নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাত্র চাই পাত্রী চাই.....

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৩৭



ব্লগার নূর আলম হিরণ বিয়ে করেছেন বলে ব্লগে পোস্ট করেছেন। শুভকামনা নূর আলম হিরণ। সেই সাথে উনি এও জানিয়েছেন যে একই দিনে তিনি আরেকটি মেয়েকে দেখতে গিয়েছিলেন যদিও সেখানে উনার বিয়ে করার কোন সম্ভাবনা ছিল না।

এদিকে আমাদের রাজিব নূর ভাই ও জানিয়েছেন যে উনার ছোট কাকার জন্য কনে দেখতে যেয়ে দিব্যি ভুড়ি ভোজ করে এসেছেন বিয়ের সম্ভাবনা না থাকা স্বত্বেও। যাহোক, দু'টি ঘটনা পরপর আসাতে আমার নিজেরও পাত্রী দেখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার লোভ হলো।

ঘটনাটা শশুড় বাড়ির এক আত্বীয়ার মেয়ের। আমার জীবনে এ ধরনের মেয়ে দেখানোর অভিজ্ঞতা এই প্রথম। যা বলছিলাম, মেয়েটি রুপে গুনে শিক্ষায় যথেস্ট ভালো। অবশ্য পাত্রপক্ষকেও ফেলনা নয়। বিআইটি থেকে পাশ করে এলজিআরডিতে জব করছিল। আর ছেলের বাড়ি থেকে নিজেদেরকে বিশাল শিক্ষিত ও উচ্চ পদস্থ বলে দাবী করে আসছিল। যাহোক সেবার ঈদে শশুড় বাড়ি যাবার কারনে আমার ডাক পড়লো মেয়েকে সাজগোজ থেকে সবকিছু দেখাশোনা করার।

সকাল থেকেই ছুটোছুটি হুলুস্থুল অবস্থা। অন্তত ১০ রকমের পিঠাই শুধু তৈরী করেছিল তারা। আর ডিনারের আয়োজনে হেন কিছু নাই মেয়েপক্ষ করে নাই। গরু মুরগী খাসিই শুধু না গলদা চিংড়িই ভুনা করেছিল প্রায় ৪ কেজি। সাথে কম করে ১৫/২০ ধরনের আইটেম। যদিও পাত্রপক্ষ বলেছিল ৬/৭ জন আসবে। কিন্তু তারপরও প্রায় ২৫/৩০ জনের আয়োজন করেছিল তারা।

যাহোক সন্ধ্যা ৭ টায় আসার কথা ছিল। এবং তার একটু আগে ফোনে পাত্রপক্ষ জানালো যে তারা অল্প কিছু সংক্ষক লোক বেশী আসবে। আমরা ওকে বলে কাজে মন দিলাম। কিন্তু রাত সাড়ে আটটায় যখন আসলো তখন তো আমাদের ভিমড়ি খাবার অবস্থা। কম করে ৩০/৩৫ জন আন্ডা বাচ্চা গুড়া বুড়া নিয়া হাজির। তাদের চেঁচামেচি হৈচৈ এ বাড়ি কঠিন গমগম অবস্থা।

যথা সময়ে মেয়েকে সাজিয়ে গুজিয়ে রেডি করে নিয়ে গেলাম ড্রয়িংরুমে। ১৫/২০ জন্য আত্বীয় মুরুব্বী বসেছিল চারপাশে ছেলে সহ। সাথে আবার ছেলের ৩/৪ জন বন্ধুও এসেছিল। মেয়েটাকে কোন রকমে বসাতে না বসাতেই শুরু করলো সবাই মিলে ইন্টারভিউ। কি করে, কোথায় পড়ে, কোন ইয়ারে, নামাজ পড়ে কিনা, ইংরেজী জানে কিনা, আরবী জানে কিনা, কোরআন পারে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। মেয়েটিও অতি ধীরে ধীরে সব প্রশ্নে উত্তর দিয়ে যাচ্ছিল ধৈর্যের সাথে। কিন্তু সমস্যা হলো আমার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছিল।

এভাবে ৩০ মিনিট ইন্টারভিউ দেবার পর একজন মুরুব্বি বলে উঠলো মা, একটু হাটোতো। মেয়েটি উঠে একটু হেটে এসে বসলো। কিন্তু ততক্ষনে আমার মাথার বারুদ মোটামুটি আপ এ। মেয়েটি বসা মাত্রই ছেলের একটা বন্ধু বলে উঠলো, "দেখি আপনার চুল দেখানতো। শুনেছি আপনার চুল অনেক লম্বা।" বলা বাহুল্য মেয়েটির চুল ছিল হাটুর সমান লম্বা। আর তখনই শাশুড়ি শ্রেনীর একজন উঠে যেয়ে মেয়েটির মাথার ঘোমটা টেনে খুলে দিল। কিন্তু ততক্ষনে আমার মাথায় মোটামুটি বারুদ জ্বেলে উঠলো। আমি ঠাস করে ভদ্রমহিলার হাত চেপে ধরলাম সাটআপ বলে। এবং রাগে ঠেলায় মুখ দিয়ে ইংরেজীই আসছিল। কিছুতেই বাংলা শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না সেই সময়। তারপর মেয়েটিকে টানতে টানতে ভীতরে নিয়ে গেলাম।

মহিলা যেমন ভ্যাবাচ্যাকা খেলো তেমনি উপস্থিত সবাই ও ভ্যাবাচ্যাকা খেল। সাথে আমিও ভ্যাবাচ্যাকা খেলাম এই ভেবে যে এইটা কি করলাম। মেয়েও আমার না, ছেলেও আমার না কিন্তু মাঝখান থেকে আমার জন্য পুরো অনুষ্ঠান পন্ড হলো। যাহোক, বিয়েটা সেখানে হয়নি ঠিকই তবে আমার আত্বীয়ও আর ভুলেও আমাকে কখনই ডাকে নাই। এমন কি তার মেয়ের বিয়েতেও না।

তাই হিরণ সাহেবদের মতো যারা কনে দেখতে যাবেন তাদেরকে আরো সাবধান হতে হবে যেন আমার মতো উটকো কেউ না থাকে সেই মজলিশে।

সবাই ভালো থাকেন আর বেশী করে কনে দেখে ভুড়িভোজ করে বেড়ান :P :P :P

ছবি: গুগুলমামা

উৎসর্গ: সকল অবিবাহিত ব্লগার।

মন্তব্য ১৩৪ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (১৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আমি কখনোই পাত্রী দেখতে যাই নি। গত দুদিনে পাত্রী দেখার যে অভিজ্ঞতার বয়ানগুলো শুনছি তাতে ভয় লাগছে এখন। আপনি ভালো কাজ করেছেন।চুল দেখতে চাওয়া,হেঁটে দেখাতে বলা অত্যন্ত নিচু মনের পরিচয়,যেন মেয়ে না, কুরবানির গরু পছন্দ করতে এসেছে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৯

সোহানী বলেছেন: আপনি পাত্রী দেখতে যাবার নাম করে ভুড়ি ভোজের সুযোগ হারালেন বলে আপনার জন্য দু:খিত....।

আমি যা বলেছি তা খুবই সাধারন বিষয় ছেলে পক্ষের জন্য। কিন্তু একটি মেয়ে বা তার আত্বীয় স্বজনের প্রতিক্রিয়া কি হয় তা কেউই জানে না। সে বিষয়ে আবার আসবো।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: উপভোগ করার মতো বিষয়।
এখন অবশ্য কিছুটা পরিবর্তন এসেছে।দেখাদেখির ব্যপারটা কায়দা করে বাইরেই সেরে নেয়।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২০

সোহানী বলেছেন: বাইরে সারুক কিন্তু ঘরে গরুর হাটের মতো দেখে বেড়ানো খুবই অপমানকর।

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৩

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আপনার কয় ছেলে মেয়ে?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২১

সোহানী বলেছেন: আমার এক ছেলে এক মেয়ে। এখন বলেন আপনি পাত্র পক্ষ নাকি পাত্রী পক্ষ =p~

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৩

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: পাত্রী দেখার সুন্দর তবে মজার বিষয় আছে তেমনী লজ্জার বিষয় আছে

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২২

সোহানী বলেছেন: পাত্রী দেখা সুন্দর আর মজার বিষয়???????????

৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৪

রামিসা রোজা বলেছেন:

প্রথমত বলবো কাজটি সঠিক করেছেন ।
বরপক্ষ যদি এভাবে কোন পাত্রী কে দেখে তাহলে পাত্রী
পক্ষের উচিত বরের বাড়ি গিয়ে বরকে একটু ঠিক এভাবেই
হেনস্থা করা । কিন্তু আমাদের বাঙালি সমাজে সেটা সম্ভব
না।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৩

সোহানী বলেছেন: ভাইরে দেশে পাত্রী মানে কোরবানীর গরু। সবাই টিপেটুপে দেখবে। যে কিনবে সেও দেখবে আবার যে না কিনবে সেও দেখবে।

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৮

ইসিয়াক বলেছেন:



গীতি কবিতা-৮
***************
আওলাইয়া মন তুমি বাউলা বানাইয়া দিলা।
যুগলবন্দী কইরা বন্ধু তুমি বানাইলা রঙ্গিলা।
রঙ্গিলা রঙ্গিলা মন হইলো রঙ্গিলা।
বুকের মধ্যে কুহু কুহু ডাকে কোকিলা।
কি খেলা খেলিলা বন্ধু রইতে না ঘরে।
এতো মায়া লাগাইলা বলো, কেন গো অন্তরে।
বন্ধু কি যাদু করিলা রে কি যাদু করিলা।
মন করে উড়ু উড়ু ভূষণ আউলা ঝাউলা।
কাননে ফুটিলো রসিয়া বন্ধু হাজারো কুসুম।
তোমা বিনে বুকে জ্বালা চোক্ষে নাই ঘুম।
কি যাদু করিলারে বন্ধু আসে না কেন ঘুম।
বিরহ যাতনা প্রতি পল রাত নিঝুম।
আওলাইয়া মন তুমি বাউলা বানাইয়া দিলা।
যুগলবন্দী কইরা বন্ধু তুমি বানাইলা রঙ্গিলা।
রঙ্গিলা রঙ্গিলা মন হইলো রঙ্গিলা।
বুকের মধ্যে কুহু কুহু ডাকে কোকিলা।
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক



এই গানটায় সুর দেন আমার লেখা। আপনি পারবেন।গানটা সুরে বসান।পারি না পারি না বলে এড়িয়ে যাবেন না কিন্তু।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৪

সোহানী বলেছেন: মাথা খারাপ, আমার না আছে সুর না আছে ছন্দ!!!!!! মাপ কইরা দেন অপূর্ব কুমার ভাই।

৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৭

শাহ আজিজ বলেছেন: এরকম আমার ভাতিজিকে দেখছিল পাত্র পক্ষের মহিলা আত্মীয়রা । তারা চুল , মুখ , কান দেখল যত্ন করে । এবার পা দেখবে , তারা কাপড় উচু করতেই আমি দূর থেকেই খ্যাপাটে স্বরে বললাম আমাদের মেয়ে কোরবানির পশু না । তারা তাড়া খেয়ে স্তম্ভিত । যুবক আমি তখন , এবার তারা ক্ষমা চাইতে লাগলো । আমার বিরুদ্ধে কেউ গেল না আত্মীয়রা । ব্যাস ওই শেষ । পরে মেয়ের বিয়ে হয়েছে অন্যত্র । কেন তারা এমন করেছিল জানা নেই কিন্তু সামাজিক এবং ধর্মীয় দিক দিয়ে এটা খুবই অন্যায় একটা মেয়ের শরীর চেক করে বিয়ে দেওয়া । পাত্র ল্যাংড়া কিনা তা কিন্তু কেউ দেখে না ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৬

সোহানী বলেছেন: আজিজ ভাই, আমাদের দেশে এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ঘটনা। এটাকে কেউই তেমন কিছু মনে করে না। মেয়ের দাঁত দেখা, হাত পা দেখা, চুল দেখা..................। এটা যে একটা মেয়ের জন্য কতটা অপমানকর তা মেয়েরাও বুঝে না থাকতো ছেলেরা।

৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২০

এম এ হানিফ বলেছেন: পাত্রী দেখার সৌভাগ্য হয় নাই।




কেউ সাথে নিতে চাইলে যেতে পারি। অন্তত একটা অভিজ্ঞতা দরকার।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৭

সোহানী বলেছেন: এইটা কোন কথা হইলো!!! পাড়ায় অবিবাহিত মেয়ে কয়টা আছে খোঁজ লাগান. তারপর হাজিরা দেন...........

৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৯

জুন বলেছেন: একমত সোহানী। কাল দুটো পোস্ট পড়ে এমনই কিছু বলতে চাইছিলাম। উভয়েই আগে থেকে একজনকে পছন্দ করে রেখেছিল। পরে তারা সেই মেয়েকেই বিয়ে করে। তবে প্রথমেই কেন সেই মেয়েকে বিয়ে করতে চাই বলে বাবা মাকে রাজী করালো না? আর বাবা মা যদি ছেলেদের পছন্দের বিরুদ্ধে এতই এডামেন্ট থাকে তাহলে তারা কেন দ্বিতীয় বারেই সেই মেয়ের সাথে বিয়ে দিতে রাজী হলো! আর একটি মেয়েকে বাতিল করা তার ও তার পরিবারের জন্য কতখানি কষ্টের সেটা নিজেরা মেয়ের বাবা হলে বোঝা যায়। আর কিছু খাইনি এটা কোন অজুহাত হলো না তারাতো গুচ্ছের পয়সা খরচ করে এই দুর্দিনে আয়োজন করেছিল। সত্যি গতকাল থেকে আমি মেয়েদুটোর কথা অনেক ভেবেছি। বিনা কারনে সমাজে তারা হেয় হলো। হয়তো এলাকাবাসী বলছে জানিস অমুককে কাল বরপক্ষ দেখে বাতিল কতেছে

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৩

সোহানী বলেছেন: হাঁ সত্য আপু, লিখা দু'টো পড়ে আপনার মতাে এই একই কথাই আমার মনে হয়েছে। তাহলে এই মেয়েগুলোকে কেন দেখতে গেল।? দেখতে গেল কারন তারা তো মানুষ না মেয়ে মানুষ ;) (আমার বিখ্যাত ডায়ালগ)।

আসলে এই মেয়ে আর মেয়ের বাবা মায়ের শুধু আর্থিক কষ্টতো বটে মানসিক যে কষ্ট হয় তা বোঝার মতো মানসিকতা আমাদের ছেলেদের নেই। এমন কি ছেলেপক্ষের মা বোন বা মেয়ে আত্বীয় স্বজনেরও নেই।

১০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩০

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আমার পাত্রি দেখার কোনো অভিজ্গতা নাই।
১বার দেখতে মুন্চায় (হোক সে পাত্র অথবা পাত্রী)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৩

সোহানী বলেছেন: ওকে.. গুড!

১১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩১

ইসিয়াক বলেছেন: স্যরি আপু ,
আমি রাজীব নূরের পোস্টে কমেন্ট করতে গিয়ে আপনার পোস্টে কমেন্ট করা হয়ে গেছে ।

কিছু মনে করবেন না প্লিজ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

সোহানী বলেছেন: বুঝলাম। কিছু মনে করি নাই। ইংলিশ গান হলে ছেলেরে বলতাম। ও তার স্কুলের অনেকগুলো প্রোগ্রামের মিউজিক কম্পোজের দায়িত্বে ছিল। বাংলা গান নাকি কঠিন লাগে।

১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেশীরভাগ বাংগালীরা নারীদের সাইকোলোজী বুঝে না; একটা মেয়ে দেখার আগে অনেকগুলো নিয়মকানুন অনুসরণ করা উচিত, যাতে মেয়েটা মানসিকভাবে কষ্টের শিকার না হয়।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৭

সোহানী বলেছেন: আমাদের দেশের পাত্রপক্ষ মোটামুটি মেয়েদেরকে জড় পদার্থ ভাবে। তাই এ নিয়ে তাদের মাঝে কোন অনুশোচনা নেই।

১৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপু আমাদের দেশে ছেলেরা লোভি আর বেমানান তাই এরকম টা হয়। সাথে ছেলের বাড়ির মা ভাবি বোনরা কম যায় না। যেখানে বিয়ে করবেনা সেখানে না যাওয়াটাই উত্তম। কিন্তু তারা খাওয়ার জন্য কুত্তার মতো দৌড় মারে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৯

সোহানী বলেছেন: আপনি কই ছিলেন? অনেকদিন দেখি না।

আমাদের দেশে পাত্র হলো সোনার আংটি। তাই তা যেমনই হোক সেটাই মূল্যবান। এই কথাটা কোন এক আত্বীয়ার মুখে শুনেছিলাম। তাই এমন মূল্যবান সম্পত্তি নিয়ে মা বোনরা ভাবে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।

১৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম আপু ঠিকই বলেছেন। তবে আমি মনে করি সোনার আংটি না ছাইয়ের আংটি। এর থেকে ছাইও কাজে আসে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮

সোহানী বলেছেন: আপুরে এভাবে বললেতো জেনারাইলজড্ করা হয়। সবাই এক রকম নয় কিছুতেই। বা সবাইকে একই পাল্লায় মাপাও ঠিক নয়। ভালো মন্দ নিয়েই আমাদের জীবন।

১৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এগুলো কিছুটা শিথিল হয়েছে।

আসের মত আর জুতা সেলাই থেকে চন্ডিপাঠ সব দেখেনা মোটামুটি তথ্য জেনে নেয়।

দারুন অভিজ্ঞা শেয়ার।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

সোহানী বলেছেন: তারপরওতো ভুড়িভোজ হয়, সেটাই বড় কথা। কন্যার বাপের পকেট আর কন্যাকে মানসিক যন্ত্রনার স্বীকার হতে হয়।

১৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৫

রাােসল বলেছেন: Thanks for your sharing. Yes, we should change. I think much people feel this matter but not being changed. Thanks again for choosing universal subject but not to choose monument or statue.

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

সোহানী বলেছেন: মনুমেন্ট বা ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলতে আমার একরাশ দু:খ হয়। যে সমাজ ভাস্কর্য বোঝে না তাদেরকে নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছে করে না। কারন তাদের মানসিকতা আর আমার মানসিকতার সাথে এক আকাশ ফারাক।

১৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসলেই এই বউ দেখা রীতিটা আমারও পছন্দ না। আল্লাহ বাঁচাইছে তাসীনের বাপ ইতা কুস্তা দেখে নাই হাহাহা :)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩

সোহানী বলেছেন: তাবইলে তাসীনের বাপ কেমনে সুন্দরী ছবিরে পাইলো ইতা কইয়া ফালান... :) :)

১৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আপনার অর্জিত অভিজ্ঞতাই আমাদের সমাজের বাস্তবতা।

পাত্র-পাত্রী দেখার অভিজ্ঞতা সারাদেশে এরকমই।আর ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রীর পরিবার থেকে তাদের আত্মীয় এবং বন্ধুদের ভূমিকাই বেশী চোখে পড়ে এবং তাদের দ্বারাই বেশীরভাগ ঘটনা-দূর্ঘটনা ঘটে এমনকি বিয়ে ভাংগার মত ঘটনাও।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪

সোহানী বলেছেন: সত্য। তারচেয়েও বড় এরা বোঝেই না যে কতটা মানসিক পীড়া দেয় ওই পরিবারগুলোকে।

১৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার লেখা বড় ডেঞ্জারাস ! নিজের জ্ঞান বিজ্ঞান যে কত কম তা ঠাস ঠাস করে দেখিয়ে দেয় আপনার লেখাগুলো । সবাই কত জানে আর আমি কত জানি সেই চিন্তাটাই বড় হয়ে যায় আপনার লেখা পড়তে পড়তে । শেষ "..ফুটুক দেখি" লেখাতেও বোটানিক্যাল নলেজের অভাবটা বুঝতে পারছিলাম আর এই লেখা পড়ে বোঝাই গেলো বাঙ্গালীর আবহমান কালের কিছু স্বাভাবিক জ্ঞান বিজ্ঞানহীন (পাত্র দেখা বিদ্যা/বিজ্ঞান) অকাট মূর্খ আমি । একমাসের মধ্যে নতুন কোনো পোস্ট দিলে আমি কিন্তু পড়ছি না !

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা.........একমাসের মধ্যে নতুন কোনো পোস্ট দিলে পড়বেন না মানে! আলবৎ পড়বেন। ক্রিসমাসের বন্ধে একটু আয়েশ কইরা ব্লগ আর ফেবু নিয়া বসলাম আর এরই মাঝে এই ঘোষনা!!! চলবে না, মানবো না।

আপনার নলেজের কথা কহিয়া আমারে লজ্জা দিবেন না। আপনি যদি সূর্য হোন আর আমি হইলাম গিয়া কুফি বাত্তি :) :) :) :)

নাইমুল ভাই, আমার এ এক জীবনে এতো এতো অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছি যে তা রাত দিন লিখলেও মনে হয় শেষ হবে না।

২০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: আপনার মতো মেয়েরা প্রথমে চায় বুয়েট ইঞ্জিনিয়ার বিয়ে করতে।কিন্তু কপালে জোটে না।তখন চায় বিআইটির ইঞ্জিনিয়ার বিয়ে করতে।তাও জোটে না।তখন ডিমান্ড আরো কমে যায়--যেকোন ইঞ্জিনিয়ার হলেই হবে।সেটাও জোটে না।তখন বলে,ইঞ্জিনিয়ার লাগবে না;বিআইটির দারোয়ান মামা হলেই চলবে।সেটাও না জুটলে ইটালিয়ান কামলা বিয়ে করে ফেলে।ই্ঞ্জিনিয়ারিং এর আপনি কিছু বোঝেন বলে মনে হয় না।যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থাকলে বা সরকারি,সায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকুরি হয়ে গেলে আর কোন পার্থক্য থাকে না।পদ্মা মাল্টি পারপাস ব্রিজের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো: আব্দুল কাদের কোথাকার ইঞ্জিনিয়ার খোজ নিয়ে দেখবেন।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২২

সোহানী বলেছেন: মেয়াভাই, আফনি কি ভাবছেন আফনি রিক্সা চালাইবেন আর তা শুইনা পাত্রীর বাপ মা চৈাদ্দগোষ্ঠি হাভাইত্তার মতন লাইন দিয়া দাঁড়াইয়া থাকবো আফনের গেইটে.................. B-)) B-)) B-)) B-))

২১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: হিরন সাহেব একজন আওয়ামিলীগার ব্লগার । আগে উনার লেখা দেখে ভেবেছিলাম বয়স্ক কোন ব্যক্তি। উনার গতকালের পোস্ট দেখে বুঝলাম যে উনি নিতান্তই অল্প বয়স্ক। উনি বিয়ে করার কোন সম্ভাবনা না থাকা সত্ত্বেও একটি মেয়ে দেখতে গিয়েছেন এবং প্রচুর খাওয়া দাওয়াও করেছেন এবং ব্লগে সেটা জোড়ে সোড়ে জানান দিয়েছেন। রাজীব নুর এর পোস্ট এখনো পড়ি নাই। তিনি ব্লগে ডাইরি লেখা, অন্যের পোস্টে উলটাপালটা কমেন্ট ( সকালে এক কথাতো রাতে আরেক কথা) করে সময় কাটায়। হিরন সাহেবদের মত পটেনশিয়াল পাত্রদের সঙ্গ দিলে উনার সময়টা আরেকটু ভাল কাটে। কিন্ত উনারা বুঝতে পারেন নাই যে ব্লগে সোহানী এবং জুন আপুর কুনজরে পড়ে যাবেন :)

যাই হোক এই সমাজে এই ধরনের পুরুষ ও ফ্যমিলির অভাব নাই। মেয়েদেরই সোচ্চার হতে হবে এই বাজে রীতির বিরুদ্ধে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৫

সোহানী বলেছেন: ঢাবিয়ান ভাইজান, সবখানে পলিটিক্স ঢুকাইলেতো সমস্যা.............।

সোচ্চার টোচ্চা এ জনমে কেউ হবে নারে ভাই। এইভাবেই চলতে থাকবে যুগের পর যুগ। শুধু স্টাইলটা চেইন্জ হবে এই যা........

