নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ত্যজ বাঙালী, আতরাফ মুসলমান ...

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ

ইমন জুবায়ের

জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]

ইমন জুবায়ের › বিস্তারিত পোস্টঃ

পারস্যের কবি শেখ সাদী: যিনি বিশ্বাস করতেন: Human beings are members of a whole/ In creation of one essence and soul...

০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ৯:৪৭



শেখ সাদী। ইরানের প্রধানতম কবি। সময়কাল? ১১৮৪-১২৮৩ খ্রিস্টাব্দ কিংবা ১২৯১ খ্রিস্টাব্দ; শেখ সাদীর পুরো নাম আবু মুহাম্মাদ মুশলিহ আল-দিন বিন আবদেল্লা শিরাজী। দীর্ঘদিন ধরেই সাদী বাঙালি সমাজের এক অতি প্রিয় কবি। কেবল বাঙালিরই নন, বিশ্বজুড়েই সাদী অত্যন্ত জনপ্রিয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০০৯ সালের মার্চ মাসে ইরানের জনগনকে ‘সাদীর লেখা থেকে উদ্ধৃত করে’ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন:'The children of Adam are limbs to each other, having been created of one essence.' এই কারণে সাদী কেবলই কবি নন, মানবতাবাদী সমাজ চিন্তাবিদ হিসেবও বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এসব কারণেই সাদী চর্চা জরুরি বলেই মনে হয় ...











ইরানের মানচিত্র; শেখ সাদীর সময়কালে, অর্থাৎ, ত্রয়োদশ শতকে ইরান পারস্য বা পারসিয়া নামে পরিচিত ছিল। এর কারণ আছে। প্রাচীন পারস্যে ছিল আর্য জাতির বাস। ‘পারস’ ছিল প্রাচীন আর্য জাতির এক গোষ্ঠীর নাম। পারস থেকেই পারস্য। আর আরইরান শব্দটি এসেছে আর্য শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘আরিয়ান’ থেকে।









ইরানের মানচিত্রে শিরাজ শহরের অবস্থান। শিরাজ শেখ সাদীর জন্ম দিয়ে আজও ধন্য হয়ে আছে ...শিরাজ শব্দটি বাংলাদেশেও অত্যন্ত পরিচিত। লালন শাহের গুরু ছিলেন সিরাজ শাঁই।







শিরাজ এর প্রাকৃতিক দৃশ্য। এরকম মনোরম জল ও সবুজের সমন্বয় কবির কিশোর মনকে রাঙিয়ে তুলেছিল নিশ্চয়ই।





সাদীর বাবার মৃত্যু সাদীর শিশু বয়েসে ঘটেছিল। আর কবির ছেলেবেলা কেটেছিল বাংলার কবি নজরুলের মতোই হা-হা অভাবে। কবি বলেই সাদীর জ্ঞান তৃষ্ণা ছিল প্রবল। দারিদ্র কে অগ্রাহ্য করে নজরুলের মতো বলেছেন,



হে দারিদ্র, তুমি মোরে করিয়াছ মহান

তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিস্টের সম্মান ...



তরুণ বয়েসে কবিটি জ্ঞান অর্জনের জন্য গেলেন বাগদাদ। বাগদাদই তখনকার দিনের এম.আই. টি- ক্যালটেক। বাগদাদের সুবিখ্যাত ‘আল নিজামিয়া’ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেন ১১৯৫ থেকে ১২২৬ খ্রিস্টাব্দ অবধি।

তা কি কি পড়লেন আমাদের মেধাবী কবিটি?

শারিয়া, আলকেমি, গভরমেন্ট, হিস্টোরি, এ্যারাবিক লিটরেচর অ্যান্ড থিওলজি।







শিল্পীর আঁকা মধ্যযুগের শিক্ষক ও ছাত্ররা



দ্বাদশ শতক মধ্য এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য ছারখার করেছিল নিমর্ম মঙ্গোলরা। সাদী দিশেহারা। কেন এই অহেতুক নিষ্ঠুরতা? মানুষ কি তবে আশরাফুল মাখলুকাত নয়? আল্লা কি নিষ্ক্রিয় শক্তি? না তিনি হস্তক্ষেপ করেন?



