াইশো মানুষ হারিয়ে গেলো। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি যদি কয়েকটা আন্ডারওয়াটার ক্যামেরা রাখতো ওখানে! তারপর আমরা ছবি আর ভিডিও দেখতাম, শেষ নিশ্বাসটুকু আর নিতে না পেরে কিভাবে খাবি খাচ্ছে মানুষ। তখন আমরা সরকারের অনিয়মের বিরুদ্ধে, নৌ সেক্টরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে যেতাম।
সাতক্ষীরায় যখন যৌথবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ করলো তখনও ওখানে যদি কিছু ক্যামেরা থাকতো। দেখতাম কিভাবে ক্লোজ রেঞ্জে অসহায় মানুষকে পাখির মতো মারা হচ্ছে। কোন ছবিতে ফোকাস করা হতো কান্নারত মায়ের মুখ, অথবা বাচ্চার চোখ। অথবা র‍্যাবের হাতে মানুষজন গুম হওয়ার সময় ক্যামেরা থাকার দরকার ছিলো। আমরা ছবিতে দেখতাম কিভাবে র‍্যাবের দক্ষ লোকজন মানুষের শরীরকে প্যাকেট করে। তারপর পাথর বেঁধে আলগোছে ছেড়ে দেয়। অথবা কিভাবে মানুষজনকে ধরে নিয়ে দাড় করিয়ে পুলিশ গুলি করে। অথবা কিভাবে রিমান্ডে নিয়ে নখ তুলে ফেলে, পানিতে চুবায়, বিদ্যুতের শক দেয়, ধর্ষণ করে।
এসব কিছুর ছবি থাকলে বাংলাদেশীরা আরো বিক্ষুদ্ধ হতো। আরো শেয়ার হতো, লাইক হতো। তারপর সরকার পতন হয়ে যেতো।
বিরোধী দল একটা কাজ করতে পারে। তারা সারাদেশে হাজার হাজার ড্রোনে করে লাখ লাখ গোপন ক্যামেরা ছড়িয়ে দিতে পারে। তারপর আর বেশি দেরি হবে না, সরকার পতন হয়ে যাবে। ছবিনির্ভর মানবিকতা এবং বিচার-বিবেচনার জয়জয়কার।" ---- আমান আব্দুল্লাহ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.