![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চলচ্চিত্র নির্মাণ করছি, চলচ্চিত্র বিষয়ক লেখালেখি করছি, চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রকাশনার সম্পাদনা করছি এবং চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রতিনিধিত্বশীল একটি সংগঠনের কর্মী। আগ্রহের ক্ষেত্রটি মূলত সামগ্রিক চলচ্চিত্র-সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করার, সেটাই করার চেষ্টা করছি।
নতুন চলচ্চিত্র, নতুন নির্মাতা
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকারদের নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য, পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের বছরব্যাপি প্রতিযোগিতামূলক উৎসব
এপ্রিল ২০১৫ থেকে এপ্রিল ২০১৬
সুপ্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা,
আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনাদের ব্যস্ততার মাঝেও আজকের এই উপস্থিতির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিগত চার বছরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ যৌথ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী এবং ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি যৌথভাবে ‘নতুন চলচ্চিত্র, নতুন নির্মাতা’ শিরোনামে বছরব্যাপি চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। ‘নতুন চলচ্চিত্র, নতুন নির্মাতা’ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকারদের নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য, পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের বছরব্যাপি প্রতিযোগিতামূলক উৎসব। উৎসবটি এপ্রিল ২০১৫ থেকে এপ্রিল ২০১৬ পর্যন্ত চলবে। উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এপ্রিল ২০১৫ এর শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে এবং সমাপনী অনুষ্ঠান এপ্রিল ২০১৬ এর শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে বছরব্যাপি বাছাইকৃত ও প্রদর্শিত চলচ্চিত্রসমূহের মধ্য থেকে তিনটি বিভাগে ৩ জন নির্মাতাকে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হবে। আমরা আমাদের প্রয়াত তিনজন গুণী চলচ্চিত্রকারের নামে এই তিনটি পুরস্কার প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র বিভাগে ‘জহির রায়হান শ্রেষ্ঠ কাহিনীচিত্র পুরস্কার’, প্রামাণ্যচলচ্চিত্র বিভাগে ‘আলমগীর কবির শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র পুরস্কার’ এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য কাহিনী, নিরীক্ষা এবং এনিমেটেড চলচ্চিত্র বিভাগে ‘বাদল রহমান শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার’ প্রদান করা হবে।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচনে সাত সদস্য বিশিষ্ট জুরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জুরি কমিটির সম্মানীত প্রধান অগ্রজ চলচ্চিত্রকার ও চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী। জুরি কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম, নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী, চলচ্চিত্র গবেষক ও অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, চলচ্চিত্র নির্মাতা সামির আহমেদ, চলচ্চিত্র গবেষক ও অধ্যাপক সাবরিনা সুলতানা চেীধুরী এবং শিল্পী সব্যসাচী হাজরা।
বন্ধুরা,
‘নতুন চলচ্চিত্র, নতুন নির্মাতা’ একটি কার্যকর এবং প্রয়োজনীয় কর্মসূচি। যা বাংলাদেশের তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নতুন চলচ্চিত্রকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরবে। এই কর্মসূচি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে তাদের সৃজনশীল কর্মপ্রয়াস দর্শকদের সামনে নিয়মিত তুলে ধরার একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে উঠবে। বছরব্যাপি এই উৎসবে নতুন নতুন চলচ্চিত্র নির্মাতা তৈরি হবে এবং তাদের সামাজিক পরিচিতি গড়ে উঠবে। একজন ‘সৃজনশীল মেধাবী তরুণ নির্মাতা’ এই সামাজিক পরিচিতি জাতীয় চলচ্চিত্র-সংস্কৃতির পরিসরে তরুণের টিকে থাকার জমিন তৈরি করবে।
প্রতি মাসের সূচিতে থাকবে নতুন চলচ্চিত্র; যা বিষয়বৈচিত্র এবং নিরীক্ষায় ঋদ্ধ হবে বলে আমরা মনে করি। নিয়মিত নতুন নির্মাতার নতুন নতুন কাজ দেখতে পারার এবং তাদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে দায়বদ্ধ রুচিশীল দর্শক তৈরি হবে; যা আমাদের নিজস্ব চলচ্চিত্র সংস্কৃতির বিকাশে খুব বেশি প্রয়োজন। এই কর্মসূচিতে নতুন নির্মাতা তার চলচ্চিত্র নিয়ে যেমন অংশগ্রহণ করবেন ঠিক তেমনি অগ্রজ নির্মাতাও তাঁর নির্মিত নতুন চলচ্চিত্র নিয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