মঙ্গোল তরবারীর আঘাতে ফেটে যাচ্ছে মধ্য এশিয়ার শিশুদের কোমল খুলি।

মঙ্গোল তরবারীর আঘাতে ফেটে যাচ্ছে মধ্য এশিয়ার শিশুদের কোমল খুলি।

মঙ্গোল তরবারীর আঘাতে ফেটে যাচ্ছে মধ্য এশিয়ার শিশুদের কোমল খুলি।




এসব ভেবেই কবি দিশেহারা।

কি করবেন? দুধর্ষ মঙ্গোলরা মধ্য এশিয়ার খোওয়াইজম নগর ও পারস্য আক্রমন করেছে। জন্মভূমিতে ফেরাও যাচ্ছে না। কী আর করেন ... বাগদাদ ত্যাগ করে পথে নামলেন। তারপর ৩০ বছর ধরে এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়ালেন। এতে কবির লাভই হয়েছিল। জন্মসূত্রে পাওয়া জ্ঞান ও প্রজ্ঞার সঙ্গে এবার মিশল অভিজ্ঞতার তাপদাহ স্বর্ণশিখা...









মঙ্গোল আগ্রাসন। দ্বাদশ শতক ছারখার করেছিল নিমর্ম মঙ্গোলরা। এমন অর্থহীন হত্যাযজ্ঞ মানব ইতিহাসে তেমন নেই বললেই চলে ...



আনাতোলিয়া (বর্তমান) তুরস্ক নিরাপদ ছিল। গেলেন সেখানে কবি। সেখান থেকে সিরিয়া (দামেস্ক শহরের খরার বর্ননা করেছেন); সিরিয়া থেকে গেলেন মিশর (মিশরের সংগীত, বাজার, মোল্লা ও অভিজাতকূলের বর্ননা উঠে এসেছে তাঁর লেখায় ) ... পুবে ভারতের সিন্ধু প্রদেশ অবধি এসেছিলেন সাদী। সেখানেই ব্রাহ্মণদের সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন। সাদীর দর্শনের মূলকথা: মানবজাতি অভিন্ন মূল থেকে উদ্ভূত। এই বিশ্বাসের সঙ্গে ভারতীয় অদ্বৈতবাদী দর্শনের সাদৃশ্য লক্ষ করে বিস্মিত হয়ে যাই। হয়তো একমেবাদ্বীতিয়াম (এক ব্যতীত দুই নাই) কথাটি আকৃষ্ট করেছিল কবিকে। যা হোক। মধ্য এশিয়ায় গিয়েছিলেন সাদী। দেখেছেন দুর্ধষ মোঙ্গল হাত থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষের মুখেচোখে নীল আতঙ্কের ঢেউ ...







মহাতীর্থ মক্কা ও মদীনায় গিয়েছেন। পালন করেছেন হজব্রত। গিয়েছেন সুপ্রাচীন পয়গম্বরগনের পদধূলিতে পবিত্র জেরুজালেম।







১২৫৮ সালে মোঙ্গলরা বাগদাদ ধ্বংস করে। সে ধ্বংস লীলা প্রত্যক্ষ করেছেন সাদী।



সাদীর জীবন নানা বিচিত্র অভিজ্ঞতায় ভরপুর। খ্রিস্টান ক্রসেডারদের হাতে বন্দি হয়েছিলেন। ৭ বছর দাস হিসেবে পরিখা খনন করেছেন। পরে অবশ্য মুক্তিপনের বিনিময়ে মুক্তি পান। এত কষ্ট সত্ত্বেও সাদী তাঁর লেখায় বারবার বলেছেন .. মানবজাতি অভিন্ন মূল থেকে উদ্ভূত। এর কারণ তিনি ছিলেন কবি।

আমরা যেন শেখ সাদীর মহৎ হৃদয়কে চিনতে পারলাম।

৭ বছরের গ্লানিময় দাস জীবনের পর এমন মহৎ বাক্য উচ্চারণ একমাত্র মহৎ চেতনার পক্ষেই সম্ভব।

পারস্যের কবি শেখ সাদী মহৎ চেতনার অধিকারী ছিলেন।

এসব কারণেই সাদী চর্চা জরুরি বলেই মনে হয় ...

