নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ত্যজ বাঙালী, আতরাফ মুসলমান ...

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ

ইমন জুবায়ের

জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]

ইমন জুবায়ের › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামদানি শাড়ি: সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:২৬





আমাদের কারও কারও এমনও মনে হতে পারে যে- ভালো মানের জামদানি শাড়ি কেবলমাত্র টাঙ্গাইলেই তৈরি হয় আর এর উদ্ভব বড় জোড় বৃটিশ আমলে। নাঃ। জামদানি শাড়ির শিকড়টি আরও পুরনো-সেই খ্রিস্টপূর্ব যুগেই প্রোথিত হয়েছিল। কেননা, জামদানি নকশার প্রচলন ও মসলিন কাপড়ের বিকাশ পাশাপাশিই শুরু হয়েছিল। নকশি কাঁথার মতোই আজ জামদানি শাড়ি বাংলার অনিবার্য সংস্কৃতির প্রতীক হয়ে উঠলেও- এটি ঠিক নকশি কাঁথার মতন একান্ত দেশিও নয়, বরং মুগল-পারসিক ঐতিহ্যের এক সুন্দর নান্দনিক উত্তারাধিকার।



একটা সময় ছিল। যখন আমি ভাবতাম যে শাড়ি একান্ত ভাবেই বাঙালি নারীর বসন, অর্থাৎ বাংলার; যে কারণে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কোনও নারীকে শাড়ি পরা নারী দেখলে সামান্য গর্ব বোধ করে ভাবতাম যে -অন্যরা আমাদের দেশের পোশাকটি পড়ছে। আসলে আমার ধারনা ঠিক ছিল না। আসলে সেই খ্রিস্টপূর্ব যুগ থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশে নারীদের শাড়ি পরার প্রচলন ছিল। যদিও নাম ও পরার ধরন ছিল অন্যরকম এবং সেই প্রাচীন কাল থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের একেক অঞ্চলের নারীরা একেকভাবে শাড়ি পরে আসছেন।

পন্ডিতদের মতে-প্রাকৃত ভাষার ‘সাট্টিকা’ শব্দ থেকে শাড়ি শব্দের উদ্ভব। আদি বৌদ্ধ ও জৈন সাহিত্যে ‘সাট্টিকা’ শব্দটি পাওয়া যায়। প্রাচীন সিন্ধুসভ্যতার অধিবাসীদের পোশাকের যে বর্ননা পাওয়া যায়-তা অনেকটা শাড়ির মতোই, বিশেষ করে পুরোহিতদের পরিধেয় বসনের বর্ননা থেকে আমাদের সেরকমই মনে হয় । দক্ষিণ ভারতের ক্ষেত্রেও ঐ একই কথাই প্রযোজ্য। দক্ষিণ ভারতে প্রাপ্ত প্রাচীন লেখনীতে শাড়ির মতন বস্ত্রের কথা উল্লেখ রয়েছে। প্রাচীন ভারতের একজন অন্যতম বিদগ্ধ মানুষ ছিলেন ভরত। তিনি 'নাট্যশাস্ত্র' নামে একখানা বই লিখেছিলেন । সে বইতেও এক ধরনের দীর্ঘ সূক্ষ্মবস্ত্রের কথা রয়েছে যা আমাদের শাড়ির কথাই মনে করিয়ে দেয়।

প্রাচীনবঙ্গেও নারীর পোশাক ছিল বর্তমান কালের শাড়ির অনুরুপ। অর্থাৎ, সেলাইবিহীন দীর্ঘ বস্ত্র খন্ড। কালে কালে অবশ্য শাড়ি পরার ধরন বদলেছে-যা স্বাভাবিক। শাড়ি নিয়ে গবেষনা করেছেন বিশিষ্ট ফরাসী নৃতাত্ত্বিক চানতাল বোউলানঞ্জার। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে শাড়ি পরার ধরনকে কয়েক ভাগে ভাগ করেছেন। এর মধ্যে অতি অবশ্যই বাঙালি নারীর শাড়ি পরার ঢংটিও রয়েছে। এবং কে না জানে- বাংলার সংস্কৃতির ইতিহাসে কোলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির অবদান কত গভীর। সে বাড়ির মেয়েরাই উনিশ শতকে শাড়ি পরার একটি ঢং ঠিক করে দিয়েছিল। সম্ভবত কোলকাতার উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রোণিই সেটির অনুসরণ করেছিল। গ্রামের চিত্র সম্ভবত অন্যরকম ছিল। আমি পূর্ব বাংলার গ্রামের কথা বলছি। এখন যেমন দেখছি -গ্রামের মেয়েদের শাড়ি পরার স্টাইলটি তখনও প্রায় এমনই ছিল বলেই অনুমান করি। গ্রামীন নারীর শাড়িতে সবুজ রঙের আধিক্যের কি কারণ? যা বাংলার বিস্ময়কর সবুজ প্রকৃতিরই সহজ প্রতিফলন-যা পরিশেষে আমাদের জাতীয় পতাকার রং হয়ে উঠেছে।