আমরা বলতে চাই দেশের যে কোনো প্রান্তের; যে কোনো বয়সের চলচ্চিত্র নির্মাতা, যে কোনো ফর্ম্যাটে নির্মিত চলচ্চিত্র নিয়ে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য, কাহিনী ও প্রামাণ্য, নিরীক্ষা ও এনিমেটেড সব ধরণের চলচ্চিত্রের জন্য দ্বার উন্মুক্ত থাকবে। একজন নির্মাতা একাধিক চলচ্চিত্র এই কর্মসূচিতে জমা দিতে পারবেন। তবে এক মাসে একটির বেশি নয়।
বছরব্যাপি উৎসবের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন মাসুদ সুমন, অদ্রি হৃদয়েশ, হুমায়ুন কবির শুভ এবং তারেক আহমেদ।
উৎসব বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্য
১। ‘নতুন চলচ্চিত্র, নতুন নির্মাতা’ কর্মসূচিটি বাংলাদেশের নবীন চলচ্চিত্রকারদের নির্মিত চলচ্চিত্রের নিয়মিত প্রদর্শনী, দর্শক-নির্মাতা মতবিনিময় এবং বছরব্যাপি প্রদর্শিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য থেকে সেরা ৩ জন নির্মাতা বাছাইয়ের প্রতিযোগিতামূলক উৎসব।
২। বছর শেষে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে সেরা ৩ জন নির্মাতাকে পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র বিভাগে ‘জহির রায়হান শ্রেষ্ঠ কাহিনীচিত্র পুরস্কার’, প্রামাণ্যচলচ্চিত্র বিভাগে ‘আলমগীর কবির শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র পুরস্কার’ এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য কাহিনী, নিরীক্ষা এবং এনিমেটেড চলচ্চিত্র বিভাগে ‘বাদল রহমান শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার’ ও সম্মাননা প্রদান করা হবে।
৩। সারাবছরে প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত চলচ্চিত্রের সকল নির্মাতাকে সম্মাননা সনদ প্রদান করা হবে।
৪। ৭ সদস্যের জুরি কমিটি এবং আয়োজক সংগঠন প্রতি মাসে জমা হওয়া চলচ্চিত্র থেকে প্রদর্শনীর জন্য চলচ্চিত্র বাছাই করবেন এবং সারাবছর ধরে প্রদর্শিত চলচ্চিত্রগুলো থেকে সেরা নির্মাতা নির্বাচিত করবেন।
৫। বাংলাদেশের যে কোনো চলচ্চিত্র নির্মাতা তাঁর সাম্প্রতিক নির্মিত চলচ্চিত্র নিয়ে এই উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। একজন নির্মাতা একাধিক চলচ্চিত্র জমা দিতে পারবেন।
৬। জমাকৃত চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে বাছাইকৃত চলচ্চিত্র প্রতি মাসের প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচন করা হবে।
৭। প্রতি মাসের শেষ শুক্রবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বিকাল ৩টা, বিকাল ৫টা এবং সন্ধ্যা ৭টায় ন্যুনতম দর্শনীর বিনিময়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
৮। প্রদর্শনী শেষে দর্শনীর টাকা নির্মাতাদের হাতে তুলে দেয়া হবে।
চলচ্চিত্র জমা দেয়ার নিয়মাবলি
১। যে কোনো ফর্ম্যাটে নির্মিত চলচ্চিত্র এই উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
২। প্রতি মাসের ১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে চলচ্চিত্রের দুটি ডিভিডি কপি জমা দিতে হবে।
৩। চলচ্চিত্র জমা দেয়ার নিবন্ধন ফরম নিম্নোক্ত ঠিকানা অথবা িি.িসড়ারুধহধভরষসংড়পরবঃু.ড়ৎম থেকে সংগ্রহ করে স্বহস্তে পূরণ করে জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য, নিবন্ধন ফরম সংগ্রহ ও জমাদানের জন্য যোগাযোগ করুন:
(বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত)
কক্ষ নং ৭০১, (লিফটের ৬), জাতীয় নাট্যশালা, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০।
ফোন: ০১৯৭১ ১০১১০৬, ০১৬৭ ৫৬৪২৭৭৭, ০১৯১২ ২৩১৭৮৫।
সহযোদ্ধা বন্ধুরা,
‘নতুন চলচ্চিত্র, নতুন নির্মাতা’ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র-সংস্কৃতিতে নতুন একটি মাত্রার সংযোজন। বাংলাদেশের তরুণ চলচ্চিত্রকাররাই আগামী দিনের খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্রকার হওয়ার যাত্রায় শামিল আছে। কিন্তু এই তরুণদের সামান্য অল্প কয়েক জনই শেষ পর্যন্ত চলচ্চিত্রের বৃহত্তর পরিসরে টিকে থাকতে পারে। আমরা যদি বাংলাদেশের তরুণদের নির্মিত চলচ্চিত্র নিয়ে বৃহত্তর দর্শকের সামনে বড় পর্দায় তাদের উপস্থিতি নিয়মিত করতে না পারি; তাহলে তারা কীভাবে তাদের সৃষ্টিশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে? মানুষ কেমন করে জানবে তরুণদের সৃজনীপ্রতিভা? যা দুই বছরে ‘দুটি-একটি’ উৎসবে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন দিয়ে সম্ভব নয়। প্রয়োজন নিয়মিত এবং আন্তরিক কর্মপ্রয়াস। আমরা আশা করছি, সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় বছরব্যাপি এই আয়োজন সফল হবে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রসংস্কৃতিতে নতুন প্রবাহের সঞ্চালন হবে।
অতীত সময়ের মতই আপনাদের সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
সকলে ভালো থাকবেন।
শুভ কামনায়।
বেলায়াত হোসেন মামুন
উৎসব পরিচালক ও
সভাপতি, ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি
৪ এপ্রিল ২০১৫, শনিবার
©somewhere in net ltd.