২২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: বিয়ের সময় অবশ্যই ছেলে এবং মেয়ে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেয়া উচিৎ, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সেটা ঘরোয়াভাবে কেবল নারী আত্মীয়ের মাধ্যমে সম্পাদন করা সম্ভব। কিন্তু আমাদের দেশে মেয়ে দেখার নামে অসভ্যতার একটা বাতাবরণ তৈরী হয়। ভীষণ পরিতাপের বিষয় যে এই কর্মগুলোতে ছেলেপক্ষের বয়ষ্ক নারী আত্মীয়রা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

সমস্যা হলো- মেয়ে সন্তানকে দায় হিসেবে দেখার অপসংস্কৃতির কারণে মেয়েপক্ষের অভিভাবকবৃন্দ এই অনাচার সহ্য করে যাচ্ছেন এবং সে খেদ মেটান নিজের ছেলের বিয়ের সময় মেয়ে দেখতে গিয়ে একই ধরনের কর্ম করে। ওই দায়-এর বোধের কারণেই আপনার আত্মীয়া-মেয়ের পরবর্তী কোনো অনুষ্ঠানে আপনি অনাহুত ছিলেন। এখানে একটা অমোধ বাণী আছে- যখন মেয়ের মা/বাবা হবা, তখন বুঝতে পারবা.... সে বাস্তবতা অস্বীকার করারও খুব একটা সুযোগ নেই।

যে বিদ্রোহ আপনি আপনার দূরবর্তী আত্মীয়র ক্ষেত্রে দেখাতে পেরেছেন, বা মন্তব্যর ঘরে লেখা শাহ আজিজ বলেছেন- তা সত্যিকারার্থে যখন মেয়ের অভিভাবক হবেন, তখন পারবেন কি না, আমি জানিনা। কিন্তু এই বিদ্রোহই আস্তে আস্তে সমাজে ছড়িয়ে যাবে, আমার বিশ্বাস।

আমি প্রথমজনকেই বিয়ে করেছিলাম এবং দেখাদেখির সময় শুধু একটা প্রশ্নই করেছিলাম- পড়াশুনা কেনো করছেন, শেষ করে কি করতে চান? আর কিছুই না। পরে ফোন করে তাঁর মতামত জেনে তবেই সম্মতি দিয়েছিলাম। নিজের কথাটুকু এজন্যই বললাম যে আপনার মত প্রতিবাদি হতে না পারলেও কণে দেখার নামে এই অসভ্যতাকে আমি সমর্থন করি না।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩১

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ পদ্মপুকুর ভাই। এরকম চেইন্জ অবশ্যই হচ্ছে তবে তা ধীরে ধীরে। তবে পুরোপুিরি সমাজ বদলে যাবে এটা কখনই সম্ভব নয় তা আমরা সবাই জানি। শুধু প্রত্যাশা সেটা যেন অসভ্যতার পর্যায়ে না যায়।

হাঁ, ঠিক এটাও এক রকমের প্রতিশোধ নিজের মেয়ের বেলায় বা নিজের বেলায় যে বিহেব পেয়েছে তার। এটাও ঠিক একজন মা/বাবা হিসেবে আর একজন উটকো হিসেবের বিহেব এক হবে না। বাস্তবতা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।

২৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৭

আল ইফরান বলেছেন: ছোট ভাই হওয়া স্বত্ত্বেও আমার দুই বড় বোনের বিয়ের আগে-পরের সময় বড় ভাইয়ের দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে (বড় ভাই দীর্ঘকাল প্রবাসী)। এই মেয়ে দেখানোটা একটা মেয়ের জন্য ঠিক কতটা মানসিকভাবে হিউমিলিয়েটিং হতে পারে তা একজন মেয়ে ছাড়া কেউই বুঝবে না। আর এই মেয়ে দেখার সময়ই বাংলাদেশী ভদ্রবেশী পুরুষদের কদর্যতা খুন নোংরা ভাবে প্রকাশিত হয়। মেয়ের চুল পাতলা, গায়ের রঙ শ্যামলা, দাত ছোট, চোখ বেশি বড়, চশমা পড়ে ইত্যাদি কত যে কথা হজম করেছি ভাই হিসেবে আর বোনদের নীরবে চোখের পানি ফেলতে দেখেছি। (আমি চাঁদগাজীর সাথে একমত যে বাংগালী ছেলেরা মানুষ হিসেবে ভালো না)
আমার বড় আপাকে দেখাতে দেখাতে শেষতক এতটাই বিরক্ত হয়েছিলাম যে ছোট আপার বিয়ের সময় দেখানোর জন্য খুব বেশি মানুষকে আর বাসায় এলাউ করি নাই। বাবাকে বলেছিলাম যে দেখতে হলে হাটার উপরে (ওয়ার্কপ্লেসে অথবা রেস্টুরেন্টে) দেখতে হবে। আর বাসায় এসে ভুড়িভোজ করে গিয়ে আমাদের মেয়ের অসম্মান করবে, তা হবে না। ব্যক্তিগতভাবে আমার এরেঞ্জ ম্যারিজে না যাওয়ার পেছনে এইটাও একটা বড় কারন ছিলো।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৬

সোহানী বলেছেন: চমৎকারভাবে আমার কথাগুলোই গুছিয়ে বলেছেন ইফরান ভাই। এ নিয়ে পরের পর্ব আসছি। এখন শুধু একটু আভাস দিয়ে গেলাম। আমি গাজী ভাই এর সাথে অনেকাংশে সহমত যে বাঙ্গালি ছেলেদের মানুষ হতে আরো সময় প্রয়োজন। সবচেয়ে বড় কথা ছেলে সন্তান ও মেয়ে সন্তানের মাঝে যত বৈষম্য থাকবে তত দিন এ ধরনের অপমান হতেই থাকবে।

আপনার জন্য শুভকামনা।

২৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: প্রেমে পড়েছি বহুবার তবে বিয়ে করেছি একবার। তাকে কলেজের পথে দেখে ভালো লেগে ভালোবেসি দেখাদেখির দরকার হয়নি।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৭

সোহানী বলেছেন: এইটা ঠিক আছে। নিজের আখের নিজেরই গোছানো উচিত। তাইলে ঝামেলা কমে যায় অনেক।

২৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ফেইসবুকে পড়েছিলাম ঘটনাটা।

আমাদের সমাজটা এখনো এমন যে, ছেলেদের ভাবা হয় সোনার টুকরা, আর মেয়েরা হলো পরের বাড়ির মেয়ে (শ্বশুর বাড়িতে যাবে)। আর, ছেলেকে সোনার টুকরা বলে মায়েরা এবং নানিরা। এর প্রধান কারণ হলো, আমাদের ছেলেরাই হলো সংসারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। মেয়েদের কোনোরকমে শ্বশুর বাড়িতে পাঠানোর মতো বিদ্যা দিতে পারলেই হলো। তাই, মেয়েদেরকে ভাবা হয় পরিবারের বোঝা; এই বোঝা যত সহজে ও তাড়াতাড়ি মাথা থেকে নামানো যায়, বাবা-মায়ের স্বস্তিও তত তাড়াতাড়ি হয়। মেয়েদের এই অসহায়ত্বের সুযোগ গ্রহণ করা হয় মেয়ে দেখার সময়। মেয়েটা একটা 'সোনার টুকরো' ছেলের বউ হবে। শতরূপ যাচাই বাছাই করেই তাকে নিতে হবে। এই যাচাই-বাছাইয়ে মেয়েরা নতশিরে সবকিছু মেনে নেয়।

তবে, দিন পালটে যাচ্ছে। মেয়েরা যত শিক্ষিত হবে, উপার্জনক্ষম হবে, মা, বাবা, দাদি ও নানিদেরও ধারণা পালটে যাবে - শুধু ছেলেরাই সোনার টুকরা হবে কেন, মেয়েরাও কম নয়, আরো বেশি - হীরার টুকরা। তখন মেয়ে দেখতে এসে ছেলে পক্ষের সাহস হবে না- একটু হেঁটে দেখাও তো, পা-টা দেখি, খোঁপা খোলো, ইত্যাদি- হীরার টুকরাটা যাতে হাতছাড়া না হয়ে যায়, সেজন্য ছেলেপক্ষই কাচুমাচু করবে। আর, মেয়ে বলিষ্ঠভাবে প্রশ্ন করে করে ছেলেকে নার্ভাস করে ফেলবে।

সমাজ ব্যবস্থা বদলের জন্য শিক্ষার বিকল্প নাই। পশ্চাদপদ পরিবারগুলো এখনো মেয়েদেরকে চাকরি বা উপার্জনের কথা ভাবতে পারে না। তাদের মেয়েরা এজন্যই পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে থাকে।



২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৬

সোহানী বলেছেন: সোনাবীজ ভাই, আপনি আসল কথাটাই বলেছেন। ঠিক এই কথাটাই আমার সব লিখায় মেয়েদের বলতে চাই। তুমি যদি এমন উচ্চতায় পৈাছে যাও তাহলে তোমাকে ছোয়ার মতো কারো সাহস হবে না কোনভাবেই। কিন্তু সমস্যা পুরো পরিবারকেই এমনভাবে ভাবতে হবে। কিন্তু ক'জন পারে?

ছেলের মা মানেই বিশাল কিছু আর মেয়ের মা মানে মাথা নিচু করে থাকতে হবে। এ ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে। সমানভাবে যদি আজ আমি আমার ছেলে এবং মেয়েকে ট্রিট করি তাহলে কালকে সে ও তার বউকে একইভাবে ট্রিট করবে। আমাদের সমস্যাতো গোড়ায়!!!

২৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আমার কাকাতো বোনকে ঠিক এমনটা দেখেছিল সে প্রায় ২৫ বছর আগে। তখন আমি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ি, আর বেশ সচেতন পাবলিক--আমার বোনকে এমনি ছাগল দেখার মত করে দেখেছিল, আমার মনে আছে আপাকে হাতের লেখার পরীক্ষা দিতে হয়েছিল, রান্নায় তেলে আগুন লাগলে কি করতে হয় সব ধরণের পরীসহ আরো প্রশ্ন করে যখনই হাটতে বলেছিল তখনই আমার বোন ঘরের দিকে দৌড় দিয়েছিল। আমার সেই বোনকে আর বিয়েতে রাজী করাতে পারে নাই ---।
এটা একটা বাজে পদ্ধতি। ধর্মীয়ভাবেও এটা নিষিদ্ধ। তবে কিছু এলাকার সামাজিক রীতি এটার জন্য দায়ী। পরিবারের অভিভাবক এবং ভাবী বধুকে সচেতনভাবে এটাকে হ্যান্ডেল করা জরুরী --------

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৯

সোহানী বলেছেন: সম্বব না রে আপু, সম্ভব না। একটি মেয়ে পুরো পরিবার সমাজের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে না।তোর পিছনে কারো না কারো ব্যাকিং দরকার। যেদিন মেযেরা এটা হ্যান্ডেল করতে পারবে সেদিন থেকে নারী নির্যাতন বন্ধ হয়ে যাবে।

আপনার বোন ঠিক কাজটি করেছে। ভবিষ্যতের নির্যাতনের হাত থেকে বেঁচে গেছে।

২৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


দারুণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন। কন্যার কাছের অভিভাবকরা এখনও এসব নুইসেন্স মেনে নেন। কিছুই করার থাকে না।
কিন্তু বরপক্ষের বাড়াবাড়িকে একটু সঠিক মূল্যায়ন করার জন্য আপনার মতো বারুদওয়ালা কেউ থাকা চাই।
মজার লেখা! মন্তব্যগুলোও মজার।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০০

সোহানী বলেছেন: বারুদওয়ালাদের যে কি সমস্যা জীবনভর পোহাতে হয় তা লিখা শুরু করলেতো সিরিজ বই হয়ে যাবে মইনুল ভাই। তারচেযে চুপচাপ থেকে নীরবে মেনে নেয়াটাই ভালো। আর কন্যা দায়গ্রস্ত পিতাদের ভূমিকা এর চেয়ে বেশী কিছু হবে কি? এরা এ ধরনের নুইসেন্স মেনে নিয়ে কোনরকমে মেয়েটাকে পার করতে চায়।

আপনার কি খবর বলেন? লিখালিখি থেকে কি অবসরে গেলেন????? তাড়াতাড়ি ফিরে আসেন।

২৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৮

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার প্রতিবাদের ভাষা ঠিকি ছিল, আমাদের দেশে কিছু ব্যাক্কল অভদ্র মাথামোটা বয়স্ক মধ্যবয়সী মহিলা থাকে যারা আপনার উল্ল্যেখিত কাজ করত এবিন্দু মাত্র দ্বিধা বোধ করেন না। তাই বলছি প্রতিবাদ থামিয়ে দিবেন না। চাইলে সঙ্গে আমাকেও রাখতে পারেন।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৫

সোহানী বলেছেন: হাহাহা ঠিক আছে নেক্সট টাইম!

২৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমরা যারা বিয়ে করে ফেলেছি তারা কেকে এই ধরণের মেয়ে দেখা দেখতে গেছেন তার একটা তালিকা করা যেতে পারে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৬

সোহানী বলেছেন: গুড আইডিয়া। শুরু করে দেন ভাই।

৩০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: মেয়ে বিয়ে দেয়ার জন্য উতলা পরিবারগুলো এই প্রথা জিইয়ে রাখছে। বর্তমান সময়ে এই অবস্থা ভাবতেও কষ্ট হয়। মেয়েরা এখন অনেক সক্ষম।
কারোরই এমন গরু ছাগলের মতন মেয়ে দেখানোর জন্য রাজী হওয়া উচিৎ না ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৭

সোহানী বলেছেন: মেয়েরা হয়তো চায় না কিন্তু পরিবারের চাপে অনেক কিছুই করতে হয়। সেরকম অনেক ছেলেও হয়তো চায় না কিন্তু দলবেধেঁ সঙ সেজে যেতে বাধ্য হয়।

৩১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

কি সমস্যা বলেন তো দেখি?
পূর্ব জনমে আপনি নিশ্চয় আমার বোন ছিলেন কারণ এই রাগ এই উত্তপ্ত রক্ত আমরা ভাইবোন হবার কথা। একটি রেসিপি দিচ্ছি খেয়ে দেখুন: - আমের আচার সাথে মুড়ি মেখে খেতে হবে। মুড়ি মাখার আগে একটি পাতিলে মুড়ি রেখে ঢাকনা দিয়ে অল্প আঁচের আগুনে মুড়ি গরম করে নিতে হবে। যদি এই খাবার ভালো লাগে তাহলে বলতে হবে এই বোনকে পূর্বের জনমে কোনো মেলাতে হারিয়েছিলাম আজ ব্লগে পেয়েছি।

বিয়ে বাড়িতে আমরা বিদ্যুতের মতো খুবই উপকারী এবং বিপদজনক। - বোন, কথা কি মিলেছে?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১২

সোহানী বলেছেন: ঠিকাছে, তয় আগে আমের আচার পাঠান। মুড়ি গরম দিয়া খাই। নতুন কিছু টেস্ট করি। বোনের জন্য সামান্য আচার পাঠানো কোন ঘটনাই না। বড় ভাইয়ের দায়িত্ব কিন্তু অনেক। কি বলেন ভাইয়া। (আমার কিন্তু কোন বড় ভাই নাই। না বাবার দিক থেকে না মামার দিক থেকে। কারন বড় চাচা বাবার দশ বছরের ছোট আর বড় মামা মায়ের আট বছরের ছোট। কাজিনরা সব আমার ছেলে মেয়েদের সমবয়সী.)

বিয়ে বাড়িতে আমরা বিদ্যুতের মতো খুবই উপকারী এবং বিপদজনক। ...... তা আর বলতে!!!

৩২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

ওমেরা বলেছেন: আপু আপনি তো খুব বিপদজনক ! মেয়ের বাড়ির লোকজন যে আপনাকে উত্তম মধ্যম কিছু দেয়নি সেটাই তো ভালো বাঁচা বেঁচে গিয়েছেন। হি হি হি ——-

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৩

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা...... বউ বলে বেচেঁ গেছি। ঘরের মেয়ে হলে হয়তো তাই হয়তো কপালে জুটতো।

৩৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: আমাদের সমাজ ব্যবস্থাটাই যেন কেমন ? যে ছেলে পক্ষগুলো মেয়ে দেখতে গিয়ে খাওয়া দাওয়ায় মত্ত থাকে তাদের ঘরেও কিন্তু মেয়ে আছে । তাদেরও কিন্তু অন্য ছেলে পক্ষের মুখোমুখি হতে হয়। আফসোস কেউ শিক্ষা নেই না।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৫

সোহানী বলেছেন: এটা থেকে এরা বের হতে পারে না। আফসোস কেউ শিক্ষা নেই না।

৩৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপু আপনি যা করেছিলের একেবারে ঠিক করেছিলেন।
দেখতেই এসেছে ৩০-৩৫ জন!এরা হাভাতে ছাড়া কিছুই না।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৬

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা....... আর বইলেন না সে কথা।

৩৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
পোষ্ট টি উপভোগ করলাম।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। করোনা ভাইরাস থেকে সাবধান থাকুন।

পোষ্টে সবার মন্তব্য গুলো পড়লাম।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৮

সোহানী বলেছেন: আমাদের এখানে লকডাউন চলছে। যদিও আমাকে বের হতে হয়। সকালেই প্রায় ৮০ কি:মি: ড্রাইভ করে আসলাম। আমি ৈাড়রে উপরই থাকি।

৩৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১

শায়মা বলেছেন: হা হা আপুনি!! বাংলা ভুলে ইংলিশ এসেছিলো রাগে!!! হা হা হাসতে হাসতে মরেছি। এক্কেবারেই সেই ঘটনা চোখের সামনে দেখতে পেলাম। ঠিক হয়েছে ... :P

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৯

সোহানী বলেছেন: সে আর বলতে শায়মা। জীবনটা আমার ঝগড়া করেই কাটালাম।

৩৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১

মেহবুবা বলেছেন: আমরা কথা আর আচরনে এক নই। মেয়ে মানুষ হলো আগে মেয়ে তারপরে মানুষ; অতএব তাকে সেভাবেই যাচাই বাছাই করা হয় সবখানে।
কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সর্বত্র মেয়েদের অসন্মান, সেটা এক্ষেত্রে দৃষ্টিকটু ভাবে দৃশ্যমান হলো কারন প্রক্রিয়ার নাম "মেয়ে দেখতে" যাওয়া! এই ডিজিটাল যুগেও টিকে থাকছে !
কত কি অসংগতি চারিদিকে !
কদিন আগে চারবছর প্রেম করার পর এক ছেলে এবং তার পরিবার এক মাতৃহীনা মেয়ের বিয়ের জন্য এমন সব শর্ত আরোপ করলো যে শুনে হা হয়ে গেলাম। তার ভাই শুধু বলছিল যে ওখানে বিয়ে হলে হয়তো মেয়েটিকে অত্যাচার সহ্য করতে হবে, বিয়ে আর হয়নি ওখানে।
কত কত ঘটনা।

এটা সময় পেলে দেখে নিও
Click This Link

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৭

সোহানী বলেছেন: সব মেয়েদের ভাগ্যে যদি এমন নানা জুটতো তাহলে দেশে নারী নির্যাতন যেমন কমতো ডিভোর্স রেটও তেমন কমতো।

আর একথা আমি সবসময়ই বলি, মেয়েরাতো মানুষ নয় ওরা মেয়েমানুষ। আগে মেয়ে তারপর মানুষ। তাই তাদের এ হাল আধুনিক যুগে এসেও।

আর এ ছেলের কাছে মেয়ে না দিয়ে বুদ্ধিমানের কাজ করেছে। নতুবা তাকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিতো।

৩৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২

স্থিতধী বলেছেন: ২০ নং মন্তব্যটি পড়লে বোঝা যায় নারীর প্রতি সমাজের কোন ধরণের মানসিকতাগুলো এখনও বাংলাদেশের তথাকথিত শিক্ষিত সমাজেও এ জাতীয় লোকাচারগুলো কে বাচিয়ে রেখেছে ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৮

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা.......... ঠিক বলেছেন স্থিতধী। উনি মনে হয় কোন সমস্যায় আছেন। কোন পাত্রীপক্ষ মনে হয় খেদিয়েছে........... B-)) B-))

৩৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:



সোহানী আপু ইউ ডিড দ্যা রাইট থিং । আমি অবাক হয়ে যাই এখনও কি করে এই প্রথার প্র্যাকটিস আছে এই যুগে এসেও !!!! একটা প্রোডাক্টের মতো করে ট্রিট করা হয় হুইচ ইজ ভেরি অফেন্সিভ এন্ড ডিজরেস্পেক্টফুল । বাংলাদেশ ভারত পাকিস্থান এর বাইরে আমার মনে হয়না পৃথিবীর অন্য কোথাও এরকম প্রচলন আছে । কতকিছুর পরিবর্তন হয় সময়ের সাথে কিন্তু এগুলো কেনো এখনও বদলায়নি :(

এখানে ইনভল্ভ সবাই কমবেশি রেস্পন্সিবল । মেয়ে বা মেয়ের পরিবারকে শিখতে হবে হাউ টু সে নো । আর সেটা তখনই সম্ভব হোয়েন দে উইল বি প্রপারলি এডুকেটেড । একটা মেয়ে বা তার পরিবার যদি প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয় তাহলে তারা কখনোই একটা মেয়েকে এরকম গো-হাটে নেবে না ।


২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩১

সোহানী বলেছেন: আপুরে, প্রকৃত শিক্ষায় আর শুধু শিক্ষায় অনেক অনেক পার্থক্য। শিক্ষিত হয় ঠিকই কিন্তু প্রকৃত শিক্ষিত হতে পারে কি?

