| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এইতো সেদিন । গ্রাম্য এক গৃহবধু, যার স্বামী কিনা দূরে থাকে, অকপটে বলেই ফেলল, 'কত রাত কাটিয়ে দিয়েছি ফেসবুকে চ্যাট করে।' স্বামী বেচারার আদি যুগের মানসিকতা। ফেসকুকীয় সমাজের সাথে তার যোগাযোগ নাই। স্ত্রী তো দিব্যি চলছে।
নারীবাদী কিংবা সুশীল সমাজ নিশ্চয় বলবেন এটা তার স্বাধীনতা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তাকে মুক্তি দিয়েছে। সাধারণ সমাজ বলবে 'পরকীয়া'। আধিপত্যকামী পুরুষত্ববাদ উপাধি দিবে চরিত্রহীনা। সব 'বাদ' বাদ দিয়ে প্রসঙ্গে আসা যাক।
একবন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, বিয়ের পরদিন যদি দেখিস তোর বউ তোকে গুরুত্ব না দিয়ে বসে বসে চ্যাট করছে... কথা শেষ করতে না দিয়েই বলল, 'তালাক। এই বউ আমার দরকার নাই।' আরেক নারীর অভিযোগ শুনেছি, তার স্বামী নাকি নতুন করে 'মোবাইল প্রেম' শুরু করেছে। তাই সে স্বামীকে তালাক দিতে চায়। তাদের ফুটফুটে দুটো বাচ্চাও আছে। এই শিশুদের মায়াও তুচ্ছ হয়ে গেল পরকীয়ার কাছে। এসব ঘটনা আজকাল অহরহ হচ্ছে।
দোষটা কাকে দিবেন? ফেসবুক, মোবাইল, প্রযুক্তি? ইংরেজদের সময়ে মুসলমানদের ইংরেজি শেখা হারাম ফতোয়া দেওয়া আলেমরা বেঁচে থাকলে ফেসবুক, মোবাইলসহ তথ্য প্রযুক্তি হারামের সিল পেয়ে যেত কত আগেই। ভাগ্যিস, তারা বেচে নেই।
সত্যিকার ব্যাপারটা ইয়াবার মত, যার আবিষ্কার এবং ব্যবহার যোদ্ধাদের নির্ঘুম রাখতে। কিন্তু মাঝপথে নেশারও যোগান হয়েছে। যোগাযোগ মাধ্যম, হোক সেটা সামাজিক অথবা অসামাজিক, তার প্রয়োজনেই তার আবিষ্কার। ইয়াবার মত যদি এটিও এখন নেশার যোগান হয় তার দায় তো প্রযুক্তির না।
আসলে আমরা সুযোগের অভাবে সাধু। গন্ডি ছেড়ে হঠাৎ মুক্তাঙ্গনে উপযুক্ত ও অনুকূল পরিবেশ পেলেই ঘটে পরকীয়ার বিক্রিয়া। সেদিন কোন এক নব্য গবেষক বলেছেন, ৭৫ শতাংশ পরকীয়া হয় সঙ্গীর অবহেলার কারণে। ২০ শতাংশ হয় লুচ্চামি স্বভাবের (উপযুক্ত আর কোন শব্দ পাওয়া যায়নি) কারণে। আর ৫ শতাংশ ভিন্ন কোন যৌক্তিক কারণে। কতটুকু সত্য বা মিথ্যা তার বিচারের ভার তুলে দিলাম পাঠকের উপর।
প্রত্যেক বিষয়েরই একটি চূড়ান্ত পর্যায় থাকে। বিশ্বায়ন মানুষকে স্বাধীনতর করে তুলেছে। স্যাটেলাইট, টেলিকমিউনিকশন, ইন্টারনেট আজ 'আকাশ সভ্যতা' আর 'মাটির সভ্যতাকে' একাকার করে এক জগাখিচূড়ী তৈরী করতে চলেছে। পরকীয়ার কারনেই হোক কিংবা ভারতীয় চ্যানেলে শেখানো পারিবারিক কূটনীতির কারনেই হোক বদলে যাচ্ছে পরিবারের স্থিতিশিলতার সংস্কৃতি। ভাঙ্গা গড়ার ইতিহাস হয়ে যাচ্ছে সচরাচর। ভাবতেই অবাক লাগে, অ স্থি তি শীল পশ্চিমা সংস্কৃতির দিকেই আগাচ্ছি আমরা। সুশীল ভদ্রজনেরা হয়ত তাকে উদার সমাজ বলবে। আপনার প্রিয়তম/প্রিয়তমা যখন আপনার সামনেই অবাধে গভীর মায়ার পারিবারিক কাঠামো ভাঙ্গবে তখনি টের পাবেন কতটা উদার! চূড়ান্ত সুখ কী?
ইসলামে নাকি 'বেগানা' এর দিকে অহেতুক দৃষ্টিপাত ও অপ্রয়োজনীয় কথা হারাম করেছে। আজ আর তা কট্টরপন্থা মনে হয় না |
-বেলাল মুনতাসির, ১৫/০৭/২০১৬ 
২|
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬
বেলাল মুনতাসির বলেছেন: দারুন বলেছেন
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪২
সৈয়দ আবুল ফারাহ্ বলেছেন: যৌন স্বাস্থ্য ও প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা মানুষকে সঠিক পথে আনতে পারে/রাখতে পারে।