যা হোক। শাড়ি বাংলার একান্ত নয় ভেবে সামান্য বিষন্ন হয়েছিলাম। তবে জামদানি শাড়ির ইতিবৃত্তটি জেনে আবার উৎফুল্ল হয়ে উঠি। কেননা, ভারতীয় উপমহাদেশে যত রকম শাড়ি তৈরি হয় তার মধ্যে জামদানি তার বুনন ও সৌন্দর্যর জন্য বিশিষ্ট। আমার কেন যেন মনে হয়, বাংলাদেশের বাইরে এমন তাৎপর্যময়ভাবে আর কোনও পরিধেয় বস্ত্র সম্ভবত বিকাশ লাভ করেনি। নকশি কাঁথার মতোই জামদানি শাড়ি আজ বাংলার সংস্কৃতির অনিবার্য প্রতীক হয়ে উঠলেও- এটি ঠিক নকশি কাঁথার মতন একান্ত দেশিও নয়, রহস্য এখানেই, এটি বরং মুগল-পারসিক ঐতিহ্যের এক সুন্দর নান্দনিক উত্তারাধিকার। পারস্য কিংবা উত্তরভারতে জামদানির উদ্ভব সম্ভব ছিল না। রহস্য এখানেও।







বাংলার মাটির এমনই গুণ। যে কারণে জনৈক ইতিহাসবিদ লিখেছেন- “ফুটি তুলো দিয়ে চমৎকার মসলিন তৈরি হত। ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে ফুটি তুলোর গাছ জন্মাত। অন্য আরও দু-ধরনের তুলাকে বলা হত-বৈরাইট এবং দিশি । এগুলো অত জাতের ছিল না-ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় জন্মাত। এগুলি দিয়ে ইষৎ নিচু মানের কাপাড় তৈরি হত।”

কাজেই মসলিন হল বাংলার মাটিরই গুণ।

এবং, জামদানি আর মসলিনের সম্পর্ক ঘনিষ্ট।

জামদানি শাড়ির ইতিবৃত্ত নিয়ে অল্পবিস্তর পড়ে মনে হল -আজকাল আমরা জামদানি বলতে যা বুঝি তার প্রাথমিক বিকাশ হয়েছিল সেই খ্রিস্টপূর্ব যুগেই যেহেতু জামদানি আর মসলিনের সম্পর্ক ঘনিষ্ট আর মসলিনের ইতিহাস সেরকমই পুরনো। প্রাচীন ভারতের চিন্তাবিদ কৌটিল্য ‘অর্থশাস্ত্র’ নামে একটি বই লিখেছিলেন। সে বইয়ে প্রাচীন বঙ্গ ও পুন্ড্রে (বর্তমান বগুড়া) এক ধরনের মিহিন কাপড়ের কারখানার কথা উল্লেখ করেছেন কৌটিল্য। পেরিপ্লাস শব্দটি গ্রিক। এর মানে: ‘সমুদ্রের বুকে পাল তুলে ভেসে বেড়ানো।’ পেরিপ্লাস আসলে নৌপথে বানিজ্যিক বিবরণ। খ্রিস্টীয় প্রথম শতকে রচিত হয়েছিল: “পেরিপ্লাস অভ দ্য ইরিথ্রিয়ান সি” নামে একটি গ্রন্থ। সে গ্রন্থেও বঙ্গের মিহিনবস্ত্রের কথা রয়েছে। তা ছাড়া আরব, চিন ও ইটালিয় পর্যটকর ও ব্যবসায়ীদের বৃত্তান্তেও বঙ্গের সূক্ষ কাপড়ের কথা বারবার উল্লেখিত হয়েছে। যা থেকে বোঝা যায় প্রাচীন কাল থেকেই বাংলার সূক্ষ্ম মিহিবস্ত্র সমাদৃত হয়ে আসছিল।

জানা যায় যে-সেই সময়ে পুন্ড্র ও বঙ্গে চার ধরনের বস্ত্রের প্রচলন ছিল: ক্ষৌম, দুকুল, পত্রোর্ণ ও কার্পাসী। দুকুল নামের কাপড়ের বিবর্তনই মসলিন। এবং জামদানি নকশার প্রচলন ও মসলিনের বিকাশ পাশাপাশি শুরু হয়েছিল। অবশ্য আরও পরে। মুসলিম আমলে।