পারে না বলেই দেশে এতো এতো অনাচার সবখানে।

৪০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইরে এটাইতো আসল পোস্ট। কিন্তু আমি যে অন্যত্র আসল কমেন্ট করে ফেলেছি। আপু এককথা আজ আর র লিখবো না। পরেরবার বিষয়টি খেয়াল রাখবো।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩২

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা.................. নো প্রবলেম। কথা হচ্ছে এইটাই আসল কথা।

৪১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৩

আখেনাটেন বলেছেন: এটা একটা জঘন্য প্রথা। গরু দেখার মতো মেয়ে দেখা। বিয়ে হলে ভালো। না হলে সেটা মেয়েটার জন্য যে কতটা পীড়াদায়ক তা সমাজ, পরিবার কেউ ভেবে দেখে না। আমার পরিচিত কয়েকজন মানুষের এই কুকর্মের জন্য আমি তাদের সাথে সম্পর্কই সীমিত করে ফেলেছি। এরা কখনই ভালো মানুষের কাতারে পড়ে না। অথচ বেশির ভাগ মানুষ এটাকে স্বাভাবিক ভাবেই দেখার চেষ্টা করে ভাবা যায়।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৩

সোহানী বলেছেন: সমস্যাই এটাই ভাই, বেশির ভাগ মানুষ এটাকে স্বাভাবিক ভাবেই দেখার চেষ্টা করে ভাবা যায়। এটা যে কোন অপরাধ বা অপমানকর তা বোঝারও ক্ষমতা নেই তাদের।

আর সম্পর্ক সীমিতই করতে পারবেন শুধু ওদেরকে পরিবর্তন করতে পারবেন না কিছুতেই।

৪২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জানাশোনা প্রয়োজন একটা সূখি দাম্পত্য জীবনের জন্যে।
সেই জানাশোনা হবে জ্ঞান, চেতনা, জীবন বোধ, পরাষ্পারিক মিথস্ক্রিয়ার জায়গাগুলো।
ভাললাগা মন্দ লাগা, স্বপ্ন, ইচ্ছে অনিচ্ছে গুলো মিলিয়ে নেয়া যেতে পারে।
কিন্তু এইরকম স্থুল দেখাদেখি প্রচন্ডভাবে অগ্রহনযোগ্য।

প্রতিবাদের পাশাপাশি চাই বোধের এই জায়গাগুলোতে জাগরণী কাজ।
শিক্ষার মাধ্যমে, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে - বিষয়টা লজ্জ্বার, আপত্তিকর তা চেতনায় গেথে দেয়া
বেশি দরকার। যাতে তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

+++

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৫

সোহানী বলেছেন: "প্রতিবাদের পাশাপাশি চাই বোধের এই জায়গাগুলোতে জাগরণী কাজ। শিক্ষার মাধ্যমে, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে - বিষয়টা লজ্জ্বার, আপত্তিকর তা চেতনায় গেথে দেয়া বেশি দরকার। যাতে তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।"

তোমার মতো এভাবে ভাবে কয়জন, বলতে পারো??

ওওও তোমার বইএর খবর বলো। এই বইমেলায় আসছেতো?

৪৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: এদেশে অবশ্য বিবাহ উপযুক্ত কন্যার মাকে বরই গাছ ভাবা হয়।
আসতে একবার ঝাঁকা দেয়া হয়- যাইতে আরেকবার।
যেমন ধরেন, আপা কিংবা ভাবী মেয়ের দিয়ে দিবেন নাকি? একটা 'ভালো পাত্র' আছে।
এদেশে এত ভালো পাত্র-পাত্রীর ছড়াছড়ি তবু বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে আশংকাজনক হারে। কোথায় একটা গলদ রয়েছে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৮

সোহানী বলেছেন: বিবাহ বিচ্ছেদ আশংকাজনক হারে বাড়ছে, এটা সত্য। যদিও এটি সম্পূর্ন ভিন্ন বিষয়। তারপরও বলবো কনে দেখার সাথেও কিছুটা জড়িত। যেখানে কনেকে এখাবে দেখার সুযোগ আছে সেখানে মানে সেই ছেলের পার্সোনালিটির ঘাটতি আছে। সেখানে বিচ্ছেদতো স্বাভাবিক।

৪৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২২

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: লেখার ছবিটা দেখে মজা পেলাম!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৯

সোহানী বলেছেন: ছবিটা আমার মেয়ে সিলেক্ট করে দিয়েছে।

৪৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৪

আমি সাজিদ বলেছেন: বেশ করেছেন আপু।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৯

সোহানী বলেছেন: তা আর বলতে, তাইতো সম্পর্ক শেষ!!!!!

৪৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

আমার মনে হয় বিয়ের আগে ছেলে মেয়ে একে-অপরকে দেখে নেওয়া উচিৎ। সেজন্যে, তাদেরকে সময়ও দেওয়া দরকার। নাহলে, ঠকতে হয়।

আমার এক বন্ধু এটা না করে ঠকেছে। বিয়ের পরে সে জানতে পারে মেয়ের হাঁটু থেকে পা পর্যন্ত ঘা।

তাদের সেই বিয়ে আর টিকেনি।

এরচেয়ে বরং ছেলে-মেয়ে'র বিয়ের আগেই একে-অপরকে দেখা নেওয়া ভালো।

আর, তা যদি না করার সাহস না হয় ছেলে-মেয়ের, তাহলে এরকম 'হাঁটা প্রতিযোগিতা' এরেঞ্জ করাই ভালো।

ধন্যবাদ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪১

সোহানী বলেছেন: তারমানে আপনি বলতে চাচ্ছেন বিয়ের আগে আপনার বন্ধুর সে মেয়ের হাটু পর্যন্ত পরীক্ষা করলে বিয়ে ভাঙ্গতো না!! ;) ;) ;)

৪৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


লেখক বলেছেন: তারমানে আপনি বলতে চাচ্ছেন বিয়ের আগে আপনার বন্ধুর সে মেয়ের হাটু পর্যন্ত পরীক্ষা করলে বিয়ে ভাঙ্গতো না!

মন্দ কি!!! তা করলে অন্ততঃ বিয়ে ভাঙ্গার মতো অকাজটি হয়তো হতো না।

আর, শুধু বন্ধু তা করবে কেন!!! মেয়েটিও পরীক্ষা করে দেখতে পারতো সব কল-কব্জা ঠিক-মতো আছে কি না।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:২৮

সোহানী বলেছেন: =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

৪৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমাদের এখানে লকডাউন চলছে। যদিও আমাকে বের হতে হয়। সকালেই প্রায় ৮০ কি:মি: ড্রাইভ করে আসলাম। আমি ৈাড়রে উপরই থাকি।


ব্যস্ত থাকা ভালো।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:২৯

সোহানী বলেছেন: জ্বী ভালো, ঠিক বলেছেন।

৪৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:০৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: এখন বিয়ে একটা ফাজলামি ছাড়া আপর কিছই না। বিশ্ববিদ্যাবিদ্যালয়ে পড়ে কিন্ত রিভ টুগেদার করে না, এমন ছেলে-মেয়ে প্রায় নাই। একাধিক সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত না গেলে বা গেলেও না টিকলে তখন দুই পক্ষেই শেষ চেষ্টা হিসেবে এই দেখাদেখির বিয়ের মধ্যে যায়, যেটা একটা ফালতু নাটক ছাড়া কিছুই না।
তবে ৯০-এর দশকের শেষ পর্যন্ত যখন মেয়েরা এতোটা আধুনিক হয়নি এবং যাদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ ছিলো-তাদের জন্য ব্যাপারটা সত্যিই আপত্তিকর ছিলো।
তবে এখন এটা নাটক ছাড়া কিছুই না।
আর শুধু মেয়েদেরই গরুর মতো দেখা হয় না, ছেলেদের ষাড়ের মতো পরীক্ষা করা হয় বলে শুনেছি

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:২৮

সোহানী বলেছেন: অনল ভাই, "বিশ্ববিদ্যাবিদ্যালয়ে পড়ে কিন্ত রিভ (লিভ) টুগেদার করে না, এমন ছেলে-মেয়ে প্রায় নাই।" আপনার এ জেনারেলাইজড্ কথাটি খুব গায়ে লাগলো। কারন আমি বিশ্ববিদ্যাবিদ্যালয় থেকে পাস করেছি। আপনি কোন বিশ্ববিদ্যাবিদ্যালয়ে ছিলেন, একটু বলবেন কি?

৫০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৩২

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: পাত্রী দেখতেই ৩০/৩৫জন! শুরুতেই তো সন্দেহজনক ব্যাপার।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৪১

সোহানী বলেছেন: সেটাতো খুব স্বাভাবিক আমাদের জন্য।

৫১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২২

ইসিয়াক বলেছেন:
আমি বিয়ে করার উদ্দেশ্যে নিজের জন্য কোনদিন কোন পাত্রীকে দেখতে যাইনি।
তবে আমার বিয়ের কনে আমারে দেখতে আসছিলো । আমাদের বাসায় কয়েকদিন ছিলো তার নানী আর মামার সাথে।তাকে আমি প্রথমে ছবি দেখে সিলেক্ট করেছিলাম। তারপর বললাম,মেয়ে পক্ষ আমার বাড়িতে আসুক আমার বাড়ির লোকজনদের সে দেখুক,মেলামেশা করুক যদি তার আমার বাড়ির পরিবেশ লোকজন ভালো লাগে তবে বিয়ে হতে পারে। .......

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৮

সোহানী বলেছেন: কবি সাহেব, আপনার মতো হয়তো তেমন করে কেউ ভাবে না। ভাবলে সাংসারিক জটিলতা অনেক কমে যেত।

৫২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমার প্রথম দেখা মেয়েটি আমার সামনে ৪,৫মিনিটের মত ছিল। নাম, আর পড়ালেখা ছাড়া আর তেমন কিছুই কেউ তাকে জিজ্ঞেস করেনি।
মেয়েটি আমার কাকীর আত্মীয় হওয়াতে তেমন কোন অসুবিধে হয়নি। বিয়ে করতে গিয়ে বুঝেছি মেয়েদের থেকে আজকাল ছেলেদের সম্পর্কে খোঁজ খবর অনেক অনেক বেশি নেওয়া হয়। আমার পোস্টে বলছিলাম এই খোঁজখবর নিয়ে অনেক মজার/বিরক্তিকর ঘটনা ঘটেছে। সময় করতে পারলে কিছুটা শেয়ার করবো ব্লগে।
সোহানি আপনাকেই ধন্যবাদ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫০

সোহানী বলেছেন: প্রশ্ন? দ্বিতীয় মেয়েটিকে বিয়ে করবেন বলে এক প্রকার মনোস্থির করেও প্রথমটিকে দেখতে গিয়েছিলেন কেন?