নানা জাতের মানুষের সঙ্গে মিশেছেন সাদী। যাত্রাপথের সরাইখানায়। সাধারন মানুষ থেকে অভিজাত।কত যে অভিজ্ঞতা হল। সে অভিজ্ঞতার কথা লিখেও রাখলেন। লিখলেন:



এক জনের জুতো নেই।

এই নিয়ে তার আক্ষেপ।

তার আক্ষেপ ঘুচল।

কেননা সে দেখল এক জনের পা-ই নেই।




দ্বিতীয় আরেকটি ঘটনার কথা লিখেন।



একবার শেখ সাদী গিয়েছেন অভিজাত এক ব্যক্তির বাড়ি। সাদী পরনে সাদাসিদে পোশাক। এ কারণে তেমন পাত্তা পেলেন না। সে ভাবে আপ্যায়ন করা হল না তাঁকে। পরে সাদী ওই বাড়িতে আবার গেলেন। এবার কবির পরনে ঝা চকচকে পোশাক। গৃহকর্তা এবার নিজেই খাবার এগিয়ে দিলেন। সাদী সব খাবার না খেয়ে আলখাল্লার জেবে ঢোকাতে লাগলেন।

কী ব্যাপার?

গৃহকর্তা সহ সকলে বিস্মিত।

সাদী তখন ব্যাখ্যা করে বললেন, আমি তো কিছু নই, আমার সব সম্মান তো আমার পোশাকের জন্য। সেই বরং খাক এসব।



সাদী এ জন্যই বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়।







অনেক ঘুরলেন বটে। কিন্তু তাঁর লেখালেখি বাদ যায়নি।







শিরাজে ফিরেছেন বৃদ্ধ বয়েসে। সুন্দর মহৎ বৃদ্ধ ...



শিরাজ তখন শান্তি বিরাজ করছে। শিরাজে সাদীকে বিপুল সম্বর্ধনা জানানো হয়।

কবির বাকি জীবন শিরাজেই কেটেছে।



‘বুস্তাঁ’ আর ‘গুলিস্তা’ সাদীর দুটি রচনা। গদ্য ও পদ্যের মিশেল। গুলিস্তার অন্য উচ্চারণ ও বানান হল গুলিস্তান। এর মানে গোলাপ বাগান। ঢাকার গুলিস্তান কল্পনা না করাই ভালো। বরং নিচের ছবিটি দেখুন।







১৬৪৫ সালের মুগল মিনিয়েচার । গোলাপ বাগানে শেখ সাদী।



জাতিসংঘের ‘হল অভ নেশন’ এর প্রবেশপথে গুলিস্তাঁর চরণ খোদিত ...



Human beings are members of a whole,

In creation of one essence and soul.

If one member is afflicted with pain,

Other members uneasy will remain.

If you have no sympathy for human pain,

The name of human you cannot retain.



পারস্য থেকে ইংরেজি অনুবাদ উনিশ শতকের পারস্য পন্ডিত ফ্রান্সিস গ্লাডউইন।







শিরাজে সাদীর সমাধির সামনে তরুণ-তরুণীরা দাঁড়িয়ে।



গুলিস্তান এর ডাউনলোড লিঙ্ক



http://www.mediafire.com/?eoogyjzmyyn



মন্তব্য ৬৭ টি রেটিং +২৯/-০

মন্তব্য (৬৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ৯:৫১

রাজসোহান বলেছেন: প্রিয় একজন ব্যাক্তিত্ব শেখ সাদী!

০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ৯:৫৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: সাদী অনেকেরই প্রিয়।
ধন্যবাদ।

২| ০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ৯:৫২

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: I'm busy with Abul Fazal. But forced to download Sadi. Thanx Boss.

০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ৯:৫৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: Thanx.