চর্তুদশ শতকে ইবনে বতুতা সোনারগাঁয়ে সুতিবস্ত্রের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তখন বাংলায় মুসলিম আমল। মুসলমানরা বাংলায় এসে অনেক কিছুই বদলে দিচ্ছিল। বদলে যাচ্ছিল বাঙালি জীবন যাপনের ধারা। অনিবার্যভাবেই পরিধেয় পোশাকেও সে দিন বদলের ছাপ পড়েছিল। বাঙালির ফতুয়া দীর্ঘায়িত হয়ে- হয়ে উঠছিল পাঞ্জাবি। শাড়ির পাশাপাশি উচ্চবিত্ত নারীরা পরছেন সালোয়ার-কামিজ।

যাক। জামদানি শাড়ির প্রকৃত অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছিল মধ্যযুগের মুসলিম আমলেই। জামদানি শাড়ি আসলে পারস্য ও মুগল -এই দুটি মিশ্র সংস্কৃতির ফসল। যার রসদ যুগিয়েছিল বাংলার উর্বর মাটি।

জামদানি বলতে এখন শাড়ি বোঝালেও সে সময়টায় অর্থাৎ মুসলিম আমলে জামদানি বলতে স্কার্ফ ও রুমালও বোঝাত। জামদানির ব্যবসা মুসলমানরাই করেছেন। দীর্ঘদিন-এবং একচেটিয়াভাবে।







এখন তাহলে 'জামদানি' শব্দটির মানে বোঝার চেষ্টা করা যাক।

একটি সূত্রমতে- ফারসি 'জামা' শব্দের মানে কাপড়। আর, 'দানা' অর্থ বুটি। সব মিলিয়ে জামদানি মানে

বুটিদার কাপড়।

অবশ্য, আরেকটি মত অনুযায়ী-জামদানি শব্দটির উদ্ভব পারসিক শব্দ থেকে। জাম, মানে ফুল। আর দানি মানে ফুল রাখার পাত্র বা ফুলদানি।







কোনওই সন্দেহ নেই যে-পূর্ববাংলায় জামদানি শাড়ির উৎকর্ষতা তুঙ্গে উঠেছিল মুগল আমলেই। মিহিন কাপড়ের ওপরের চমৎকার নকশাগুলি ছিল আসলে মুগল-পারসিক শিল্পরীতিরই প্রভাব। জামদানির উদ্ভব ও বিকাশ হয়েছিল ঢাকা জেলার আশেপাশেই।

গবেষক ফোরবেস ওয়াটসন, ‘টেক্সটাইল মেনুফ্যাকচারাস্ অ্যান্ড কসটিউমস অভ দ্য পিপল অভ ইন্ডিয়া’ নামে একটি বই লিখেছিলেন। সে বইয়ে ওয়াটসন লিখেছেন,‘নকশাদার মসলিন, জটিল ছাপচিত্রের কারণে, ঢাকার বস্ত্রপন্যের মধ্যে সবচে দামী ছিল।’ তখন ঢাকার জেলায় এমন কোনও গ্রাম ছিল না যে গ্রামে একটিও তাঁত ছিল না । গ্রামের তাঁতীরা ইউরোপ, ইরান, আর্মেনিয়া আর মুগল-পাঠান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ব্যবসা করত । মুগল সম্রাট, বাংলার নবাবরা ও অন্যান্য অভিজাতরা এজেন্ট নিয়োগ করতেন এসব ঢাকাই মসলিন ও জামদানি পন্য কেনার জন্য। মুগল শাসনের সময় থেকেই ঢাকার মসলিনের স্বর্ণযুগ সূচিত হয়। তারপর থেকে দেশে-বিদেশে জামদানি ও মসলিনের চাহিদা বেড়ে যায়। এভাবে মসলিন ও জামদানি নির্মাতার উন্নতি হয়।’

ঢাকা সোনার গাঁও, ধামরাই, বাজিতপুর ছিল জামদানি ও মসলিন কাপড়ের জন্য বিখ্যাত।

কিন্তু, ঠিক কখন জামদানির ওপর আমরা এখন যে রকম দেখি সেরকম ফুল ফুল নকশা তোলার কাজ শুরু হল?