৫৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিয়ে সারা জীবনের ব্যাপার। সব কিছু খুটিয়ে দেখা খারাপ কিছু না। সেটা ছেলে বা মেয়ে কিংবা বড়জোর তাদের মা-বাবা দেখতেই পারে। তবে ভরা মজলিসে এইভাবে ফল বা সব্জির মতো টিপেটুপে দেখার প্রবণতা আমার কাছে বিকৃত মানসিকতা বলে মনে হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এটা সমাজের একটা স্বীকৃত পন্থা। কোন পক্ষই এতে কিছু মনে করে না। কাজেই একটা সামাজিক পরিবর্তন দরকার।

আপনার মতো নেত্রীর নেতৃত্বেই এই ধরনের সামাজিক আন্দোলনের সূচনা হতে পারে। আপনি একটা প্ল্যাকার্ড নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, আর আমরা সবাই পিছন থেকে শ্লোগান দিচ্ছি, ''সোহানী তুমি এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার পিছে'' এমন একটা দৃশ্য কল্পনা করে রক্তের মধ্যে কেমন যেন একটা বৈপ্লবিক জোশ অনুভব করলাম!!! =p~

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৮

সোহানী বলেছেন: হুম আমি প্ল্যাকার্ড নিয়া আগাই তারপর কনেদেখা পার্টিরা মাইরধর দিতে আসলে পিছনে ফিইরা দেখুম সব ভাগছে!!!!!

ভুয়া মফিজ বলেছেন: "বিয়ে সারা জীবনের ব্যাপার। সব কিছু খুটিয়ে দেখা খারাপ কিছু না।" এর লাইগাইতো দেখে। তয় আরো ভালোভাবে দেখবার চায় তাই সক্কলে মিল্লা দেখে।

আমার প্রশ্ন, বিয়াতো করবে একজন। ভরা মজলিশতো বিয়া করবো না। তাইলে সবাইর এতো মাথা ব্যাথা কেন? বিশেষ কইরা বন্ধু-বান্ধব। তাগো দেখার কি আছে??

৫৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:



প্রিয় ব্লগার, ফিরে আসার আহ্বানের জন্য থেংকু। এখানেই তো আছি। ব্লগ কি ছাড়ার বিষয়? লিখছিও। মন্তব্যের আকৃতিতে।
আমাদের অফিসে ২৪/৫৬ করোনা আক্রান্ত হবার পরও কুদরতি কারণে আমি অনাক্রান্ত।
দ্বিতীয় ওয়েভ-এর ছোবল থেকে সতর্ক থাকুন! দোয়া করবেন!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৫

সোহানী বলেছেন: ওমাইগড! আপনার আরো সাবধান হওয়া উচিত। গৃহবন্দী হয়ে যান ক'টা দিন। ক'দিন কাজ কম করলে এমন কোন ক্ষতি হবে না।

আমরা আবার লকডাউনে। ক্রিসমাসের কারনে বলতে গেলে এমন ব্যবস্থা। কারন গত সামারে সিথিল করার কারনে হঠাৎ রোগী বেড়ে গিয়েছিল। তবে আশার কথা, ভ্যাক্সিন শুরু হয়েছে। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা এখন পাচ্ছে। আমাদের মত আম জনতা নেক্সট ইয়ারে পাবে।

ব্লগে আছেন তবে হালকা পাতলা। আপনার লিখা চাই লিখা.....................

৫৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শুধু উঠে আসা না , সাথে উত্তম কিছু ও পাওনা।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৬

সোহানী বলেছেন: মাথা খারাপ, শশুড় বাড়ি বলে কথা।

৫৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




দাদাবাড়ির দিক থেকে ও নানাবাড়ির দিক থেকে ভাইবোনদের মধ্য আমি সবার বড়। তবে কাজিনরা আমার সমবয়সি এবং কাছাকাছি। বোন, আমি নানা হয়েছি ২০১৫ তে। ইনশাল্লাহ দাদা হবো খুব দ্রুত। বোন অত্যন্ত সম্মানের সাথে আপনার দাওয়াত রইলো, আপনি দেশে আসবেন যখন তখন ভাইবোন মিলে খাবো, আমি রান্নার পরিবারের মানুষ। আমি নিজেও বেশ ভালো রান্না জানি।

রাতের ট্রেনে আমি চট্টগ্রাম যাচ্ছি, ফিরবো শনিবার ভোর। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।


২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৬

সোহানী বলেছেন: হ্যাভ এ সেইফ জার্নি।

দাওয়াত কবুল করলাম। আমি খাওয়া মানুষ না। খাওয়া দাওয়ার পিছনে বেশী এ্যানার্জি দিতে রাজি নই। আর রান্না ঘাড়ে না পড়লে ওমুখো হই না। কোন রকমে দিন চালাই।

শুভকামনা নানা ও অগ্রিম দাদা হবার জন্য।

৫৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হুম আমি প্ল্যাকার্ড নিয়া আগাই তারপর কনেদেখা পার্টিরা মাইরধর দিতে আসলে পিছনে ফিইরা দেখুম সব ভাগছে!!!!! সেইটার লাইগাই তো পিছে থাকমু =p~

আমি ভরা মজলিশে দেখনেরই বিপক্ষে, সেইটা তো কিলিয়ার কইরাই কইছি। আপনে না বুজলে কি করতাম? খোটায়া ছেলে মেয়েরে দেখবো, মেয়ে ছেলেরে দেখবো। বড়জোর দোনোজনের মা-বাপ এর মইদ্দে ইনভলব হইতে পারে। বাকীরা ফ্রি'তে মজা নিবো ক্যান? ওইখানেই আমার আপত্তি!! :P

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪৩

সোহানী বলেছেন: এই বুড়া বয়সে দৈাড়ানো খাইলে বাতের স্থায়ী হবার সমূহ সম্ভাবনা। কাজেই এরকম কাজ আর করার কোনই সম্ভাবনা নাই।

এই নিয়া আরেকটা লিখা দেখি লিখতেই হবে। বিষয়টা নিয়ে ব্লগারদের সাথে খোলাখুলি আলোচনা করা যেতে পারে।

৫৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৬

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: লেখক বলেছেন: মেয়াভাই, আফনি কি ভাবছেন আফনি রিক্সা চালাইবেন আর তা শুইনা পাত্রীর বাপ মা চৈাদ্দগোষ্ঠি হাভাইত্তার মতন লাইন দিয়া দাঁড়াইয়া থাকবো আফনের গেইটে.....
বাংলাদেশের মেয়েরা যেমন রুচিহীন ও ছ্যাচড়া টাইপের তাতে রিকশাওয়ালা ও দুবাইয়ের কামলা তাদের প্রথম পছন্দ হওয়ার কথা ।স্বামীর ঘাড় ভেঙে খাওয়া ছাড়া এরা আর কিছু শিখে না।হাভাইত্তার মতো না পাত্রীপক্ষ সবসময় হাভাইত্তাই হয়।বাপের ঘরে খাওয়া জোটে না,স্বামীর ঘরে এসে মনের সুখে খেয়ে পেটটি চালকুমড়ার মতো বানিয়ে ফেলে।দোষ হয় পিলের।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪৫

সোহানী বলেছেন: কয়ডা ছ্যাকা খাইসেন? আহারে!!!!!

৫৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় প্রবীণ ব্লগার, আপনি জানেন যে আমি নিজে মেয়েদের সন্মান ও অধিকারের জন্য লিখি। তথ্য-প্রমাণ ছাড়া এমন কিছু বলিনা বা লিখিনা, যাতে তাদের অসন্মান হয়।
আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন আরো ১৫ বছর আগে। তখন এসবের এতোটা প্রচলন ছিলো না। কিন্ত এটা ২০২০ সাল। এখন বাংলাদেশের আর কোনো দিক দিয়ে উন্নতি বা অগ্রগতি না হোক-পশ্চিমের মতো সম্পর্কটাই শুধু অবাধ হয়েছে।
লিভ (ভুলে রিভ লিখেছি) টুগেদার বলতে একসাথে বাস করার কথা বুঝাইনি। প্রায় সব সরকারী এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিয়ের আগেই এখন অবাধ সম্পর্ক চলার কথা বলেছি। অঅমি নিজে গত ১৫ বছর ধরে গবেষণা আর তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়েছি। সবার কথাও বলিনি, বেশীরভাগের কথা বলেছি। এই লেখাটা আবারো পড়ে দেখতে পারেন।নষ্ট প্রজন্ম দিয়ে দেশ-জাতি-সমাজ পরিবর্তন হবেনা
তারপরও যদি আপনার দ্বিমত থাকে, এরপর আপনি দেশে আসলে এ ব্যাপারে দুইজন মিলে জরীপ করবো। যদি আমার কথা ভুল প্রমাণিত হয়. তাহলে একথা লেখার জন্য সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে আর জীবনে কোনোদিন ব্লগে লিখবো না।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪৮

সোহানী বলেছেন: নারে ভাই, দেশের জরিপে কোনভাবেই অংশগ্রহন করতে চাই না। মাথার উপর কোন নতুন যন্ত্রনা আনতে চাইনা।

মেয়েদের নিয়ে আপনার প্রতিবাদী লিখালিখি আমি পছন্দ করি।

ভালো থাকেন। কখনো ব্লগ ছেড়ে যাবেন না। আমরা আপনার লিখা মিস করতে চাই না।

৬০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ঘটা করে পাত্রী দেখে বিয়ে করার আমি ঘোরতর বিরোধি ,
যদিউ না জানিয়ে আমাকে পাত্রী দেখানো হয়েছিল ।
অনেক কায়দা করে পাত্রী দেখানোর পর সাথের মানুষটি
জিজ্ঞেস করেছিল মেয়েটি দেখতে কেমন ? বলেছিলেম
ভালইতো । কথাচ্ছলে দু‌একটি স্বাভাবিক বাক্যালাপ অবশ্য হয়েছিল।
বেশ এই পর্যন্তই । দিন কয়েক পরে আমাকে জানানো হলো
সামনের মাসে ৪ তারিখে তোর বিয়ে । কনের বাড়ীতে এখন শুধু
আখ্ত‌ হবে , পরে আমার সুবিধা মত দিনে বউ উঠিয়ে
আনা হবে । আমি বলেছিলাম তা হবেনা ,আখ্‌ত টাখ্‌ত বুজিনা
বিয়ে যদি করিই তাহলে কবুলের পরে ঘন্টা খানেকের ভিতরে
বধু নিয়ে ফিরব ঘরে , কোন দেনা পাওনা নাই , আমাকে একগাছি
সুতা উপহার দিলেও বিয়ের পিড়ি ছেড়ে ফিরে আসব ঘরে ।
কথা রাখলাম সকলে। বিয়ের দিন দুপুর পর্যন্ত অফিসের কাজ সেরে হঠাৎ
করে কলিগদেরে বললাম ডেকে, ঘন্টাদুয়েক পরে আমার বিয়ে , যেতে যদি
কেও চাও ঠিকানা দিলাম, চলে যেও রিকুইজেশন দেয়া আমাদেরই
অফিসের মাইক্রোবাসে চড়ে ,No presentation ,Only blessing ।
অফিস হতে দিন কয়েকের ছুটি নিয়ে তরিঘরি করে বাসায় যাওয়ার
পরে সমবয়সি ছেলে মেয়েরা মিলে গায়ে গলুদ দিয়ে গোসল
করিয়ে দিলে । জামা কাপড় পড়ে বরের বেসে সাজানো গাড়ীতে করে
বিয়ের আসরে গিয়ে দেখি অফিসের কলিগেরা আগেই গিয়ে সেথায়
জেকে বসে আছে । ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে কবুল
টবুল আর যত সব আয়োজন সেরে বধু নিয়ে
ফিরলাম ঘরে । বিয়ে কর্ম খুব সহজ, একে আমরা
জটিল করে তুলি অন্যদের বিবিধ প্রকার আচার অনুষ্ঠান দেখাদেখি ও
নানা মতে অনুসরন করে । বিয়ে কর্ম এবং পর্বটি সকল দিক
দিয়ে সহজ সরল হওয়া কাম্য , এটা শুধু কথাই নয় করেছিলাম
বাস্তবসন্মত ।