৩| ০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ৯:৫২

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: প্রিয়তেও রাখলাম।

০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ৯:৫৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ঠিক আছে। ধন্যবাদ।

৪| ০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ১০:০০

ভ্রমণ বাংলাদেশ বলেছেন: লেখকের প্রতি অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে শুভেচ্ছা !

০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ১০:০৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা রইল।

৫| ০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ১০:০৯

ডিজিটালভূত বলেছেন: শেখ সাদী আমার প্রিয় কবি। তার কাব্যগ্রন্থ কারীমা, গুলিস্তান, বোস্তান ছোট সময়ে পড়েছি মাদরাসার পাঠ হিসাবে। এখনো যদি হাতের কাছে এগুলো পাই, কথা নেই। পড়া শুরু করি।
আশ্চর্য হল, তিনি ফার্সী ভাষার কবি হয়েও আরবীতে চমৎকার কবিতা লিখেছেন। এগুলো এত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে যে, বাঙালী মুসলিমদের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়:
বালাগাল উলা বি-কামালিহি . . . .

০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ১০:১১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আশ্চর্য হল, তিনি ফার্সী ভাষার কবি হয়েও আরবীতে চমৎকার কবিতা লিখেছেন। এগুলো এত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে

সাদী মহৎ কবি ছিলেন।

বালাগাল উলা বি-কামালিহি . . . .

এর সুরও অসাধারণ।
অনেক ধন্যবাদ।

৬| ০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ১০:১৯

টুটুল বরকত বলেছেন: চলুক ।
এ নিয়ে আরো লেখা পড়তে চাই ।
শোকেসে রাখলাম ।

০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ১০:২০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৭| ০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ১০:৩৭

সাহেদ সাকিব বলেছেন: শেখ সাদী আমার প্রিয় কবিদের মধ্যে একজন ,
সাদীর কবিতা আমার ভাল লাগে.

ধন্যবাদ

০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ১০:৫৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৮| ০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ১০:৫৫

সাফির বলেছেন: প্রিয় একজন ব্যাক্তিত্ব শেখ সাদী

০৭ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৩৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ঘূর্নায়মান সোনালি সুন্দর পেলাচ এর জন্য অনেক অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৯| ০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:০৬

নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: +++++ প্রিয়তে রাখলাম।

০৭ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৩৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:১০

মহলদার বলেছেন: শেখ সাদী সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হল। স্কুলে থাকতে পড়েছিলাম এরকম-

একদা ছিলনা জুতা চরণ যুগলে
গেছিনু ভজনালয়ে ভজন কারনে
সেথা দেখি একজন পদ নাহি তার
তাই দেখে জুতার খেদ ঘুচিল আমার।।

এই চরণদুটি তাহলে শেখ সাদীর, জানা ছিল না। আজ জানা হল।
অনেক ধন্যবাদ জানবেন ইমন ভাই।

০৭ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৩৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: এই রকম উপদেশের কারণেই শেখ সাদী ভীষণ ভীষণ পপুলার।

অনেক ধন্যবাদ।

১১| ০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:২২

অদৃশ্য বলেছেন: জুবায়ের ভাই............



শুভকামনা রইলো.........

০৭ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৩৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

১২| ০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:৩৬

মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: +++..................

০৭ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৩৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: + গুলো গ্রহন করলাম কৃতজ্ঞচিত্তে।

১৩| ০৭ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:৩৯

শিরীষ বলেছেন:
একমেবাদ্বিতীয়ম‌ অথবা অদ্বৈতবাদী দর্শনে শেখ সাদীর প্রভাবিত হওয়ার বিষয়টিতে চমৎকৃত হলাম। অসাধারণ তথ্যযোগ! ডাউনলোড লিংকের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