ঠিক জানা যায় না।

তবে, অনেকেরই অনুমান-বাদশা জাহাঙ্গীরের সময় থেকেই ফুলের মসলিনের প্রচলন আরম্ভ হয়েছিল। আমরা জানি, ১৬০৮ সালের পর থেকে বাদশা জাহাঙ্গীরের মৃত্যুকাল অবধি ঢাকার নাম ছিল জাহাঙ্গীরনগর। জাহাঙ্গীরনগর তখন সুবা বাংলার রাজধানী। হ্যাঁ। তখন একটা বিরাট পরিবর্তন ঘটার সম্ভাবনা ছিল।







জামদানির রং ও বুনন ও নকশা অবশ্যই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছে। যেমন, ১৯৬০এর দশকে নাকি লাল জামদানি জনপ্রিয় হয়েছিল। জামদানি নকশার প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে এর জ্যামিতিক অলঙ্করণ। নকশা কাগজে আঁকা হত না। দক্ষ কারিগর স্মৃতি থেকে নকশা আঁকেন...যাক। সে সব অবশ্য ইতিহাসের বিষয় নয়-কারিগরি দিক। সে সব দক্ষতা- নৈপুন্য নিয়ে আলাদা করে লিখব না-হয়।



দ্বিতীয় পর্ব







স্কুলের পড়ার দিনগুলির কথা ভাবি। মা তখনও বেঁচে এবং শোওয়া ঘরে পুরনো আলমারিটা খোলার সময় বিচ্ছিরি শব্দ হত। ছুটির দিনে মা আলমারি খুলে শাড়িগুলি বিছানার ওপর ছড়িয়ে দিত। আমি মোড়ার ওপর বসে। বোনেরা পা গুটিয়ে বিছানার ওপর। শাড়ির ওপর লোভী চোখ- কে কোন্ টা নেবে। বিয়ের আগেই আমার চারবোন একটি করে ট্রাঙ্ক তাদের বিছানার নিচে রেখেছিল। ট্রাঙ্কের ভিতরে অন্যান্য জিনিসপত্রের সঙ্গে ছিল বে ক’টি শাড়ি। তার মধ্যে জামদানিও ছিল গোটা কয়েক।

ঘরে ন্যাপথলিনের গন্ধ। আমার চোখও রোদ ও শাড়ির ওপর। কত ধরনের শাড়ি- বেগনি জর্জেট, নীল রঙের কাতান, লালপেড়ে গরদ। অল্প বয়েসেই আমি অন্য শাড়ির সঙ্গে জামদানির পার্থক্য বুঝে গেছিলাম। জামদানির হাতে বোনা অপরুপ জ্যামিতিক নকশা তখনই আমার চোখ কেড়েছিল। তখনই বুঝে গেছিলাম যে-আলমারি ভরতি অন্য শাড়ি থাকলেও মেয়েরা জামদানিকেই বিশেষ এক ‘ট্রেজার’ মনে করে। আমার মা, বোনেরাও।







আমার মেজো বোন দেখতে শ্যামলা; চশমা পরা, কিছুটা গম্ভীর। ঢাকার একটা মেয়েদের কলেজে সাইকোলজি পড়ায়। তখনকার দিনে আমার মেজ বোন বেগনি রঙের একটা জামদানি পড়ত বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে কিংবা কোনও বিশেষ ফাংশানে। (আমরা তখন ফাংশান শব্দটি ব্যবহার করতাম।) আমি লেখক হয়ে উঠব বলেই সে সময় লক্ষ না করে পারিনি যে - বেগনি রঙের জামদানি শাড়ি পরা আমার মেজ বোনের মুখে কেমন এক গভীর তৃপ্তি, এবং অনেক অনেক গভীর সন্তুষ্টি।







বছর সাতেক আগে শান্ত্বনার (আমার মেজ বোনের নাম) একটি মেয়ে হয়েছে। ফাইরুজ। ক্লাস টুয়ে পড়ে। ফাইরুজ কলেজে উঠলে ওকে আমি একটা জামদানি শাড়ি কিনে দেব। বেগনি রঙের। আমি এক সময় জামদানি শাড়িটির ইতিহাস মোটেও জানতাম না। এখন সামান্য জেনেছি। কাজেই আমি ফাইরুজকে আমি একটা বেগনি রঙের জামদানি শাড়ি কিনে দেব। তার কারণ আছে।







আমার বোনেরা সালোয়ার- কামিজ ছাড়া কখনও শার্ট-প্যান্ট কখনও পরেনি; আমাদের মা লিবারেল ছিলেন-তার পরও আমার বোনেরা কখনও শার্ট-প্যান্ট পড়েনি। আমি জানি ফাইরুজরা পরবে। পড়ুক-তাতে ক্ষতি কি। সমাজের বিবর্তন হয়। মুসলমানরা বাংলায় আসার পর বাঙালির পরিধেয় পোশাকেরও পরিবর্তন হয়েছিল। বাঙালির ফতুয়া দীর্ঘায়িত হয়ে- হয়ে উঠছিল পাঞ্জাবি। শাড়ির পাশাপাশি উচ্চবিত্ত নারীরা পরছেন সালোয়ার-কামিজ। এখন তো শার্ট-প্যান্ট অনেকেই পড়ছে ।