আজকের এই যুগে যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক প সকল ছেলেমেয়েই প্রায় স্বাক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন বা শিক্ষিত
( দেশে শিক্ষার হার এখন শতকরা ৭০ এর উপরে), এছাড়া ধনি দরিদ্র প্রায় সকলের হাতেই আছে সেল ফোন
( দেশে নাকি এখন মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখা ১৬ কোটি ছাড়িয়ে গেছে , সুত্র : দৈনিক যুগান্তর)
বিবিধ প্রকারে প্রাপ্ত বয়স্ক যে কেও দেখা সাক্ষাত করতে পারে একে অপরে । এমত সুযোগ সুবিধার দিনে
বিয়ের পাত্র পাত্রীগন নীজেরাই যদি নীজের জীবন সঙ্গী যোগার না করতে পারে তবে তাদের বিয়ে করারই
দরকার নাই , তারা বিয়ের জন্য যোগ্যই হয়নি বলে ধরে নেয়া ভাল ।
তাই ঘটা করে পাত্র পাত্রী দেখা আইন করে বন্ধ করে দেয়া হোক এটাই বাস্তবতার দাবী, এ সময়ের দাবী ।

একথাও সত্য যে দারিদ্রের কশাঘাতে কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা মাতা ও বিয়ের কন্যাদেরো দুর্গতির নাই কোন সীমা পরিসীমা।
এ প্রসঙ্গে সুনীল গঙ্গোপধ্যায়ের “না পাঠানো চিঠি” শীর্ষক কবিতাটির নির্বাচিত কিছু অংশ তুলে দিলাম নীচে ।

না পাঠানো চিঠি
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

মা, তুমি কেমন আছ?
আমার পোষা বেড়াল খুনচু সে কেমন আছে?
সে রাত্তিরে কার পাশে শোয়?
…………
তুলি কে আমার ডুরে শাড়িটা পর়তে বোলো।
আঁচলের ফেঁসোটা যেন সেলাই করে নেয়।
তুলি কে কত মেরেছি! আর কোনদিন মারবো না।
আমি ভালো আছি। আমার জন্য চিন্তা কোরো না
মা, তোমাদের ঘরের চালে নতুন খর দিয়েছো?
এবারে বৃষ্টি হয়েছে খুব
তরফদার বাবুদের পুকুরটা কি ভেসে গেছে?
কালু-ভুলুরা মাছ পেয়েছে কিছু?
……………..
আলি সাহেবের ভাই মিজান আমাকে খুব আদর করতো।
বাবা একদিন দেখতে পেয়ে চেলা কাঠ দিয়ে
পিটিয়েছিল আমাকে। আমার কি দোষ,
কেউ আদর করলে আমি না বলতে পারি?
আমার পিঠে এখনো সে দাগ আছে।
আলি সাহেবদের বাগানে আর কোনদিন যাইনি।
আমি আর কোনো বাগানেই যাই না
সেই দাগটায় হাত বুলিয়ে বাবার কথা মনে পড়ে।
বাবার জন্য আমার খুব কষ্ট হয়
আমি ভালো আছি, খুব ভালো আছি
বাবা যেনো আমার জন্য একটুও না ভাবে।
তুলি কি এখনো ভুতের ভয় পায়, মা?
…………………
হ্যাঁ, ভালো কথা, দাদা কোনো কাজ পেয়েছে?
নকুলবাবু যে বলেছিল, বহরমপুরে নিয়ে যাবে
দাদাকে বোলো আমি ওর উপরে রাগ করিনি
রাগ পুষে রাখলে মানুষের বড় কষ্ট
আমার শরীরে আর রাগ নেই,
আমি আর এক ফোঁটাও কাঁদি না
মা, আমি রোজ দোকানের খাবার খাই, পটল ভাজাও খাই
……………..
এই ভাদ্দর মাসে তাল পাকে ডিব ডিব করে তাল পড়ে।
বাড়ির তাল গাছ দুটো আছে তো?
কালু তালের বড়া বড় ভালবাসে, একদিন বানিয়ে দিও
তেলের খুব দাম জানি! তবু একদিন দিও।

আমাকে বিক্রি করে দিয়ে ছ-হাজার টাকা পেয়েছিলে
তা দিয়ে একটা গরু কেনা হয়েছে তো?
সেই গরুটা ভালো দুধ দেয়?

আমার মতন মেয়ের চেয়ে গরুও অনেক ভালো
গরুর দুধ বিক্রি করে সংসারের সুসার হয়
গরুর বাছুর হয়, তাতেও কত আনন্দ হয়!
বাড়িতে কন্যা সন্তান থাকলে কত জ্বালা!
দু’বেলা ভাত দাও রে, শাড়ি দাও রে,
বিয়ের জোগাড় করো রে|
হাবলু, মিজান, শ্রীধর দের থাবা থেকে
মেয়েকে বাঁচাও রে।
আমি কি বুঝি না? সব বুঝি|
কেন আমায় বিক্রি করে দিলে তাও তো বুঝি
সে জন্যই তো আমার কোনো রাগ নেই, অভিমান নেই।
আমি তো ভালোই আছি, খেয়ে পরে আছি।
তোমরা ওই টাকায় বাড়ি ঘর সারিয়ে নিও ঠিকঠাক।
কালু-ভুলু কে ইস্কুলে পাঠিও|
তুলিকে ব্রজেন ডাক্তারের ওষুধ খাইও।
তুমি একটা শাড়ি কিনো, বাবার জন্য একটা ধুতি
দাদার একটা ঘড়ির সখ, তা কি ও টাকায় কুলোবে?
আমি কিছু টাকা জমিয়েছি, সোনার দুল গড়িয়েছি।
একদিন কি হলো জানো মা?
………………..
একদিন‌‌‌...।
দুপুরবেলা চুপি চুপি বেরিয়ে ট্রেনে চেপে বসলাম
স্টেশনে নেমে দেখি একটা মাত্র সাইকেল রিক্শা!
খুব ইচ্ছে হলো একবার বাড়িটা দেখে আসি।
রথতলার মোড়ে আসতেই কারা যেন চেঁচিয়ে উঠলো-
কে যায়? কে যায়?
দেখি হাবুল-শ্রীধরদের সঙ্গে তাস খেলছে দাদা
আমাকে বললো, হারামজাদী, কেন ফিরে এসেছিস?
আমি ভয় পেয়ে বললাম,
ফিরে আসিনি গো, থাকতেও আসিনি
একবার শুধু দেখতে এসেছি
…………
আর একটা ছেলে, চিনি না,
বললো, ছি ছি ছি, গাঁয়ের বদনাম!
হাবুল রিকশাওয়ালা কে চোখ রাঙিয়ে বললো, ফিরে যা
আমি বললাম, দাদা, আমি মায়ের জন্য ক’টা টাকা এনেছি
আর তুলির জন্য…
দাদা টেনে একটা চড় কষালো আমার গালে।

আমাকে বিক্রির টাকা হকের টাকা
আর আমার রোজগারের টাকা নোংরা টাকা
দাদা সেই পাপের টাকা ছোঁবে না, ছিনিয়ে নিল শ্রীধর
আমাকে ও দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল।
আমি তবু দাদার ওপর রাগ করিনি
দাদা তো ঠিকই করেছে,
……………..
আমার টাকা নিলে তোমাদের সংসারের অকল্যাণ হবে
না, না আমি চাই তোমরা সবাই ভালো থাকো
গরুটা ভালো থাকুক, তালগাছ দুটো ভালো থাকুক
পুকুরে মাছ হোক, ক্ষেতে ধান হোক,
ঝিঙে মাচায় ফুল ফুটুক
আর কোনোদিন ঐ গ্রাম অপবিত্র করতে যাবো না
………………………….
আমি আর তোমার মেয়ে নই, তবু তুমি আমার মা
তোমার আরও ছেলেমেয়ে আছে
আমি আর মা পাবো কোথায়?
সেইজন্যই তোমাকে চিঠি লিখছি, মা
তোমার কাছে একটা খুব অনুরোধ আছে
তুলিকে একটু যত্ন করো, ও বেচারি বড় দুর্বল।
যতই অভাব হোক, তবু তুলিকে তোমরা…
তোমার পায়ে পড়ি মা, তুমি বাবাকে বুঝিয়ে বলো,
তুলিকেও যেন আমার মতন আরামের জীবনে না পাঠায়
যেমন করে হোক, তুলির একটা বিয়ে দিও|
ওর একটা নিজস্ব ঘর সংসার, একজন নিজের মানুষ।
আর যদি কোনোরকমই ওর বিয়ে দিতে না পারো?
ওকে বলো গলায় দড়ি দিয়ে মরতে
মরলে ও বেঁচে যাবে।
...................

আপনার পোষ্টের লেখা বেশ হয়েছে, তবে বেশী কঠোরতা দেখাতে গিয়ে নীজকে কিছুটা বিপদের মধ্যেই ফেলে দিয়েছিলেন বলে দেখা যায়। বিয়েটা না হওয়ায় পাত্রী কি খুশী হয়েছিল? না এটা আরো অনেক বেশী মনো কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেই নারীর জবানিতে জানাতে পারলে লেখাটি আরো জমে উঠতো । সামাজিক বাস্তবতা ও দায়বদ্ধতা দুটোই একসাথে যায়
বলে আমাদের জীবনের জটিলতা সহসা দুর হওয়ার নয় । তাই সকলের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হোক এ কামনাই করি ।

শুভেচ্ছা রইল

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৮

সোহানী বলেছেন: কবিতাটা একবার আবৃত্তি করেছিলাম ইউনি জীবনে থাকতে। আবারো পড়ে মন খারাপ হলো। মেয়েরা কত অসহায় তা ছোট্ট কয়টা লাইনেই চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয়। আর সে কারনে আমি জীবনভর মেয়েদের জন্য প্রতিবাদ করে গেছি। আমি কোন ক্ষমতাবান না, কিন্তু তারপর আমার এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

আপনার বিয়ের কথা শুনে খুব মজা পেয়েছি। এভাবে হুটহাট করে বিয়ে!!!