০৭ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৪১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: সাদীর জীবনী পড়তে পড়তে একমেবাদ্বিতীয়ম‌ অথবা অদ্বৈতবাদী দর্শনে শেখ সাদীর প্রভাবিত হওয়ার বিষয়টি হঠাৎই মাথায় এল। The children of Adam are limbs to each other, having been created of one essence. এই রকম বিশ্বাস ঠিক ইসলামিক নয় বরং বৈদিক। বৈদিক দর্শনও মহান। মহান সাদী তা ঠিকই উপলব্দি করেছেন। সভ্যতা আসলে একে অন্যের কাছ থেকে ধারণা লাভ করেই সমৃদ্ধ হয়।
বুস্তার ডাউনলোড লিঙ্কও যথাসময়ে দেব।
অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ০৭ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:১৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: শেখ সাদীর খাবার পকেটে ঢোকানোর গল্পটা ক্লাস টু অথবা থ্রীএর পাঠ্য বইয়ে পড়েছিলাম.........
সেই কোন ছেলে বেলায় পড়া, এখনও মনে গেথে আছে।

এমন মহান একজন ব্যক্তি নিয়ে এমন মহৎ একটা রচনা লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধইন্যাবাদ

০৭ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৪৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: এসব অসাধারণ গল্প তো ভোলার কথা না।

আর একটা কথা ( না বললেই নয়)

ধইন্যাবাদ শব্দটা কিন্তু ভুল। আমাদের এক স্যার বলেছেন।

শুদ্ধ শব্দ হবে ধন্যবাদ:P

১৫| ০৭ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১:১৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: ধইন্যাবাদ শব্দটাকে এত ছোট করিয়া দেখিবার কিছু নাই।
ক্ষেত্র বিশেষে মহৎ লেখকদের সাহিত্য কর্মে মুগ্ধ হইয়া তাহার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের উদেশ্যে এই শব্দটি প্রয়োগ করা যাইতে পারে।

আপনাকে অশেষ ধইন্যাবাদ............

০৭ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১:৩৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: শুদ্ধ শব্দ হবে ধন্যবাদ। :P

১৬| ০৭ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:২২

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: ধইন্যা বস :)

০৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :)

১৭| ০৭ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৩২

রেজোওয়ানা বলেছেন: ক্ষেত্র বিশেষে ধইন্যাবাদ দেয়া যায়......

০৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ও।

১৮| ০৭ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৩৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: @আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: ধইন্যা বস.............ইউ হু, হা হা হি হি হো হো হো

০৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ও :| তা কচ্ছপটা (নাকি কাছিম) কেমন আছে? :P

১৯| ০৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৩৩

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: রেজোওয়ানা বলেছেন: ক্ষেত্র বিশেষে ধইন্যাবাদ দেয়া যায়......
আর আমি বলি: ক্ষেত্র বিশেষে ধইন্যাবাদ কম হইয়া যায়......

০৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৫:২৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধইন্যাবাদ

২০| ০৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৩৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: কচ্ছপ/কাছিম ভালোই আছে, তবে বজ্জাত গুলো এঞ্জেল আর গোল্ড ফিসের লেজ খেয়ে ফেলেছে।

০৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৫:২৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: বজ্জাত গুলো এঞ্জেল আর গোল্ড ফিসের লেজ খেয়ে ফেলেছে? :|

২১| ০৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৫:২২

পদ্মাচরের লাঠিয়াল বলেছেন: শেখ সাদী কঠোর বাস্তববাদী ছিলেন। একটা উদাহরণ দেই-

ভবঘুরে জীবনে একবার এক বাড়ির আঙিনায় গভীর রাতে আশ্রয় নিলেন তিনি। ক্ষুধায় বড্ড কাতর কিন্তু কেউই তার ডাক শুনছে না। অবশেষে এক চাকরের কাছে জানতে পারলেন যে, মালিকের স্ত্রী প্রসব বেদনায় কাতর কিন্তু অজ্ঞাত কারণে বিলম্ব হচ্ছে। সাদী সংগে সংগে বলে উঠলেন, 'আরে আগে বলবে না! আমি খুব ভালো তাবিজ-কবচ জানি এসবের।' বলেই এক কাগজে কিসব লিখে তাবিজ বানিয়ে পাঠিয়ে দিলেন যথাস্থানে চাকরের মাধ্যমে। কাকতালীয়ভাবে বাচ্চাও সহিসালামতে প্রসবিত হলো! সাদীর আদর-যত্ন আর দেখে কে!