তখন বলছিলাম- ফাইরুজ কলেজে উঠলে ওকে আমি একটা জামদানি শাড়ি কিনে দেব। বেগনি রঙের। কেননা, আমি জামদানির ইতিহাস জেনেছি বলেই আমার কাছে জামদানি পারস্য, মুগল ও বাঙালি সংস্কৃতির মিলনের প্রতীক। মিলনই তো ভালোবাসা। নয় কি? এরকম নিবিড় মিশ্রন এককালে বাংলার সজল মাটিতে সম্ভবপর হয়েছিল ভেবে আমি কেমন অন্যমনস্ক হয়ে যাই। মানবসভ্যতার দুটি গুরুত্বপূর্ন সংস্কৃতিকে ধারন করে বাংলা নিজেকে এক অপরুপ সূক্ষ্ম সৌন্দর্যর কাছাকাছি নিয়ে গেছে। আমার কানে ভাসে: “ফুটি তুলো দিয়ে চমৎকার মসলিন তৈরি হত। ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে ফুটি তুলোর গাছ জন্মাত।”

এসমস্ত ভেবেই আমি কেমন যেন অভিভূত হয়ে যাই। সেই সঙ্গে আমার এও মনে হয় যে ফাইরুজরা হয়তো একসময় বিদেশে চলে যাবে। তা যাক। কিন্তু, তারপরও ফাইরুজের কাছে যেন ওর মায়ের সেই বেগনি রঙের শাড়িটি থাকে।

এবং, আমার দেওয়া শাড়িটিও যেন ওর কাছে থাকে ।



(এই লেখাটি আগেও একবার পোস্ট করেছিলাম। লেখাটির গুরুত্ব বিচেনা করে এডিট করে আবার পোষ্ট করলাম।)



উৎসর্গ: অপসরা

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৪৪

নাজিম উদদীন বলেছেন: বরাবরের মত অসাধারণ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৫০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আচ্ছ, ধন্যবাদ।

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:০৩

ভোরের তারা বলেছেন: অনেক কিছু জানা গেল।ধন্যবাদ

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:০৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:০৮

কালপুরুষ বলেছেন: যদিও অনেক বড় লেখা বিশেষ বিশেষ অংশ পড়লাম। আমিও একই মত পোষণ করি। ইতিহাস যা বরে 'টাঙ্গাইল' জামদানী শাড়ীর মূল কেন্দ্র বা উৎসস্থল নয়। আমি একবার সোনার গাঁ ছাড়িয়ে "জামদানী পল্লী" বেড়াতে গেছিলাম। তাদের কাছে শুনেছিলাম আদি মসলিন কারিগরদের আঙ্গুল কেটে নেবার পর থেকেই সেখানে জামদানীর প্রচলন বা প্রসার লাভ করে। সেখানে জামদানী ছাড়া আর কিছু চোখে পড়েনি। তবে সূতো ব্যবহারের ক্ষেত্রে মসলিন ও সূতী দু'ধরণের সূতোর ব্যবহার দেখেছি। তবে এই মসলিন মোঘল আমালের মসলিন থেকে আলাদা।

ধন্যবাদ এই পোস্টের জন্য।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:২৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:০৮

নতুন রাজা বলেছেন: ভালো লাগলো। জামদানী পরতে মন চায়। জামদানী পান্জাবী হয় না ভাইয়া???

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:২৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: গুড আইডিয়া! জামদানির পাঞ্জাবি। হ্যাঁ। এমন তো ভাবা যেতেই পারে। তা হলে খদ্দেরের শাড়ি নয় কেন?

৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:১৩

তাসনীম বলেছেন: খুবই সুন্দর লেখা। আজ়কাল জামদানি শাড়ির যা দাম! তাঁতিরা কতটূকূ পাচ্ছে জানা নেই.........।।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:২৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: কথাতো সেটাই-তাঁতীরা কতটুকু পাচ্ছে।
ধন্যবাদ।

৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:২০

ধীবর বলেছেন: নতুন প্রজন্মের ইতিহাস বিস্মিতা কিংবা হীনমন্যতা কাটিয়ে উঠতে, এই ধরণের লেখা অবশ্যপাঠ্য। ইমন ভাইয়ের লেখায় এমন অনেক অনেক বিষয় তুলে আসাতে, আমরাও নতুন অনেক কিছু জানতে পারি। তাই প্রার্থনা করছি, যেন তার এই প্রয়াস চালু থাকে। সাথে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৩০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা এবং শুভেচ্ছ।

৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৫৬

নুশেরা বলেছেন: তথ্যের অংশটি ছাড়াও আপনার নিজস্ব কথনও চমৎকার লাগলো জুবায়েরভাই। অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। আমার মায়ের একটা কাঁঠালকাঠের আলমিরা ছিলো, দরজাটা নিঃশব্দে খোলা যেতোনা। তাতে মায়ের পুরনো শাড়িগুলো ভাঁজে ভাঁজে তোলা। কয়েকমাস পরপর কড়া রোদে দিয়ে দীর্ঘজীবি করা হতো তাদের। ভাদ্রমাসের রোদ তো মাস্ট। সেই ভাণ্ডারের সেরা সম্পদ ছিলো কিছু সূতি জামদানী। আজকাল এতোরকম জামদানী বোনা হয় কিন্তু ১০০% সূতি প্রায় উঠেই গেছে। আমার বিয়েতে শ্বশুরবাড়ী থেকে একটা জামদানী শাড়ী দেয়া হয়েছিলো, জমকালো কিছু না, সাধারণই বলা চলে, তবু সেটা আমাকে অন্যরকম তৃপ্তি দিয়েছিলো।

ফাইরুজের জন্য শুভকামনা। মামার মতো হোক সে ভাবনায়, মননে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:১৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: মা। অনেক দিন হল বেঁচে নেই। আলমারিটা এখন আমার বড় বোনের ঘরে। ওটা খোলার সময় এখনও শব্দ হয়।

আর,

ফাইরুজ সম্ভবত একটুখানি অন্যরকমই । কেননা, এখনই ও নাচের মুদ্রা সম্পর্কে ভীষন সচেতন। আর নাচের আগে বলে- কমন গান দিও না মামা-অন্যরকম মিউজিক দাও!

৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:১৯

শয়তান বলেছেন: প্রথমে ভাবছিলাম মন্তব্যের ঘরে লিখবো হঠাৎ শাড়ি বিশেষ করে জামদানি নিয়ে পরলেন যে , কিন্তু দ্বিতীয়ভাগে এসে প্রশ্নের উত্তরটা পেয়ে গেলাম ।



সবশেষে উৎসর্গের নামটা দেখে থমকালাম বেশ জোরেশোরে । ভাইজান ভুল মানুষকে উৎসর্গ করেছেন এই সাবজেক্ট । কেননা এই বস্তু পরিধান করিবার তেমন কেহই আমার নেই । আর হবেও না । বেটার এই জমকালো পোস্টটা ব্লগের শাড়ী পাগল অপসরা কে দিন । সিউর তিনি গুনে গুনে তিনটা লাফ দিবেন । :)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আচ্ছা, তাইই করছি।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আপনাকে প্রাচীন চিনের ওপর পরের জমকালো লেখাটি উৎসর্গ করছি।

৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৯

শয়তান বলেছেন: অগ্রীম ধন্যবাদ । বিষয় শুনেই প্রবল আগ্রহ বোধ করছি :)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অপেক্ষ করেন। অদ্ভুত কিছু ব্যাপার আছে পোস্টটায় ...

১০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪০

আকাশ অম্বর বলেছেন:

'পারস্য, মুগল ও বাঙালি সংস্কৃতির মিলনের প্রতীক জামদানি। মিলনই তো ভালোবাসা।'

ধন্যবাদ।


জমকালো চিনের প্রতি মনোযোগী হইয়া উঠিলাম!

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আসিতেছে।

১১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪১

অপ্‌সরা বলেছেন: এখন তাহলে 'জামদানি' শব্দটির মানে বোঝার চেষ্টা করা যাক।
একটি সূত্রমতে- ফারসি 'জামা' শব্দের মানে কাপড়। আর, 'দানা' অর্থ বুটি। সব মিলিয়ে জামদানি মানে
বুটিদার কাপড়।
অবশ্য, আরেকটি মত অনুযায়ী-জামদানি শব্দটির উদ্ভব পারসিক শব্দ থেকে। জাম, মানে ফুল। আর দানি মানে ফুল রাখার পাত্র বা ফুলদানি।


এতকিছু জানিনা তবে জামদানী আমার খুবি পছন্দের একটা শাড়ী। সেই সম্পরকে এত কিছু জানতে পেরে অনেক ভালো লাগছে । নানীর আলমারীতে দেখেছিলাম সোনার সুতোয় কাজ করা জামদানী । পুরোনো হয়ে যার ভাঁজে ভাঁজে কেটে গিয়েছিলো। ওমনটা আর কখনও দেখিনি। জামদানী কথাটা শুনলেই সেই ছাই রঙের সোনাজলে কাজকরা সুতোর শাড়ীটা চোখে ভাসে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ... নানীর আলমারীতে দেখেছিলাম সোনার সুতোয় কাজ করা জামদানী ।
এই-সোনার সুতোয় কাজ করা জামদানী -কথাটা আমার মনে ভীষন ভাবে গেথে গেল।
আহ্, সোনার সুতোয় কাজ করা জামদানী ...আবহমান বাংলার নারীর একান্ত সম্পদ ...সোনার বাংলার সোনার কলস!
অনেক ধন্যবাদ।

১২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৯

নির্ঝরিনী বলেছেন: সব মায়েদেরই মনে হয় একটা করে স্মৃতিময় জামদানি আছেই...