সত্য হলো, আপনার মতো মানসিকতা অনেকেই পোষন করে। উপরের মন্তব্যগুলো দেখেন সবাই এক বাক্যে স্বীকার করেছে যে এ কালচার তারা পছন্দ করে না। কিন্তু তারপরও অনেকে যেতে বাধ্য হয় পরিবারের চাপে। ছেলে একা কিছু করার সামর্থ্য রাখে না অনেকাংশে। আর তার বিপরীতে মেয়ে পক্ষ অনেকভাবেই নিজেদেরকে দূর্বল ভাবে। আর সে সুযোগটা নেয় ষোল আনা।

আমি অনেকভাবেই নিজেকে বিপদে ফেলেছি জীবনভর। সে কারনে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে বা হচ্ছে। তারপরও আমি একটুকুও দু:খিত নই। আমি যা করেছি বা করছি সেটার পিছনে কোন অসৎ উদ্দেশ্য কখনই ছিল না।

চমৎকার মন্তব্যে ভালোলাগা।

আপনার বই এর ডিটেইলস দিবেন। আমাজান এ কি পাওয়া যাবে? দেশ থেকে সংগ্রহ করা একটু কঠিন যদি দেশে না যাই। আর করোনা পরিস্থিতিতে আদৈা যেতে পারবো কিনা সন্দেহ।

আপনি কি টিকা নিয়েছেন? ভাবী বা আপনার মেয়েতো নিয়েছে নিশ্চয়। আমরা আম জনতা এপ্রিল নাগাদ পাবো বলে মনে হচ্ছে।

৬১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: লেখক বলেছেন: কয়ডা ছ্যাকা খাইসেন? আহারে!!!!!
ছ্যাকা খাই বা না খাই, কলঙ্ক সবসময় মেয়েদের।
আপনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছেন---আপনার এই অর্জন শুনে দুইদিন বেহুশ ছিলাম।তাই উত্তর দিতে দেরী হলো।বাংলাদেশে এরকম ৩০ লাখ শিক্ষিত বেকার আছে।কোনদিন জানি অড জব করা পাবলিকদের মতো বলে বসবেন, আপনি বিদেশে থাকেন,এইটাও আপনার অর্জন।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪১

সোহানী বলেছেন: আপনিতো মনে হয় এখনো বেহুশের মাঝেই আছেন!!!

৬২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১১

মিরোরডডল বলেছেন:



@ডঃ এম এ আলী

তাই ঘটা করে পাত্র পাত্রী দেখা আইন করে বন্ধ করে দেয়া হোক এটাই বাস্তবতার দাবী, এ সময়ের দাবী ।

সম্পূর্ণই সহমত । আলী ভাই, ইউ আর দ্যা বেস্ট !

এতো সুন্দর করে বিয়ের স্টোরিটা শেয়ার করেছেন, এটা নিয়ে একটা দারুণ ছোট গল্প বা নাটক হতে পারে ।
আর সুনীলের কবিতার কথা কি বলবো ? এক কথায় অসাধারণ !


২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০০

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ মিরোরডডল।

আলী ভাই এর বিয়ের স্টোরিটা গল্পের মতই। সত্যিই ছোট গল্প বা নাটক হতে পারে।

৬৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫০

মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: ভাল করেছেন আপু, আমি আপনার কজের তারীফ করি।
তবে মজার ব্যাপার হলো কনে দেখার কাজটি মেয়েরাই অধিক আগ্রহ নিয়ে করে থাকে।

শেষে আমি বলব আপনার এ গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট আমাদের ঘৃণ্য মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে যথেষ্ট সাহায্য করবে।
শুভেচ্ছা রইলো অবিরত।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৭

সোহানী বলেছেন: "কনে দেখার কাজটি মেয়েরাই অধিক আগ্রহ নিয়ে করে থাকে।"

আসলে এটা একটা কালচার, এক ধরনের প্রতিশোধ, বা অপসংস্কৃতি বলা যায়। তাই মেয়েরা এ ধারনা তেকে এখনো বের হবে পারেনি।

অনেক ধন্যবাদ মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন।

৬৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১০

অনল চৌধুরী বলেছেন: ব্লগার সোহানী এবং ব্লগার জাহিদুল ইসলাম ২৭ -দুইজনই এই ব্লগে আমার সবচেয়ে প্রিয়দের মধ্যে দুইজন এবং তারা বিজ্ঞ, বিচক্ষণ এবং উন্নত চিন্তাভাবনার ব্যাক্তি।
কিন্ত তাদের বিতর্কটা ভালো লাগছে না।
সত্য কথাটা হলো, একটা দেশ-জাতি বা সমাজে যখন নীতিহীন মানুষের সংখ্যা বেশী থাকে তখন নারী-পুরুষ সবাই সেটা সমানভাবে হয়। কোনো পক্ষকেই এককভাবে দোষ দেয়া যায় না। মেয়ে দেখতে গিয়ে আরেকটা মেয়েকে হেনস্থা করাতে কিন্ত ছেলে পক্ষের মহিলারাই বড় ভূমিকা রাখেন, যাতে সমর্থন দেন মেয়ে পক্ষের পুরুষ সদস্যরা।
সুতরাং এককভাবে কাউকেই দোষী বলা যাবে না।
আমার দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ থেকে আরেকটা সত্য উদঘাটন করেছি, সেটা হলে ছেলে ভালো হলে খারাপ মেয়ে পায় আর মেয়ে ভালো হলে পায় খারাপ ছেলে। ব্যাপারটা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সত্য।
একথাটা ছড়িয়ে দেয়ার পর এটা নিয়ে একটা গানও হয়েছে।
সুতরাং আমরা গান শুনি এবং নিজেদের পরিবারের সদস্যের সাথে বিতর্ক করা থেকে বিরত হই। ভালো ছেলেদের কপালে ভালো মেয়ে জোটে না

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৩

সোহানী বলেছেন: প্রথমত: ব্লগার জাহিদুল ইসলাম ২৭ সাহেবের ব্লগ পড়ে এবং মন্তব্য পড়ে আমার যা মনে হয়েছে, কোন কারনে মেয়েদের উপর উনার অনেক ক্ষোভ। সে ক্ষোভ হতে পারে ভালো কোন মেয়ের সন্ধান উনি এ জীবনে পাননি বা বলা যায় যাদের সাথেই উনি মিশেছেন সবই ছিল ন্বার্থপর। অবশ্য জানি না, উনার সাথে উনার মা বা বোনদের সম্পর্ক কেমন।

"আমার দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ থেকে আরেকটা সত্য উদঘাটন করেছি, সেটা হলে ছেলে ভালো হলে খারাপ মেয়ে পায় আর মেয়ে ভালো হলে পায় খারাপ ছেলে। ব্যাপারটা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সত্য।"

আমি আপনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে পারছি না। তবে আমার অভিজ্ঞতা হলো ভালো খারাপ আপেক্ষিক। যার যার নিজস্বতার উপর ডিপেন্ড করে।

৬৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি ঠিক কাজটিই করেছিলেন, তবে আরেকটু আগে করলে আরো ভাল হতো। যখন হাঁটতে বলা হয়েছিল, তখনই মেয়েকে হাঁটিয়ে ভেতরে নিয়ে আসা যেত।
"বরপক্ষের বাড়াবাড়িকে একটু সঠিক মূল্যায়ন করার জন্য আপনার মতো বারুদওয়ালা কেউ থাকা চাই" - মাঈনউদ্দিন মইনুল কে এমন একটা সঠিক মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। :)
আর সঠিক কাজটি করার জন্য আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন!
পোস্টে ভাল লাগা + +।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৩২

সোহানী বলেছেন: কেমন আছেন প্রিয় ব্লগার? নাতি-পুতি কি চলে গেছে? ভাবীর সাজানো ঘর আবার নিশ্চয় ঠিকঠাক আছে। বইমেলায় এবার আপনার কি কোন বই আসছে?

জীবনে অনেক কিছুই করার কথা মনে মনে ভাবি কিন্তু করতে পারি না। অদৃশ্য দড়িতে হাত পা বিবেক সম্পর্ক বাধাঁ থাকে যে...।

৬৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: নাতি-নাতনি ওদের মা সহ আমার এখানেই আছে। থাকবে আরো অনেক দিন। শুধু ওদের বাবা গতকাল ফিরে গেল, ও এখনো আকাশপথে। তাই সবার মন খারাপ। ওদের মা সরকারী প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা, উচ্চতর শিক্ষা সম্পন্ন করে কেবল ফিরে এলো। ওদের পুনরায় ফিরে যেতে তাই কিছুটা সময় লাগবে।
আমাদের নাতনিটা খুবই লক্ষী মেয়ে। ও সাজানো ঘরের কোন ব্যত্যয় করে না। তবে দুষ্টের শিরোমণি হচ্ছে এক বছরের নাতিটা। মুহূর্তের মধ্যে ঘরবাড়ী তছনছ করে ফেলার জন্য ও একাই যথেষ্ট। কোন একটা অপকর্ম করে ফেলে আমাদের দিকে তাকিয়ে থেকে দুষ্টুমির হাসি হাসে।
না, এবারের ভার্চুয়াল বই মেলায় আমার কোন বই প্রকাশিত হচ্ছে না।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৫৩

সোহানী বলেছেন: তারমানে খুবই ব্যাস্ততায় সময় কাটছে আপনাদের। দুষ্টের শিরোমণি কত প্রকার কি কি তা আমাদের বাসার পুঁচকাগুলোর কাহিনী শুনলেতো হাসবেন। বেচারা আপনাদের ব্যাস্ত রাখার গুরু দায়িত্ব পালন করছে। অপকর্ম করে দুষ্টুমির হাসিই তো সব অপরাধের ওষধ। আমার ছেলে মেয়ে দু'জনেই একাজ করতো। বড় করে চোখ পাকালেই এসে জড়িয়ে ধরতো। কোনভাবেই ছুটানো যেত না ওদের, ধমকতো দূরে থাক.....।

শুনে ভালো লাগলো শুনে যে ওদের মা সরকারী প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা, উচ্চতর শিক্ষা সম্পন্ন করে ফিরে এলো। আপনার অনেক ব্যাস্ততা তাহলে বেড়ে গেল।

এবারতো আপনার বই বের করার কথা কারন অনেক সময় পেয়েছেন লকডাউনে। বইমেলাতো শুনছি ফেব্রুয়ারী ১৫ থেকে শুরু হবে। বাকটিুকু সময়ই বলে দিবে।

৬৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৩

করুণাধারা বলেছেন: এই পোস্ট পড়ে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল- আমিও এমন ঘটনা ঘটতে দেখেছি কিন্তু কোন প্রতিবাদ করতে পারিনি কারন পাত্রী নিজেই পাত্রপক্ষের কথামত সব করছিল। ব্যাপারটা এমন ছিল, পাত্র পাত্রী দুজনে এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো, পাত্র সিনিয়র, দুজনে এক জায়গায় চাকরি করার সময় পাত্র তার পছন্দের কথা মেয়েকে জানায়। মেয়ে বাড়িতে প্রস্তাব পাঠাতে বলে। প্রস্তাব নিয়ে একদল মানুষ আসে পাত্র পক্ষ থেকে, ভুরিভোজ করে তারা পাত্রীর হাত পা চুল সব যাচাই করতে বসে।

আমার মনে হয় মেয়েটা অধিক শোকে পাথর হয়ে তাদের কথা মতো কাজ করেছিল। বিয়ের দুবছর পর হয়ত তার চেতনা ফেরে, সে ছেলেটাকে ডিভোর্স দেয়।

চমৎকার লেখা, ++++

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০০

সোহানী বলেছেন: আমার একই কথা, প্রথম দিনেই যে পরিবার একটি মেয়েকে সন্মান দিতে জানে না তাদের সাথে পুরো জীবন কাটানো কঠিন ব্যাপার। তারউপর পাত্র পাত্রী আগেই পরিচিত। সেখানে এ ধরনের বিহেব সম্পূর্ণভাবে অগ্রহনযোগ্য।

আসলে এটা যে অপমান একটি মেয়ের জন্য তা তারা বোঝেই না। সবচেয়ে খারাপ লাগে ওই ছেলেটির আচরন। তার কি একটু পার্সোনালিটি নেই? তার সামনে তার হবু বধূকে অপমান করে যাচ্ছে এক দঙ্গল লোক তা কি তার গায়ে লাগে না???

ধন্যবাদ আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.