পরদিন চলে যাওয়ার পরে সবাই বড্ড কৌতুহলী হয়ে তাবিজটা সেখানে খুলে ফেললো- দেখে সেখানে লেখা-
"আমি খাওয়া ভালো পাচ্ছি, আমার উটও ভালো খাওয়া পাবে! এখন বাচ্চা হোক বা না হোক সেইটা তোমার(স্রষ্টার) বিবেচনা"।

০৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৫:২৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ৩০ বছরের ভবঘুরে জীবন। কত অভিজ্ঞতাই না সঞ্চয় হয়েছিল।
অনেক ধন্যবাদ অজানা অধ্যায় জানানোর জন্য।

২২| ০৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৫:৩৮

দীপান্বিতা বলেছেন: এক জনের জুতো নেই।
এই নিয়ে তার আক্ষেপ।
তার আক্ষেপ ঘুচল।
কেননা সে দেখল এক জনের পা-ই নেই।



কবি শেখ সাদীকে শ্রদ্ধা জানাই ...

০৭ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: কবি শেখ সাদীকে শ্রদ্ধা জানাই ...

২৩| ০৭ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

তারিক রিদওয়ান বলেছেন: অসাধারণ এক লেখা!!!

শেখ সাদীর ব্যাপারে একটা কাহিনী শুনেছিলাম, এটাকি শেখ সাদী বলেছেন নাকি অন্য কোন কবি তা ঠিক শিউর না আমি।
ঘটনাটা হল, মৃত্যুর আগে নাকি শেখ সাদিকে যখন প্রশ্ন করা হল যে এই জীবনে কি শিখলেন/বুঝলেন??

শেখ সাদীর উত্তর ছিল-- জীবনের এই শেষ পর্যায়ে এসে জীবন সম্পর্কে শুধু এটুকুই বুঝিলাম-- "কিছুই বুঝিলামনা"..



লেখাটি প্রিয়তে স্থান পেল :)

০৭ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অজানা অধ্যায় জানানোর জন্য।

২৪| ০৭ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সায়েম মুন বলেছেন: পকেটে গোস্ত ঢুকানোর কাহিনীটা ছোটকালে পড়া।

একদা ছিলনা জুতা------------এইটা পড়েছিলাম ভাবসম্প্রসারণ করতে গিয়া।

শেখ সাদী সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।

অশেষ ধন্যবাদ ইমন ভাই-------

০৭ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: কবি শেখ সাদীকে শ্রদ্ধা জানাই ...

২৫| ০৭ ই জুন, ২০১০ রাত ১১:৪৫

আবূসামীহা বলেছেন: লিখার জন্য ধন্যবাদ। সাদীর জীবনের অনেক কিছুই নিয়ে এসেছেন। আপনার সব লিখাগুলোই এরকম তথ্যবহুল।
---------
এ লিখা প্রসঙ্গে কিছু কথা।
প্রথম যে মানচিত্র তা সাদীর সময়ের ইরানের নয়। কারণ সাদীর সময়ের ইরান আব্বাসী খিলাফতের অংশ। আর তখন সাম্রাজ্যের সত্যিকার শাসকরা ছিলেন সেলজুক বংশীয় তুর্কীরা।
আপনি হয়তো সাদীর সময়ের বুঝাতেও চাননি। আমার ভুলও হতে পারে।

দ্বীতিয়তঃ সিরাজ [Siraj /سراج]আর শিরাজ় [Shiraz/شيراز ] কিন্তু এক নয়। সিরাজ সাঁই এর সাথে এজন্য শিরাজ়ের কোন মিল নেই। সিরাজ আরবীতে পুরুষদের নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয় যার মানে হল প্রদীপ। আর শিরাজ় ইরানী শহরটার নাম যা মেয়েদের নাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

আমার নাম সিরাজ। ইউনিতে এক আরব মেয়ে ছিল যার নাম শিরাজ়। বাঙালী ছাত্ররা সিরাজকে [Siraj] উচ্চারণ করে শিরাজ় [Shiraz]। এজন্য আমাকে ডাকতে গিয়ে অনেক সময় তারা সমস্যায় পড়ত। :)