আমার মায়ের লাল জামদানিটা খুবই পছন্দ আমার...ওটা আমি নিয়ে এসেছি এই দূরপারবাসেও....মাঝে মাঝে শাড়ীটা খুললে কি মিস্টি মায়ের গায়ের গন্ধ পাই...মনে হয় মা আমার কাছেই আছে...

পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানা হলো...ভালোও লাগলো...

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ... মাঝে মাঝে শাড়ীটা খুললে কি মিস্টি মায়ের গায়ের গন্ধ পাই...মনে হয় মা আমার কাছেই আছে...

অন্যদের কথা জানিনা। তবে আমার মনে হয় বাঙালি মেয়েরা এখানেই আলাদ।
ধন্যবাদ।

১৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৩

রাজামশাই বলেছেন: লেখা পছন্দ হইছে ...................

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আমি ধন্য হইলাম।

১৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৫

চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন: এ শাড়ীর আলাদা একটা গন্ধ আছে। লেখাটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জুবায়ের

ভালো থাকুন

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ... এ শাড়ীর আলাদা একটা গন্ধ আছে।
নতুন তথ্য জানলাম।
অশেষ ধন্যবাদ।

১৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:০৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: জামদানী অনেক ভাল লাগে:) যদিও কখনও পড়িনাই

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: পরবেন । আশা করি।

১৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০৯

জেরী বলেছেন: অনেক প্রিয় হলো জামদানী শাড়ি.....যদিও অনেক দাম:(

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক দাম? তা হলেও অন্তত ১টা ২টা যেন থাকে।

১৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:২১

জেরী বলেছেন: এখন পযর্ন্ত ৪ টা জামদানী পড়েছি.......অনেক প্রিয় হলো এই হলুদ জামদানীটা.....হালকা হলুদের উপর গাঢ় হলুদ আর সোনালী সুতার গুটি গুটিকাজ:)
এই জামদানীটা হালকা বেগুনীতে গাঢ় বেগুণী আর সোনালী সুতার কাজ.....অনেক পড়েছি

আরেকটা নেভী-ব্লু জামদানী...


আরেকটা জামদানী ছিলো অনেকটা আপনার পোস্টের ১ম জামদানীর মত....অফ-হোয়াটের উপর লাল,সবুজ,হলুদ আর কালো সুতার বড় বড় কাজ ...ওটা নষ্ট হয়ে গেছে ...পরে আর ওমন শাড়ী পাইনি:((

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক সুন্দর।

১৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:২৪

জেরী বলেছেন: জামদানী টু-পিস গুলো শাড়ীর চেয়ে বেশী দাম.....মা পাতলা মশারির কাপড় বলে পড়তে দেয় না:((

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: তাই?

১৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:২৪

সাইফুর বলেছেন: জেরী ইদুর আবার শাড়িও পড়ে নাকি?? হেহেহেহে

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ভীষণ গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন!!!

২০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩০

জেরী বলেছেন: জ্বী সাইফুর, ফুরফুরা মুডে থাকলে পড়ি:)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: উত্তর হবে -জ্বী কাছিম, ফুরফুরে মুডে থাকলে পড়ি ...

২১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:২০

দীপান্বিতা বলেছেন: খুব ভাল লাগল......জামদানি সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম........ সেই! মসলিন শাড়ি আর দেখাই হল না!

ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলে পড়েছি-- ঠাকুরবাড়ির মেজবৌ জ্ঞানদানন্দিনী যিনি সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী, তিনিই প্রথম স্বামীর কর্মস্থল মহারাষ্ট্রে যাবার সময় পরিচ্ছদ–সমস্যায় বিব্রত হয়ে মেয়েদের সাজপোশাক নিয়ে ভাবতে শুরু করেন আর আধুনিক বাঙালী মেয়েদের রুচি শোভন সাজটি তার সেই চিন্তার ফসল। :)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:২২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলে বইটি আমিও পড়েছি। বাঙালির রুচি গঠনে ও বাড়ির ভূমিকা কত যে গভীর ...
মসলিন শাড়ি আর দেখাই হল না!
হ্যাঁ। এই আক্ষেপ।

২২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৪৪

পল্লী বাউল বলেছেন: কিছু দিন আগে প্রাচীন বাঙলার মসলিন শাড়ীর উপর একটা বই পড়েছিলাম। অদ্ভুত ভালো লেগেছিল। আজ আপনার পোস্টটা পড়ে সেই ভালোলাগাটা আবার ফিরে এলো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৫৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৩

জেরী বলেছেন: না,যার যা নাম তা ডাকতেই ভালো লাগে...মানুষরে কাছিম ডাকতে কেমন জানি লাগে

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:০০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: সাইফুর যে জেরীকে ইঁদুর বলল? তখন?

২৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:০৯

হুমায়রা হারুন বলেছেন: কিছুদিন আগে গেলাম রোগে শায়িত জয়ন্তীদির সাথে দেখা করতে। কিছু কথা বলতে বলতে চোখে পড়লো জামদানী। ঘিয়ে রঙে লাল সূতোর কাজ। মাথা টা খারাপ হয়ে গেল। সরাসরি বললাম, দিদি শাড়িটা আমায় দেবেন? এভাবে চাইলে কি কেউ আর না বলতে পারে? পারে না। উনি ও পারলেন না। দিয়ে দিলেন। রোগী দেখতে গিয়ে শাড়ী নিয়ে বাড়ী ফিরলাম। মহা আনন্দ আমার। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কতবার যে দেখি তাকে। আমার প্রিয় জামদানী!

০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: জামদানী শাড়ির প্রতি মেয়েদের বিশেষ দূর্বলতা আমি অনেক আগেই লক্ষ করেছি।

২৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:২২

রেজোওয়ানা বলেছেন: কাজে লাগবে, নিয়ে গেলাম.............

২৮ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:০৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: তাই?

২৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:৪১

রেজোওয়ানা বলেছেন: হুম, আপনাকে বলেছিলাম Early Indian dress and costume/ ornaments সম্পর্কে কোন বই বা আর্টিকেলে জানা থাকলে লিংক দিতে।
ভুলে গেছেন মনে হয় :-P

২৮ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:৪৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ভুলি নাই। আসলে বিষয়টা কমন পড়ে নি। এখনও খুঁজছি। পেলে জানাব।

২৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:০০

সুবিদ্ বলেছেন: রিজিয়া রহমানের একটা উপন্যাস পড়েছিলাম ঢাকাই মসলিনের উপরে......আপনার লেখাটা সেই উপন্যাস পড়ার মজাটা মনে করিয়ে দিল.......
দারুন!!

৩০ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:১১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৮| ৩০ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:২০

যীশূ বলেছেন: জানলাম অনেক কিছু।

৩০ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৩৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ৯:৩৯

শায়েরী বলেছেন: পিলাস

২৬ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ৯:৫২

ইমন জুবায়ের বলেছেন:

৩০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৫

নিশাত শাহরিয়ার বলেছেন: জামদানি শাড়ি, নকশীকাঁথা এবং ফজলি আম এখন আর আমাদের ঐতিহ্যের অংশ নেই, কারণ ভারত ইতিমধ্যে এই সকল পণ্যের আন্তর্জাতিক স্বত্ব নিয়ে নিয়েছে। এই পণ্যগুলো বিশ্বে এখন ভারতীয় পণ্য হিসেবে পরিচিতি পাবে। তারা স্বত্ব করে নিলেও আমরা জানি এগুলা আমাদের পণ্য, আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। এখন তারা ইলিশের স্বত্ব নেবার চেষ্টা করতেছে। যেটা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এই মুহূর্তে আমাদের কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অন্যতম কাজ হচ্ছে আমাদের দেশিয় পণ্যগুলো চিহ্নিত করা এবং তা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার ‘Geographical indication (GL)’ আইনের অধীনে নিবন্ধন করা। এ সকল পণ্যের মধ্যে রয়েছে ঢাকার ‘জামদানি শাড়ি’, ফরিদপুরের ‘নকশীকাঁথা’,
চাঁদপুরের ‘ইলিশ’, রাজশাহীর ‘ফজলি আম’, বগুড়ার ‘দধি’, সুন্দরবনের ‘মধু’ সহ আরও অনেক পণ্য।

************************

মনে রাখবেন, আমাদের ঐতিহ্যকে আমাদেরই বাঁচাতে হবে। আমাদের দেশ আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। বাইরের দেশের কেউ এসে রক্ষা করে দিয়ে যাবে না।

দেশের স্বার্থে একাত্ম হোন...
আগামী ১৯ অক্টোবর ২০১২, শুক্রবার বিকাল ৩.৩০ মিনিটে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।
দলে দলে যোগ দিন এই বিশাল মানব বন্ধনে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.