০৮ ই জুন, ২০১০ ভোর ৬:৪২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: (১) সাদীর সময়ের মানচিত্র পাইনি। আমি সাধারন ভাবে পারস্যের অবস্থান দেখাতে চেয়েছিলাম।
(২) দ্বিতীয় তথ্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
(৩) :)
অনেক ধন্যবাদ।

২৬| ০৮ ই জুন, ২০১০ ভোর ৬:১৪

অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: জন্মসূত্রে পাওয়া জ্ঞান ও প্রজ্ঞার সঙ্গে এবার মিশল অভিজ্ঞতার তাপদাহ স্বর্ণশিখা... [/si

সালাম তাপস কবি শেখ সাদী

০৮ ই জুন, ২০১০ ভোর ৬:৪৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: সালাম তাপস কবি শেখ সাদী

২৭| ০৮ ই জুন, ২০১০ ভোর ৬:৫১

সোহরাব সুমন বলেছেন: Human beings are members of a whole,
In creation of one essence and soul.
If one member is afflicted with pain,
Other members uneasy will remain.
If you have no sympathy for human pain,
The name of human you cannot retain.
অবশ্যই ! ধন্যবাদ

০৮ ই জুন, ২০১০ ভোর ৬:৫৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ

২৮| ০৯ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৪১

জনৈক আরাফাত বলেছেন: দারুণ।

পোষাকের গল্পটা বোধহয় সবাই জানে। :)

০৯ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৫৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ

২৯| ০৯ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৫:৫০

কিষান বলেছেন: ওমর খৈয়ামের উপর একখান পোস্ট আসবে নাকি ?

০৯ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: O.k.

৩০| ০৯ ই জুন, ২০১০ রাত ১১:২৩

কিষান বলেছেন: ধন্যবাদ দিয়ে আর ছোড করতে চাচ্ছি না :)

১০ ই জুন, ২০১০ ভোর ৬:৪৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ ...

৩১| ১১ ই জুন, ২০১০ রাত ২:৩৬

আকাশ অম্বর বলেছেন: Human beings are members of a whole!

১১ ই জুন, ২০১০ ভোর ৬:০৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: Human beings are members of a whole

৩২| ২৫ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৬:২৭

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আপনার প্রতিটি লেখাই চমৎকার। আপনার ব্লগে আসলে মনে হয় এতোদিনে কিছুই জানা হলো না! কতো অজানারে!!

কেমন আছেন বস? আপনার সাথে অনেকদিন কথা হয়নি। আপনার অনেক গুণের একটা চমৎকার গুণ কি জানেন? আপনি সবার কমেন্টের ই জবাব দেন!
ভালো থাকুন।

২৫ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৬:৩০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক দিন পর।

৩৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

সজল৯৫ বলেছেন: শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আপনার প্রতিটি লেখাই চমৎকার। আপনার ব্লগে আসলে মনে হয় এতোদিনে কিছুই জানা হলো না! কতো অজানারে!!

কেমন আছেন বস? আপনার সাথে অনেকদিন কথা হয়নি। আপনার অনেক গুণের একটা চমৎকার গুণ কি জানেন? আপনি সবার কমেন্টের ই জবাব দেন!
ভালো থাকুন।

এই কমেন্টের সাথে আমি এক মত হতে পারলাম না। কারণ আমার শত কমেন্টের ও আর কোন জবাব দেবেন না।


আপনি ছিলেন সামুর একটা সম্পদ; এরকম লেখা গুলো আমরা মিস করবো। আপনার অনেক শুভাকাংখির শুভ কামনায় আপনি পরম করুনাময়ের কাছে ভাল থাকবেন সেই কামনা করছি।

আল্লাহ হাফেজ।

৩৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসাধারণ লেখা । একসাথে লাইক ও প্রিয়তে গেল ।
যেখানেই থাকুন না কেন ভাল থাকুন এ কামনাই রইল ।
সম্ভব হলে লেখাটির একটি রিপোষ্ট দিলে এখনকার অনেকেই
এই মুল্যবান তথ্যসমৃদ্ধ লেখাটি দেখতে পারতেন ।

৩৫| ০৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:২০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: অসাধারণ একটা পোস্ট....


তবে আপনিই আজ আর নেই :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.